আর তাদের মধ্যে যে মারা গিয়েছে, তার উপর তুমি জানাযা পড়বে না এবং তার কবরের উপর দাঁড়াবে না। নিশ্চয় তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করেছে এবং তারা ফাসিক অবস্থায় মারা গিয়েছে । আল-বায়ান
তাদের কেউ মারা গেলে তুমি কক্ষনো তাদের জন্য (জানাযার) নামায পড়বে না, আর তাদের কবরের পাশে দন্ডায়মান হবে না। তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সঙ্গে কুফুরী করেছে আর বিদ্রোহী পাপাচারী অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাইসিরুল
আর ভবিষ্যতে তাদের (মুনাফিকদের) কোন লোক মারা গেলে তার (জানাযার) সালাত তুমি কখনই আদায় করবেনা এবং তাদের কাবরের পাশে কখনও দাঁড়াবেনা। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছে এবং তারা কুফরী অবস্থায়ই মৃত্যু বরণ করেছে। মুজিবুর রহমান
And do not pray [the funeral prayer, O Muhammad], over any of them who has died - ever - or stand at his grave. Indeed, they disbelieved in Allah and His Messenger and died while they were defiantly disobedient. Sahih International
৮৪. আর তাদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে আপনি কখনো তার জন্য জানাযার সালাত পড়বেন না এবং তার কবরের পাশে দাঁড়াবেন না(১); তারা তো আল্লাহ ও তার রাসূলকে অস্বীকার করেছিল এবং ফাসেক অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
(১) এ আয়াত দ্বারা একথা প্রমাণিত হয় যে, কোন কাফেরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে তার সমাধিতে দাঁড়ানো কিংবা তা যেয়ারত করতে যাওয়া জায়েয নয়। এ আয়াত নাযিল হওয়ার পরে রাসূলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম আর কোন মুনাফিকের জানাযায় হাজির হতেন না এবং তাদের কবরের পাশেও দাঁড়াতেন না। [ইবন কাসীর] আবু কাতাদা বলেন, রাসূলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালামের কাছে যখন কোন জানাযা হাজির হতো, তখন তিনি তার সম্পর্কে লোকদের জিজ্ঞেস করতেন, তারা যদি ভালো বলে সত্যায়ন করত তখন তিনি তার উপর সালাত আদায় করতেন। পক্ষান্তরে যদি তারা তার সম্পর্কে অন্য কিছু বলতো, তখন তিনি বলতেন, তোমরা এটাকে নিয়ে কি করবে কর, তিনি নিজে সালাত আদায় করতেন না। [মুসনাদে আহমাদ: ৫/২৯৯]
অথচ যদি ঈমানদার হতেন, তাহলে রাসূলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম তার জন্য দোআ করার জন্য কবরের পাশে দাঁড়াতেন। হাদীসে এসেছে, রাসূলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, যে কেউ জানাযার সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকবে তার জন্য এক কীরাত, আর যে কেউ সালাত শেষ হওয়ার পর দাফন পর্যন্ত থাকবে তার জন্য দুই কীরাত। বলা হল, কেমন দুই কীরাত? তিনি বললেন, তার ছোটটি ওহুদ পাহাড়ের সমতুল্য। [বুখারী: ১৩২৫; মুসলিম: ৯৪৫] অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুলাহ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম যখন দাফন শেষ করতেন, তখন তার কবরের পাশে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা চাও, আর তার জন্য স্থিতি বা দৃঢ়তার জন্য দো'আ কর; কেননা তাকে এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে। [আবু দাউদ: ৩২২১]
তাফসীরে জাকারিয়া(৮৪) ওদের মধ্যে কেউ মারা গেলে তার উপর কখনো (জানাযার) নামায পড়বে না এবং তার কবরের কাছেও দাঁড়াবে না;[1] তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে কুফরী করেছে এবং তারা অবাধ্য অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করেছে। [2]
[1] এই আয়াত যদিও মুনাফিক্বদের সর্দার আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে, তবুও এর নির্দেশ ব্যাপক। প্রত্যেক সেই ব্যক্তি যার মৃত্যু কুফরী ও মুনাফিক্বীর উপরেই হয়ে থাকে, সে এরই অন্তর্ভুক্ত। এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ এই যে, যখন আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের মৃত্যু হয়ে গেল, তখন তার ছেলে আব্দুল্লাহ (যে মুসলিম ছিল এবং তার নাম বাপের মতই ছিল) রসূলের (সাঃ)-এর খিদমতে হাযির হয়ে বলল, (বরকতস্বরূপ) আপনি আপনার কামীস (জামা)টা আমাকে দিন, যাতে আমার পিতাকে কাফন স্বরূপ পরিয়ে দিই এবং আপনি তার জানাযার নামাযও পড়ে দিন। মহানবী (সাঃ) নিজের কামীস খানা দিয়ে দিলেন এবং তার জানাযার নামায পড়ানোর জন্যও উপস্থিত হলেন। উমার (রাঃ) নবী (সাঃ)-কে বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা এমন লোকের জানাযা পড়তে নিষেধ করেছেন, তাহলে আপনি কেন এর ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনার দু’আ করবেন?’ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা আমাকে এর এখতিয়ার দান করেছেন। অর্থাৎ, বাধা দেননি। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যদি তুমি ৭০ বার তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন না।’ আমি তার জন্য ৭০ বার অপেক্ষা অধিক ক্ষমা প্রার্থনা করব।’’ সুতরাং তিনি তার জানাযার নামায পড়ালেন। আল্লাহ তাআলা তৎক্ষণাৎ এই আয়াত অবতীর্ণ করে বললেন, আগামীতে মুনাফিক্বদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দু’আ কোনক্রমেই করা যাবে না। (বুখারী, সূরা বারাআতের ব্যাখ্যা, মুসলিম মুনাফিক্বদের বিবরণ)
[2] এটা ছিল জানাযার নামায ও ক্ষমা প্রার্থনা নিষেধ হওয়ার কারণবিশেষ। যার অর্থ হল যাদের মৃত্যু কুফরী, শিরক ও মুনাফিক্বীর উপর হবে, তাদের না জানাযা নামায পড়া হবে, আর না তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েয হবে। এক হাদীসে তো এমনও এসেছে যে, নবী (সাঃ) যখন কবরস্থানে পৌঁছলেন তখন জানা গেল যে, আব্দুল্লাহ বিন উবাইকে দাফন করে দেওয়া হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাকে কবর থেকে বের করতে আদেশ করলেন। তিনি তাকে নিজের হাঁটুর উপর রেখে তার উপর নিজ মুখের (বরকতময়) থুথু মারলেন। অতঃপর তাঁর কামীস তাকে পরিয়ে দিলেন। (বুখারীঃ কামীস পরিধান পরিচ্ছেদ, জানাযা অধ্যায়, মুসলিমঃ মুনাফিক্বদের মন্দ গুণাবলী পরিচ্ছেদ) কিন্তু এ সব তার কোন কাজে আসেনি। এ হতে জানা গেল যে, যে ঈমান থেকে বঞ্চিত হবে, তার জন্য পৃথিবীর বড় বড় ব্যক্তিত্বের ক্ষমা প্রার্থনার দু’আ এবং সুপারিশ কোন উপকারে আসবে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর কিয়ামত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং কবরে যারা আছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের পুনরুত্থিত করবেন। আল-বায়ান
আর কিয়ামাত অবশ্যই আসবে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই এবং যারা কবরে আছে আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করবেন। তাইসিরুল
আর কিয়ামাত অবশ্যম্ভাবী, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং কবরে যারা আছে তাদেরকে আল্লাহ নিশ্চয়ই পুনরুত্থিত করবেন। মুজিবুর রহমান
And [that they may know] that the Hour is coming - no doubt about it - and that Allah will resurrect those in the graves. Sahih International
৭. এবং এ কারণে যে, কেয়ামত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং যারা কবরে আছে তাদেরকে নিশ্চয় আল্লাহ পুনরুখিত করবেন।(১)
(১) উপরের আয়াতগুলোতে মানুষের জন্মের বিভিন্ন পর্যায়, মাটির উপর বৃষ্টির প্রভাব এবং উদ্ভিদ উৎপাদনকে পাঁচটি সত্য নির্ণয়ের প্রমাণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সে সত্যগুলো হচ্ছেঃ একঃ আল্লাহই সত্য। দুইঃ তিনি মৃতকে জীবিত করেন। তিনঃ তিনি সর্বশক্তিমান। চারঃ কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবেই। পাঁচঃ যারা মরে গেছে আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের সবাইকে জীবিত করে উঠবেন।
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) আর কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর অবশ্যই আল্লাহ কবরে যারা আছে তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর জীবিতরা ও মৃতরা এক নয়;* নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা শুনাতে পারেন, কিন্তু যে ব্যক্তি কবরে আছে তাকে তুমি শুনাতে পারবে না। আল-বায়ান
আর জীবিত ও মৃতও সমান নয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন শোনান; যারা ক্ববরে আছে তুমি তাদেরকে শোনাতে পার না। তাইসিরুল
আর সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা শ্রবণ করান। তুমি শোনাতে সমর্থ হবেনা যারা কাবরে রয়েছে তাদেরকে। মুজিবুর রহমান
And not equal are the living and the dead. Indeed, Allah causes to hear whom He wills, but you cannot make hear those in the graves. Sahih International
* এই আয়াত ও আগের কয়েকটি আয়াতে ঈমান ও কুফরীকে নানা উপমায় চিত্রিত করা হয়েছে; ঈমান হল দৃষ্টিশক্তি, আলো, সুশীতল ছায়া আর প্রাণবন্ত জীবনের ন্যায়। পক্ষান্তরে কুফরী হল অন্ধত্ব, অন্ধকার, প্রচন্ড খরতাপ আর মৃত্যুতুল্য।
২২. এবং সমান নয় জীবিত ও মৃত। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছে শোনান; আর আপনি শোনাতে পারবেন না যারা কবরে রয়েছে তাদেরকে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(২২) এবং সমান নয় জীবিত ও মৃত।[1] আল্লাহ যাকে ইচ্ছা শ্রবণ করান; [2] আর তুমি মৃতকে শোনাতে পার না। [3]
[1] أحياء থেকে উদ্দেশ্য হল ঈমানদার মানুষ এবং أموات থেকে উদ্দেশ্য হল কাফের ও অবিশ্বাসী মানুষ অথবা আলেম ও জাহেল অথবা জ্ঞানী ও অজ্ঞ মানুষ।
[2] অর্থাৎ, আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করতে চান এবং জান্নাত যার ভাগ্যে থাকে, তাকে দলীল শ্রবণ ও তা গ্রহণ করার সুমতি দান করেন।
[3] অর্থাৎ, যেরূপ কবরে মৃত ব্যক্তিকে কোন কথা শুনানো যায় না, অনুরূপ কুফরী ও অবিশ্বাস যাদের অন্তরকে মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে, হে নবী! তুমি তাদেরকে সত্যের বাণী শুনাতে পারবে না। উদ্দেশ্য এই যে, যেমন মৃত্যু ও কবরে দাফন হওয়ার পর মৃতব্যক্তি কোন উপকার লাভ করতে পারে না, তেমনি কাফের ও মুশরিক; যাদের জীবনে দুর্ভাগ্য লিপিবদ্ধ আছে, দাওয়াত ও তবলীগ দ্বারা তাদের কোন উপকার হয় না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানহে ঈমানদারগণ, তোমরা সেই সম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্ব করো না, যাদের প্রতি আল্লাহ রাগান্বিত হয়েছেন। তারা তো আখিরাত সম্পর্কে নিরাশ হয়ে পড়েছে, যেমনিভাবে কাফিররা কবরবাসীদের সম্পর্কে নিরাশ হয়েছে। আল-বায়ান
হে মু’মিনগণ! তোমরা এমন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো না আল্লাহ যাদের প্রতি রাগান্বিত। তারা পরকাল সম্পর্কে তেমনি নিরাশ যেমন কবরবাসী কাফিররা নিরাশ (কারণ তারা পরকালকে অবিশ্বাস করার কারণে তার জন্য কোন প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি।) তাইসিরুল
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ যে সম্প্রদায়ের প্রতি রুষ্ট তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করনা, তারাতো আখিরাত সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়েছে যেমন হতাশ হয়েছে কাফিরেরা সমাধিস্থদের বিষয়ে। মুজিবুর রহমান
O you who have believed, do not make allies of a people with whom Allah has become angry. They have despaired of [reward in] the Hereafter just as the disbelievers have despaired of [meeting] the inhabitants of the graves. Sahih International
১৩. হে মুমিনগণ! আল্লাহ যে সম্প্রদায়ের প্রতি রুষ্ট তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না, তারা তো আখিরাত সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়েছে। যেমন হতাশ হয়েছে কাফিররা কবরবাসীদের বিষয়ে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১৩) হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহ যে সম্প্রদায়ের প্রতি রুষ্ট তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না, [1] তারা তো পরকাল সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়েছে, যেমন হতাশ হয়েছে অবিশ্বাসীরা কবরবাসীদের বিষয়ে। [2]
[1] এ থেকে কেউ ইয়াহুদীদের, কেউ মুনাফিকদের এবং কেউ সমস্ত কাফেরদেরকে বুঝিয়েছেন। আর এই শেষের উক্তিটাই বেশী সঠিক মনে হচ্ছে। কেননা, এতে ইয়াহুদী ও মুনাফিকরাও এসে যায়। এ ছাড়া সমস্ত কাফেররা আল্লাহর ক্রোধের শিকার হওয়ারই যোগ্য। অতএব অর্থ হবে, কোন কাফেরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রেখো না। যেমন, কুরআনের আরো কয়েকটি স্থানে এ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
[2] পরকাল সম্পর্কে হতাশ হওয়ার অর্থ, কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার কথা অস্বীকার করা। কবরবাসী থেকে নিরাশ হওয়ার অর্থও এটাই যে আখেরাতে পুনরায় তাদেরকে উঠানো হবে না। এর দ্বিতীয় অর্থ এও করা হয়েছে যে, কবরস্থ কাফের সর্বপ্রকার মঙ্গল থেকে নিরাশ। কেননা, মৃত্যুবরণ করার পর সে তার কুফরীর পরিণাম দেখে নিয়েছে। অতএব সে মঙ্গলের কি আর আশা করতে পারে? (ইবনে জারীর ত্বাবারী)
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন? আল-বায়ান
আল্লাহ তাকে কোন বস্তু হতে সৃষ্টি করেছেন? তাইসিরুল
তিনি তাকে কোন বস্তু হতে সৃষ্টি করেছেন? মুজিবুর রহমান
From what substance did He create him? Sahih International
১৮. তিনি তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?
-
তাফসীরে জাকারিয়া১৮। তিনি তাকে কোন্ বস্তু হতে সৃষ্টি করেছেন?
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানশুক্র বিন্দু থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে সুগঠিত করেছেন। আল-বায়ান
শুক্রবিন্দু হতে। তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে পরিমিতভাবে গড়ে তুলেছেন। তাইসিরুল
শুক্র বিন্দু হতে তিনি তাকে সৃষ্টি করেন, পরে তার পরিমিত বিকাশ সাধন করেন, মুজিবুর রহমান
From a sperm-drop He created him and destined for him; Sahih International
১৯. শুক্রবিন্দু থেকে, তিনি তাকে সৃষ্টি করেন, পরে তার পরিমিত বিকাশ সাধন করেন(১),
(১) قدّره অর্থাৎ সুপরিমিত করেছেন, তার গঠন-প্রকৃতি, আকার-আকৃতি সুপরিমিতভাবে সৃষ্টি করেছেন। قدّره শব্দের এরূপ অৰ্থও হতে পারে যে, মানুষ যখন মাতৃগর্ভে সৃষ্টি হতে থাকে তখন আল্লাহ তা'আলা তার কাজ, বয়স, রিযিক, ভাগ্য ইত্যাদি তকদীর নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তাছাড়া পূর্ব থেকেই প্রতিটি মানুষের জন্য নির্দিষ্ট করা আছে তার গায়ের রং কি হবে, সে কতটুকু উচু হবে, তার দেহ কতটুকু কি পরিমাণ মোটা ও পরিপুষ্ট হবে। এত সব সত্বেও সে তার রবের সাথে কুফরী করে। [দেখুন: কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া১৯। শুক্রবিন্দু হতে তাকে সৃষ্টি করেছেন, [1] অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন। [2]
[1] অর্থাৎ, যার জন্ম এমন ঘৃণিত পানির বিন্দু থেকে, তার কি অহংকার করা শোভা পায়?
[2] এর ভাবার্থ হল যে, তাকে তার প্রয়োজনীয় কল্যাণ দান করা হয়েছে; দুটি হাত, দুটি পা, দুটি চক্ষু এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেওয়া হয়েছে। (অনেকের মতে এর অর্থ হল, অতঃপর তার নিয়তি নির্ধারণ করেছেন।)
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতারপর তিনি তার পথ সহজ করে দিয়েছেন। আল-বায়ান
অতঃপর তিনি (উপায়-উপকরণ ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে জীবনে চলার জন্য) তার পথ সহজ করে দিয়েছেন। তাইসিরুল
অতঃপর তার জন্য পথ সহজ করে দেন; মুজিবুর রহমান
Then He eased the way for him; Sahih International
২০. তারপর তার জন্য পথ সহজ করে দেন(১);
(১) অর্থাৎ আল্লাহ্ তা'আলা স্বীয় ক্ষমতা-বলে মাতৃগর্ভে মানুষকে সৃষ্টি করেন। তারপর তিনিই তার অপার শক্তির মাধ্যমে মাতৃগর্ভ থেকে জীবিত ও পুর্নাঙ্গ মানুষের বাইরে আসার পথ সহজ করে দেয়। ফলে দেহটি সহী-সালামতে বাইরে চলে আসে এবং মায়েরও এতে তেমন কোন দৈহিক ক্ষতি হয় না। এছাড়া আয়াতের আরেকটি অর্থ হচ্ছে, দুনিয়ায় তিনি তার জন্য নিজের জন্য ভালো বা মন্দ, কৃতজ্ঞতা বা অকৃতজ্ঞতা আনুগত্য বা অবাধ্যতার মধ্যে সে কোন পথ চায় তা তার সামনে খুলে রেখে দিয়েছেন এবং পথ তার জন্য সহজ করে দিয়েছেন। ফলে সে শুকরিয়া আদায় করে সৎপথ গ্রহণ করতে পারে, আবার কুফরী করে বিপথে যেতে পারে। [দেখুন: ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া২০। অতঃপর তার জন্য তার পথ সহজ করে দিয়েছেন। [1]
[1] অর্থাৎ, ভাল-মন্দের পথ স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এ থেকে উদ্দেশ্য হল মায়ের পেট থেকে বের হবার পথ। তবে প্রথম অর্থটিই অধিক শুদ্ধ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতারপর তিনি তাকে মৃত্যু দেন এবং তাকে কবরস্থ করেন। আল-বায়ান
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন। তাইসিরুল
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কাবরস্থ করেন। মুজিবুর রহমান
Then He causes his death and provides a grave for him. Sahih International
২১. এরপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন।
-
তাফসীরে জাকারিয়া২১। অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন। [1]
[1] অর্থাৎ, মৃত্যুর পর তাকে কবরে দাফন করার হুকুম দেওয়া হয়েছে; যাতে তার সম্মান ও কদর বজায় থাকে। নচেৎ হিংস্র পশু-পক্ষী তার লাশকে ছিঁড়ে-ফেড়ে খেতো এবং তাতে তার অসম্মান হত।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতারপর যখন তিনি ইচ্ছা করবেন, তাকে পুনর্জীবিত করবেন। আল-বায়ান
অতঃপর যখন তিনি চাইবেন তাকে আবার জীবিত করবেন। তাইসিরুল
এরপর যখন ইচ্ছা তিনি তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। মুজিবুর রহমান
Then when He wills, He will resurrect him. Sahih International
২২. এরপর যখন ইচ্ছে তিনি তাকে পুনর্জীবিত করবেন।(১)
(১) অর্থাৎ মৃত্যুর পর আল্লাহ্ তা'আলাই মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। একমাত্র তিনিই এগুলো করার ক্ষমতা রাখেন। তারপরও মানুষ তাঁকে অস্বীকার করে, তাঁর হক আদায় করে না। [সা’দী] আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দুই ফুঁৎকারের মধ্যবর্তী সময় হবে চল্লিশ। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথীরা বলল, চল্লিশ দিন? আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি এটা বলতে অস্বীকার করছি, তারা বলল, চল্লিশ বছর? তিনি বললেন, আমি এটা বলতেও অস্বীকার করছি। তারা বলল, তাহলে কি চল্লিশ মাস? তিনি বললেন, আমি এটাও বলতে অস্বীকার করছি। তবে মানুষের সবকিছু পঁচে যায় একমাত্র মেরুদণ্ডের নিম্নভাগের একটি ছোট্ট কোষ ব্যতীত। তার উপরই আবার সৃষ্টি জড়ো হবে।” [বুখারী ৪৮১৪, মুসলিম: ২৯৫৫]
তাফসীরে জাকারিয়া২২। এরপর যখন ইচ্ছা তিনি তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
-
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর যখন কবরগুলো উন্মোচিত হবে। আল-বায়ান
যখন কবরস্থ মানুষদেরকে উঠানো হবে, তাইসিরুল
এবং যখন কাবরসমূহ সমুত্থিত হবে; মুজিবুর রহমান
And when the [contents of] graves are scattered, Sahih International
৪. আর যখন কবরসমূহ উন্মোচিত হবে(১),
(১) প্রথম তিনটি আয়াতে কিয়ামতের প্রথম পর্বের উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই আয়াতে দ্বিতীয় পর্বের কথা বলা হয়েছে। কবর খুলে ফেলার মানে হচ্ছে, তা খুলে তা থেকে মানুষকে আবার নতুন করে জীবিত করে উঠানো। [কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া৪। এবং যখন কবরসমূহ উন্মোচিত হবে; [1]
[1] অর্থাৎ, কবর থেকে মৃতরা জীবন্ত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে। بُعثِرَت এর অর্থ হল, উৎপাটিত হবে অথবা তার মাটিকে উলট-পালট করে দেওয়া হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতখন প্রত্যেকে জানতে পারবে, সে যা আগে পাঠিয়েছে এবং যা পিছনে রেখে গেছে। আল-বায়ান
তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কী আগে পাঠিয়েছিল, আর কী পেছনে ছেড়ে এসেছিল। তাইসিরুল
যখন প্রত্যেকে যা পূর্বে প্রেরণ করেছে এবং পশ্চাতে পরিত্যাগ করেছে তা পরিজ্ঞাত হবে। মুজিবুর রহমান
A soul will [then] know what it has put forth and kept back. Sahih International
৫. তখন প্রত্যেকে জানবে, সে কী আগে পাঠিয়েছে ও কী পিছনে রেখে গিয়েছে।(১)
(১) অর্থাৎ আকাশ বিদীর্ণ হওয়া, নক্ষত্ৰসমূহ ঝরে পড়া, সমুদ্র একাকার হয়ে যাওয়া, কবর থেকে মৃতদের বের হয়ে আসা ইত্যাকার কেয়ামতের ঘটনা যখন ঘটে যাবে, তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি অগ্ৰে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়েছে। মূলে বলা হয়েছে, (مَا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ) এ শব্দগুলোর কয়েকটি অর্থ হতে পারে এবং সবগুলো অর্থই এখানে প্রযোজ্য। এক. যে ভালো ও মন্দ কাজ করে মানুষ আগে পাঠিয়ে দিয়েছে তাকে مَا قَدَّمَتْ এবং যেগুলো করতে সে বিরত থেকেছে তাকে একে مَا أَخَّرَتْ বলা যায়। সুতরাং কেয়ামতের দিনে প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে সৎ অসৎ কি কর্ম করেছে এবং কি সৎ অসৎ কর্ম করেনি। [তাবারী] দুই. যা কিছু প্ৰথমে করেছে তা مَا قَدَّمَتْ এবং যা কিছু পরে করেছে তা مَا أَخَّرَتْ এর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ সম্পাদনের ধারাবাহিকতা ও তারিখ অনুসারে মানুষের প্রত্যেকটি কাজের হিসেব সম্বলিত আমলনামা তার সামনে এসে যাবে। [মুয়াস্সার] তিন. যেসব ভালো বা মন্দ কাজ মানুষ তার জীবনে করেছে সেগুলো (مَا قَدَّمَتْ) এর অন্তর্ভুক্ত। এ মানুষের সমাজে এসব কাজের যে প্রভাব ও ফলাফল সে নিজের পেছনে রেখে এসেছে সেগুলো مَا أَخَّرَتْ এর অন্তর্ভুক্ত। কাজটি সৎ হলে তার সওয়াব সে পেতে থাকবে এবং অসৎ হলে তার গোনাহ আমলানামায় লিখিত হতে থাকবে। হাদীসে আছে “যে ব্যক্তি ইসলামে কোন উত্তম সুন্নত ও নিয়ম চালু করে সে তার সওয়াব সবসময় পেতে থাকবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোন কুপ্ৰথা অথবা পাপ কাজ চালু করে যতদিন মানুষ এই পাপ কাজ করবে ততদিন তার আমলনামায় এর গোনাহ লিখিত হতে থাকবে।” [তিরমিযী: ২৬৭৫, ইবনে মাজহ: ২০৭, মুসনাদে আহমাদঃ ২/৫০৪] [আত-তাফসীরুস সহীহ]
তাফসীরে জাকারিয়া৫। তখন প্রত্যেকেই জানতে পারবে সে পূর্বে যা প্রেরণ করেছে এবং পশ্চাতে কি ছেড়ে এসেছে।[1]
[1] অর্থাৎ, যখন এই উল্লিখিত বিষয়গুলি সংঘটিত হবে, তখন মানুষের কৃত আমল প্রকাশ পেয়ে যাবে। যা কিছু সে ভাল-মন্দ আমল করেছে, তা সামনে উপস্থিত পাবে। পশ্চাতে ছাড়া আমল বলতে উদ্দেশ্য হল, নিজের চাল-চলন এবং আমলের ভাল অথবা মন্দ নমুনা (আদর্শ) যা মানুষ দুনিয়ায় ছেড়ে যায় এবং লোকেরা সেই আদর্শের উপর আমল করে। এবার যদি তার আদর্শ ভাল হয় এবং তার মৃত্যুর পরেও লোকেরা তার আদর্শ অনুসারে আমল করে, তাহলে সেই সওয়াবও তার কাছে পৌঁছতে থাকে। আর যদি সে মন্দ আদর্শ ছেড়ে যায় এবং সেই আদর্শ অনুযায়ী লোকেরা আমল করে, তাহলে সেই পাপের ভাগী সেও হয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানতবে কি সে জানে না যখন কবরে যা আছে তা উত্থিত হবে? আল-বায়ান
সে কি জানে না, কবরে যা আছে তা যখন উত্থিত হবে, তাইসিরুল
তবে কি সে সেই সম্পর্কে অবহিত নয় যে, কবরে যা আছে তা কখন উত্থিত হবে? মুজিবুর রহমান
But does he not know that when the contents of the graves are scattered Sahih International
৯. তবে কি সে জানে না যখন কবরে যা আছে তা উত্থিত হবে,
-
তাফসীরে জাকারিয়া৯। তবে কি সে (তখনকার খবর) জানে না, যখন কবরে যা আছে, তা উত্থিত করা হবে? [1]
[1] بُعثِر শব্দের অর্থ হল, কবর থেকে মৃতব্যক্তিকে জীবিত করে উঠান হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ানআর অন্তরে যা আছে তা প্রকাশিত হবে। আল-বায়ান
আর অন্তরে যা (কিছু লুকানো) আছে তা প্রকাশ করা হবে, তাইসিরুল
এবং অন্তরে যা আছে তা প্রকাশ করা হবে? মুজিবুর রহমান
And that within the breasts is obtained, Sahih International
১০. আর অন্তরে যা আছে তা প্ৰকাশ করা হবে?(১)
(১) অর্থাৎ অন্তরের ভালো-মন্দ পৃথক করে প্রকাশ করে দেওয়া হবে। ফলে গোপনগুলো প্রকাশ হয়ে পড়বে; মানুষের কর্মফল তাদের চেহারায় ফুটে উঠবে। [সা’দী] এ-বক্তব্যটিই অন্যত্র আল্লাহ বলেছেন, “যেদিন গোপন রহস্য যাচাই বাছাই করা হবে।” [সূরা আত-তারিক: ৯] এ দু আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ্ তা'আলা কবর থেকে উত্থিত করে, গোপন বিষয় প্রকাশ করার পর যে বিচার ও প্রতিদান প্ৰদান করা হবে, মানুষ কি তা জানে না? [মুয়াসসার]
তাফসীরে জাকারিয়া১০। এবং অন্তরে যা আছে, তা প্রকাশ করা হবে। [1]
[1] حُصِّل এর মানে হল, অন্তরে যা কিছু গোপন আছে তা প্রকাশ করে দেওয়া হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়াননিশ্চয় তোমার রব সেদিন তাদের ব্যাপারে সবিশেষ অবহিত। আল-বায়ান
নিঃসন্দেহে তাদের প্রতিপালক সেদিন তাদের সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত থাকবেন। তাইসিরুল
সেদিন তাদের কি ঘটবে, তাদের রাব্ব অবশ্যই তা সবিশেষ অবহিত। মুজিবুর রহমান
Indeed, their Lord with them, that Day, is [fully] Acquainted. Sahih International
১১. নিশ্চয় তাদের রব সেদিন তাদের ব্যাপারে সবিশেষ অবহিত।(১)
(১) অর্থাৎ তাদের রব্ব্ তাদের ব্যাপারে অবশ্যই যথেষ্ট অবহিত, তাদের কোন কাজই তার নিকট গোপন নয়। তাদের প্রকাশ্য-অপ্ৰকাশ্য বা গোপন সব কাজ-কর্মই তিনি জানেন। তিনি তাদেরকে এগুলোর উপযুক্ত প্রতিদানও দেবেন। আল্লাহ্ তা'আলা সমসবময়েই তাদের ব্যাপারে জানা সত্বেও এখানে শুধুমাত্র হাশরের দিন তাদের ব্যাপারে অবহিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ কারণে যে, এ-দিন তার জ্ঞানের মাধ্যমেই তিনি সকল গোপন প্রকাশ করে দেবেন, কাফেরদের শাস্তি দেবেন, কাজকর্মের প্রতিদান দেবেন। [সা’দী, ফাতহুল কাদীর, আদওয়াউল বায়ান]
তাফসীরে জাকারিয়া১১। সেদিনে তাদের সম্পর্কে তাদের প্রতিপালক অবশ্যই সবিশেষ অবহিত।[1]
[1] অর্থাৎ, যে প্রভু তাকে কবর থেকে বের করবেন এবং তার অন্তরের রহস্য উদঘাটন করে দেবেন তাঁর ব্যাপারে প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারে যে, তিনি কত খবর রাখেন? আর তাঁর নিকটে কোন কিছু গোপন থাকতে পারে না। সুতরাং তিনি প্রত্যেককে তার নিজ আমলানুযায়ী ভাল অথবা মন্দ প্রতিফল দেবেন। এটা যেন ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য সতর্কবাণী, যারা আল্লাহর নিয়ামত দ্বারা উপকৃত তো হয়, কিন্তু তাঁর কৃতজ্ঞতা না করে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। অনুরূপ মাল-ধনের আসক্তিতে বন্দী হয়ে তার সেই হকসমূহ আদায় করে না, যা আল্লাহ অন্যের প্রাপ্য হিসাবে নির্ধারণ করে রেখেছেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান