পরিচ্ছেদঃ ৯: সালাতের হিসাব-নিকাশ প্রসঙ্গে
৪৬৫. আবূ দাউদ (রহ.) ..... হুরয়স ইবনু কবীসাহ্ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি মদীনাহ এসে আল্লাহর কাছে দুআ করি, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে একজন সৎ সঙ্গী দান করুন। এরপর আমি এসে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর মজলিসে বসলাম এবং তাকে বললাম যে, আমি মহান আল্লাহর কাছে একজন সৎ সঙ্গী পাওয়ার জন্যে দু’আ করেছি। অতএব, আপনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট হতে শোনা এমন একটি হাদীস আমাকে বলুন যার দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম তাঁর বান্দা হতে সালাতের হিসাব নেয়া হবে। সালাত যথাযথভাবে আদায় হয়ে থাকলে সে সফল হবে ও মুক্তি পাবে। সালাত যথাযথ আদায় না হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হবে। হাম্মাম বলেন, আমি জানি না- তা কতাদাহ্-এর কথা না হাদীসের অংশ। যদি ফরয সালাত কিছু কম হয়ে থাকে তবে আল্লাহ (ফেরেশতাদের) বলবেন, দেখ আমার বান্দার কোন নফল সালাত আছে কি না? থাকলে তা দ্বারা ফরয পূর্ণ করে দেয়া হবে। এরপর অন্যান্য ’আমালের ব্যাপারেও একই অবস্থা হবে।
باب المحاسبة على الصلاة
خْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قال: حَدَّثَنَا هَارُونُ هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ الْخَزَّازُ، قال: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْحُرَيْثِ بْنِ قَبِيصَةَ، قال: قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ، قال: قُلْتُ: اللَّهُمَّ يَسِّرْ لِي جَلِيسًا صَالِحًا، فَجَلَسْتُ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قال: فَقُلْتُ: إِنِّي دَعَوْتُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُيَسِّرَ لِي جَلِيسًا صَالِحًا فَحَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ بِصَلَاتِهِ، فَإِنْ صَلَحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ، قَالَ هَمَّامٌ: لَا أَدْرِي هَذَا مِنْ كَلَامِ قَتَادَةَ أَوْ مِنَ الرِّوَايَةِ، فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ، قَالَ: انْظُرُوا، هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ فَيُكَمَّلُ بِهِ مَا نَقَصَ مِنَ الْفَرِيضَةِ ؟ ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى نَحْوِ ذَلِكَ . خَالَفَهُ أَبُو الْعَوَّامِ.
تخریج دارالدعوہ: سنن الترمذی/الصلاة ۱۸۹ (۴۱۳)، مسند احمد ۲/۴۲۵، (تحفة الأشراف: ۱۲۲۳۹) وقد أخرجہ: سنن ابن ماجہ/إقامة الصلاة ۲۰۲ (۱۴۲۵) (صحیح) راوی ابوالعوام نے (جو اگلی سند میں ہیں) ہمام کی مخالفت کی ہے ۱؎۔ وضاحت ۱؎: مخالفت اس طرح ہے کہ ہمام نے اسے بطریق قتادہ عن الحسن عن حریث عن ابی ہریرہ، اور ابوالعوام نے بطریق قتادہ عن الحسن عن ابی رافع عن ابی ہریرہ روایت کیا ہے۔
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 466 - صحيح
9. Being Brought To Account For The Salah
It was narrated that Huraith bin Qabisah said: I arrived in Al-Madinah and said: 'O Allah, make it easy for me to find a righteous companion.' Then I sat with Abu Hurairah, may Allah be pleased with him, and said: 'I prayed to Allah to help me find a righteous companion.' So tell me a Hadith that you heard from the Messenger of Allah (ﷺ), so that Allah might benefit me from it. He said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: The first thing for which a person will be brought to account will be his Salah. If it is sound then he will have succeeded, be salvaged, but if it is not then he will have lost and be doomed. - (One of the narrators) Hammam said: I do not know whether this was the words of Qatadah or part of the report. - If anything is lacking from his obligatory prayers, He will say: 'Look and see whether My slave has any voluntary prayers to make up for what is deficient from his obligatory prayers.' Then all of his deeds will be dealt with in like manner.
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৪০. (সহীহ লি গাইরিহী) হুরাইছ বিন কাবীছা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মদীনা শরীফে আগমণ করে দু’আ করলাম হে আল্লাহ্ আমাকে একজন সৎ সঙ্গী মিলিয়ে দাও। তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাঃ)এর নিকট বসলাম। তাঁকে বললামঃ আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করেছি তিনি যেন আমাকে একজন সৎসঙ্গী মিলিয়ে দেন। তাই আপনি আমাকে এমন একটি হাদীছ বর্ণনা করেন যা আপনি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট থেকে শুনেছেন। যাতে করে আল্লাহ তার মাধ্যমে আমাকে উপকৃত করেন। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’কিয়ামত দিবসে বান্দার সর্বপ্রথম যে আমলের হিসাব নেয়া হবে তা হচ্ছে তার নামায। নামায যদি ঠিক হয়, তবে সে বিজয়ী হবে ও মুক্তি পাবে। আর নামায যদি নষ্ট হয়ে যায়, তবে সে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। তার ফরয নামাযে যদি কোন ঘাটতি থাকে তবে আল্লাহ্ তা’আলা বলবেনঃ তোমরা দেখ আমার বান্দার কোন নফল নামায আছে কি না? তা দ্বারা তার ফরযের ঘাটতিকে পূর্ণ করা হবে। অতঃপর তার অবশিষ্ট আমলের এভাবেই হিসাব নেয়া হবে।’’
(হাদীছটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন ৪১৩)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح لغيره) و عَنْ حُرَيْثِ بْنِ قَبِيصَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَقُلْتُ اللَّهُمَّ ارزقني جَلِيسًا صَالِحًا قَالَ فَجَلَسْتُ إِلَى أبِيْ هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يَرْزُقَنِي جَلِيسًا صَالِحًا فَحَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ
فَقاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلَاتُهُ فَإِنْ صَلُحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ فَإِنْ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ قَالَ الله تعالى انْظُرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ يُكَمَّلَ بِهَا مَا انْتَقَصَ مِنْ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى ذَلِكَ رواه الترمذي وغيره وقال حديث حسن غريب