পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মোজার উপর মাসাহ করা
৫২৪-[৮] মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজার উপরে মাসাহ করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি (পা ধুতে) ভুলে গেছেন? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না, বরং তুমিই ভুল বুঝেছো। এভাবে করার জন্যই আমার রব আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি মহান ও প্রতাপশালী। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن الْمُغيرَة بن شُعْبَة قَالَ: مَسَحَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ نسيت؟ قَالَ: بل أَنْت نسيت بِهَذَا أَمرنِي رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকেও প্রমাণ হচ্ছে যে, মোজার উপর মাসাহ করা জায়িয। এখানে ‘আমর শব্দটি মুস্তাহাবের অর্থে ব্যবহার হয়েছে। হাদীসটি আবূ দাঊদে সহীহ সানাদে বর্ণিত হয়েছে। তবে হাফিয ইবনু হাজার সেটা য‘ঈফ বলেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মোজার উপর মাসাহ করা
৫২৫-[৯] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দীন যদি (মানুষের জন্য) বুদ্ধি অনুসারেই হতো, তাহলে মোজার উপরের চেয়ে নীচের দিকে মাসাহ করাই উত্তম হত। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি যে, তিনি তাঁর মোজার উপরের দিক মাসাহ করেছেন।[1]
وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ: لَوْ كَانَ الدِّينُ بِالرَّأْيِ لَكَانَ أَسْفَلُ الْخُفِّ أَوْلَى بِالْمَسْحِ مِنْ أَعْلَاهُ وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ على ظَاهر خفيه رَوَاهُ أَبُو دَاوُد للدارمي مَعْنَاهُ
ব্যাখ্যা: (لَوْ كَانَ الدِّيْنُ بِالرَّاْىِ) ‘‘দীন যদি মানুষের বুদ্ধি অনুসারে হত তাহলে মোজার উপরের চেয়ে নীচের দিকে মাসাহ করাই যুক্তিসঙ্গত হত।’’ কেননা চামড়ার মোজা পরিধান করে জুতা ছাড়াই হাঁটা যায়। এতে ময়লা অথবা নাপাকী লাগলে মোজার নীচের অংশে লাগবে উপরের অংশে নয়। অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা মাসাহ করার সময় সেটার উপরের অংশে মাসাহ করেছেন। নীচের অংশে মাসাহ করেননি। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছেন আল্লাহর নির্দেশেই করেছেন। অতএব বুঝা গেল যে, যেখানে হাদীস রয়েছে সেখানে কিয়াস বা বুদ্ধি অচল।