পরিচ্ছেদঃ ৫০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের সালাত
১৪৯১-[১২] ’ইকরামাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাসকে বলা হলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অমুক স্ত্রী ইন্তিকাল করেছেন। খবর শুনার সাথে সাথে তিনি সাজদায় লুটে পড়লেন। তাঁকে তখন জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি এ সময় সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করছেন? (অর্থাৎ এটা কি সিজদা্ করার সময়?) তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা যখন কোন নিদর্শন দেখবে তখন সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। আর কোন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীর দুনিয়া ত্যাগ করে চলে যাবার চেয়ে বড় নিদর্শন আর কি হতে পারে? (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]
وَعَن عِكْرِمَة قَالَ: قِيلَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: مَاتَتْ فُلَانَةُ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَّ سَاجِدًا فَقِيلَ لَهُ تَسْجُدُ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ؟ فَقَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمْ آيَةً فَاسْجُدُوا» وَأَيُّ آيَةٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَهَابِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: (إِذَا رَأَيْتُمْ ايَةً فَاسْجُدُوْا) যখন তোমরা কোন নিদর্শন দেখবে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। ত্বীবী বলেন, এই সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) ‘আম তথা সাধারণ যদি নিদর্শন দ্বারা সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ হয় তাহলে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দ্বারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) উদ্দেশে হবে। আর যদি অন্য কোন হয় যেমন প্রচন্ড ঝড় এবং ভূমিকম্পন বা অন্য কোনো বিপদ হয় তাহলে সিজদা্ দ্বারা উদ্দেশ্য স্বভাবিক সিজদা্।
(وَأَيُّ ايَةٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَهَابِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ ﷺ) আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের ইন্তিকালের চেয়ে বড় নিদর্শন আর কি হতে পারে। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে যা অন্য সাহাবীদের নেই। বিশেষ করে তাদের ইন্তিকালের মাধ্যমে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বিশেষ সংশ্লিষ্ট ‘ইলমও চলে যায়।
মুল্লা ‘আলী কারী বলেন, নিশ্চয় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীরা বারাকাতপূর্ণ তাদের জীবিত মানুষ হতে ‘আযাবকে মানুষ প্রতিহত করে আর তাঁদের ইন্তিকালের কারণে ‘আযাবের আশঙ্কা হয়। সুতরাং উচিত হবে তাদের বারাকাতের বিচ্ছিন্নের সময় আল্লাহর যিকর ও সাজদার দিকে ধাবিত হয়ে ‘আযাবকে প্রতিহত করতে যিকর ও সালাতের মাধ্যমে।