পরিচ্ছেদঃ ১. আল-বাত্তা তালাকের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, এক ব্যক্তি ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট বলিল, আমি আমার স্ত্রীকে একশত তালাক দিয়াছি। আমার সম্পর্কে এ বিষয়ে আপনার কি অভিমত? ইবন আব্বাস (রাঃ) তাহাকে বলিলেনঃ তিন তালাক দ্বারা তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দিয়াছ। অবশিষ্ট সাতানব্বই তালাক দ্বারা তুমি আল্লাহর আয়াতকে বিদ্রুপ করিয়াছ।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبَتَّةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ إِنِّي طَلَّقْتُ امْرَأَتِي مِائَةَ تَطْلِيقَةٍ فَمَاذَا تَرَى عَلَيَّ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ طَلُقَتْ مِنْكَ لِثَلَاثٍ وَسَبْعٌ وَتِسْعُونَ اتَّخَذْتَ بِهَا آيَاتِ اللَّهِ هُزُوًا
Yahya related to me from Malik that he had heard that a man said to Abdullah ibn Abbas, "I have divorced my wife by saying I divorce you a hundred times. What do you think my situation is?" Ibn Abbas said to him, "She was divorced from you by three pronouncements, and by the ninety-seven, you have mocked the ayat of Allah."
পরিচ্ছেদঃ ১. আল-বাত্তা তালাকের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, আমি আমার স্ত্রীকে দুইশত তালাক দিয়াছি। ইবন মাসউদ (রাঃ) বলিলেনঃ তোমাকে কি বলা হইয়াছে? সে বলিল, আমাকে জানান হইয়াছে যে, আমার স্ত্রী আমার নিকট হইতে পৃথক হইয়া গিয়াছে। ইবন মাসউদ (রাঃ) বলিলেনঃ মুফতীগণ ঠিকই বলিয়াছেন। যে আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক তালাক প্রদান করে তাহার হুকুম আল্লাহ্ বর্ণনা করিয়াছেন। আর যে ব্যক্তি নিজের প্রতি কোন প্রকার সন্দেহজনক আচরণ করে আমরা তাহার সন্দেহ তাহার উপরই আরোপ করিব। তোমরা নিজেদের প্রতি সন্দেহজনক আচরণ করিও না, যাহাতে তোমাদের জন্য আমাদের বিপদে পড়িতে হয়। মুফতীগণ যাহা বলিয়াছেন উহাই ফতওয়া (সিদ্ধান্ত)।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبَتَّةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ إِنِّي طَلَّقْتُ امْرَأَتِي ثَمَانِيَ تَطْلِيقَاتٍ فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَمَاذَا قِيلَ لَكَ قَالَ قِيلَ لِي إِنَّهَا قَدْ بَانَتْ مِنِّي فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ صَدَقُوا مَنْ طَلَّقَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ فَقَدْ بَيَّنَ اللَّهُ لَهُ وَمَنْ لَبَسَ عَلَى نَفْسِهِ لَبْسًا جَعَلْنَا لَبْسَهُ مُلْصَقًا بِهِ لَا تَلْبِسُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَنَتَحَمَّلُهُ عَنْكُمْ هُوَ كَمَا يَقُولُونَ
Yahya related to me from Malik that he had heard that a man came to Abdullah ibn Masud and said, "I have divorced my wife by saying I divorce you eight times." Ibn Masud said to him, "What have people told you?" He replied, "I have been told that I have to part absolutely from her." Ibn Masud said, "They have spoken the truth. A person who divorces as Allah has commanded, Allah makes it clear for him, and a person who obscures himself in error, we make stay by his error. So do not confuse yourselves and pull us into your confusion. It is as they have said."
পরিচ্ছেদঃ ১. আল-বাত্তা তালাকের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩. আবু বকর ইবন হাযম (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) তালাক-ই আল-বাত্তা সম্পর্কে লোকে কি বলে অর্থাৎ সাহাবা ও তাঁহাদের পরবর্তী উলামাগণের এ বিষয়ে কি অভিমতঃ ইহা আবু বকর ইবন হাযমের নিকট জানিতে চাহিলে আবু বকর বলিলেনঃ আবান ইবন উসমান উহাকে এক তালাক গণ্য করিতেন। উমর ইবন আবদুল আযীয বলিলেনঃ তিনের পরিবর্তে তালাক এক হাজার হইলেও তালাক-ই আল-বাত্তা উহার একটিও অবশিষ্ট রাখিবে না। যে ব্যক্তি আল-বাত্তা বলিল, সে শেষ সীমানায় তীর নিক্ষেপ করিল।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبَتَّةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ لَهُ الْبَتَّةُ مَا يَقُولُ النَّاسُ فِيهَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَقُلْتُ لَهُ كَانَ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ يَجْعَلُهَا وَاحِدَةً فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَوْ كَانَ الطَّلَاقُ أَلْفًا مَا أَبْقَتْ الْبَتَّةُ مِنْهَا شَيْئًا مَنْ قَالَ الْبَتَّةَ فَقَدْ رَمَى الْغَايَةَ الْقُصْوَى
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Abu Bakr ibn Hazm thatUmar ibn Abd al-Aziz had asked him what people said about the 'irrevocable' divorce, and Abu Bakr had replied that Aban ibn Uthman had clarified that it was declared only once. Umar ibn Abd al- Aziz said, "Even if divorce had to be declared a thousand times, the'irrevocable' would use them all up. A person who says, 'irrevocably' has cast the furthest limit."
পরিচ্ছেদঃ ১. আল-বাত্তা তালাকের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪. ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, কেউ নিজের স্ত্রীকে তালাক-ই আল-বাত্তা দিলে মারওয়ান ইবন হাকাম (রহঃ) উহাতে তিন তালাক হইয়াছে বলিয়া ফতওয়া দিতেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট পছন্দীয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبَتَّةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ كَانَ يَقْضِي فِي الَّذِي يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ أَنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Marwan ibn al-Hakam decided that if someone made three pronouncements of divorce, he had divorced his wife irrevocably.
Malik said, "That is what I like best of what I have heard on the subject."
পরিচ্ছেদঃ ২. (خلية) খালিয়া (برية) বারিয়্যা এবং অনুরূপ অন্যান্য কিনায়া তালাকের জন্য প্রযোজ্য শব্দসমূহের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৫. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, ইরাক হইতে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট লেখা হইল যে, এক ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিয়াছে حَبْلُكِ عَلَى غَارِبِكِ [তোমার রজ্জ্ব তোমার ঘাড়ে]। উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) তাহার নিযুক্ত ইরাকের প্রশাসকের নিকট পত্র লিখিলেন-হজ্জ মওসুমে সেই ব্যক্তিকে আমার সহিত মিলিত হইতে নির্দেশ দাও। উমর যখন বায়তুল্লাহর তওয়াফ করিয়াছিলেন তখন এক ব্যক্তি তাহার সম্মুখে আসিয়া সালাম করিল। উমর বলিলেনঃ তুমি কে? সেই ব্যক্তি বলিল, আমি সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তিকে আপনার নিকট (হজ্জ মওসুমে) উপস্থিত হইতে নির্দেশ প্রদান করিয়াছিলেন। তারপর উমর (রাঃ) বলিলেনঃ এই (পবিত্র কাবা) গৃহের মালিকের কসম দিয়া তোমাকে আমি প্রশ্ন করিতেছি যে, তুমি তোমার সেই বক্তব্য حَبْلُكِ عَلَى غَارِبِكِ এর দ্বারা কি উদ্দেশ্য করিয়াছ? সেই ব্যক্তি বলিল, এই স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও আপনি আমাকে হলফ করাইলে আমি সত্য কথা বলিতাম না। আমি (এই বক্তব্য দ্বারা স্ত্রীকে) বিদায় (দেওয়া)-এর নিয়্যত করিয়াছি। উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিলেন, তুমি যাহা নিয়্যত করিয়াছ তাহাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخَلِيَّةِ وَالْبَرِيَّةِ وَأَشْبَاهِ ذَلِكَ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّهُ كُتِبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ مِنْ الْعِرَاقِ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِامْرَأَتِهِ حَبْلُكِ عَلَى غَارِبِكِ فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى عَامِلِهِ أَنْ مُرْهُ يُوَافِينِي بِمَكَّةَ فِي الْمَوْسِمِ فَبَيْنَمَا عُمَرُ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ إِذْ لَقِيَهُ الرَّجُلُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ عُمَرُ مَنْ أَنْتَ فَقَالَ أَنَا الَّذِي أَمَرْتَ أَنْ أُجْلَبَ عَلَيْكَ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ أَسْأَلُكَ بِرَبِّ هَذِهِ الْبَنِيَّةِ مَا أَرَدْتَ بِقَوْلِكَ حَبْلُكِ عَلَى غَارِبِكِ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ لَوْ اسْتَحْلَفْتَنِي فِي غَيْرِ هَذَا الْمَكَانِ مَا صَدَقْتُكَ أَرَدْتُ بِذَلِكَ الْفِرَاقَ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ هُوَ مَا أَرَدْتَ
Yahya related to me from Malik that he had heard that Umar ibn al-Khattab had heard in a letter from Iraq that a man said to his wife, "Your rein is on your withers (i.e. you have free rein)." Umar ibn al-Khattab wrote to his governor to order the man to come to him at Makka at the time of hajj. While Umar was doing tawaf around the House, a man met him and greeted him. Umar asked him who he was, and he replied that he was the man that he had ordered to be brought to him. Umar said to him, "I ask you by the Lord of this building, what did you mean by your statement, 'Your rein is on your withers.'?" The man replied, "Had you made me swear by other than this place, I would not have told you the truth. I intended separation by that." Umar ibn al- Khattab said, "It is what you intended."
পরিচ্ছেদঃ ২. (خلية) খালিয়া (برية) বারিয়্যা এবং অনুরূপ অন্যান্য কিনায়া তালাকের জন্য প্রযোজ্য শব্দসমূহের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে “তুমি আমার জন্য হারাম” এরূপ বলিয়াছে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আলী ইবন আবি তালিব (রাঃ) বলিয়াছেন যে, উহা তিন তালাক গণ্য হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এ বিষয়ে আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই উত্তম।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخَلِيَّةِ وَالْبَرِيَّةِ وَأَشْبَاهِ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ كَانَ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ عَلَيَّ حَرَامٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ
Yahya related to me from Malik that he had heard that Ali ibn Abi Talib used to say that if a man said to his wife, "You are haram for me," it counted as three pronouncements of divorce.
Malik said, "That is the best of what I have heard on the subject."
পরিচ্ছেদঃ ২. (خلية) খালিয়া (برية) বারিয়্যা এবং অনুরূপ অন্যান্য কিনায়া তালাকের জন্য প্রযোজ্য শব্দসমূহের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৭. নাফি হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেন, ’বারিয়্যা’ এবং ’খালিয়্যা’ উভয় শব্দের প্রত্যেকটির দ্বারা তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخَلِيَّةِ وَالْبَرِيَّةِ وَأَشْبَاهِ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ فِي الْخَلِيَّةِ وَالْبَرِيَّةِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar said that statements like "I cut myself off from you",or"You are abandoned", were considered as three pronouncements of divorce.
পরিচ্ছেদঃ ২. (خلية) খালিয়া (برية) বারিয়্যা এবং অনুরূপ অন্যান্য কিনায়া তালাকের জন্য প্রযোজ্য শব্দসমূহের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৮. কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত-কোন এক গোত্রের দাসী এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিল। সে ব্যক্তি উক্ত দাসীর অভিভাবকদের বলিল, আপনারা তাহার দায়িত্বভার গ্রহণ করুন। ইহা দ্বারা লোকেরা এক তালাক প্রদান করিয়াছে বলিয়া অনুমান করিলেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخَلِيَّةِ وَالْبَرِيَّةِ وَأَشْبَاهِ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّ رَجُلًا كَانَتْ تَحْتَهُ وَلِيدَةٌ لِقَوْمٍ فَقَالَ لِأَهْلِهَا شَأْنَكُمْ بِهَا فَرَأَى النَّاسُ أَنَّهَا تَطْلِيقَةٌ وَاحِدَةٌ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from al-Qasim ibn Muhammad that a certain man had taken a slave-girl belonging to somebody else as a wife. He said to her people, "She is your concern," and people considered that to be one pronouncement of divorce.
পরিচ্ছেদঃ ২. (خلية) খালিয়া (برية) বারিয়্যা এবং অনুরূপ অন্যান্য কিনায়া তালাকের জন্য প্রযোজ্য শব্দসমূহের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৯. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।
যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।
মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْخَلِيَّةِ وَالْبَرِيَّةِ وَأَشْبَاهِ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ
Yahya related to me from Malik that he heard Ibn Shihab say that if a man said to his wife, "You are free of me, and I am free of you, " it counted as three pronouncements of divorce as if it were an 'irrevocable' divorce.
Malik said that if a man made any strong statement such as these to his wife, it counted as three pronouncements of divorce for a woman whose marriage had been consummated, or it was written as one of three for a woman whose marriage had not been consummated, whichever the man wished. If he said he intended only one divorce he swore to it and he became one of the suitors because, whereas a woman whose marriage had been consummated was made inaccessible by three pronouncements of divorce, the woman whose marriage had not been consummated was made inaccessible by only one pronouncement.
Malik said, "That is the best of what I have heard."
পরিচ্ছেদঃ ৩. স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদানের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১০. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, হে আবু আবদুর রহমান। আমি আমার স্ত্রীর হস্তে তাহার অধিকার ন্যস্ত করিয়াছি। সে নিজকে তালাক প্রদান করিয়াছে; এই বিষয়ে আপনার কি অভিমত? ইবন উমর (রাঃ) বলিলেনঃ আমার মতে যেমন বলিয়াছে তেমন হইবে। সে ব্যক্তি বলিল, হে আবু আবদুর রহমান! এইরূপ করবেন না।
ইবন উমর বলিলেনঃ আমি করিতেছি, না তুমি করিয়াছ (অর্থাৎ স্ত্রীর হাতে ক্ষমতা প্রদান করিলে কেন?)]
بَاب مَا يُبِينُ مِنْ التَّمْلِيكِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي جَعَلْتُ أَمْرَ امْرَأَتِي فِي يَدِهَا فَطَلَّقَتْ نَفْسَهَا فَمَاذَا تَرَى فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أُرَاهُ كَمَا قَالَتْ فَقَالَ الرَّجُلُ لَا تَفْعَلْ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ أَنَا أَفْعَلُ أَنْتَ فَعَلْتَهُ
Yahya related to me from Malik that he had heard that a man came to Abdullah ibn Umar, and said, "Abu Abd ar-Rahman! I placed the command of my wife in her hand, and she divorced herself, what do you think?" Abdullah ibn Umar said, "I think that it is as she said." The man said, "Don't do it, Abu Abd ar-Rahman!" Ibn Umar said, "You did it, it has nothing to do with me."
পরিচ্ছেদঃ ৩. স্ত্রীকে তালাকের অধিকার প্রদানের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১১. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেন, যদি কোন ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে (তালাকের) ক্ষমতা প্রদান করে তবে (এক বা একাধিক তালাকের ব্যাপারে) স্ত্রীর ফয়সালাই ফয়সালা। হ্যাঁ, সে যদি উহা অস্বীকার করে এবং বলে, আমি এক তালাক ছাড়া অন্য কিছু উদ্দেশ্য করি নাই এবং সেই মতে সে হলফ করিয়াও বলে, তবে ইদ্দতের সময়ের মধ্যে স্ত্রীর অধিক হকদার বিবেচিত হইবে স্বামী (অর্থাৎ ইচ্ছা করিলে স্বামী স্ত্রীকে ফিরাইয়া লইতে পারিবে)।
بَاب مَا يُبِينُ مِنْ التَّمْلِيكِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ إِذَا مَلَّكَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَالْقَضَاءُ مَا قَضَتْ بِهِ إِلَّا أَنْ يُنْكِرَ عَلَيْهَا وَيَقُولُ لَمْ أُرِدْ إِلَّا وَاحِدَةً فَيَحْلِفُ عَلَى ذَلِكَ وَيَكُونُ أَمْلَكَ بِهَا مَا كَانَتْ فِي عِدَّتِهَا
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar said, "When a man gives a woman command over herself, then the result is as she decides unless he denies it and says that he only meant to give her one divorce and he swears to it - then he has access to her while she is in her idda."
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে অধিকার প্রদানে এক তালাক ওয়াজিব হয়
রেওয়ায়ত ১২. খারিজা ইবন যায়দ ইবন সাবিত (রহঃ) বলেনঃ তিনি যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলেন। এই সময় তাহার নিকট মুহাম্মদ ইবন আবী আতীক আসিলেন। তাহার চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত ছিল, যায়দ তাহার উদ্দেশ্যে বলিলেনঃ তোমার ব্যাপার কি? তিনি বলিলেনঃ আমার স্ত্রীকে আমি ক্ষমতা প্রদান করিয়াছিলাম। সে আমাকে পরিত্যাগ করিয়াছে। যায়দ বলিলেনঃ এইরূপ ক্ষমতা কি জন্য প্রদান করিলে? তিনি বলিলেনঃ তকদীর। যায়দ বলিলেনঃ তুমি স্ত্রীর দিকে প্রত্যাবর্তন কর যদি তোমার ইচ্ছা হয়, কারণ উহা এক তালাক মাত্র। তুমি সেই স্ত্রীর অধিক হকদার।
بَاب مَا يَجِبُ فِيهِ تَطْلِيقَةٌ وَاحِدَةٌ مِنْ التَّمْلِيكِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ سَعِيدِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فَأَتَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَتِيقٍ وَعَيْنَاهُ تَدْمَعَانِ فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ مَا شَأْنُكَ فَقَالَ مَلَّكْتُ امْرَأَتِي أَمْرَهَا فَفَارَقَتْنِي فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ مَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ قَالَ الْقَدَرُ فَقَالَ زَيْدٌ ارْتَجِعْهَا إِنْ شِئْتَ فَإِنَّمَا هِيَ وَاحِدَةٌ وَأَنْتَ أَمْلَكُ بِهَا
Yahya related to me from Malik from Said ibn Sulayman ibn Zayd ibn Thabit that Kharija ibn Zayd ibn Thabit told him that he was sitting with Zayd ibn Thabit when Muhammad ibn Abi Atiq came to him with his eyes brimming with tears. Zayd asked him what the matter was. He said, "I gave my wife command of herself, and she separated from me." Zayd said to him, "What made you do that?" He said, "The Decree." Zayd said, "Return to her if you wish for it is only one pronouncement, and you have access to her."
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে অধিকার প্রদানে এক তালাক ওয়াজিব হয়
রেওয়ায়ত ১৩. কাসিম ইবন মুহাম্মদ ইবন আবী বকর (রহঃ) হইতে বর্ণিত-সাকীফ গোত্রের এক ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে (তালাকের) ক্ষমতা প্রদান করিল। সেই স্ত্রী বলিল, তোমাকে তালাক। স্বামী চুপ রহিল। স্ত্রী পুনরায় বলিল, তোমাকে তালাক। সে ব্যক্তি বলিলঃ তোমার মুখে প্রস্তর (পতিত হউক)। স্ত্রী পুনরায় বলিলঃ তোমাকে তালাক। সে বলিলঃ তোমার মুখে পাথর। উভয়ে বিচার প্রার্থী হইয়া মারওয়ান ইবন হাকামের নিকট উপস্থিত হইল। মারওয়ান স্বামীর নিকট হইতে এই বিষয়ে হলফ তলব করিল যে, সে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রয়োগের দ্বারা এক তালাক ব্যতীত অন্য কিছু উদ্দেশ্য করে নাই। অতঃপর স্ত্রীকে তাহার নিকট ফিরাইয়া দিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ’আবদুর রহমান (রহঃ) বলিয়াছেনঃ কাসেম (রহঃ) এই ফয়সালা খুব পছন্দ করিতেন এবং এই বিষয়ে যাহা শুনিয়াছেন তন্মধ্যে ইহাকে উত্তম বলিয়া গণ্য করিতেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমি এই বিষয়ে যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই সর্বোত্তম এবং আমার নিকট সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয়।
بَاب مَا يَجِبُ فِيهِ تَطْلِيقَةٌ وَاحِدَةٌ مِنْ التَّمْلِيكِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا مِنْ ثَقِيفٍ مَلَّكَ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَقَالَتْ أَنْتَ الطَّلَاقُ فَسَكَتَ ثُمَّ قَالَتْ أَنْتَ الطَّلَاقُ فَقَالَ بِفِيكِ الْحَجَرُ ثُمَّ قَالَتْ أَنْتَ الطَّلَاقُ فَقَالَ بِفَاكِ الْحَجَرُ فَاخْتَصَمَا إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَاسْتَحْلَفَهُ مَا مَلَّكَهَا إِلَّا وَاحِدَةً وَرَدَّهَا إِلَيْهِ قَالَ مَالِك قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَكَانَ الْقَاسِمُ يُعْجِبُهُ هَذَا الْقَضَاءُ وَيَرَاهُ أَحْسَنَ مَا سَمِعَ فِي ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ وَأَحَبُّهُ إِلَيَّ
Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn al-Qasim from his father that a man of Thaqif gave his wife command over herself, and she said, "You are divorced." He was silent. She said, "You are divorced." He said, "May a stone be in your mouth." She said, "You are divorced." He said, "May a stone be in your mouth." They argued and went to Marwan ibn al-Hakam. He took an oath that he had only given her control over one pronouncement, and then she returned to him.
Malik said that Abd ar-Rahman declared that this decision had amazed al-Qasim, who thought it the best that he had heard on the subject.
Malik added, "That is also the best of what I have heard on the subject."
পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ক্ষমতা প্ৰদান তালাকের কারণ হয় না উহার বর্ণনা
রেওয়ায়েত ১৪. কাসেম ইবন মুহাম্মদ ইবন আবী বকর (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবদুর রহমান ইবন আবী বকর (রাঃ)-এর জন্য কুরায়যা বিনত আবী উমাইয়ার বিবাহের প্রস্তাব করিলেন, (কন্যা কর্তৃপক্ষ) তাহার নিকট বিবাহ দিলেন। তারপর (কোন কারণে) তাহারা আবদুর রহমানের উপর অসন্তুষ্ট হইলেন এবং তাহারা বলিলেন, আমরা আয়েশা (রাঃ)-এর কারণে বিবাহে সম্মত হইয়াছি। আয়েশা (রাঃ) আবদুর রহমানের নিকট লোক প্রেরণ করিলেন এবং তাঁহাদের বক্তব্য অবহিত করিলেন। আবদুর রহমান কুরায়যার বিষয় কুরায়যার উপর ন্যস্ত করিলেন। কুরায়যা (রাঃ) তাহার স্বামীকে গ্রহণ করিলেন ইহা তালাক বলিয়া গণ্য হইল না।
بَاب مَا لَا يُبِينُ مِنْ التَّمْلِيكِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا خَطَبَتْ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ قَرِيبَةَ بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ فَزَوَّجُوهُ ثُمَّ إِنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَقَالُوا مَا زَوَّجْنَا إِلَّا عَائِشَةَ فَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَجَعَلَ أَمْرَ قَرِيبَةَ بِيَدِهَا فَاخْتَارَتْ زَوْجَهَا فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ طَلَاقًا
Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn al-Qasim from his father that A'isha, umm al-muminin, proposed to Qurayba bint Abi Umayya on behalf of Abd ar-Rahman ibn Abi Bakr. They married her to him and her people found fault with Abd ar-Rahman and said, "We only gave in marriage because of A'isha." A'isha therefore sent for Abd ar-Rahman and told him about it. He gave Qurayba authority over herself and she chose her husband and so there was no divorce.
পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ক্ষমতা প্ৰদান তালাকের কারণ হয় না উহার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৫. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) আবদুর রহমানের কন্যা হাফসাকে মুনযির ইবন যুবায়র-এর নিকট বিবাহ দিলেন। আবদুর রহমান ছিলেন তখন সিরিয়াতে (তিনি তাই এই বিবাহে অনুপস্থিত ছিলেন)। আবদুর রহমান যখন সিরিয়া হইতে প্রত্যাবর্তন করিলেন (এবং এই বিবাহের সংবাদ অবগত হইলেন) তিনি বলিলেন, আমার মতো লোকের সহিত ইহা করা হইল, আমার ব্যাপারে আমাকে উপেক্ষা করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইল। অতঃপর আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) মুনযির ইবন যুবায়র-এর সহিত আলোচনা করিলেন। মুনযির বলিলেনঃ আবদুর রহমানের হাতেই ইহার (এই বিবাহ বহাল রাখা না রাখার) ক্ষমতা রহিয়াছে। আবদুর রহমান বলিলেনঃ যেই ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন আমি উহাকে রদ করিব না, তাই হাফসা মুনযিরের কাছেই রহিলেন এবং ইহা তালাক বলিয়া গণ্য হয় নাই।
بَاب مَا لَا يُبِينُ مِنْ التَّمْلِيكِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَوَّجَتْ حَفْصَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ غَائِبٌ بِالشَّامِ فَلَمَّا قَدِمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ وَمِثْلِي يُصْنَعُ هَذَا بِهِ وَمِثْلِي يُفْتَاتُ عَلَيْهِ فَكَلَّمَتْ عَائِشَةُ الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ الْمُنْذِرُ فَإِنَّ ذَلِكَ بِيَدِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا كُنْتُ لِأَرُدَّ أَمْرًا قَضَيْتِهِ فَقَرَّتْ حَفْصَةُ عِنْدَ الْمُنْذِرِ وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ طَلَاقًا
Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn al-Qasim from his father that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, gave Hafsa bint Abd arRahman in marriage to al-Mundhir ibn az-Zubayr while Abd ar-Rahman was away in Syria. When Abd ar-Rahman arrived, he said, "Shall someone like me have this done to him? Am I the kind of man to have something done to him without his consent?" A'isha spoke to al-Mundhir ibn az-Zubayr, and al-Mundhir said, "It is in the hands of Abd ar-Rahman." Abd ar-Rahman said, "I won't oppose something that you have already completed." Hafsa was confirmed with al-Mundhir, and there was no divorce.
পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ক্ষমতা প্ৰদান তালাকের কারণ হয় না উহার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবদুল্লাহ ইবন উমর এবং আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি স্ত্রীকে তাহার নিজের বিষয়ে ইখতিয়ার দিয়াছে। স্ত্রী উক্ত ক্ষমতা স্বামীর দিকে ফিরাইয়া দিয়াছে এবং এই ব্যাপারে নিজে ক্ষমতা প্রয়োগ করে নাই। (ইহার কি হুকুম) তাহারা উভয়ে বলিলেন, ইহা তালাক নহে।
সাঈদ ইবন মুসায়্যিব (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে তাহার (বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে) ক্ষমতা প্রদান করিলে সে যদি স্বামীকে ত্যাগ না করে এবং তাহার স্ত্রীরূপে বহাল থাকে, তবে উহা তালাক বলিয়া গণ্য হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যেই স্ত্রীলোকের প্রতি তাহার স্বামী ক্ষমতা অর্পণ করিল, অতঃপর তাহারা উভয়ে মজলিস ত্যাগ করিয়া পৃথক হইয়া গেল। স্ত্রী সেই ক্ষমতা গ্রহণ করে নাই। তবে সেই স্ত্রীর হাতে আর কোন ক্ষমতা থাকিবে না। তাহার হাতে ততক্ষণ ক্ষমতা থাকিবে যতক্ষণ তাহারা সেই মজলিস ত্যাগ না করে।
بَاب مَا لَا يُبِينُ مِنْ التَّمْلِيكِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَأَبَا هُرَيْرَةَ سُئِلَا عَنْ الرَّجُلِ يُمَلِّكُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَتَرُدُّ بِذَلِكَ إِلَيْهِ وَلَا تَقْضِي فِيهِ شَيْئًا فَقَالَا لَيْسَ ذَلِكَ بِطَلَاقٍ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ إِذَا مَلَّكَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ أَمْرَهَا فَلَمْ تُفَارِقْهُ وَقَرَّتْ عِنْدَهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِطَلَاقٍ
قَالَ مَالِك فِي الْمُمَلَّكَةِ إِذَا مَلَّكَهَا زَوْجُهَا أَمْرَهَا ثُمَّ افْتَرَقَا وَلَمْ تَقْبَلْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلَيْسَ بِيَدِهَا مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ وَهُوَ لَهَا مَا دَامَا فِي مَجْلِسِهِمَا
Yahya related to me from Malik that he had heard that Abdullah ibn Umar and Abu Hurayra were asked about a man who gave his wife power over herself, and she returned it to him without doing anything with it. They said that there was no divorce. (i.e. The man's giving his wife power over herself was not interpreted as a desire for divorce on his part.)
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Said ibn al-Musayyab said, "If a man gives his wife authority over herself, and she does not separate from him and remains with him, there is no divorce."
Malik said that a woman whose husband gave her power over herself and they separated while she was unwilling, had no power to revoke the divorce. She only had power over herself as long as they remained together.
পরিচ্ছেদঃ ৬. স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে না বলিয়া শপথ করিলে তাহার কি হুকুম
রেওয়ায়ত ১৭. আলী ইবন আবী তালিব (রাঃ) বলিতেন, কোন ব্যক্তি তাহার স্ত্রীর ব্যাপারে ঈলা করিলে উহাতে তালাক হইবে না। যদি ঈলার পর চার মাস অতিবাহিত হয় (সে কিছু না করে), তবে তাহাকে বন্দী করা হইবে, হয়ত সে তালাক দিবে নতুবা ঈলা হইতে ফিরিয়া আসিবে (অর্থাৎ স্ত্রীকে গ্রহণ করিয়া কসমের কাফফারা দিবে)।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট ইহাই সিদ্ধান্ত।
بَاب الْإِيلَاءِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا آلَى الرَّجُلُ مِنْ امْرَأَتِهِ لَمْ يَقَعْ عَلَيْهِ طَلَاقٌ وَإِنْ مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ حَتَّى يُوقَفَ فَإِمَّا أَنْ يُطَلِّقَ وَإِمَّا أَنْ يَفِيءَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
Yahya related to me from Malik from Jafar ibn Muhammad from his father that Ali ibn Abi Talib said, "When a man takes a vow to abstain from intercourse, divorce does not occur immediately. If four months pass, he must declare his intent and either he is divorced or he revokes his vow . "
Malik said, "That is what is done among us."
পরিচ্ছেদঃ ৬. স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে না বলিয়া শপথ করিলে তাহার কি হুকুম
রেওয়ায়ত ১৮. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেনঃ কেউ স্ত্রীর সহিত ঈলা করিলে তবে চার মাস অতিবাহিত হইলে তাহাকে বন্দী করা হইবে, যাবৎ তালাক না দেয় অথবা কসম ভঙ্গ করিয়া কাফফারা আদায় করে স্ত্রীকে গ্রহণ করিবে। চার মাস অতিবাহিত হইলে তাহাকে বন্দী না করা পর্যন্ত তালাক প্রযোজ্য হইবে না।
ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, সাঈদ ইবন মুসায়্যিব এবং আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রাঃ) তাহারা উভয়ে বলিতেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত ঈলা করিয়াছে, চার মাস অতিবাহিত হইলে উহা এক তালাক গণ্য হইবে। ইদ্দতের ভিতর সে ব্যক্তি স্ত্রীর দিকে রুজু’ (উহাকে গ্রহণ) করিতে পারবে।
بَاب الْإِيلَاءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ أَيُّمَا رَجُلٍ آلَى مِنْ امْرَأَتِهِ فَإِنَّهُ إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ وُقِفَ حَتَّى يُطَلِّقَ أَوْ يَفِيءَ وَلَا يَقَعُ عَلَيْهِ طَلَاقٌ إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ حَتَّى يُوقَفَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَأَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانَا يَقُولَانِ فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ إِنَّهَا إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ فَهِيَ تَطْلِيقَةٌ وَلِزَوْجِهَا عَلَيْهَا الرَّجْعَةُ مَا كَانَتْ فِي الْعِدَّةِ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar said, "When a man makes a vow to abstain from intercourse with his wife and four months have passed he must declare his intent and either he is divorced or he revokes his vow. Divorce does not occur until four months have passed and he continues to abstain."
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Said al-Musayyab and Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman said about a man who made a vow to abstain from intercourse with his wife, "If four months pass it is a divorce. The husband can go back to his wife as long as she is in her idda."
পরিচ্ছেদঃ ৬. স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে না বলিয়া শপথ করিলে তাহার কি হুকুম
রেওয়ায়ত ১৯. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, মারওয়ান ইবন হাকাম (রহঃ) ফয়সালা দিতেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত ঈলা করিয়াছে, তবে চার মাস অতিবাহিত হইলে উহা এক তালাক বলিয়া গণ্য হইবে। ইদ্দতের ভিতর স্ত্রীর দিকে রুজু করার ইখতিয়ার স্বামীর থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইবন শিহাব (যুহরী)-এর অভিমতও অনুরূপ ছিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ স্ত্রীর সহিত কোন লোক ঈলা করিলে তাহাকে বাধ্য করা হইবে। চার মাস অতিবাহিত হইলে সে স্ত্রীকে তালাক দিবে। অতঃপর সে রুজু করিবে, তবে সে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত মিলিত না হইলে এবং এইরূপে ইদ্দত খতম হইয়া গেলে সে আর রুজু করিতে পারবে না। হ্যাঁ, যদি তাহার কোন ওযর থাকে, (যেমন) বন্দী থাকা, রোগ বা অনুরূপ অন্য কোন ওযর, তবে (মৌখিকভাবে) তাহার রুজু গ্রহণযোগ্য হইবে। আর যদি ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পর সে পুনরায় সেই স্ত্রীকে বিবাহ করে তবে যদি সে স্ত্রীর সহিত মিলিত না হয় এবং সেই অবস্থায় চার মাস অতিবাহিত হয় তবে তাহাকে বাধ্য করা হইবে। সে স্ত্রীর দিকে প্রত্যাবর্তন না করিলে প্রথম ঈলা-র দ্বারা স্ত্রীর উপর তালাক প্রযোজ্য হইবে। চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আর স্ত্রীর দিকে রুজু করার ক্ষমতাও তাহার থাকিবে না। কারণ সে বিবাহ করিয়াছে এবং সহবাসের পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দিয়াছে, এইরূপ অবস্থাতে ইদ্দতও নাই এবং রুজুর অধিকারও থাকিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত ঈলা করিয়াছে, চার মাসের পর সে ব্যক্তিকে বাধ্য করা হইবে। সে তালাক প্রদান করিবে অতঃপর রুজু করিবে, কিন্তু (রুজু করার পর) স্ত্রীর সহিত সঙ্গম না করিলে এবং (এইভাবে) ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বে চারমাস অতিবাহিত হইলে তবে তাহাকে বাধ্য করা হইবে না এবং তালাক প্রযোজ্য হইবে না। আর যদি ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বে স্ত্রীর সহিত মিলিত হয় তবে সে সেই স্ত্রীর (দিকে রুজু করার) অধিক হকদার হইবে। আর যদি মিলিত হওয়ার পূর্বে ইদ্দত শেষ হইয়া যায় তবে সেই স্ত্রীকে রাখার কোন ইখতিয়ার তাহার নাই।
মালিক (রহঃ) বলেন, ইহাই উত্তম, যাহা আমি এই বিষয়ে শুনিয়াছি।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্ত্রীর সহিত ঈলা করে, অতঃপর স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে, তারপর তালাকের ইদ্দত শেষ হওয়ার পূর্বে চারমাস অতিবাহিত হয়, মালিক (রহঃ) বলেনঃ তখন যদি সে ঈলার উপর স্থির থাকে এবং প্রত্যাবর্তন না করে তবে ইহা দুই তালাক বলিয়া গণ্য হইবে। আর যদি চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তালাকের ইদ্দত খতম হইয়া যায়, তবে ঈলা তালাক বলিয়া গণ্য হইবে না। কারণ, যে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর তাহাকে বাধ্য করা হইত সেই চারমাস (সময়) অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় সে আর তাহার স্ত্রী রহিল না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি একদিন অথবা একমাস স্ত্রীর সহিত বসবাস করিবে না বলিয়া হলফ করিল, অতঃপর চার মাসের অধিক সময় এইভাবে অতিবাহিত হইল, তবে ইহা ঈলা বলিয়া গণ্য হইবে না। কারণ, চার মাসের অধিক সময় স্ত্রীর সহিত সহবাস করিবে না বলিয়া হলফ করাকে ঈলা গণ্য করা হয়। আর যে ব্যক্তি চারমাস অথবা উহা হইতে কম সময়ের জন্য হলফ করে আমি উহাকে ঈলা বলিয়া মনে করি না। কারণ, সে সময় অতিবাহিত হওয়ার পর, স্বামীকে বাধ্য করার নিয়ম রহিয়াছে তাহা অতিক্রম করার পূর্বে সে তাহার শপথ হইতে বাহির হইয়া আসিবে তখন তাহাকে আর বাধ্য করা যাইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ বাচ্চার দুধ না ছাড়ান পর্যন্ত স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করিবে না বলিয়া হলফ করিলে উহা ’ঈলা বলিয়া গণ্য হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আলী ইবন আবী তালীব (রাঃ)-কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ইহা ঈলা নহে বলিয়া মত প্রকাশ করিয়াছেন।
بَاب الْإِيلَاءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ كَانَ يَقْضِي فِي الرَّجُلِ إِذَا آلَى مِنْ امْرَأَتِهِ أَنَّهَا إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ فَهِيَ تَطْلِيقَةٌ وَلَهُ عَلَيْهَا الرَّجْعَةُ مَا دَامَتْ فِي عِدَّتِهَا قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ كَانَ رَأْيُ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ فَيُوقَفُ فَيُطَلِّقُ عِنْدَ انْقِضَاءِ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ ثُمَّ يُرَاجِعُ امْرَأَتَهُ أَنَّهُ إِنْ لَمْ يُصِبْهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا فَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَيْهَا وَلَا رَجْعَةَ لَهُ عَلَيْهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ لَهُ عُذْرٌ مِنْ مَرَضٍ أَوْ سِجْنٍ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْعُذْرِ فَإِنَّ ارْتِجَاعَهُ إِيَّاهَا ثَابِتٌ عَلَيْهَا فَإِنْ مَضَتْ عِدَّتُهَا ثُمَّ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ ذَلِكَ فَإِنَّهُ إِنْ لَمْ يُصِبْهَا حَتَّى تَنْقَضِيَ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ وُقِفَ أَيْضًا فَإِنْ لَمْ يَفِئْ دَخَلَ عَلَيْهِ الطَّلَاقُ بِالْإِيلَاءِ الْأَوَّلِ إِذَا مَضَتْ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ عَلَيْهَا رَجْعَةٌ لِأَنَّهُ نَكَحَهَا ثُمَّ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا فَلَا عِدَّةَ لَهُ عَلَيْهَا وَلَا رَجْعَةَ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ فَيُوقَفُ بَعْدَ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَيُطَلِّقُ ثُمَّ يَرْتَجِعُ وَلَا يَمَسُّهَا فَتَنْقَضِي أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ قَبْلَ أَنْ تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا إِنَّهُ لَا يُوقَفُ وَلَا يَقَعُ عَلَيْهِ طَلَاقٌ وَإِنَّهُ إِنْ أَصَابَهَا قَبْلَ أَنْ تَنْقَضِيَ عِدَّتُهَا كَانَ أَحَقَّ بِهَا وَإِنْ مَضَتْ عِدَّتُهَا قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا فَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَيْهَا وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُولِي مِنْ امْرَأَتِهِ ثُمَّ يُطَلِّقُهَا فَتَنْقَضِي الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرِ قَبْلَ انْقِضَاءِ عِدَّةِ الطَّلَاقِ قَالَ هُمَا تَطْلِيقَتَانِ إِنْ هُوَ وُقِفَ وَلَمْ يَفِئْ وَإِنْ مَضَتْ عِدَّةُ الطَّلَاقِ قَبْلَ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَلَيْسَ الْإِيلَاءُ بِطَلَاقٍ وَذَلِكَ أَنَّ الْأَرْبَعَةَ الْأَشْهُرِ الَّتِي كَانَتْ تُوقَفُ بَعْدَهَا مَضَتْ وَلَيْسَتْ لَهُ يَوْمَئِذٍ بِامْرَأَةٍ قَالَ مَالِك وَمَنْ حَلَفَ أَنْ لَا يَطَأَ امْرَأَتَهُ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى يَنْقَضِيَ أَكْثَرُ مِنْ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِيلَاءً وَإِنَّمَا يُوقَفُ فِي الْإِيلَاءِ مَنْ حَلَفَ عَلَى أَكْثَرَ مِنْ الْأَرْبَعَةِ الْأَشْهُرِ فَأَمَّا مَنْ حَلَفَ أَنْ لَا يَطَأَ امْرَأَتَهُ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ أَوْ أَدْنَى مِنْ ذَلِكَ فَلَا أَرَى عَلَيْهِ إِيلَاءً لِأَنَّهُ إِذَا دَخَلَ الْأَجَلُ الَّذِي يُوقَفُ عِنْدَهُ خَرَجَ مِنْ يَمِينِهِ وَلَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ وَقْفٌ قَالَ مَالِك مَنْ حَلَفَ لِامْرَأَتِهِ أَنْ لَا يَطَأَهَا حَتَّى تَفْطِمَ وَلَدَهَا فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَكُونُ إِيلَاءً وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَلَمْ يَرَهُ إِيلَاءً
Yahya related to me from Malik that he had heard that Marwan ibn al-Hakam decided about a man who had made a vow to abstain from intercourse with his wife, that when four months had passed, it was a divorce and he could return to her as long as she was in her idda.
Malik added, "That was also the opinion of Ibn Shihab."
Malik said that if a man made a vow to abstain from intercourse with his wife and at the end of four months he declared his intent to continue to abstain, he was divorced. He could go back to his wife, but if he did not have intercourse with her before the end of her idda, he had no access to her and he could not go back to her unless he had an excuse - illness, imprisonment, or a similar excuse. His return to her maintained her as his wife. If her idda passed and then he married her after that and did not have intercourse with her until four months had passed and he declared his intent to continue to abstain, divorce was applied to him by the first vow. If four months passed, and he had not returned to her, he had no idda against her nor access because he had married her and then divorced her before touching her.
Malik said that a man who made a vow to abstain from intercourse with his wife and continued to abstain after four months and so divorced her, but then returned and did not touch her and four months were completed before her idda was completed, did not have to declare his intent and divorce did not befall him. If he had intercourse with her before the end of her idda, he was entitled to her. If her idda passed before he had intercourse with her, he had no access to her. This is what Malik preferred of what he had heard on the subject.
Malik said that if a man made a vow to abstain from intercourse with his wife and then divorced her, and the four months of the vow were completed before completion of the idda of the divorce, it counted as two pronouncements of divorce. If he declared his intention to continue to abstain and the idda of the divorce finished before the four months the vow of abstention was not a divorce. That was because the four months had passed and she was not his on that day.
Malik said, "If someone makes a vow not to have intercourse with his wife for a day or a month and then waits until more than four months have passed, it is not ila. Ila only applies to someone who vows more than four months. As for the one who vows not to have intercourse with his wife for four months or less than that, I do not think that it is ila because when the term enters into it at which it stops, he comes out of his oath and he does not have to declare his intention."
Malik said, "If someone vows to his wife not to have intercourse with her until her child has been weaned, that is not ila. I have heard that Ali ibn Abi Talib was asked about that and he did not think that it was ila."
পরিচ্ছেদঃ ৭. ক্রীতদাসের ঈলা
মালিক (রহঃ) ইবন শিহাব (রহঃ)-এর নিকট ক্রীতদাসের ঈলা সম্বন্ধে প্রশ্ন করিয়াছেন, তিনি বলিলেনঃ ক্রীতদাসের ঈলা আযাদ ব্যক্তির ঈলার মতো। সেই ঈলা তাহার উপর ওয়াজিব হইবে। আর ক্রীতদাসের ঈলা-র সময় হইতেছে দুই মাস।
بَاب إِيلَاءِ الْعَبْدِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ إِيلَاءِ الْعَبْدِ فَقَالَ هُوَ نَحْوُ إِيلَاءِ الْحُرِّ وَهُوَ عَلَيْهِ وَاجِبٌ وَإِيلَاءُ الْعَبْدِ شَهْرَانِ
Yahya related to me from Malik that he had asked Ibn Shihab about the ila of the slave. He said that it was like the ila of the free man, and it put an obligation on him. The ila of the slave was two months.