১৪৫৫

পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পরবর্তী সালাতের সময় প্রবেশ করা পর্যন্ত কোন সালাত আদায় না করলে, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফির হয়ে যাবে না যে, তা আদায় করার আগে মারা গেলে তাকে মুসলিমদের গোরস্থানে দাফন করা যাবে না

১৪৫৫. জা‘ফর বিন মুহাম্মাদ রহিমাহুল্লাহ তার বাবা মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, “আমরা জাবির বিন আব্দুল্লাহর কাছে গেলাম। তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার পশমের একটি তাবূ স্থাপন করার আদেশ করলেন, ফলে নামিরাতে তাঁর জন্য একটি তাবূ স্থাপন করা হলো। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চলতে লাগলেন। এসময় তিনি মাশআরুল হারামে থামলেন, এই ব্যাপারে কুরাইশদের মাঝে কোন সন্দেহ ছিল না। কেননা কুরাইশরা জাহেলী যুগ থেকেই এমনটাই করে আসছে। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চলতে থাকলেন, এভাবে তিনি আরাফায় পৌঁছলেন। অতঃপর তিনি দেখলেন যে, তাঁর জন্য নামিরাতে তাবূ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে তিনি সেখানে যাত্রাবিরতি দিলেন। অতঃপর যখন সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ে, তখন তিনি স্বীয় কাসওয়া উষ্ট্রী প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন ফলে তা তাঁর জন্য প্রস্তুত করা হলো, তারপর তিনি বাতনে ওয়াদীতে আসেন এবং লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বলেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ তোমাদের উপর হারাম তোমাদের এই শহরে, তোমাদের এই মাসে আজকের এই দিনের মতই হারাম।

জেনে রাখো, জাহেলী যুগের প্রতিটি জিনিস আমার পদতলে রাখলাম, জাহেলী যুগের রক্তের দাবী আমার পদতলে রাখলাম। আমি প্রথমেই আমাদের রক্তের দাবী তথা রবী‘আহ বিন হারিসের ছেলের রক্তের দাবী আমার পদতলে রাখলাম। সে বানী লাইস গোত্রে দুগ্ধপানকারী ছিল অতঃপর হুযাইল গোত্রের লোকজন তাকে হত্যা করেছিল।

তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে, কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানতের বদৌলতে গ্রহণ করেছো এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদের লজ্জাস্থান হালাল করে নিয়েছো।তাদের উপর তোমাদের হক হলো তারা তোমাদের বিছানায় কাউকে স্থান দেবে না, যাকে তোমরা অপছন্দ করো। যদি তারা এমনটি করে, তবে তোমরা তাদেরকে হালকা প্রহার করবে; বেধড়ক মারধর করবে না। আর তোমাদের উপর তাদের হক হলো ন্যায় সঙ্গতভাবে তার ভরণপোষন দেওয়া।

আমি তোমাদের মাঝে এমন একটি জিনিস রেখে যাচ্ছি যা মজবূতভাবে আকড়ে ধরলে তোমরা কখনও পথভ্রষ্ট হবে না; সেটি হলো আল্লাহর কিতাব। আমার ব্যাপারে তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা তখন কী বলবে?” লোকজন বললো, “আমরা বলবো, “আমরা সাক্ষ্য দিবো যে, নিশ্চয়ই আপনি বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন, কল্যাণ কামনা  করেছেন।” তখন তিনি শাহাদাত অঙ্গুলি উঁচু করে মানুষের দিকে নাড়িয়ে বললেন, “হে আল্লাহ, আপনি সাক্ষী থাকুন।” এই কথা তিনি তিনবার বললেন। তারপর ইকামত দিয়ে যোহরের সালাত আদায় করলেন তারপর আবার ইকামত দিয়ে আসরের সালাত আদায় করলেন আর উভয়ের মাঝে আর কোন সালাত আদায় করেননি।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যখন এটি জায়েয হলো যে, আসরের সালাত এগিয়ে নিয়ে আদায় করাতে ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়নি, তাহলে এটি আরো বেশি অগ্রগণ্য যে, কোন সালাতকে ওয়াক্তের পরে আদায় করলেও সে কাফের হয়ে যাবে না।”

ذِكْرُ خَبَرٍ ثَالِثٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَنْ تَرَكَ الصَّلَاةَ مُتَعَمِّدًا إِلَى أَنْ دَخَلَ وَقْتُ صَلَاةٍ أُخْرَى لَا يَكْفُرُ بِهِ كُفْرًا يُوجِبُ دَفْنَهُ فِي مَقَابِرِ غَيْرِ الْمُسْلِمِينَ لَوْ مَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَهَا

1455 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ:
دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ: أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بقُبة مِنْ شَعْرٍ فضُربت لَهُ بِنَمِرَةَ فَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا تَشُكُّ قُرَيْشٌ إِلَّا أَنَّهُ وَاقِفٌ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ كَمَا كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصْنَعُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ فَوَجَدَ الْقُبَّةَ قَدْ ضُربت لَهُ بِنَمِرَةَ فَنَزَلَ بِهَا حَتَّى إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِالْقَصْوَاءِ فَرُحِلَتْ لَهُ فَأَتَى بَطْنَ الْوَادِي فَخَطَبَ النَّاسُ ثُمَّ قَالَ: (إِنَّ دمائكم وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَيَّ مَوْضُوعٌ وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ وَأَنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ - كَانَ مُسترضعاً فِي بَنِي لَيْثٍ فَقَتَلَتْهُ هُذيل –
فَاتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللَّهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَقَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ كِتَابَ اللَّهِ وَأَنْتُمْ تُسألون عَنِّي فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ؟ ) قَالُوا: نَشْهَدُ أَنْ قَدْ بَلَّغْتَ فأدَّيت وَنَصَحْتَ فَقَالَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ ويَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ: (اللَّهُمَّ اشْهَدْ) ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ أذَّن ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا.
الراوي : جَعْفَر بْن مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1455 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَمَّا جَازَ تَقْدِيمُ صَلَاةِ الْعَصْرِ عَنْ وَقْتِهَا وَلَمْ يَسْتَحِقَّ فَاعِلُهُ أَنْ يَكُونَ كَافِرًا كَانَ مِنْ أخَّر الصَّلَاةَ عَنْ وَقْتِهَا ثُمَّ أدَّاها بَعْدَ وَقْتِهَا أَوْلَى أَنْ لَا يَكُونَ كَافِرًا.

1455 - اخبرنا عبد الله بن محمد بن سلم حدثنا هشام بن عمار حدثنا حاتم بن اسماعيل عن جعفر بن محمد عن ابيه قال: دخلنا على جابر بن عبد الله فقال: امر رسول الله صلى الله عليه وسلم بقبة من شعر فضربت له بنمرة فسار رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا تشك قريش الا انه واقف عند المشعر الحرام كما كانت قريش تصنع في الجاهلية فاجاز رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى اتى عرفة فوجد القبة قد ضربت له بنمرة فنزل بها حتى اذا زاغت الشمس امر بالقصواء فرحلت له فاتى بطن الوادي فخطب الناس ثم قال: (ان دماىكم واموالكم حرام عليكم كحرمة يومكم هذا في شهركم هذا في بلدكم هذا الا كل شيء من امر الجاهلية تحت قدمي موضوع ودماء الجاهلية موضوعة وان اول دم اضع من دماىنا دم ابن ربيعة بن الحارث - كان مسترضعا في بني ليث فقتلته هذيل – فاتقوا الله في النساء فانكم اخذتموهن بامان الله واستحللتم فروجهن بكلمة الله ولكم عليهن ان لا يوطىن فرشكم احدا تكرهونه فان فعلن ذلك فاضربوهن ضربا غير مبرح ولهن عليكم رزقهن وكسوتهن بالمعروف وقد تركت فيكم ما لن تضلوا بعده ان اعتصمتم به كتاب الله وانتم تسالون عني فما انتم قاىلون؟ ) قالوا: نشهد ان قد بلغت فاديت ونصحت فقال باصبعه السبابة يرفعها الى السماء وينكتها الى الناس: (اللهم اشهد) ثلاث مرات ثم اذن ثم اقام فصلى الظهر ثم اقام فصلى العصر ولم يصل بينهما شيىا. الراوي : جعفر بن محمد عن ابيه | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1455 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قال ابو حاتم: لما جاز تقديم صلاة العصر عن وقتها ولم يستحق فاعله ان يكون كافرا كان من اخر الصلاة عن وقتها ثم اداها بعد وقتها اولى ان لا يكون كافرا.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৯. কিতাবুস সালাত (كتاب الصلاة)