পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিন বলেন: “আমার নিকট থেকে একটি শিক্ষা (আয়াত) হলেও তা তা প্রচার করবে। বনী ইসরাঈলের থেকে বর্ণনা করতে পার, এতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি আমার উপর স্বেচ্ছায় মিথ্যারোপ করে, সে যেন জাহান্নামকে তার আবাস-ঠিকানা বানিয়ে নেয়।”[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী, ৩৪৯১; তিরমিযী ২৬৭১; আহমদ, ২/১৫৯, ২০২; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ৬/১০৯ নং ১০১৫৭; তাহাবী, মুশকিলুল আছার ১/৪০, ১৬৯; আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ৪৫; খতীব, তারীখ বাগদাদ ১৩/১৫৭; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ১/২৪৩ নং ১১৩; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৬/৭৮; কুদায়ী, মুসনাদুশ শিহাব নং ৬৬২ সংক্ষেপে প্রথম অংশ; ইবনু আব্দুল বারর, জামি’ বায়ান নং ১৪৮৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬২৫৬।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ حَسَّانَ عَنْ أَبِي كَبْشَةَ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬০. আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনটি বিষয়ে যেন আমরা পরাভূত না হই: আমরা যেন ভাল কাজের আদেশ করি এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করি এবং লোকদেরকে যেন সুন্নাত শিক্ষা দিতে থাকি।[1]
তাখরীজ: আহমদ ৫/১৬৫; বাইহাকী, আল ই’তিকাদ পৃ: ১৫৪ অজ্ঞাত সনদে।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ أَبُو عِيسَى الشَّيْبَانِيُّ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ عَوْفٍ الشَّيْبَانِيُّ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا يَغْلِبُونَا عَلَى ثَلَاثٍ أَنْ نَأْمُرَ بِالْمَعْرُوفِ وَنَنْهَى عَنْ الْمُنْكَرِ وَنُعَلِّمَ النَّاسَ السُّنَنَ
إسناده ضعيف لانقطاعه القاسم بن عوف لم يدرك أبا ذر
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬১. সুলাইম ইবনু আমির বলেন, আমরা আবু উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট বসা অবস্থায় তিনি যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ সংক্রান্ত হাদীস বর্ণনা করতেন, তখন তিনি আমাদেরকে বলতেন: তোমরা (ভাল করে) শোনো, বুঝে নাও এবং আমাদের পক্ষ হতে তোমরা যা শুন, তা প্রচার কর।
সুলাইম বলেন: সেই স্থান, যেখানে সে যা জানল, সেই ব্যাপারে সেটি সাক্ষ্য প্রদান করবে।[1]
তাখরীজ: তাবারানী, আল কাবীর ৮/১৭৮ নং ৭৬৭৩; ইবনু আব্দুল বার, আল জামি’ নং ৭২৬; এর পূর্ণ তাখরীজ আমরা দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৬০১ এ।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ حَدَّثَنِي سُلَيْمُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ كَانَ أَبُو أُمَامَةَ إِذَا قَعَدْنَا إِلَيْهِ يَجِيئُنَا مِنْ الْحَدِيثِ بِأَمْرٍ عَظِيمٍ وَيَقُولُ لَنَا اسْمَعُوا وَاعْقِلُوا وَبَلِّغُوا عَنَّا مَا تَسْمَعُونَ قَالَ سُلَيْمٌ بِمَنْزِلَةِ الَّذِي يُشْهِدُ عَلَى مَا عَلِمَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬২. আবু কাছীর বলেন, আমার পিতা বলেন: আমি আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট গেলাম। তিনি মধ্য জামরার নিকট বসে ছিলেন আর তার নিকট লোকেরা এসে জড়ো হয়ে তাকে প্রশ্ন করা শুরু করেছে। তখন এক ব্যক্তি[1] এসে তার নিকট জানতে চাইলেন এবং বললেন: আপনাকে কি ফতোয়া দেয়া হতে নিষেধ করা হয়নি? তখন তিনি তাঁর দিকে মাথা তুলে তাকালেন এবং বললেন, আপনি আমার উপর (নিযুক্ত) তত্ত্বাবধায়ক নাকি? আপনারা যদি এখানে তরবারী ঝুলিয়ে রাখুন- বলে তিনি তার ঘাড়ের দিকে ইঙ্গিত করলেন- আর আমার মনে হয় যে, আপনারা আমাকে শাস্তি দেওয়ার পূর্বে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শোনা একটি কথাও বাস্তবায়ন করতে পারবো, তবে অবশ্যই আমি তা বাস্তবায়ন করবো।[2]
[2] তাহক্বীক্ব: (ইমাম দারানী (রহঃ) বলেন,) এর সনদ আমার মতে যয়ীফ। আবু কাছীর এর পিতাকে আমি চিনি না।
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ১/১৬০।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي أَبُو كَثِيرٍ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ أَتَيْتُ أَبَا ذَرٍّ وَهُوَ جَالِسٌ عِنْدَ الْجَمْرَةِ الْوُسْطَى وَقَدْ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيْهِ يَسْتَفْتُونَهُ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَوَقَفَ عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَلَمْ تُنْهَ عَنْ الْفُتْيَا فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهِ فَقَالَ أَرَقِيبٌ أَنْتَ عَلَيَّ لَوْ وَضَعْتُمْ الصَّمْصَامَةَ عَلَى هَذِهِ وَأَشَارَ إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ ظَنَنْتُ أَنِّي أُنْفِذُ كَلِمَةً سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ تُجِيزُوا عَلَيَّ لَأَنْفَذْتُهَا
إسناده ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬৩. আবুল আলীয়া বলেন: আমি ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে কোনো একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন: হে আবুল আলীয়া! তুমি কি মুফতী হতে চাও? তখন আমি বললাম, না। কিন্তু আমি এ আশংকা থেকে মুক্ত নই যে, আপনারা চলে যাবেন আর আমরা রয়ে যাব। তখন তিনি বলেন: আবুল আলীয়া সত্যই বলেছে।[1]
তাখরীজ: আমি এ হাদীসটি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا عَبَّادٌ هُوَ ابْنُ الْعَوَّامِ عَنْ عَوْفٍ عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ شَيْءٍ فَقَالَ يَا أَبَا الْعَالِيَةِ أَتُرِيدُ أَنْ تَكُونَ مُفْتِيًا فَقُلْتُ لَا وَلَكِنْ لَا آمَنُ أَنْ تَذْهَبُوا وَنَبْقَى فَقَالَ صَدَقَ أَبُو الْعَالِيَةِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬৪. ইবরাহীম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: উবাইদুল্লাহ প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট আসতেন এবং অনেক অজানা বিষয়ে প্রশ্ন করতেন। তারপর উবাইদুল্লাহ যে সকল বিষয়ে আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে প্রশ্ন করতেন, লোকেরা সেগুলো আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট হতে মুখস্ত রাখতে পারতো না।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ৯/৪৬ নং ৬৪৬৯; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৬/১২৪ সহীহ সনদে।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا عَبَّادٌ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ كَانَ عَبِيدَةُ يَأْتِي عَبْدَ اللَّهِ كُلَّ خَمِيسٍ فَيَسْأَلُهُ عَنْ أَشْيَاءَ غَابَ عَنْهَا فَكَانَ عَامَّةُ مَا يُحْفَظُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ مِمَّا يَسْأَلُهُ عَبِيدَةُ عَنْهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬৫. সাঈদ ইবনু ইয়াযীদ বলেন: আমি ইকরিমাহ রাহি.-কে বলতে শুনেছি: তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আমাকে প্রশ্ন করছো না? তাহলে তো তোমরা (ইলমের দিক দিয়ে) নিঃস্ব হয়ে যাবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ৯/৪৫-৪৬ নং ১০৭০; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ান নং ৭৪৪।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا غَسَّانُ هُوَ ابْنُ مُضَرَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ يَقُولُ مَا لَكُمْ لَا تَسْأَلُونِي أَفْلَسْتُمْ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬৬. ইবনু শিহাব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: ইলম হলো বিশাল খাযানাসমূহ’ (ধনভাণ্ডার), যার প্রবেশ দ্বার হলো প্রশ্ন করা।[1]
তাখরীজ: ফাসাওয়ী, আল মা’রেফাহ ১/৬৩৪; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৩/৩৬২; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ান নং ৫৩৪ যয়ীফ সনদে, আর মুহাক্কিক্ব উসতায আবুল ইশবাল যুহাইরী জামি’র তাহক্বীক্বে একে হাসান বলে ভুল করেছেন।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْمُكْتِبُ حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ الْعِلْمُ خَزَائِنُ وَتَفْتَحُهَا الْمَسْأَلَةُ
عامر بن صالح هو ابن عبد الله بن عروة متروك الحديث
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬৭. জারীর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবরাহীম বলেন: যে (প্রশ্ন করতে) লজ্জা পায়, তার ইলমও কম হয়।[1]
তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত অন্য কোথাও পাইনি।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ جَرِيرٍ قَالَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ مَنْ رَقَّ وَجْهُهُ رَقَّ عِلْمُهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬৮. শা’বী বলেন: যে (প্রশ্ন করতে) লজ্জা পায়, তার ইলমও কম হয়।[1]
তাখরীজ: এটিও আমি অন্যত্র পাইনি।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
وَوَكِيعٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ مَنْ رَقَّ وَجْهُهُ رَقَّ عِلْمُهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৬৯. হাফস ইবনু উমার বলেন, উমার ইবনুল খাত্ত্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: যে (প্রশ্ন করতে) লজ্জা পায়, তার ইলমও কম হয়। [1]
তাখরীজ: এটিও আমি অন্যত্র পাইনি।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
وَعَنْ ضَمْرَةَ عَنْ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مَنْ رَقَّ وَجْهُهُ رَقَّ عِلْمُهُ
اسناد ضعيف حفص ابن عمر الشامي مجهول
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭০. মুজাহিদ বলেন: যে লোক লজ্জা করে এবং অহংকার করে, সে ইলম শিক্ষা করতে পারে না।[1]
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৩/২৮৭ অপর একটি সহীহ সনদে; কাযী আয়ায আল ইলমা’ পৃ: ৫৩; বুখারী তা’লীক হিসেবে, ‘ইলমের ব্যাপারে লজ্জা করা’ অনুচ্ছেদে।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ جَرِيرٍ عَنْ رَجُلٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ لَا يَتَعَلَّمُ مَنْ اسْتَحْيَا وَاسْتَكْبَرَ
إسناده ضعيف فيه جهالة
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭১. হিশাম ইবনু উরওয়াহ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি তার ছেলেদেরকে একত্রিত করে বলতেন: হে আমার পুত্রগণ! তোমরা ইলম শিক্ষা কর। কারণ, যদিও তোমরা এখন ক্বওমের মধ্যে ছোট আছো। কিন্তু অচিরেই তোমরা অন্যদের থেকে বড় হয়ে যাবে। একজন বয়স্ক লোকের জন্য এর চেয়ে নিকৃষ্টতর আর কিছু নেই যে, তাকে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে কিন্তু সেই বিষয়ে তার জানা নেই।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: রমহারমুযী, আল মুহাদ্দিসুল ফাসিল নং ৬৮; ইয়া’কুব আল ফাসাওয়ী, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৫৫১ সহীহ সনদে; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ৪৮৭।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَجْمَعُ بَنِيهِ فَيَقُولُ يَا بَنِيَّ تَعَلَّمُوا فَإِنْ تَكُونُوا صِغَارَ قَوْمٍ فَعَسَى أَنْ تَكُونُوا كِبَارَ آخَرِينَ وَمَا أَقْبَحَ عَلَى شَيْخٍ يُسْأَلُ لَيْسَ عِنْدَهُ عِلْمٌ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭২. ইকরিমাহ বলেন, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা আমার দুই পায়ে বেড়ি পরাতেন এবং (এভাবে) আমাকে কুরআন ও সুন্নাহ শিক্ষা দিতেন।[1]
তাখরীজ: আল ফাসাওয়ী, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ২/৫; খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ নং ১৭২।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أخبرنا أبو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن الزبير بن الخريت عن عكرمة قال كان ابن عباس يضع في رجلي الكبل ويعلمني القرآن والسنن
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭৩. ইয়াহইয়া ইবনু যুরাইছ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সুফিয়ান রাহি.-কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি দ্রুত নেতা হয়ে যায়, সে ইলমের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। আর যে নেতা না হয়, সে ইলম তালাশ করতে থাকে, এভাবে এমনকি সে (একসময় পূর্ণতায়) উপনীত হয়।[1]
তাখরীজ: আমি এ শব্দে এটি পাইনি; অনুরূপ বর্ণনা করেছেন বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১৬৭০ যার সনদও যয়ীফ।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الضُّرَيْسِ قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ يَقُولُ مَنْ تَرَأَّسَ سَرِيعًا أَضَرَّ بِكَثِيرٍ مِنْ الْعِلْمِ وَمَنْ لَمْ يَتَرَأَّسْ طَلَبَ وَطَلَبَ حَتَّى يَبْلُغَ
إسناده ضعيف لضعف محمد بن حميد
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭৪. সালমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: যে ইলম বর্ণনা করা হয় না, তা সেই পুঞ্জীভূত সম্পদের মতো যা হতে ব্যয়/দান করা হয় না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১৩/৩৩৪ নং ১৬৫১৪; আবু খায়ছামাহ, আল ইলম নং ১২ সহীহ সনদে; আর এর শাহিদ আবু হুরাইরা রা: বর্ণিত হাদীস যা পরবর্তীতে আসছে।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَبَّابٍ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَلْمَانَ قَالَ عِلْمٌ لَا يُقَالُ بِهِ كَكَنْزٍ لَا يُنْفَقُ مِنْهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭৫. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ইলম দ্বারা উপকার লাভ করা হয় না, তার দৃষ্টান্ত সেই পুঞ্জীভূত সম্পদের মতো যা থেকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা হয় না।[1]
তাখরীজ: আহমাদ ২/৪৪৯; বাযযার ১/১০০ নং ১৭৬; তাবারানী, আল আওসাত নং ৬৯৩ (মাজমাউল বাহরাইন নং ২২৯); আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ১৬২; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৭৭৪, ৭৭৭ সকলেই যয়ীফ সনদে।
(আবু আসিম বলেন: এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা, ইবনু উমার, ইবনু মাসউদ থেকে মারফু’ হিসেবে এবং ইবনু আব্বাস হতে তার বক্তব্য হিসেবে হাদীস বর্ণিত আছে।)
ইবনু উমার রা: এর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইবনু আব্দুল বার, আল জামি’ ১/১৪৮ এর সনদ জাইয়্যেদ জাইয়্যেদ;
ইবনু মাসউদ রা: এর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন কুদায়ী, মুসনাদুশ শিহাব ১/১৮০ নং ২৬৩ যয়ীফ সনদে;
ইবনু আব্বাস রা: এর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তার বক্তব্য হিসেবে, বাইহাকী, আল-মাদখাল /৩৪৮, নং ৫৭৮। - ফাতহুল মান্নান হা/৫৮৪ এর টীকা - অনুবাদক)
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ عَنْ أَبِي عِيَاضٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ عِلْمٍ لَا يُنْتَفَعُ بِهِ كَمَثَلِ كَنْزٍ لَا يُنْفَقُ مِنْهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
إسناده ضعيف لضعف إبراهيم بن مسلم الهجري
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭৬. মুসা ইবনু ইয়াছার হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমার নিকট এ খবর পৌঁছেছে যে, সালমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আবু দারদা’আ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট লিখে পাঠিয়েছিলেন যে, ইলম কুপসমূহের ন্যায়, যেগুলো মানুষ ঢেকে রাখে। এরপর তা তাকে এই এইভাবে আন্দোলিত/অভিভূত করে। ফলে আল্লাহ তা’আলা এর মাধ্যমে অনেক লোককে উপকৃত করেন। আর যে হিকমাত (জ্ঞানের কথা) আলাপ-আলোচনা করা হয় না, তা প্রাণহীন দেহের মতো। যে ইলম বর্ণনা করা হয় না, তা সেই ধনভাণ্ডারের মতো যা থেকে ব্যয় করা হয় না। আলিমের উপমা হচ্ছে অন্ধকার পথে একজন আলোকবর্তিকাবাহী লোকের মতো, যে ব্যক্তিই তাকে অতিক্রম করে, সেই তার আলো পায়। আর প্রত্যেকেই তার জন্য কল্যাণের দু’আ করে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ১৩/৩৩৪-৩৩৪ নং ১৬৫১৫ বিচ্ছিন্ন সনদে।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ عَنْ مُوسَى بْنِ يَسَارٍ عَمِّهِ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ سَلْمَانَ كَتَبَ إِلَى أَبِي الدَّرْدَاءِ إِنَّ الْعِلْمَ كَالْيَنَابِيعِ يَغْشَاهُنَّ النَّاسُ فَيَخْتَلِجُهُ هَذَا وَهَذَا فَيَنْفَعُ اللَّهُ بِهِ غَيْرَ وَاحِدٍ وَإِنَّ حِكْمَةً لَا يُتَكَلَّمُ بِهَا كَجَسَدٍ لَا رُوحَ فِيهِ وَإِنَّ عِلْمًا لَا يُخْرَجُ كَكَنْزٍ لَا يُنْفَقُ مِنْهُ وَإِنَّمَا مَثَلُ الْعَالِمِ كَمَثَلِ رَجُلٍ حَمَلَ سِرَاجًا فِي طَرِيقٍ مُظْلِمٍ يَسْتَضِيءُ بِهِ مَنْ مَرَّ بِهِ وَكُلٌّ يَدْعُو لَهُ بِالْخَيْرِ
إسناده ضعيف ابن إسحاق قد عنعن وهو مدلس
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭৭. ইবরাহীম রাহিমাহুল্লাহ বলেন: মানুষের মৃত্যুর পর তিনটি প্রিয় জিনিস তার অনুসরণ করে: এমন সাদকাহ যা তার (মৃত্যুর) পরেও চালু থাকে, তার জন্য তার সন্তানের দু’আ এবং যে ইলম সে বিস্তার করে গিয়েছে, যার উপর লোকেরা তার (মৃত্যুর) পরও আমল করে।[1]
তাখরীজ: এটি আমি অন্য কোথাও পাইনি। পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ يَتْبَعُ الرَّجُلَ بَعْدَ مَوْتِهِ ثَلَاثُ خِلَالٍ صَدَقَةٌ تَجْرِي بَعْدَهُ وَصَلَاةُ وَلَدِهِ عَلَيْهِ وَعِلْمٌ أَفْشَاهُ يُعْمَلُ بِهِ بَعْدَهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে (হাদীস) প্রচার ও সুন্নাত শিক্ষা দান
৫৭৮. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়, কেবল তিনটি জিনিস বাদে: এমন জ্ঞান যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়, যে সাদাকাহ (দান) তার জন্য চালু থাকে এবং নেককার সন্তান যে তার জন্য দু’আ করতে থাকে।[1]
তাখরীজ: সহীহ মুসলিম ১৬৩১; আহমদ ২/৩৭২ নং ৮৮৩৩; তিরমিযী ১৩৭৬; নাসাঈ ৩৬৫১; আবু দাউদ ২৮৮০।
بَابُ الْبَلَاغِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْلِيمِ السُّنَنِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنِي إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَدَنِيُّ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ صَدَقَةٍ تَجْرِي لَهُ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ
إسناده صحيح