আর তাদের কেউ তোমার প্রতি কান পেতে শোনে, কিন্তু আমি তাদের অন্তরের উপর রেখে দিয়েছি আবরণ যেন তারা অনুধাবন না করে, আর তাদের কানে রেখেছি ছিপি। আর যদি তারা প্রতিটি আয়াতও দেখে, তারা তার প্রতি ঈমান আনবে না; এমনকি যখন তারা তোমার কাছে এসে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়, যারা কুফরী করেছে তারা বলে, ‘এটা পূর্ববর্তীদের কল্পকাহিনী ছাড়া কিছুই নয়।’ আল-বায়ান
তাদের মধ্যে কতক লোক আছে যারা তোমার দিকে কান পাতে। তাদের অন্তরের উপর আমি পর্দা ঢেলে দিয়েছি যাতে তারা উপলব্ধি করতে না পারে, তাদের কানে আছে বধিরতা, সমস্ত নিদর্শন দেখলেও তারা তাতে ঈমান আনবে না, এমনকি যখন তারা তোমার কাছে আসে তোমার সাথে বিতর্ক করে। কাফিরগণ বলে এটা তো পূর্বেকার লোকেদের গল্প-কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়। তাইসিরুল
তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যারা মনোযোগ সহকারে কান লাগিয়ে তোমার কথা শুনে থাকে, (অথচ গ্রহণ করেনা) তোমার কথা যাতে তারা ভাল রূপে বুঝতে না পারে সেজন্য আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি এবং তাদের কর্ণে কঠিন ভার (বধিরতা) অর্পণ করেছি। তারা যদি সমস্ত নিদর্শনও অবলোকন করে তবুও তারা ঈমান আনবেনা, এমনকি যখন তারা তোমার কাছে আসে তখন তোমার সাথে অর্থহীন বির্তক জুড়ে দেয়, আর তাদের কাফির লোকেরা (সব কথা শোনার পর) বলেঃ এটা প্রাচীন কালের লোকদের কিস্সা কাহিনী ব্যতীত আর কিছুই নয়। মুজিবুর রহমান
And among them are those who listen to you, but We have placed over their hearts coverings, lest they understand it, and in their ears deafness. And if they should see every sign, they will not believe in it. Even when they come to you arguing with you, those who disbelieve say, "This is not but legends of the former peoples." Sahih International
২৫. আর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক আপনার প্রতি কান পেতে শুনে, কিন্তু আমরা তাদের অন্তরের উপর আবরণ করে দিয়েছি যেন তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে; আর আমরা তাদের কানে বধিরতা তৈরী করেছি।(১) আর যদি সমস্ত আয়াতও তারা প্রত্যক্ষ করে তবুও তারা তাতে ঈমান আনবে না। এমনকি তারা যখন আপনার কাছে উপস্থিত হয়, তখন তারা আপনার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়, যারা কুফরী করেছে তারা বলে, এটাতো আগেকার দিনের উপকথা ছাড়া আর কিছু নয়।
(১) মুজাহিদ বলেন, এখানে কুরাইশদের কথা বলা হচ্ছে, তারাই কান পেতে শুনত। [আত-তাফসীরুস সহীহ] কাতাদাহ বলেন, মুশরিকরা তাদের কান দিয়ে শুনত কিন্তু সেটা তারা বুঝতো না। তারা জন্তু-জানোয়ারদের মতো, যারা কেবল হাকডাকই শুনতে পায়। তাদেরকে কি বলা হচ্ছে সেটা জানে না। [তাফসীর আবদির রাযযাক]
তাফসীরে জাকারিয়া(২৫) আর তাদের মধ্যে কিছু লোক তোমার দিকে কান পেতে রাখে,[1] কিন্তু আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়েছি যেন তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদেরকে বধির করেছি।[2] সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করলেও তারা তাতে বিশ্বাস করবে না। এমন কি তারা যখন তোমার নিকট উপস্থিত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়, তখন অবিশ্বাসীগণ বলে, ‘এ তো সে কালের উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।’[3]
[1] অর্থাৎ, এই মুশরিকরা তোমার কাছে এসে কুরআন তো শোনে, কিন্তু হিদায়াত লাভের উদ্দেশ্য না থাকার কারণে তা তাদের জন্য ফলপ্রসূ হয় না।
[2] এ ছাড়াও কুফরীর ফলস্বরূপও তাদের অন্তরে আমি আবরণ রেখে দিয়েছি এবং তাদের কান বোঝাল করে দিয়েছি। ফলে তাদের অন্তর সত্য কথা বুঝতে অক্ষম এবং তাদের কান সত্য শুনতে অপারগ।
[3] এখন ওরা ভ্রষ্টতার এমন ফাঁদে ফেঁসে গেছে যে, বৃহৎ থেকে বৃহত্তর মু’জিযাও যদি তারা দেখে নেয়, তবুও ঈমান আনার তাওফীক লাভ থেকে বঞ্চিতই থাকবে এবং তারা বিরুদ্ধাচরণ ও অমান্য করাতে এমন সীমা ছাড়িয়ে গেছে যে, কুরআন কারীমকে পূর্ববর্তীদের কেচ্ছা-কাহিনী বৈ কিছুই ভাবে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান