পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৯. বদর যুদ্ধে যোগদানকারীগণের মর্যাদা।
৩৯৮২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলতেন, হারিসাহ (রাঃ) একজন নও জওয়ান লোক ছিলেন। বদর যুদ্ধে তিনি শাহাদাত বরণ করার পর তাঁর আম্মা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! হারিসাহ আমার কত প্রিয় ছিল আপনি তা অবশ্যই জানেন। সে যদি জান্নাতী হয় তাহলে আমি সবর করব এবং আল্লাহর নিকট সাওয়াবের আশা পোষণ করব। আর যদি ব্যাপার অন্য রকম হয় তাহলে আপনি তো দেখতেই পাবেন, আমি যা করব। তখন তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার কী হল, তুমি কি অজ্ঞান হয়ে গেলে? জান্নাত কি একটি? জান্নাত অনেকগুলি, সে তো জান্নাতুল ফিরদাউসে রয়েছে। [২৮০৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯০)
بَاب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا أَبُوْ إِسْحَاقَ عَنْ حُمَيْدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُوْلُ أُصِيْبَ حَارِثَةُ يَوْمَ بَدْرٍ وَهُوَ غُلَامٌ فَجَاءَتْ أُمُّهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَدْ عَرَفْتَ مَنْزِلَةَ حَارِثَةَ مِنِّيْ فَإِنْ يَكُنْ فِي الْجَنَّةِ أَصْبِرْ وَأَحْتَسِبْ وَإِنْ تَكُ الْأُخْرَى تَرَى مَا أَصْنَعُ فَقَالَ وَيْحَكِ أَوَهَبِلْتِ أَوَجَنَّةٌ وَاحِدَةٌ هِيَ إِنَّهَا جِنَانٌ كَثِيْرَةٌ وَإِنَّهُ فِيْ جَنَّةِ الْفِرْدَوْسِ
Narrated Anas:
Haritha was martyred on the day (of the battle) of Badr, and he was a young boy then. His mother came to the Prophet (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! You know how dear Haritha is to me. If he is in Paradise, I shall remain patient, and hope for reward from Allah, but if it is not so, then you shall see what I do?" He said, "May Allah be merciful to you! Have you lost your senses? Do you think there is only one Paradise? There are many Paradises and your son is in the (most superior) Paradise of Al- Firdaus."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৯. বদর যুদ্ধে যোগদানকারীগণের মর্যাদা।
৩৯৮৩. ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ মারসাদ, যুবায়র (রাঃ) ও আমাকে কোন স্থানে প্রেরণ করেছিলেন এবং আমরা সকলেই ছিলাম অশ্বারোহী। তিনি আমাদেরকে বললেন, তোমরা যাও। যেতে যেতে তোমরা ‘রাওযা খাখ’ নামক জায়গায় পৌঁছে সেখানে একজন স্ত্রীলোক দেখতে পাবে। তার কাছে মুশরিকদের প্রতি লিখিত হাতিব ইবনু আবূ বালতার একটি চিঠি আছে। (সেটা নিয়ে আসবে।) ‘আলী (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশিত জায়গায় গিয়ে তাকে ধরে ফেললাম। সে তখন তার একটি উটের উপর চড়ে পথ অতিক্রম করছিল। আমরা তাকে বললাম, পত্রখানা আমাদের নিকট দিয়ে দাও। সে বলল, আমার নিকট কোন পত্র নেই। আমরা তখন তার উটটিকে বসিয়ে তার তল্লাশী করলাম। কিন্তু পত্রখানা বের করতে পারলাম না। আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যা বলেননি। তোমাকে চিঠিটি বের করতেই হবে। নতুবা আমরা তোমাকে উলঙ্গ করে ছাড়ব। যখন আমাদের শক্ত মনোভাব বুঝতে পারল তখন স্ত্রীলোকটি তার কোমরের পরিহিত বস্ত্রের গিঁটে কাপড়ের পুঁটুলির মধ্য থেকে চিঠিখানা বের করে দিল। আমরা তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! সে তো আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল এবং মু’মিনদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই। তখন নবী [হাতিব ইবনু আবূ বালতা (রাঃ) কে ডেকে] বললেন, তোমাকে এ কাজ করতে কিসে বাধ্য করল? হাতিব (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আমি অবিশ্বাসী নই। বরং আমার মূল উদ্দেশ্য হল শত্রু দলের প্রতি কিছু অনুগ্রহ করা যাতে আল্লাহ্ এ উসিলায় আমার মাল এবং পরিবার ও পরিজনকে রক্ষা করেন। আর আপনার সাহাবীদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন আত্মীয় সেখানে রয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ্ তার ধন-মাল ও পরিজনকে রক্ষা করছেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে ঠিক কথাই বলেছে। সুতরাং তোমরা তার সম্পর্কে ভাল ব্যতীত আর কিছু বলো না। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, সে তো আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সুতরাং আপনি আমাকে ছেড়ে দিন, আমি তাঁর গর্দার উড়িয়ে দেই। রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে কি বাদ্রী সাহাবী নয়? অবশ্যই বদর যুদ্ধে যোগদানকারীদেরকে বুঝে শুনেই আল্লাহ্ বলেছেনঃ ‘‘তোমাদের যা ইচ্ছে কর’’ তোমাদের জন্য জান্নাত অবধারিত অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এতে ‘উমার (রাঃ)-এর দু’নয়ন অশ্রু সিক্ত হয়ে উঠল। তিনি বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই সবচেয়ে অধিক জ্ঞাত।[1] [৩০০৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯১)
