পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মোজার উপর মাসাহ করা
৫২৫-[৯] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দীন যদি (মানুষের জন্য) বুদ্ধি অনুসারেই হতো, তাহলে মোজার উপরের চেয়ে নীচের দিকে মাসাহ করাই উত্তম হত। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি যে, তিনি তাঁর মোজার উপরের দিক মাসাহ করেছেন।[1]
وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ: لَوْ كَانَ الدِّينُ بِالرَّأْيِ لَكَانَ أَسْفَلُ الْخُفِّ أَوْلَى بِالْمَسْحِ مِنْ أَعْلَاهُ وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ على ظَاهر خفيه رَوَاهُ أَبُو دَاوُد للدارمي مَعْنَاهُ
ব্যাখ্যা: (لَوْ كَانَ الدِّيْنُ بِالرَّاْىِ) ‘‘দীন যদি মানুষের বুদ্ধি অনুসারে হত তাহলে মোজার উপরের চেয়ে নীচের দিকে মাসাহ করাই যুক্তিসঙ্গত হত।’’ কেননা চামড়ার মোজা পরিধান করে জুতা ছাড়াই হাঁটা যায়। এতে ময়লা অথবা নাপাকী লাগলে মোজার নীচের অংশে লাগবে উপরের অংশে নয়। অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা মাসাহ করার সময় সেটার উপরের অংশে মাসাহ করেছেন। নীচের অংশে মাসাহ করেননি। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছেন আল্লাহর নির্দেশেই করেছেন। অতএব বুঝা গেল যে, যেখানে হাদীস রয়েছে সেখানে কিয়াস বা বুদ্ধি অচল।