পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১০. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৮৪. আবূ উসায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছিলেন, দুশমনরা তোমাদের নিকটবর্তী হলে তোমরা তীর চালনা করবে এবং তীর ব্যবহারে সংযম অবলম্বন করবে। [২৯০০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯২)
بَاب
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجُعْفِيُّ حَدَّثَنَا أَبُوْ أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْغَسِيْلِ عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِيْ أُسَيْدٍ وَالزُّبَيْرِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ أَبِيْ أُسَيْدٍ عَنْ أَبِيْ أُسَيْدٍ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ إِذَا أَكْثَبُوْكُمْ فَارْمُوْهُمْ وَاسْتَبْقُوْا نَبْلَكُمْ.
Narrated Usaid:
On the day of Badr, Allah's Messenger (ﷺ) said to us, "When the enemy comes near to you, shoot at them but use your arrows sparingly (so that your arrows should not be wasted).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১০. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৮৫. আবূ উসায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তারা তোমাদের নিকটবর্তী হলে তাদের প্রতি তীর চালনা করবে এবং তীর ব্যবহারে সংযম অবলম্বন করবে। [২৯০০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯৩)
بَاب
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيْمِ حَدَّثَنَا أَبُوْ أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْغَسِيْلِ عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِيْ أُسَيْدٍ وَالْمُنْذِرِ بْنِ أَبِيْ أُسَيْدٍ عَنْ أَبِيْ أُسَيْدٍ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ بَدْرٍ إِذَا أَكْثَبُوْكُمْ يَعْنِيْ كَثَرُوْكُمْ فَارْمُوْهُمْ وَاسْتَبْقُوْا نَبْلَكُمْ.
Narrated Abu Usaid:
On the day of (the battle of) Badr, Allah's Messenger (ﷺ) said to us, "When your enemy comes near to you (i.e. overcome you by sheer number), shoot at them but use your arrows sparingly."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১০. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৮৬. বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উহূদ যুদ্ধের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রকে তীরন্দাজ বাহিনীর নেতা নিযুক্ত করেছিলেন। তারা (মুশরিকরা) আমাদের সত্তর জনকে শহীদ করে দেয়। বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ মুশরিকদের একশ চল্লিশ জনকে নিহত ও গ্রেফতার করে ফেলেছিলেন। যাদের সত্তর জন বন্দী হয়েছিল এবং সত্তর জন নিহত হয়েছিল। আবূ সুফইয়ান (রাঃ)[1] বললেন, আজকের দিন হল বদরের বদলা। যুদ্ধ কূপের বালতির মত যাতে হাত বদল হয়। [৩০৩৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯৪)
بَاب
عَمْرُوْ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا أَبُوْ إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ قَالَ جَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الرُّمَاةِ يَوْمَ أُحُدٍ عَبْدَ اللهِ بْنَ جُبَيْرٍ فَأَصَابُوْا مِنَّا سَبْعِيْنَ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ أَصَابُوْا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ يَوْمَ بَدْرٍ أَرْبَعِيْنَ وَمِائَةً سَبْعِيْنَ أَسِيْرًا وَسَبْعِيْنَ قَتِيْلًا قَالَ أَبُوْ سُفْيَانَ يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ وَالْحَرْبُ سِجَالٌ.
Narrated Al-Bara' bin `Azib:
On the day of Uhud the Prophet (ﷺ) appointed `Abdullah bin Jubair as chief of the archers, and seventy among us were injured and martyred. On the day (of the battle) of Badr, the Prophet (ﷺ) and his companions had inflicted 140 casualties on the pagans, 70 were taken prisoners, and 70 were killed. Abu Sufyan said, "This is a day of (revenge) for the day of Badr and the issue of war is undecided ."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১০. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৮৭. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি স্বপ্নে[1] যে কল্যাণ দেখেছিলাম সে তো ঐ কল্যাণ যা পরবর্তী সময়ে আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে দান করেছেন। আর উত্তম প্রতিদান বিষয়ে যা দেখেছিলাম তা তো আল্লাহ্ আমাদেরকে দান করেছেন বদর যুদ্ধের পর। [৩৬২২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯৫)
بَاب
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ جَدِّهِ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْ مُوْسَى أُرَاهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَإِذَا الْخَيْرُ مَا جَاءَ اللهُ بِهِ مِنَ الْخَيْرِ بَعْدُ وَثَوَابُ الصِّدْقِ الَّذِيْ آتَانَا بَعْدَ يَوْمِ بَدْرٍ.
Narrated Abu Musa:
That the Prophet (ﷺ) said, "The good is what Allah gave us later on (after Uhud), and the reward of truthfulness is what Allah gave us after the day (of the battle) of Badr."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১০. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৮৮. ‘আবদুর রাহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, বদরের দিন সৈনিক সারিতে দাঁড়িয়ে আমি এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখলাম, আমার ডানে ও বামে কম বয়সের দু’জন যুবক তাদের মত অল্প বয়স্ক দু’জন যুবকের পাশে আমি নিজেকে নিরাপদ বোধ করছিলাম না। এমতাবস্থায় তাদের একজন তার সঙ্গী থেকে লুকিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করল চাচাজী, আবূ জাহ্ল কোনটি আমাকে দেখিয়ে দিন? আমি বললাম, ভাতিজা, তা দিয়ে তুমি কী করবে? সে বলল, আমি আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকার করেছি, তাকে দেখলে তাকে হত্যা করব অন্যথায় নিজেই শহীদ হয়ে যাব। এরপর দ্বিতীয় যুবকটিও তাঁর সঙ্গী থেকে লুকিয়ে আমাকে এভাবেই জিজ্ঞেস করল। আমি এত সন্তুষ্ট হলাম যে, দু’জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মাঝে আমি ততটুকু সন্তুষ্ট হতাম না। অতঃপর আমি তাদের দু’জনকে ইশারায় আবূ জাহ্লকে দেখিয়ে দিলাম। তখন তারা বাজ পাখির তীব্রতায় তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাকে আঘাত করল। এরা হল ‘আফরার দু‘ পুত্র। [৩১৪১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯৬)
بَاب
يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ إِنِّيْ لَفِي الصَّفِّ يَوْمَ بَدْرٍ إِذْ الْتَفَتُّ فَإِذَا عَنْ يَمِيْنِيْ وَعَنْ يَسَارِيْ فَتَيَانِ حَدِيْثَا السِّنِّ فَكَأَنِّيْ لَمْ آمَنْ بِمَكَانِهِمَا إِذْ قَالَ لِيْ أَحَدُهُمَا سِرًّا مِنْ صَاحِبِهِ يَا عَمِّ أَرِنِيْ أَبَا جَهْلٍ فَقُلْتُ يَا ابْنَ أَخِيْ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ قَالَ عَاهَدْتُ اللهَ إِنْ رَأَيْتُهُ أَنْ أَقْتُلَهُ أَوْ أَمُوْتَ دُوْنَهُ فَقَالَ لِي الآخَرُ سِرًّا مِنْ صَاحِبِهِ مِثْلَهُ قَالَ فَمَا سَرَّنِيْ أَنِّيْ بَيْنَ رَجُلَيْنِ مَكَانَهُمَا فَأَشَرْتُ لَهُمَا إِلَيْهِ فَشَدَّا عَلَيْهِ مِثْلَ الصَّقْرَيْنِ حَتَّى ضَرَبَاهُ وَهُمَا ابْنَا عَفْرَاءَ.
Narrated `Abdur-Rahman bin `Auf:
While I was fighting in the front file on the day (of the battle) of Badr, suddenly I looked behind and saw on my right and left two young boys and did not feel safe by standing between them. Then one of them asked me secretly so that his companion may not hear, "O Uncle! Show me Abu Jahl." I said, "O nephew! What will you do to him?" He said, "I have promised Allah that if I see him (i.e. Abu Jahl), I will either kill him or be killed before I kill him." Then the other said the same to me secretly so that his companion should not hear. I would not have been pleased to be in between two other men instead of them. Then I pointed him (i.e. Abu Jahl) out to them. Both of them attacked him like two hawks till they knocked him down. Those two boys were the sons of 'Afra' (i.e. an Ansari woman).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১০. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৮৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনু ‘উমার ইবনু খাত্তাবের নাতি আসিম ইবনু সাবিত আনসারীর পরিচালনায় দশজন সাহাবীর একটি দল গোয়েন্দা কাজের জন্য পাঠালেন। তাঁরা উসফান ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থান হান্দায় পৌঁছলে হুযাইল গোত্রের একটি শাখা বানু লিহয়ানকে তাদের আগমনের কারণ সম্পর্কে জানানো হয়। (এ সংবাদ শুনে) তারা প্রায় একশ’ জন তীরন্দাজ প্রস্তুত হয়ে মুসলিমদের বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য রওয়ানা হয়ে তাদের পদচিহ্ন ধরে পথ চলতে আরম্ভ করে। যেতে যেতে তারা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যেখানে অবস্থান করে সাহাবীগণ খেজুর খেয়েছিলেন। তা দেখে বানু লিহ্য়ানের লোকেরা ইয়াসরিবের খেজুর বলে তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে তাদেরকে খুঁজতে লাগল। আসিম ও তাঁর সঙ্গীগণ তাদের আগমন সম্পর্কে বুঝতে পেরে একটি স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেন। লিহয়ান কাওমের লোকেরা তাদেরকে ঘিরে ফেলে। তারপর তারা মুসলিমদেরকে নিচে নেমে আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়ে বলল, তোমাদেরকে ওয়াদা দিচ্ছি, আমরা তোমাদের কাউকে হত্যা করব না। তখন আসিম ইবনু সাবিত (রাঃ) বললেন, হে আমার সাথী ভ্রাতৃবৃন্দ! কাফিরের নিরাপত্তায় আশ্বস্ত হয়ে আমি কখনো নিচে নামব না। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! আমাদের খবর আপনার নবীকে জানিয়ে দিন। এরপর তারা মুসলিমদের প্রতি তীর ছুঁড়তে শুরু করল এবং ‘আসিমকে (ছয়জন সহ) শহীদ করে ফেলল। বাকী তিনজন, খুবায়ব, যায়দ ইবনু দাসিনা এবং অপর একজন তাদের ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে তাদের নিকট নেমে আসলেন। শত্রুগণ তাঁদেরকে পরাস্ত করে নিজেদের ধনুকের রশি খুলে তা দিয়ে তাদেরকে বেঁধে ফেলল। এ দেখে তৃতীয়জন বললেন, এটাই প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের সঙ্গে যাব না, আমার জন্য শহীদ সঙ্গীদের আদর্শই অনুসরণীয়। অর্থাৎ আমিও শহীদ হয়ে যাব। তারা তাকে বহু টানা হেচড়া করল। কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে যেতে অস্বীকার করলেন। (তারা তাঁকে শহীদ করে দিল) এরপর খুবায়ব এবং যায়িদ ইবনু দাসিনাকে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে বিক্রি করে দিল। এটা ছিল বদর যুদ্ধের পরের ঘটনা। বদর যুদ্ধে খুবায়ব যেহেতু হারিস ইবনু আমিরকে হত্যা করেছিলেন। তাই (বদলা নেয়ার জন্য) হারিস ইবনু আমির ইবনু নাওফিলের পুত্রগণ তাঁকে ক্রয় করে নিল। খুবায়ব তাদের নিকট বন্দী অবস্থায় কাটাতে লাগলেন। এরপর তারা সবাই তাকে হত্যা করার দৃঢ় সংকল্প করল। তিনি হারিসের কোন এক কন্যার নিকট থেকে ক্ষৌরকর্মের জন্য একটি ক্ষুর চেয়ে নিলেন। হারিসের কন্যার অসতর্ক অবস্থায় তার একটি ছোট বাচ্চা খুবাইবের কাছে গিয়ে পৌঁছল। হারিসের কন্যা দেখতে পেল খুবায়ব তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে রানের উপর বসিয়ে ক্ষুরখানা হাতে ধরে আছেন। হারিসের কন্যা বর্ণনা করেছে, আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম, খুবায়ব তা বুঝতে পারলেন, তিনি বললেন, আমি শিশুটিকে মেরে ফেলব বলে তুমি কি ভয় পেয়েছ? আমি কখনো এমন কাজ করব না। সে আরো বলেছে, আল্লাহর কসম! আমি খুবায়বের মত উত্তম বন্দী আর কখনো দেখিনি। আল্লাহর কসম একদিন আমি তাকে আঙ্গুরের গুচ্ছ হাতে নিয়ে আঙ্গুর খেতে দেখেছি। অথচ সে লোহার শিকলে বাঁধা ছিল এবং সে সময় মক্কা্য় কোন ফলই ছিল না। হারিসের কন্যা বলত, ঐ আঙ্গুরগুলো আল্লাহ্ তা‘আলা খুবায়বকে রিয্কস্বরূপ দান করেছিলেন। অবশেষে একদিন তারা খুবায়বকে হত্যা করার জন্য যখন হারামের সীমানার বাইরে নিয়ে গেল তখন খুবায়ব (রাঃ) তাদেরকে বললেন, আমাকে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করার সুযোগ দাও, তারা সুযোগ দিলে তিনি দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি মৃত্যু ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছি, তোমরা এ কথা না ভাবলে আমি সালাত আরো দীর্ঘায়িত করতাম। এরপর তিনি এ বলে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ্! তাদেরকে এক এক করে গুণে রাখ, তাদেরকে বিক্ষিপ্তভাবে হত্যা কর এবং তাদের একজনকেও বাকী রেখ না। তারপর তিনি আবৃত্তি করলেনঃ
‘‘আমি যখন মুসলিম হয়ে মৃত্যুর সৌভাগ্য লাভ করছি, তাই আমার কোনই ভয় নেই।
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে যে কোন অবস্থাতেই আমার মৃত্যু হোক।
তা যেহেতু একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই,
তাই তিনি ইচ্ছে করলে আমার প্রতিটি কর্তিত অঙ্গে বারাকাত প্রদান করতে পারেন।’’
এরপর হারিসের পুত্র আবূ সারুআ ‘উকবাহ তাঁর দিকে দাঁড়াল এবং তাঁকে শহীদ করে দিল। এভাবেই খুবায়ব (রাঃ) সে সব মুসলিমের জন্য দু’ রাক‘আত সালাতের সুন্নাত চালু করে গেলেন যারা ধৈর্যের সঙ্গে শাহাদাত বরণ করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐদিনই সাহাবীদেরকে জানিয়েছিলেন যে দিন তাঁরা শত্রু বেষ্টিত হয়ে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। কুরাইশদের নিকট আসিম (রাঃ)-এর নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে তারা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আসিমের শরীরের কোন অঙ্গ কেটে আনার জন্য কতক কুরাইশ কাফিরকে প্রেরণ করল। যেহেতু (বদরের দিন) আসিম ইবনু সাবিত তাদের একজন বড় নেতাকে হত্যা করেছিলেন। এদিকে আল্লাহ্ ‘আসিমের লাশকে হিফাযাত করার জন্য মেঘের মত এক ঝাঁক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন। মৌমাছিগুলো আসিম (রাঃ)-এর লাশকে শত্রু সেনাদের হাত থেকে রক্ষা করল। ফলে তারা তাঁর দেহের কোন অঙ্গ কেটে নিতে পারল না। কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, মুরারাহ ইবনু রাবী‘ আল ‘উমারী এবং হিলাল ইবনু ‘উমাইয়াহ আল ওয়াকিফী[1] সম্পর্কে লোকেরা বলেছেন যে, তাঁরা দু’জনই আল্লাহর নেক বান্দা ছিলেন এবং দু’জনই বদর যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। [৩০৪৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯৭)
بَاب
مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُمَرُ بْنُ أَسِيْدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ حَلِيْفُ بَنِيْ زُهْرَةَ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ بَعَثَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَشَرَةً عَيْنًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيَّ جَدَّ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ حَتَّى إِذَا كَانُوْا بِالْهَدَةِ بَيْنَ عَسْفَانَ وَمَكَّةَ ذُكِرُوْا لِحَيٍّ مِنْ هُذَيْلٍ يُقَالُ لَهُمْ بَنُوْ لِحْيَانَ فَنَفَرُوْا لَهُمْ بِقَرِيْبٍ مِنْ مِائَةِ رَجُلٍ رَامٍ فَاقْتَصُّوْا آثَارَهُمْ حَتَّى وَجَدُوْا مَأْكَلَهُمْ التَّمْرَ فِيْ مَنْزِلٍ نَزَلُوْهُ فَقَالُوْا تَمْرُ يَثْرِبَ فَاتَّبَعُوْا آثَارَهُمْ فَلَمَّا حَسَّ بِهِمْ عَاصِمٌ وَأَصْحَابُهُ لَجَئُوْا إِلَى مَوْضِعٍ فَأَحَاطَ بِهِمُ الْقَوْمُ فَقَالُوْا لَهُمْ انْزِلُوْا فَأَعْطُوْا بِأَيْدِيْكُمْ وَلَكُمُ الْعَهْدُ وَالْمِيْثَاقُ أَنْ لَا نَقْتُلَ مِنْكُمْ أَحَدًا فَقَالَ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ أَيُّهَا الْقَوْمُ أَمَّا أَنَا فَلَا أَنْزِلُ فِيْ ذِمَّةِ كَافِرٍ ثُمَّ قَالَ اللهُمَّ أَخْبِرْ عَنَّا نَبِيَّكَ صلى الله عليه وسلم فَرَمَوْهُمْ بِالنَّبْلِ فَقَتَلُوْا عَاصِمًا وَنَزَلَ إِلَيْهِمْ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ عَلَى الْعَهْدِ وَالْمِيْثَاقِ مِنْهُمْ خُبَيْبٌ وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ وَرَجُلٌ آخَرُ فَلَمَّا اسْتَمْكَنُوْا مِنْهُمْ أَطْلَقُوْا أَوْتَارَ قِسِيِّهِمْ فَرَبَطُوْهُمْ بِهَا.
قَالَ الرَّجُلُ الثَّالِثُ هَذَا أَوَّلُ الْغَدْرِ وَاللهِ لَا أَصْحَبُكُمْ إِنَّ لِيْ بِهَؤُلَاءِ أُسْوَةً يُرِيْدُ الْقَتْلَى فَجَرَّرُوْهُ وَعَالَجُوْهُ فَأَبَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ فَانْطُلِقَ بِخُبَيْبٍ وَزَيْدِ بْنِ الدَّثِنَةِ حَتَّى بَاعُوْهُمَا بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ فَابْتَاعَ بَنُو الْحَارِثِ بْنِ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ خُبَيْبًا وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ قَتَلَ الْحَارِثَ بْنَ عَامِرٍ يَوْمَ بَدْرٍ فَلَبِثَ خُبَيْبٌ عِنْدَهُمْ أَسِيْرًا حَتَّى أَجْمَعُوْا قَتْلَهُ فَاسْتَعَارَ مِنْ بَعْضِ بَنَاتِ الْحَارِثِ مُوْسًى يَسْتَحِدُّ بِهَا فَأَعَارَتْهُ فَدَرَجَ بُنَيٌّ لَهَا وَهِيَ غَافِلَةٌ حَتَّى أَتَاهُ فَوَجَدَتْهُ مُجْلِسَهُ عَلَى فَخِذِهِ وَالْمُوْسَى بِيَدِهِ قَالَتْ فَفَزِعْتُ فَزْعَةً عَرَفَهَا خُبَيْبٌ فَقَالَ أَتَخْشَيْنَ أَنْ أَقْتُلَهُ مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ ذَلِكَ قَالَتْ وَاللهِ مَا رَأَيْتُ أَسِيْرًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ خُبَيْبٍ وَاللهِ لَقَدْ وَجَدْتُهُ يَوْمًا يَأْكُلُ قِطْفًا مِنْ عِنَبٍ فِيْ يَدِهِ وَإِنَّهُ لَمُوْثَقٌ بِالْحَدِيْدِ وَمَا بِمَكَّةَ مِنْ ثَمَرَةٍ وَكَانَتْ تَقُوْلُ إِنَّهُ لَرِزْقٌ رَزَقَهُ اللهُ خُبَيْبًا فَلَمَّا خَرَجُوْا بِهِ مِنَ الْحَرَمِ لِيَقْتُلُوْهُ فِي الْحِلِّ قَالَ لَهُمْ خُبَيْبٌ دَعُوْنِيْ أُصَلِّيْ رَكْعَتَيْنِ فَتَرَكُوْهُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فَقَالَ وَاللهِ لَوْلَا أَنْ تَحْسِبُوْا أَنَّ مَا بِيْ جَزَعٌ لَزِدْتُ ثُمَّ قَالَ اللهُمَّ أَحْصِهِمْ عَدَدًا وَاقْتُلْهُمْ بَدَدًا وَلَا تُبْقِ مِنْهُمْ أَحَدًا ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُوْلُ :
فَـلَسـْتُ أُبَـالِيْ حِيْنَ أُقْتَـلُ مُسْـلِـمًا عَـلَـى أَيِّ جَـنْـبٍ كَـانَ لِلهِ مَـصْـرَعِـي
وَذَلِـكَ فِيْ ذَاتِ الإِلَـهِ وَإِنْ يَـشَــأْ يُـبَـارِكْ عَـلَـى أَوْصَـالِ شِـلْـوٍ مُـمَـزَّعِ
ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ أَبُوْ سِرْوَعَةَ عُقْبَةُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَتَلَهُ وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ سَنَّ لِكُلِّ مُسْلِمٍ قُتِلَ صَبْرًا الصَّلَاةَ وَأَخْبَرَ أَصْحَابَهُ يَوْمَ أُصِيْبُوْا خَبَرَهُمْ وَبَعَثَ نَاسٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى عَاصِمِ بْنِ ثَابِتٍ حِيْنَ حُدِّثُوْا أَنَّهُ قُتِلَ أَنْ يُؤْتَوْا بِشَيْءٍ مِنْهُ يُعْرَفُ وَكَانَ قَتَلَ رَجُلًا عَظِيْمًا مِنْ عُظَمَائِهِمْ فَبَعَثَ اللهُ لِعَاصِمٍ مِثْلَ الظُّلَّةِ مِنْ الدَّبْرِ فَحَمَتْهُ مِنْ رُسُلِهِمْ فَلَمْ يَقْدِرُوْا أَنْ يَقْطَعُوْا مِنْهُ شَيْئًا وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ ذَكَرُوْا مَرَارَةَ بْنَ الرَّبِيْعِ الْعَمْرِيَّ وَهِلَالَ بْنَ أُمَيَّةَ الْوَاقِفِيَّ رَجُلَيْنِ صَالِحَيْنِ قَدْ شَهِدَا بَدْرًا.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) sent out ten spies under the command of `Asim bin Thabit Al-Ansari, the grand-father of `Asim bin `Umar Al-Khattab. When they reached (a place called) Al-Hadah between 'Usfan and Mecca, their presence was made known to a sub-tribe of Hudhail called Banu Lihyan. So they sent about one hundred archers after them. The archers traced the footsteps (of the Muslims) till they found the traces of dates which they had eaten at one of their camping places. The archers said, "These dates are of Yathrib (i.e. Medina)," and went on tracing the Muslims' footsteps. When `Asim and his companions became aware of them, they took refuge in a (high) place. But the enemy encircled them and said, "Come down and surrender. We give you a solemn promise and covenant that we will not kill anyone of you." `Asim bin Thabit said, "O people! As for myself, I will never get down to be under the protection of an infidel. O Allah! Inform your Prophet about us." So the archers threw their arrows at them and martyred `Asim. Three of them came down and surrendered to them, accepting their promise and covenant and they were Khubaib, Zaid bin Ad-Dathina and another man. When the archers got hold of them, they untied the strings of the arrow bows and tied their captives with them. The third man said, "This is the first proof of treachery! By Allah, I will not go with you for I follow the example of these." He meant the martyred companions. The archers dragged him and struggled with him (till they martyred him). Then Khubaib and Zaid bin Ad-Dathina were taken away by them and later on they sold them as slaves in Mecca after the event of the Badr battle. The sons of Al-Harit bin `Amr bin Naufal bought Khubaib for he was a person who had killed (their father) Al-Hari bin `Amr on the day (of the battle) of Badr. Khubaib remained imprisoned by them till they decided unanimously to kill him. One day Khubaib borrowed from a daughter of Al-Harith, a razor for shaving his pubic hair, and she lent it to him. By chance, while she was inattentive, a little son of hers went to him (i.e. Khubaib) and she saw that Khubaib had seated him on his thigh while the razor was in his hand. She was so much terrified that Khubaib noticed her fear and said, "Are you afraid that I will kill him? Never would I do such a thing." Later on (while narrating the story) she said, "By Allah, I had never seen a better captive than Khubaib. By Allah, one day I saw him eating from a bunch of grapes in his hand while he was fettered with iron chains and (at that time) there was no fruit in Mecca." She used to say," It was food Allah had provided Khubaib with." When they took him to Al-Hil out of Mecca sanctuary to martyr him, Khubaib requested them. "Allow me to offer a two-rak`at prayer." They allowed him and he prayed two rak`at and then said, "By Allah! Had I not been afraid that you would think I was worried, I would have prayed more." Then he (invoked evil upon them) saying, "O Allah! Count them and kill them one by one, and do not leave anyone of them"' Then he recited: "As I am martyred as a Muslim, I do not care in what way I receive my death for Allah's Sake, for this is for the Cause of Allah. If He wishes, He will bless the cut limbs of my body." Then Abu Sarva, 'Ubqa bin Al-Harith went up to him and killed him. It was Khubaib who set the tradition of praying for any Muslim to be martyred in captivity (before he is executed). The Prophet (ﷺ) told his companions of what had happened (to those ten spies) on the same day they were martyred. Some Quraish people, being informed of `Asim bin Thabit's death, sent some messengers to bring a part of his body so that his death might be known for certain, for he had previously killed one of their leaders (in the battle of Badr). But Allah sent a swarm of wasps to protect the dead body of `Asim, and they shielded him from the messengers who could not cut anything from his body.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১০. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৯০. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, সা‘ঈদ ইবনু ‘আমর ইবনু নুফায়ল (রাঃ) ছিলেন বদর যুদ্ধে যোগদানকারী একজন সাহাবী। তিনি জুমু‘আহর দিন অসুস্থ হয়ে পড়লে ইবনু ‘উমারের নিকট জুমু‘আহর দিন এ খবর পৌঁছলে তিনি সাওয়ারীর পিঠে আরোহণ করে তাঁকে দেখতে গেলেন। তখন বেলা হয়ে গেছে এবং জুমু‘আহর সালাতের সময়ও ঘনিয়ে আসছে দেখে তিনি জুমু‘আহর সালাত ছেড়ে দিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯৮)
بَاب
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ ذُكِرَ لَهُ أَنَّ سَعِيْدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ وَكَانَ بَدْرِيًّا مَرِضَ فِيْ يَوْمِ جُمُعَةٍ فَرَكِبَ إِلَيْهِ بَعْدَ أَنْ تَعَالَى النَّهَارُ وَاقْتَرَبَتْ الْجُمُعَةُ وَتَرَكَ الْجُمُعَةَ.
Narrated Nafi:
Ibn 'Umar was once told that Said bin Zaid bin 'Amr bin Nufail, one of the Badr warriors, had fallen ill on a Friday. Ibn 'Umar rode to him late in the forenoon. The time of the Friday prayer approached and Ibn 'Umar did not take part in the Friday prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১০. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৯১. (আর এক সানাদে) লায়স (রহ.) ..... ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উতবাহ্ থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আরকাম আয যুহরী সুবাই‘আহ বিনত হারিস আসলামিয়্যা (রাঃ) এর কাছে গিয়ে তার ঘটনা ও (গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত সম্পর্কে) তার প্রশ্নের উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে পত্র মারফত জিজ্ঞেস করে জানতে আদেশ করলেন। এরপর ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আরকাম (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উতবাহ্কে লিখে জানালেন যে, সুবাই‘আহ বিনতুল হাসির তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বানু আমির ইবনু লুয়াই গোত্রের সাদ ইবনু খাওলার স্ত্রী ছিলেন, সা‘দ (রাঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তিনি বিদায় হাজ্জের বছর মারা যান। তখন তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। তার ইন্তিকালের কিছুদিন পরেই তিনি সন্তান প্রসব করলেন। এরপর নিফাস থেকে পবিত্র হয়েই তিনি বিবাহের পয়গাম দাতাদের উদ্দেশে সাজসজ্জা আরম্ভ করলেন। এ সময় আবদুদ্দার গোত্রের আবুস সানাবিল ইবনু বা’কাক নামক এক ব্যক্তি তাকে গিয়ে বললেন, কী ব্যাপার, আমি তোমাকে দেখছি যে, তুমি বিবাহের আশায় পয়গাম দাতাদের উদ্দেশে সাজসজ্জা আরম্ভ করে দিয়েছ? আল্লাহর কসম! চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তুমি বিবাহ করতে পারবে না। সুবাই‘আহ (রাঃ) বলেন, (আবুস সানাবিল আমাকে) এ কথা বলার পর আমি ঠিকঠাক মত কাপড় চোপড় পরিধান করে বিকেল বেলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম এবং এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞস করলাম। তখন তিনি বললেন, যখন আমি সন্তান প্রসব করেছি তখন থেকেই আমি হালাল হয়ে গেছি। এরপর তিনি আমাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন যদি আমার ইচ্ছে হয়। ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, আসবাগ....ইউনুসের সূত্রে লায়সের মতই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। লায়স (রহ.) বলেছেন, ইউনুস আমার নিকট ইবনু শিহাব থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, বানু আমির ইবনু লুয়াই গোত্রের আযাদকৃত গোলাম মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রহমান ইবনু সাওবান আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, বদর যুদ্ধে যোগদানকারী মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াস ইবনু বুকায়র-এর পিতা তাকে জানিয়েছেন। [৫৩১৯; মুসলিম ১৮/৮, হাঃ ১৪৮৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯৮)
بَاب
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِيْ يُوْنُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّ أَبَاهُ كَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْأَرْقَمِ الزُّهْرِيِّ يَأْمُرُهُ أَنْ يَدْخُلَ عَلَى سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الْأَسْلَمِيَّةِ فَيَسْأَلَهَا عَنْ حَدِيْثِهَا وَعَنْ مَا قَالَ لَهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ اسْتَفْتَتْهُ فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْأَرْقَمِ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ يُخْبِرُهُ أَنَّ سُبَيْعَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ سَعْدِ بْنِ خَوْلَةَ وَهُوَ مِنْ بَنِيْ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا فَتُوُفِّيَ عَنْهَا فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهِيَ حَامِلٌ فَلَمْ تَنْشَبْ أَنْ وَضَعَتْ حَمْلَهَا بَعْدَ وَفَاتِهِ فَلَمَّا تَعَلَّتْ مِنْ نِفَاسِهَا تَجَمَّلَتْ لِلْخُطَّابِ فَدَخَلَ عَلَيْهَا أَبُو السَّنَابِلِ بْنُ بَعْكَكٍ رَجُلٌ مِنْ بَنِيْ عَبْدِ الدَّارِ فَقَالَ لَهَا مَا لِيْ أَرَاكِ تَجَمَّلْتِ لِلْخُطَّابِ تُرَجِّيْنَ النِّكَاحَ فَإِنَّكِ وَاللهِ مَا أَنْتِ بِنَاكِحٍ حَتَّى تَمُرَّ عَلَيْكِ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ قَالَتْ سُبَيْعَةُ فَلَمَّا قَالَ لِيْ ذَلِكَ جَمَعْتُ عَلَيَّ ثِيَابِيْ حِيْنَ أَمْسَيْتُ وَأَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ فَأَفْتَانِيْ بِأَنِّيْ قَدْ حَلَلْتُ حِيْنَ وَضَعْتُ حَمْلِيْ وَأَمَرَنِيْ بِالتَّزَوُّجِ إِنْ بَدَا لِيْ تَابَعَهُ أَصْبَغُ عَنْ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُوْنُسَ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِيْ يُوْنُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ وَسَأَلْنَاهُ فَقَالَ أَخْبَرَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ مَوْلَى بَنِيْ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ وَكَانَ أَبُوْهُ شَهِدَ بَدْرًا أَخْبَرَهُ.
Narrated Subaia bint Al-Harith:
That she was married to Sad bin Khaula who was from the tribe of Bani 'Amr bin Luai, and was one of those who fought the Badr battle. He died while she wa pregnant during Hajjat-ul-Wada.' Soon after his death, she gave birth to a child. When she completed the term of deliver (i.e. became clean), she prepared herself for suitors. Abu As-Sanabil bin Bu'kak, a man from the tribe of Bani Abd-ud-Dal called on her and said to her, "What! I see you dressed up for the people to ask you in marriage. Do you want to marry By Allah, you are not allowed to marry unless four months and ten days have elapsed (after your husband's death)." Subai'a in her narration said, "When he (i.e. Abu As-Sanabil) said this to me. I put on my dress in the evening and went to Allah's Messenger (ﷺ) and asked him about this problem. He gave the verdict that I was free to marry as I had already given birth to my child and ordered me to marry if I wished."