بَاب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيْسَ قَالَ سَمِعْتُ حُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ بَعَثَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا مَرْثَدٍ الْغَنَوِيَّ وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ وَكُلُّنَا فَارِسٌ قَالَ انْطَلِقُوْا حَتَّى تَأْتُوْا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا امْرَأَةً مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ مَعَهَا كِتَابٌ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِيْ بَلْتَعَةَ إِلَى الْمُشْرِكِيْنَ فَأَدْرَكْنَاهَا تَسِيْرُ عَلَى بَعِيْرٍ لَهَا حَيْثُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا الْكِتَابُ فَقَالَتْ مَا مَعَنَا كِتَابٌ فَأَنَخْنَاهَا فَالْتَمَسْنَا فَلَمْ نَرَ كِتَابًا فَقُلْنَا مَا كَذَبَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَنُجَرِّدَنَّكِ فَلَمَّا رَأَتْ الْجِدَّ أَهْوَتْ إِلَى حُجْزَتِهَا وَهِيَ مُحْتَجِزَةٌ بِكِسَاءٍ فَأَخْرَجَتْهُ فَانْطَلَقْنَا بِهَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَدْ خَانَ اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَالْمُؤْمِنِيْنَ فَدَعْنِيْ فَلِأَضْرِبَ عُنُقَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ قَالَ حَاطِبٌ وَاللهِ مَا بِيْ أَنْ لَا أَكُوْنَ مُؤْمِنًا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ أَرَدْتُ أَنْ يَكُوْنَ لِيْ عِنْدَ الْقَوْمِ يَدٌ يَدْفَعُ اللهُ بِهَا عَنْ أَهْلِيْ وَمَالِيْ وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِكَ إِلَّا لَهُ هُنَاكَ مِنْ عَشِيْرَتِهِ مَنْ يَدْفَعُ اللهُ بِهِ عَنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَدَقَ وَلَا تَقُوْلُوْا لَهُ إِلَّا خَيْرًا فَقَالَ عُمَرُ إِنَّهُ قَدْ خَانَ اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَالْمُؤْمِنِيْنَ فَدَعْنِيْ فَلِأَضْرِبَ عُنُقَهُ فَقَالَ أَلَيْسَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ لَعَلَّ اللهَ اطَّلَعَ إِلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوْا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ وَجَبَتْ لَكُمُ الْجَنَّةُ أَوْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ فَدَمَعَتْ عَيْنَا عُمَرَ وَقَالَ اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ.
Narrated `Ali:
Allah's Messenger (ﷺ) sent me, Abu Marthad and Az-Zubair, and all of us were riding horses, and said, "Go till you reach Raudat-Khakh where there is a pagan woman carrying a letter from Hatib bin Abi Balta' a to the pagans of Mecca." So we found her riding her camel at the place which Allah's Messenger (ﷺ) had mentioned. We said (to her),"(Give us) the letter." She said, "I have no letter." Then we made her camel kneel down and we searched her, but we found no letter. Then we said, "Allah's Messenger (ﷺ) had not told us a lie, certainly. Take out the letter, otherwise we will strip you naked." When she saw that we were determined, she put her hand below her waist belt, for she had tied her cloak round her waist, and she took out the letter, and we brought her to Allah's Messenger (ﷺ) Then `Umar said, "O Allah's Apostle! (This Hatib) has betrayed Allah, His Apostle and the believers! Let me cut off his neck!" The Prophet asked Hatib, "What made you do this?" Hatib said, "By Allah, I did not intend to give up my belief in Allah and His Apostle but I wanted to have some influence among the (Mecca) people so that through it, Allah might protect my family and property. There is none of your companions but has some of his relatives there through whom Allah protects his family and property." The Prophet (ﷺ) said, "He has spoken the truth; do no say to him but good." `Umar said, "He as betrayed Allah, His Apostle and the faithful believers. Let me cut off his neck!" The Prophet (ﷺ) said, "Is he not one of the Badr warriors? May be Allah looked at the Badr warriors and said, 'Do whatever you like, as I have granted Paradise to you, or said, 'I have forgiven you."' On this, tears came out of `Umar's eyes, and he said, "Allah and His Apostle know better."