পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬১. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, বদর যুদ্ধের দিন আবূ জাহ্ল যখন মৃত্যুর মুখোমুখী তখন তিনি (‘আবদুল্লাহ) তার কাছে গেলেন। তখন আবূ জাহ্ল বলল, (আজ) তোমরা যাকে হত্যা করলে তার চেয়ে নির্ভরযোগ্য লোক আর আছে কি? (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭২)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ أَخْبَرَنَا قَيْسٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ أَتَى أَبَا جَهْلٍ وَبِهِ رَمَقٌ يَوْمَ بَدْرٍ فَقَالَ أَبُوْ جَهْلٍ هَلْ أَعْمَدُ مِنْ رَجُلٍ قَتَلْتُمُوْهُ.

ابن نمير حدثنا ابو اسامة حدثنا اسماعيل اخبرنا قيس عن عبد الله انه اتى ابا جهل وبه رمق يوم بدر فقال ابو جهل هل اعمد من رجل قتلتموه.


Narrated `Abdullah That he came across Abu Jahl while he was on the point of death on the day of:

Badr. Abu Jahl said, "You should not be proud that you have killed me nor I am ashamed of being killed by my own folk."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (বদরের দিন) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ জাহলের কী অবস্থা হল কেউ তা দেখতে পার কি? তখন ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বের হলেন এবং দেখতে পেলেন যে, ‘আফ্রার দুই পুত্র তাকে এমনিভাবে মেরেছে যে, মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বললেন, তুমিই কি আবূ জাহ্ল? রাবী বলেনঃ আবূ জাহ্ল বললঃ সেই লোকটির চেয়ে উত্তম আর কেউ আছে কি যাকে তার গোত্রের লোকেরা হত্যা করল অথবা বলল তোমরা যাকে হত্যা করলে? আহমাদ বিন ইউনুসের বর্ণনায় এসেছে, তুমি আবূ জাহ্ল। [৩৯৬৩, ৪০২০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৩)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

أَحْمَدُ بْنُ يُوْنُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ أَنَّ أَنَسًا حَدَّثَهُمْ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ح و عَمْرُوْ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ يَنْظُرُ مَا صَنَعَ أَبُوْ جَهْلٍ فَانْطَلَقَ ابْنُ مَسْعُوْدٍ فَوَجَدَهُ قَدْ ضَرَبَهُ ابْنَا عَفْرَاءَ حَتَّى بَرَدَ قَالَ أَأَنْتَ أَبُوْ جَهْلٍ قَالَ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ قَالَ وَهَلْ فَوْقَ رَجُلٍ قَتَلْتُمُوْهُ أَوْ رَجُلٍ قَتَلَهُ قَوْمُهُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ يُوْنُسَ أَنْتَ أَبُوْ جَهْلٍ.

احمد بن يونس حدثنا زهير حدثنا سليمان التيمي ان انسا حدثهم قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ح و عمرو بن خالد حدثنا زهير عن سليمان التيمي عن انس قال قال النبي صلى الله عليه وسلم من ينظر ما صنع ابو جهل فانطلق ابن مسعود فوجده قد ضربه ابنا عفراء حتى برد قال اانت ابو جهل قال فاخذ بلحيته قال وهل فوق رجل قتلتموه او رجل قتله قومه قال احمد بن يونس انت ابو جهل.


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) said, "Who will go and see what has happened to Abu Jahl?" Ibn Mas`ud went and found that the two sons of 'Afra had struck him fatally (and he was in his last breaths). `Abdullah bin Mas`ud said, "Are you Abu Jahl?" And took him by the beard. Abu Jahl said, "Can there be a man superior to one you have killed or one whom his own folk have killed?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, বদরের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ জাহ্ল কী করল, তোমাদের মধ্যে কে তা জেনে আসবে? তখন ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) চলে গেলেন এবং তিনি দেখতে পেলেন, ‘আফরার দুই পুত্র তাকে এমনিভাবে পিটিয়েছে যে, সে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তিনি তার দাড়ি ধরে বললেন,তুমি কি আবূ জাহ্ল? উত্তরে সে বলল, সেই লোকটির চেয়ে উত্তম আর কেউ আছে কি যাকে তার গোত্রের লোকেরা হত্যা করল অথবা বলল তোমরা যাকে হত্যা করলে? [1]

ইবনু মুসান্না (রহ.).....আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে অনুরূপ একটি রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। [৩৯৬২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৪)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ عَدِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ مَنْ يَنْظُرُ مَا فَعَلَ أَبُوْ جَهْلٍ فَانْطَلَقَ ابْنُ مَسْعُوْدٍ فَوَجَدَهُ قَدْ ضَرَبَهُ ابْنَا عَفْرَاءَ حَتَّى بَرَدَ فَأَخَذَ بِلِحْيَتِهِ فَقَالَ أَنْتَ أَبَا جَهْلٍ قَالَ وَهَلْ فَوْقَ رَجُلٍ قَتَلَهُ قَوْمُهُ أَوْ قَالَ قَتَلْتُمُوْهُ
حَدَّثَنِي ابْنُ الْمُثَنَّى أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ أَخْبَرَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ نَحْوَهُ

محمد بن المثنى حدثنا ابن ابي عدي عن سليمان التيمي عن انس قال قال النبي صلى الله عليه وسلم يوم بدر من ينظر ما فعل ابو جهل فانطلق ابن مسعود فوجده قد ضربه ابنا عفراء حتى برد فاخذ بلحيته فقال انت ابا جهل قال وهل فوق رجل قتله قومه او قال قتلتموه حدثني ابن المثنى اخبرنا معاذ بن معاذ حدثنا سليمان اخبرنا انس بن مالك نحوه


Narrated Anas:

On the day of Badr, the Prophet (ﷺ) said, "Who will go and see what has happened to Abu Jahl?" Ibn Mas`ud went and found that the two sons of 'Afra had struck him fatally. `Abdullah bin Mas`ud got hold of his beard and said, "'Are you Abu Jahl?" He replied, "Can there be a man more superior to one whom his own folk have killed (or you have killed)?"

Narrated Anas bin Malik: see privious hadith


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬৪. ইব্রাহীমের দাদা থেকে বাদর তথা ‘আফরার দুই ছেলের সম্পর্কে এক রেওয়ায়ত বর্ণনা করেছেন। [৩১৪১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ নেই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৫)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ كَتَبْتُ عَنْ يُوْسُفَ بْنِ الْمَاجِشُوْنِ عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ فِيْ بَدْرٍ يَعْنِيْ حَدِيْثَ ابْنَيْ عَفْرَاءَ.

علي بن عبد الله قال كتبت عن يوسف بن الماجشون عن صالح بن ابراهيم عن ابيه عن جده في بدر يعني حديث ابني عفراء.


Narrated `Abdur-Rahman bin `Auf:

(the grandfather of Salih bin Ibrahim) the story of Badr, namely, the narration regarding the sons of 'Afra'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬৫. ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সর্বপ্রথম আমিই কিয়ামতের দিন দয়াময়ের সামনে বিবাদ মীমাংসার জন্য হাঁটু গেড়ে বসব। ক্বায়স ইবনু ‘উবাদ (রাঃ) বলেন, এদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছেঃ هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ ‘‘এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিতর্ক করে’’- (সূরাহ হাজ্জ ২২/১৯)। তিনি বলেন, (মুসলিম পক্ষের) তারা হলেন হাম্যা, ‘আলী ও ‘উবাইদাহ অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আবূ ‘উবাইদাহ ইবনুল হারিস (রাঃ) (অপরপক্ষে) শায়বা বিন রাবী‘আহ, ‘উত্বাহ বিন রাবী‘আহ এবং ওয়ালীদ ইবনু ‘উত্বাহ যারা বদর যুদ্ধের দিন পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। [1] [৩৯৬৭, ৪৭৪৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৬)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ سَمِعْتُ أَبِيْ يَقُوْلُ حَدَّثَنَا أَبُوْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبٍ أَنَّهُ قَالَ أَنَا أَوَّلُ مَنْ يَجْثُوْ بَيْنَ يَدَيْ الرَّحْمَنِ لِلْخُصُوْمَةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَقَالَ قَيْسُ بْنُ عُبَادٍ وَفِيْهِمْ أُنْزِلَتْ (هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ) قَالَ هُمْ الَّذِيْنَ تَبَارَزُوْا يَوْمَ بَدْرٍ حَمْزَةُ وَعَلِيٌّ وَعُبَيْدَةُ أَوْ أَبُوْ عُبَيْدَةَ بْنُ الْحَارِثِ وَشَيْبَةُ بْنُ رَبِيْعَةَ وَعُتْبَةُ بْنُ رَبِيْعَةَ وَالْوَلِيْدُ بْنُ عُتْبَةَ.

محمد بن عبد الله الرقاشي حدثنا معتمر قال سمعت ابي يقول حدثنا ابو مجلز عن قيس بن عباد عن علي بن ابي طالب انه قال انا اول من يجثو بين يدي الرحمن للخصومة يوم القيامة وقال قيس بن عباد وفيهم انزلت (هذان خصمان اختصموا في ربهم) قال هم الذين تبارزوا يوم بدر حمزة وعلي وعبيدة او ابو عبيدة بن الحارث وشيبة بن ربيعة وعتبة بن ربيعة والوليد بن عتبة.


Narrated Abu Mijlaz:

From Qais bin Ubad: `Ali bin Abi Talib said, "I shall be the first man to kneel down before (Allah), the Beneficent to receive His judgment on the day of Resurrection (in my favor)." Qais bin Ubad also said, "The following Verse was revealed in their connection:-- "These two opponents believers and disbelievers) Dispute with each other About their Lord." (22.19) Qais said that they were those who fought on the day of Badr, namely, Hamza, `Ali, 'Ubaida or Abu 'Ubaida bin Al-Harith, Shaiba bin Rabi`a, `Utba and Al-Wahd bin `Utba.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬৬. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ‘‘এরা দু’টি বিবদমান দল তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে’’- (সূরাহ হাজ্জ ২২/১৯) আয়াতটি কুরাইশ গোত্রীয় ছয়জন লোক সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। তারা হলেন, (মুসলিম পক্ষ) ‘আলী, হামযাহ, ‘উবাইদাহ ইবনুল হারিস (রাঃ) ও (কাফির পক্ষে) শায়বা ইবনু রাবী‘আহ, ‘উত্বাহ ইবনু রাবী‘আহ এবং ওয়ালীদ ইবনু ‘উত্বাহ। [৩৯৬৮, ৩৯৬৯, ৪৭৪৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৭)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

قَبِيْصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِيْ هَاشِمٍ عَنْ أَبِيْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ قَالَ نَزَلَتْ (هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ) فِيْ سِتَّةٍ مِنْ قُرَيْشٍ عَلِيٍّ وَحَمْزَةَ وَعُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيْعَةَ وَعُتْبَةَ بْنِ رَبِيْعَةَ وَالْوَلِيْدِ بْنِ عُتْبَةَ.

قبيصة حدثنا سفيان عن ابي هاشم عن ابي مجلز عن قيس بن عباد عن ابي ذر قال نزلت (هذان خصمان اختصموا في ربهم) في ستة من قريش علي وحمزة وعبيدة بن الحارث وشيبة بن ربيعة وعتبة بن ربيعة والوليد بن عتبة.


Narrated Abu Dhar:

The following Holy Verse:-- "These two opponents (believers & disbelievers) dispute with each other about their Lord," (22.19) was revealed concerning six men from Quraish, namely, `Ali, Hamza, 'Ubaida bin Al-Harith; Shaiba bin Rabi`a, `Utba bin Rabi`a and Al-Walid bin `Utba.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬৭. কায়স ইবনু উবাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেনঃ ‘‘এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিতর্ক করে’’- (সূরাহ হাজ্জ ২২/১৯) আয়াতটি আমাদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে। [৩৯৬৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৮)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ الصَّوَّافُ حَدَّثَنَا يُوْسُفُ بْنُ يَعْقُوْبَ كَانَ يَنْزِلُ فِيْ بَنِيْ ضُبَيْعَةَ وَهُوَ مَوْلًى لِبَنِيْ سَدُوْسَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِيْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ قَالَ عَلِيٌّ فِيْنَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ (هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ).

اسحاق بن ابراهيم الصواف حدثنا يوسف بن يعقوب كان ينزل في بني ضبيعة وهو مولى لبني سدوس حدثنا سليمان التيمي عن ابي مجلز عن قيس بن عباد قال قال علي فينا نزلت هذه الاية (هذان خصمان اختصموا في ربهم).


Narrated `Ali:

The following Holy Verse:-- "These two opponents (believers and disbelievers) dispute with each other about their Lord." (22.19) was revealed concerning us.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬৮. কায়স ইবনু উবাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেছেন) আমি আবূ যার (রাঃ)-কে কসম করে বলতে শুনেছি যে, উপর্যুক্ত আয়াতগুলো উল্লিখিত বদরের দিন ঐ ছয় ব্যক্তি সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিল। [৩৯৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭৯)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ أَخْبَرَنَا وَكِيْعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيْ هَاشِمٍ عَنْ أَبِيْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ يُقْسِمُ لَنَزَلَتْ هَؤُلَاءِ الآيَاتُ فِيْ هَؤُلَاءِ الرَّهْطِ السِّتَّةِ يَوْمَ بَدْرٍ نَحْوَهُ.

يحيى بن جعفر اخبرنا وكيع عن سفيان عن ابي هاشم عن ابي مجلز عن قيس بن عباد سمعت ابا ذر يقسم لنزلت هولاء الايات في هولاء الرهط الستة يوم بدر نحوه.


Narrated Qais bin Ubad:

I heard Abu Dhar swearing that these Holy Verses were revealed in connection with those six persons on the day of Badr.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৬৯. ক্বায়স (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি আবূ যার (রাঃ)-কে কসম করে বলতে শুনেছি যে, ‘‘এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে’’ আয়াতটি বদরের দিন পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হামযা, ‘আলী, ‘উবাইদাহ ইবনুল হারিস, রাবী‘আহর দুই পুত্র ‘উত্বাহ ও শায়বাহ এবং ওয়ালীদ ইবনু ‘উত্বাহর সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। [৩৯৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮০)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ الدَّوْرَقِيُّ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا أَبُوْ هَاشِمٍ عَنْ أَبِيْ مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ يُقْسِمُ قَسَمًا إِنَّ هَذِهِ الآيَةَ (هٰذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوْا فِيْ رَبِّهِمْ) نَزَلَتْ فِي الَّذِيْنَ بَرَزُوْا يَوْمَ بَدْرٍ حَمْزَةَ وَعَلِيٍّ وَعُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَعُتْبَةَ وَشَيْبَةَ ابْنَيْ رَبِيْعَةَ وَالْوَلِيْدِ بْنِ عُتْبَ.

يعقوب بن ابراهيم الدورقي حدثنا هشيم اخبرنا ابو هاشم عن ابي مجلز عن قيس بن عباد قال سمعت ابا ذر يقسم قسما ان هذه الاية (هذان خصمان اختصموا في ربهم) نزلت في الذين برزوا يوم بدر حمزة وعلي وعبيدة بن الحارث وعتبة وشيبة ابني ربيعة والوليد بن عتب.


Narrated Qais:

I heard Abu Dhar swearing that the following Holy verse:-- "These two opponents (believers and disbelievers) disputing with each other about their Lord," (22.19) was revealed concerning those men who fought on the day of Badr, namely, Hamza, `Ali, Ubaida bin Al-Harith, `Utba and Shaiba----the two sons of Rabi`a-- and Al-Walid bin `Utba.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭০. আবূ ইসহাক (রহ.) হতে বর্ণিত যে, আমি শুনলাম, এক ব্যক্তি বারা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, ‘আলী (রাঃ) কি বদর যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন? তিনি বললেন, ‘আলী ঐ যুদ্ধে মুকাবালা করেছিলেন এবং হাক্কে বিজয়ী করেছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮১)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

أَحْمَدُ بْنُ سَعِيْدٍ أَبُوْ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُوْرٍ السَّلُوْلِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ يُوْسُفَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ سَأَلَ رَجُلٌ الْبَرَاءَ وَأَنَا أَسْمَعُ قَالَ أَشَهِدَ عَلِيٌّ بَدْرًا قَالَ بَارَزَ وَظَاهَرَ.

احمد بن سعيد ابو عبد الله حدثنا اسحاق بن منصور السلولي حدثنا ابراهيم بن يوسف عن ابيه عن ابي اسحاق سال رجل البراء وانا اسمع قال اشهد علي بدرا قال بارز وظاهر.


Narrated Abu 'Is-haq:

A man asked Al-Bara' and I was listening, "Did `Ali take part in (the battle of) Badr?" Al-Bara' said, "(Yes). he even met (his enemies) in a duel and was clad in two armors (one over the other).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ইসহাক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭১. ‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমাইয়াহ ইবনু খালফে্র সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলাম। বদর যুদ্ধের দিন তিনি ‘উমাইয়াহ ইবনু খালাফ ও তার পুত্রের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করলে বিলাল (রাঃ) বললেন, যদি ‘উমাইয়াহ ইবনু খালাফ প্রাণে বেঁচে যেত তাহলে আমি সফল হতাম না। [1] [২৩০১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮২)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ يُوْسُفُ بْنُ الْمَاجِشُوْنِ عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ كَاتَبْتُ أُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ فَلَمَّا كَانَ يَوْمَ بَدْرٍ فَذَكَرَ قَتْلَهُ وَقَتْلَ ابْنِهِ فَقَالَ بِلَالٌ لَا نَجَوْتُ إِنْ نَجَا أُمَيَّةُ.

عبد العزيز بن عبد الله قال حدثني يوسف بن الماجشون عن صالح بن ابراهيم بن عبد الرحمن بن عوف عن ابيه عن جده عبد الرحمن قال كاتبت امية بن خلف فلما كان يوم بدر فذكر قتله وقتل ابنه فقال بلال لا نجوت ان نجا امية.


Narrated `Abdur-Rahman bin `Auf:

"I had an agreement with Umaiya bin Khalaf (that he would look after my relatives and property in Mecca, and I would look after his relatives and property in Medina)." `Abdur-Rahman then mentioned the killing of Umaiya and his son on the day of Badr, and Bilal said, "Woe to me if Umaiya remains safe (i.e. alive) . "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭২. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত যে, তিনি সূরাহ নাজ্ম তিলাওয়াত করলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সাজ্দাহ করলেন। এক বৃদ্ধ ব্যতীত নবীজীর নিকট যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সকলেই সাজ্দাহ করলেন। সে বৃদ্ধ একমুষ্ঠি মাটি উঠিয়ে কপালে লাগিয়ে বলল, আমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, কিছু দিন পর আমি তাকে কাফির অবস্থায় নিহত হতে দেখেছি।[1] [১০৬৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৩ প্রথমাংশ)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

عَبْدَانُ بْنُ عُثْمَانَ قَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبِيْ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَرَأَ (وَالنَّجْمِ) فَسَجَدَ بِهَا وَسَجَدَ مَنْ مَعَهُ غَيْرَ أَنَّ شَيْخًا أَخَذَ كَفًّا مِنْ تُرَابٍ فَرَفَعَهُ إِلَى جَبْهَتِهِ فَقَالَ يَكْفِيْنِيْ هَذَا قَالَ عَبْدُ اللهِ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ بَعْدُ قُتِلَ كَافِرًا.

عبدان بن عثمان قال اخبرني ابي عن شعبة عن ابي اسحاق عن الاسود عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قرا (والنجم) فسجد بها وسجد من معه غير ان شيخا اخذ كفا من تراب فرفعه الى جبهته فقال يكفيني هذا قال عبد الله فلقد رايته بعد قتل كافرا.


Narrated 'Abdullah:

The Prophet (ﷺ) recited Surat-an-Najm and then prostrated himself, and all who were with him prostrated too. But an old man took a handful of dust and touched his forehead with it saying, "This is sufficient for me." Later on I saw him killed as an infidel.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭৩. ইব্রাহীম ইবনু মূসা ..... হিশামের পিতা (‘উরওয়াহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (তার পিতা) যুবায়রের শরীরে তিনটি মারাত্মক জখমের চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। এর একটি ছিল তার স্কন্ধে। ‘উরওয়াহ বলেন, আমি আমার আঙ্গুলগুলো ঐ ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে দিতাম, বর্ণনাকারী ‘উরওয়াহ বলেন, ঐ আঘাত তিনটির দু’টি ছিল বদর যুদ্ধের এবং একটি ছিল ইয়ারমুক যুদ্ধের। ‘উরওয়াহ বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু যুবায়র শহীদ হলেন তখন ‘আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান আমাকে বললেন, হে ‘উরওয়াহ, যুবায়রের তরবারি তুমি কি চিন? আমি বললাম হাঁ চিনি। ‘আবদুল মালিক বললেন, এর কি কোন নিশানা আছে? আমি বললাম, এর ধারে এক জায়গায় ভাঙ্গা আছে যা বদর যুদ্ধের দিন ভেঙ্গে ছিল। তখন তিনি বললেন, হাঁ তুমি ঠিক বলেছ, (তারপর তিনি একটি কবিতাংশ আবৃত্তি করলেন)

بِـهِـنَّ فُـلُوْلٌ مِـنْ قِـرَاعِ الْـكَـتَـائِـبِ

সে তরবারির ভাঙ্গন ছিল শত্রু সেনাদের আঘাত করার কারণে। এরপর ‘আবদুল মালিক তরবারি খানা ‘উরওয়ার নিকট ফিরিয়ে দিলেন। হিশাম বলেন, আমরা নিজেরা এর মূল্য স্থির করেছিলাম তিন হাজার দিরহাম। এরপর আমাদের এক ব্যক্তি সেটা নিল। আমার ইচ্ছে হয়েছিল যদি আমি তরবারিটি নিয়ে নিতাম। [৩৭২১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৩ শেষাংশ)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

أَخْبَرَنِيْ إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوْسُفَ عَنْ مَعْمَرٍ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنْ عُرْوَةَ قَالَ كَانَ فِي الزُّبَيْرِ ثَلَاثُ ضَرَبَاتٍ بِالسَّيْفِ إِحْدَاهُنَّ فِيْ عَاتِقِهِ قَالَ إِنْ كُنْتُ لَأُدْخِلُ أَصَابِعِيْ فِيْهَا قَالَ ضُرِبَ ثِنْتَيْنِ يَوْمَ بَدْرٍ وَوَاحِدَةً يَوْمَ الْيَرْمُوْكِ قَالَ عُرْوَةُ وَقَالَ لِيْ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ حِيْنَ قُتِلَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَا عُرْوَةُ هَلْ تَعْرِفُ سَيْفَ الزُّبَيْرِ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَمَا فِيْهِ قُلْتُ فِيْهِ فَلَّةٌ فُلَّهَا يَوْمَ بَدْرٍ قَالَ صَدَقْتَ :
بِـهِـنَّ فُـلُوْلٌ مِـنْ قِـرَاعِ الْـكَـتَـائِـبِ
ثُمَّ رَدَّهُ عَلَى عُرْوَةَ قَالَ هِشَامٌ فَأَقَمْنَاهُ بَيْنَنَا ثَلَاثَةَ آلَافٍ وَأَخَذَهُ بَعْضُنَا وَلَوَدِدْتُ أَنِّيْ كُنْتُ أَخَذْتُهُ.

اخبرني ابراهيم بن موسى حدثنا هشام بن يوسف عن معمر اخبرنا هشام عن عروة قال كان في الزبير ثلاث ضربات بالسيف احداهن في عاتقه قال ان كنت لادخل اصابعي فيها قال ضرب ثنتين يوم بدر وواحدة يوم اليرموك قال عروة وقال لي عبد الملك بن مروان حين قتل عبد الله بن الزبير يا عروة هل تعرف سيف الزبير قلت نعم قال فما فيه قلت فيه فلة فلها يوم بدر قال صدقت : بـهـن فـلول مـن قـراع الـكـتـاىـب ثم رده على عروة قال هشام فاقمناه بيننا ثلاثة الاف واخذه بعضنا ولوددت اني كنت اخذته.


Narrated 'Urwa (the son of Az- Zubair):

Az-Zubair had three scars caused by the sword, one of which was over his shoulder and I used to insert my fingers in it. He received two of those wounds on the day of Badr and one on the day of Al-Yarmuk. When 'Abdullah bin Zubair was killed, 'Abdul-Malik bin Marwan said to me, "O 'Urwa, do you recognize the sword of Az-Zubair?" I said, "Yes." He said, "What marks does it have?" I replied, "It has a dent in its sharp edge which was caused in it on the day of Badr." 'Abdul- Malik said, "You are right! (i.e. their swords) have dents because of clashing with the regiments of the enemies Then 'Abdul-Malik returned that sword to me (i.e. Urwa). (Hisham, 'Urwa's son said, "We estimated the price of the sword as three-thousand (Dinars) and after that it was taken by one of us (i.e. the inheritors) and I wish I could have had it.")


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭৪. হিশামের পিতা (‘উরওয়াহ) (রহ.) হতে বর্ণিত যে, যুবায়র (রাঃ)-এর তরবারি রৌপ্যের কারুকার্য মন্ডিত ছিল। হিশাম (রহ.) বলেন, ‘উরওয়াহ (রহ.)-এর তরবারিটিও রৌপ্যের কারুকার্য মন্ডিত ছিল। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৪)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

حَدَّثَنَا فَرْوَةُ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ كَانَ سَيْفُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ مُحَلًّى بِفِضَّةٍ قَالَ هِشَامٌ وَكَانَ سَيْفُ عُرْوَةَ مُحَلًّى بِفِضَّةٍ.

حدثنا فروة حدثنا علي عن هشام عن ابيه قال كان سيف الزبير بن العوام محلى بفضة قال هشام وكان سيف عروة محلى بفضة.


Narrated Hisham:

That his father said, "The sword of Az-Zubair was decorated with silver." Hisham added, "The sword of `Urwa was (also) decorated with silver. "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭৫. ‘উরওয়াহ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ইয়ারমুকের দিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবাগণ যুবায়র (রাঃ) কে বলেন যে, (মুশরিকদের প্রতি) আপনি কি আক্রমণ জোরদার করবেন না তাহলে আমরাও আপনার সঙ্গে আক্রমণ জোরদার করব। তখন তিনি বলেন, আমি যদি আক্রমণ জোরালো করি তখন তোমরা পিছে সরে পড়বে। তখন তারা বললেন, আমরা তা করব না। এরপর তিনি তাদের উপর আক্রমণ করলেন। এমনকি শত্রুদের ব্যুহ ভেদ করে সামনে এগিয়ে গেলেন। তার সঙ্গে আর কেউই ছিল না। ফেরার সময় শত্রুর মুখে পড়লে তাঁর ঘোড়ার লাগাম ধরে ফেলে এবং তাঁর কাঁধের উপর দু’টি আঘাত করে, যে আঘাত দু’টির মাঝেই রয়েছে বাদর দিনের আঘাতের চিহ্নটি। ‘উরওয়াহ (রহ.) বলেন, বাল্যাবস্থায় ঐ ক্ষত চিহ্নগুলোতে আমার সবগুলো আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে আমি খেলা করতাম। ‘উরওয়াহ (রহ.) আরো বলেন, ঐদিন তার সঙ্গে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-ও ছিলেন, তখন তার বয়স ছিল দশ বছর। যুবায়র (রাঃ), তাকে ঘোড়ার পিঠে উঠিয়ে নিলেন এবং এক ব্যক্তিকে তার দেখাশোনার দায়িত্ব দিলেন। [৩৭২১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৫)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ أَصْحَابَ رَسُوْلِ اللهِصلى الله عليه وسلم قَالُوْا لِلزُّبَيْرِ يَوْمَ الْيَرْمُوْكِ أَلَا تَشُدُّ فَنَشُدَّ مَعَكَ فَقَالَ إِنِّيْ إِنْ شَدَدْتُ كَذَبْتُمْ فَقَالُوْا لَا نَفْعَلُ فَحَمَلَ عَلَيْهِمْ حَتَّى شَقَّ صُفُوْفَهُمْ فَجَاوَزَهُمْ وَمَا مَعَهُ أَحَدٌ ثُمَّ رَجَعَ مُقْبِلًا فَأَخَذُوْا بِلِجَامِهِ فَضَرَبُوْهُ ضَرْبَتَيْنِ عَلَى عَاتِقِهِ بَيْنَهُمَا ضَرْبَةٌ ضُرِبَهَا يَوْمَ بَدْرٍ قَالَ عُرْوَةُ كُنْتُ أُدْخِلُ أَصَابِعِيْ فِيْ تِلْكَ الضَّرَبَاتِ أَلْعَبُ وَأَنَا صَغِيْرٌ قَالَ عُرْوَةُ وَكَانَ مَعَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ ابْنُ عَشْرِ سِنِيْنَ فَحَمَلَهُ عَلَى فَرَسٍ وَوَكَّلَ بِهِ رَجُلًا.

احمد بن محمد حدثنا عبد الله اخبرنا هشام بن عروة عن ابيه ان اصحاب رسول اللهصلى الله عليه وسلم قالوا للزبير يوم اليرموك الا تشد فنشد معك فقال اني ان شددت كذبتم فقالوا لا نفعل فحمل عليهم حتى شق صفوفهم فجاوزهم وما معه احد ثم رجع مقبلا فاخذوا بلجامه فضربوه ضربتين على عاتقه بينهما ضربة ضربها يوم بدر قال عروة كنت ادخل اصابعي في تلك الضربات العب وانا صغير قال عروة وكان معه عبد الله بن الزبير يومىذ وهو ابن عشر سنين فحمله على فرس ووكل به رجلا.


Narrated `Urwa:

On the day of (the battle) of Al-Yarmuk, the companions of Allah's Messenger (ﷺ) said to Az-Zubair, "Will you attack the enemy so that we shall attack them with you?" Az-Zubair replied, "If I attack them, you people would not support me." They said, "No, we will support you." So Az-Zubair attacked them (i.e. Byzantine) and pierced through their lines, and went beyond them and none of his companions was with him. Then he returned and the enemy got hold of the bridle of his (horse) and struck him two blows (with the sword) on his shoulder. Between these two wounds there was a scar caused by a blow, he had received on the day of Badr (battle). When I was a child I used to play with those scars by putting my fingers in them. On that day (my brother) "Abdullah bin Az-Zubair was also with him and he was ten years old. Az-Zubair had carried him on a horse and let him to the care of some men.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭৬. আবূ ত্বলহা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, বদরের দিন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশে চবিবশজন কুরাইশ সর্দারের লাশ বদর প্রান্তরের একটি নোংরা আবর্জনাপূর্ণ কূপে নিক্ষেপ করা হল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন দলের বিরুদ্ধে জয় লাভ করলে সে স্থানের পার্শ্বে তিন দিন অবস্থান করতেন। বদর প্রান্তরে অবস্থানের পর তৃতীয় দিনে তিনি তাঁর সাওয়ারী প্রস্তুত করার আদেশ দিলেন, সাওয়ারীর জিন শক্ত করে বাঁধা হল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পদব্রজে অগ্রসর হলে সাহাবীগণও তাঁর পেছনে পেছনে চললেন। তাঁরা বলেন, আমরা ভাবছিলাম, কোন প্রয়োজনে তিনি কোথাও যাচ্ছেন। অতঃপর তিনি ঐ কূপের কিনারে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং কূপে নিক্ষিপ্ত ঐ নিহত ব্যক্তিদের নাম ও তাদের পিতার নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন, হে অমুকের পুত্র অমুক, হে অমুকের পুত্র অমুক! তোমরা কি এখন অনুভব করতে পারছ যে, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য তোমাদের জন্য পরম খুশীর বিষয় ছিল? আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন আমরা তো তা সত্য পেয়েছি, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন তোমরাও তা সত্য পেয়েছ কি? বর্ণনাকারী বলেন, ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি আত্মাহীন দেহগুলোর সঙ্গে কী কথা বলছেন? নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঐ মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, আমি যা বলছি তা তাদের চেয়ে তোমরা অধিক শুনতে পাচ্ছ না। ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথার মাধ্যমে তাদেরকে ধমক, লাঞ্ছনা, দুঃখ-কষ্ট, আফসোস এবং লজ্জা দেয়ার জন্য (সাময়িকভাবে) তাদের দেহে প্রাণসঞ্চার করেছিলেন। [৩০৬৫; মুসলিম ৫১/১৭, হাঃ ২৮৭৫, আহমাদ হাঃ ১২০২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৬)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ سَمِعَ رَوْحَ بْنَ عُبَادَةَ حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ أَبِيْ عَرُوْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ ذَكَرَ لَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ أَبِيْ طَلْحَةَ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ يَوْمَ بَدْرٍ بِأَرْبَعَةٍ وَعِشْرِيْنَ رَجُلًا مِنْ صَنَادِيْدِ قُرَيْشٍ فَقُذِفُوْا فِيْ طَوِيٍّ مِنْ أَطْوَاءِ بَدْرٍ خَبِيْثٍ مُخْبِثٍ وَكَانَ إِذَا ظَهَرَ عَلَى قَوْمٍ أَقَامَ بِالْعَرْصَةِ ثَلَاثَ لَيَالٍ فَلَمَّا كَانَ بِبَدْرٍ الْيَوْمَ الثَّالِثَ أَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ فَشُدَّ عَلَيْهَا رَحْلُهَا ثُمَّ مَشَى وَاتَّبَعَهُ أَصْحَابُهُ وَقَالُوْا مَا نُرَى يَنْطَلِقُ إِلَّا لِبَعْضِ حَاجَتِهِ حَتَّى قَامَ عَلَى شَفَةِ الرَّكِيِّ فَجَعَلَ يُنَادِيْهِمْ بِأَسْمَائِهِمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِهِمْ يَا فُلَانُ بْنَ فُلَانٍ وَيَا فُلَانُ بْنَ فُلَانٍ أَيَسُرُّكُمْ أَنَّكُمْ أَطَعْتُمْ اللهَ وَرَسُوْلَهُ فَإِنَّا قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا فَهَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا قَالَ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا تُكَلِّمُ مِنْ أَجْسَادٍ لَا أَرْوَاحَ لَهَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُوْلُ مِنْهُمْ قَالَ قَتَادَةُ أَحْيَاهُمْ اللهُ حَتَّى أَسْمَعَهُمْ قَوْلَهُ تَوْبِيخًا وَتَصْغِيْرًا وَنَقِيْمَةً وَحَسْرَةً وَنَدَمًا.

عبد الله بن محمد سمع روح بن عبادة حدثنا سعيد بن ابي عروبة عن قتادة قال ذكر لنا انس بن مالك عن ابي طلحة ان نبي الله صلى الله عليه وسلم امر يوم بدر باربعة وعشرين رجلا من صناديد قريش فقذفوا في طوي من اطواء بدر خبيث مخبث وكان اذا ظهر على قوم اقام بالعرصة ثلاث ليال فلما كان ببدر اليوم الثالث امر براحلته فشد عليها رحلها ثم مشى واتبعه اصحابه وقالوا ما نرى ينطلق الا لبعض حاجته حتى قام على شفة الركي فجعل يناديهم باسماىهم واسماء اباىهم يا فلان بن فلان ويا فلان بن فلان ايسركم انكم اطعتم الله ورسوله فانا قد وجدنا ما وعدنا ربنا حقا فهل وجدتم ما وعد ربكم حقا قال فقال عمر يا رسول الله ما تكلم من اجساد لا ارواح لها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذي نفس محمد بيده ما انتم باسمع لما اقول منهم قال قتادة احياهم الله حتى اسمعهم قوله توبيخا وتصغيرا ونقيمة وحسرة وندما.


Narrated Abu Talha:

On the day of Badr, the Prophet (ﷺ) ordered that the corpses of twenty four leaders of Quraish should be thrown into one of the dirty dry wells of Badr. (It was a habit of the Prophet (ﷺ) that whenever he conquered some people, he used to stay at the battle-field for three nights. So, on the third day of the battle of Badr, he ordered that his she-camel be saddled, then he set out, and his companions followed him saying among themselves." "Definitely he (i.e. the Prophet) is proceeding for some great purpose." When he halted at the edge of the well, he addressed the corpses of the Quraish infidels by their names and their fathers' names, "O so-and-so, son of so-and-so and O so-and-so, son of so-andso! Would it have pleased you if you had obeyed Allah and His Apostle? We have found true what our Lord promised us. Have you too found true what your Lord promised you? "`Umar said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! You are speaking to bodies that have no souls!" Allah's Messenger (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand Muhammad's soul is, you do not hear, what I say better than they do." (Qatada said, "Allah brought them to life (again) to let them hear him, to reprimand them and slight them and take revenge over them and caused them to feel remorseful and regretful.")


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ত্বলহা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭৭. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি (اَلَّذِيْنَ بَدَّلُوْا نِعْمَةَ اللهِ كُفْرًا) অর্থাৎ ‘‘যারা আল্লাহর অনুগ্রহের পরিবর্তে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে’’ সূরা ইবরাহীম-এর ২৮ আয়াতাংশ সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহর কসম, এরা হল কাফির কুরাইশ গোষ্ঠী। ‘আমর (রহ.) বলেন, এরা হচ্ছে কুরাইশ গোষ্ঠী এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হচ্ছেন আল্লাহর নি‘য়ামাত এবং (وَأَحَلُّوْا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ) (নিজেদের জাতিকে তারা নামিয়ে আনে ধ্বংসের পর্যায়ে) সূরা ইবরাহীম-এর ২৮ আয়াতাংশের মাঝে বর্ণিত الْبَوَارِ এর অর্থ হচ্ছে النار জাহান্নাম। (অর্থাৎ বদর যুদ্ধের দিন তারা তাদের জাতিকে জাহান্নামে পৌঁছিয়ে দিয়েছে।) [৪৭০০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৭)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عَمْرٌو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ (اَلَّذِيْنَ بَدَّلُوْا نِعْمَةَ اللهِ كُفْرًا) قَالَ هُمْ وَاللهِ كُفَّارُ قُرَيْشٍ قَالَ عَمْرٌو هُمْ قُرَيْشٌ وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم نِعْمَةُ اللهِ (وَأَحَلُّوْا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ) قَالَ النَّارَ يَوْمَ بَدْرٍ.

الحميدي حدثنا سفيان حدثنا عمرو عن عطاء عن ابن عباس (الذين بدلوا نعمة الله كفرا) قال هم والله كفار قريش قال عمرو هم قريش ومحمد صلى الله عليه وسلم نعمة الله (واحلوا قومهم دار البوار) قال النار يوم بدر.


Narrated Ibn `Abbas:

regarding the Statement of Allah:--"Those who have changed Allah's Blessings for disbelief..." (14.28) The people meant here by Allah, are the infidels of Quraish. (`Amr, a sub-narrator said, "Those are (the infidels of) Quraish and Muhammad is Allah's Blessing. Regarding Allah's Statement:"..and have led their people Into the house of destruction? (14.29) Ibn `Abbas said, "It means the Fire they will suffer from (after their death) on the day of Badr."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭৮. হিশামের পিতা (‘উরওয়াহ) (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবার পরিজনদের কান্নাকাটি করার ফলে কবরে শাস্তি দেয়া হয়। ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথাটি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো বলেছেন, মৃত ব্যক্তির অন্যায় ও পাপের কারণে তাকে কবরে শাস্তি দেয়া হয়। অথচ তখনও তার পরিবারের লোকেরা তার জন্য কান্নাকাটি করছে। [১২৮৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৮)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ عَائِشَةَ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَفَعَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ فِيْ قَبْرِهِ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ فَقَالَتْ وَهَلَ إِنَّمَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ لَيُعَذَّبُ بِخَطِيئَتِهِ وَذَنْبِهِ وَإِنَّ أَهْلَهُ لَيَبْكُوْنَ عَلَيْهِ الآنَ.

عبيد بن اسماعيل حدثنا ابو اسامة عن هشام عن ابيه قال ذكر عند عاىشة ان ابن عمر رفع الى النبي صلى الله عليه وسلم ان الميت يعذب في قبره ببكاء اهله فقالت وهل انما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انه ليعذب بخطيىته وذنبه وان اهله ليبكون عليه الان.


Narrated Hisham's father:

It was mentioned before `Aisha that Ibn `Umar attributed the following statement to the Prophet (ﷺ) "The dead person is punished in the grave because of the crying and lamentation Of his family." On that, `Aisha said, "But Allah's Messenger (ﷺ) said, 'The dead person is punished for his crimes and sins while his family cry over him then."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৭৯. তিনি [’আয়িশাহ (রাঃ)] বলেন, এ কথাটি ঐ কথাটিরই মত যা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ কূপের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, যে কূপে বদর যুদ্ধে নিহত মুশরিকদের নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি তাদেরকে যা বলার বললেন (এবং জানালেন) যে, আমি যা বলছি তারা তা সবই শুনতে পাচ্ছে। তিনি বললেন, এখন তারা ভালভাবে জানতে পারছে যে, আমি তাদেরকে যা  বলছিলাম তা ছিল সঠিক। এরপর ’আয়িশাহ (রাঃ) (إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتٰى)  অর্থাৎ ’’তুমি তো মৃতকে শুনাতে পারবে না’’- (সূরাহ নামল ২৭/৮০) (وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَّنْ فِي الْقُبُوْرِ) অর্থাৎ ’’এবং তুমি শুনাতে সমর্থ হবে না তাদেরকে যারা কবরে রয়েছে’’- (সূরাহ ফাতির ৩৫/২২) আয়াতাংশ দু’টো তিলাওয়াত করলেন। ’উরওয়াহ (রহ.) বলেন, এর মানে হচ্ছে জাহান্নামে যখন তারা তাদের আসন গ্রহণ করে নেবে। [১৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৮)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

قالت وَذَاكَ مِثْلُ قَوْلِهِ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ عَلَى الْقَلِيْبِ وَفِيْهِ قَتْلَى بَدْرٍ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ فَقَالَ لَهُمْ مَا قَالَ إِنَّهُمْ لَيَسْمَعُوْنَ مَا أَقُوْلُ إِنَّمَا قَالَ إِنَّهُمُ الآنَ لَيَعْلَمُوْنَ أَنَّ مَا كُنْتُ أَقُوْلُ لَهُمْ حَقٌّ ثُمَّ قَرَأَتْ (إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتٰى) (وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَّنْ فِي الْقُبُوْرِ) يَقُوْلُ حِيْنَ تَبَوَّءُوْا مَقَاعِدَهُمْ مِنْ النَّارِ.

قالت وذاك مثل قوله ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قام على القليب وفيه قتلى بدر من المشركين فقال لهم ما قال انهم ليسمعون ما اقول انما قال انهم الان ليعلمون ان ما كنت اقول لهم حق ثم قرات (انك لا تسمع الموتى) (وما انت بمسمع من في القبور) يقول حين تبوءوا مقاعدهم من النار.


She added, "And this is similar to the statement of Allah's Messenger (ﷺ) when he stood by the (edge of the) well which contained the corpses of the pagans killed at Badr, 'They hear what I say.' She added, "But he said now they know very well what I used to tell them was the truth." `Aisha then recited: 'You cannot make the dead hear.' (30.52) and 'You cannot make those who are in their Graves, hear you.' (35.22) that is, when they had taken their places in the (Hell) Fire.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮. আবূ জাহলের হত্যা।

৩৯৮০-৩৯৮১. ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদরে অবস্থিত কূপের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, (হে মুশরিকগণ) তোমাদের রব তোমাদের কাছে যা ওয়াদা করেছিলেন তা তোমরা সত্য হিসেবে পেয়েছ কি? পরে তিনি বললেন, এ মুহূর্তে তাদেরকে আমি যা বলছি তারা তা সবই শুনতে পাচ্ছে। এ বিষয়টি ‘আয়িশাহ (রাঃ) এর সামনে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন তার অর্থ হল, তারা এখন জানতে পারছে যে, আমি তাদেরকে যা বলতাম তাই সঠিক ছিল। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: (إِنَّكَ لَا تسْمِعُ الْمَوْتٰى) ‘‘তুমি তো মৃতকে শুনাতে পার না’’- (সূরাহ নামল ২৭/৮০) এভাবে পুরো আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন। [১৩৭০-৩৭১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮৯)

بَاب قَتْلِ أَبِيْ جَهْلٍ

عُثْمَانُ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ وَقَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَلِيْبِ بَدْرٍ فَقَالَ هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا ثُمَّ قَالَ إِنَّهُمُ الآنَ يَسْمَعُوْنَ مَا أَقُوْلُ فَذُكِرَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ إِنَّمَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُمُ الآنَ لَيَعْلَمُوْنَ أَنَّ الَّذِيْ كُنْتُ أَقُوْلُ لَهُمْ هُوَ الْحَقُّ ثُمَّ قَرَأَتْ (إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتٰى) حَتَّى قَرَأَتْ الآيَةَ.

عثمان حدثنا عبدة عن هشام عن ابيه عن ابن عمر قال وقف النبي صلى الله عليه وسلم على قليب بدر فقال هل وجدتم ما وعد ربكم حقا ثم قال انهم الان يسمعون ما اقول فذكر لعاىشة فقالت انما قال النبي صلى الله عليه وسلم انهم الان ليعلمون ان الذي كنت اقول لهم هو الحق ثم قرات (انك لا تسمع الموتى) حتى قرات الاية.


Narrated Ibn `Umar:

The Prophet (ﷺ) stood at the well of Badr (which contained the corpses of the pagans) and said, "Have you found true what your lord promised you?" Then he further said, "They now hear what I say." This was mentioned before `Aisha and she said, "But the Prophet (ﷺ) said, 'Now they know very well that what I used to tell them was the truth.' Then she recited (the Holy Verse):-- "You cannot make the dead hear... ...till the end of Verse)." (30.52)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৪/ মাগাযী [যুদ্ধ] (كتاب المغازى) 64/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »