আর তারা তার থেকে নিষেধ করে এবং তার থেকে দূরে থাকে। আর তারা ধ্বংস করে কেবল নিজদেরকে, অথচ তারা অনুভব করে না। আল-বায়ান
তারা তা (শোনা) থেকে অন্যদের বিরত করে, আর নিজেরাও তাত্থেকে দূরে সরে থাকে, তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস সাধন করে কিন্তু সে বোধ তাদের নেই। তাইসিরুল
তারা নিজেরাতো তা থেকে বিরত থাকে, অধিকন্ত লোকদেরকেও তারা তা থেকে বিরত রাখতে চায়; বস্তুতঃ তারা ধ্বংস করছে শুধুমাত্র নিজেদেরকেই অথচ তারা অনুভব করছেনা। মুজিবুর রহমান
And they prevent [others] from him and are [themselves] remote from him. And they do not destroy except themselves, but they perceive [it] not. Sahih International
২৬. আর তারা অন্যকে এগুলো শুনা থেকে বিরত রাখে এবং নিজেরাও এগুলো শুনা থেকে দুরে থাকে। আর তারা নিজেরাই শুধু নিজেদেরকে ধ্বংস করে, অথচ তারা উপলব্ধি করে না।(১)
(১) দাহহাক, কাতাদাহ, মুহাম্মদ ইবনে হানফিয়া রাহিমাহুমুল্লাহ প্রমূখ মুফাসসিরগণের মতে এ আয়াত মক্কার কাফেরদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। তারা কুরআন শুনতে ও অনুসরণ করতে লোকদেরকে বারণ করত এবং নিজেরাও তা থেকে দূরে সরে থাকত। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, এ আয়াত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চাচা আবু তালেব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে, তিনি তাকে কাফেরদের উৎপীড়ন থেকে রক্ষা করতেন, কিন্তু কুরআনে বিশ্বাস করতেন না। এমতাবস্থায় عنه শব্দের সর্বনামটির অর্থ কুরআনের পরিবর্তে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হবেন। [মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৩১৫]
তাফসীরে জাকারিয়া(২৬) আর তারা অপরকে তা (কুরআন ও নবীর অনুসরণ) হতে বিরত রাখে এবং নিজেরাও তা থেকে দূরে থাকে।[1] তারা নিজেরা শুধু নিজেদেরকেই ধ্বংস করে, অথচ তারা অনুভব করে না। [2]
[1] অর্থাৎ, সাধারণ লোকেদেরকেও নবী করীম (সাঃ) থেকে এবং কুরআন থেকে বাধা দেয়, যাতে তারা ঈমান না আনে এবং নিজেরাও দূরে দূরে থাকে।
[2] তবে লোকেদেরকে দূরে রেখে এবং নিজেদেরকেও দূরে সরিয়ে রেখে আমার ও আমার নবীর কি ক্ষতি হবে? এই ধরনের কর্ম দ্বারা তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করছে, অথচ তারা টেরও পাচ্ছে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান