পরিচ্ছেদঃ ৫০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত

১৪৯০-[১১] সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণের সময় আমাদেরকে নিয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। আমরা তাঁর আওয়াজ শুনতে পাইনি। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ)[1]

عَن سَمُرَة بن جُنْدُب قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كُسُوفٍ لَا نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

عن سمرة بن جندب قال: صلى بنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في كسوف لا نسمع له صوتا. رواه الترمذي وابو داود والنساىي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: হাদীস প্রমাণ করে যে, ইমাম সূর্যগ্রহণের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সশব্দে পড়বে না। সিনদী বলেন, সম্ভবত সামুরাহ্ পিছনের কাতারে ছিলেন বলে শুনতে পাননি তিনি সেটিই বর্ণনা করেছেন আর তার না শোনা প্রমাণ করে না যে, তিনি সশব্দে পড়েননি। সঠিক হল সশব্দে পড়া যা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস ইতিপূর্বে গেছে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৫০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত

১৪৯১-[১২] ’ইকরামাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাসকে বলা হলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অমুক স্ত্রী ইন্তিকাল করেছেন। খবর শুনার সাথে সাথে তিনি সাজদায় লুটে পড়লেন। তাঁকে তখন জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি এ সময় সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করছেন? (অর্থাৎ এটা কি সিজদা্ করার সময়?) তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা যখন কোন নিদর্শন দেখবে তখন সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। আর কোন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীর দুনিয়া ত্যাগ করে চলে যাবার চেয়ে বড় নিদর্শন আর কি হতে পারে? (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]

وَعَن عِكْرِمَة قَالَ: قِيلَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: مَاتَتْ فُلَانَةُ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَّ سَاجِدًا فَقِيلَ لَهُ تَسْجُدُ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ؟ فَقَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمْ آيَةً فَاسْجُدُوا» وَأَيُّ آيَةٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَهَابِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيّ

وعن عكرمة قال: قيل لابن عباس: ماتت فلانة بعض ازواج النبي صلى الله عليه وسلم فخر ساجدا فقيل له تسجد في هذه الساعة؟ فقال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا رايتم اية فاسجدوا» واي اية اعظم من ذهاب ازواج النبي صلى الله عليه وسلم؟ رواه ابو داود والترمذي

ব্যাখ্যা: (إِذَا رَأَيْتُمْ ايَةً فَاسْجُدُوْا) যখন তোমরা কোন নিদর্শন দেখবে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। ত্বীবী বলেন, এই সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) ‘আম তথা সাধারণ যদি নিদর্শন দ্বারা সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ হয় তাহলে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দ্বারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) উদ্দেশে হবে। আর যদি অন্য কোন হয় যেমন প্রচন্ড ঝড় এবং ভূমিকম্পন বা অন্য কোনো বিপদ হয় তাহলে সিজদা্ দ্বারা উদ্দেশ্য স্বভাবিক সিজদা্।

(وَأَيُّ ايَةٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَهَابِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ ﷺ) আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের ইন্তিকালের চেয়ে বড় নিদর্শন আর কি হতে পারে। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে যা অন্য সাহাবীদের নেই। বিশেষ করে তাদের ইন্তিকালের মাধ্যমে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বিশেষ সংশ্লিষ্ট ‘ইলমও চলে যায়।

মুল্লা ‘আলী কারী  বলেন, নিশ্চয় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীরা বারাকাতপূর্ণ তাদের জীবিত মানুষ হতে ‘আযাবকে মানুষ প্রতিহত করে আর তাঁদের ইন্তিকালের কারণে ‘আযাবের আশঙ্কা হয়। সুতরাং উচিত হবে তাদের বারাকাতের বিচ্ছিন্নের সময় আল্লাহর যিকর ও সাজদার দিকে ধাবিত হয়ে ‘আযাবকে প্রতিহত করতে যিকর ও সালাতের মাধ্যমে।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে