নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে লানত করেন এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অপমানজনক আযাব। আল-বায়ান
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত করেছেন আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অপমানজনক শাস্তি। তাইসিরুল
যারা আল্লাহ ও রাসূলকে পীড়া দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত করেন এবং তিনি তাদের জন্য রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। মুজিবুর রহমান
Indeed, those who abuse Allah and His Messenger - Allah has cursed them in this world and the Hereafter and prepared for them a humiliating punishment. Sahih International
৫৭. নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে লা’নত করেন এবং তিনি তাদের জন্য প্ৰস্তুত রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।(১)
(১) যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কোন প্রকার কষ্ট দেয়, তার সত্তা অথবা গুণাবলীতে প্রকাশ্য অথবা ইঙ্গিতে কোন দোষ বের করে, সে কাফের হয়ে যায়। [দেখুন: আত-তাহরীর ওয়াত তানওয়ীর; মুয়াসসার]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৭) যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তো তাদেরকে ইহলোকে ও পরলোকে অভিশপ্ত করেন এবং তিনি তাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। [1]
[1] আল্লাহ তাআলাকে কষ্ট দেওয়ার অর্থ হল ঐ সকল কাজ করা, যা তিনি অপছন্দ করেন। তাছাড়া আল্লাহকে কষ্ট দেওয়ার ক্ষমতা কে রাখে? যেমন মুশরিক, ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় আল্লাহর জন্য সন্তান সাব্যস্ত করে। অথবা যেমন হাদীসে কুদসীতে আছে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘‘আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়, তারা যুগকে গালি দেয়, অথচ আমিই যুগ। দিবারাত্রির আবর্তন আমিই করে থাকি।’’ (বুখারী, মুসলিম) সুতরাং ‘যুগ বড় খারাপ, টেরা রাশিচক্র’ ইত্যাদি অনুরূপ কোন কথা বলা ঠিক নয়। কারণ প্রাকৃতিক কর্ম আল্লাহর হাতে, কোন যুগ বা রাশিচক্রের নয়। আর আল্লাহর রসূল (সাঃ)-কে কষ্ট দেওয়ার অর্থ হল, তাঁকে মিথ্যা মনে করা, তাঁকে কবি, মিথ্যুক, যাদুগর ইত্যাদি বলা। এ ছাড়া হাদীসে সাহাবায়ে কিরামগণকে কষ্ট দেওয়া এবং তাঁদের অমর্যাদা করা ও তুচ্ছ ভাবাকেও নবী (সাঃ) নিজের জন্য কষ্ট দেওয়া বলেছেন। অভিশপ্তের অর্থ, আল্লাহর রহমত থেকে দূরীভূত ও বঞ্চিত হওয়া।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান