‘তোমরা কি আশ্চর্য হচ্ছো যে, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তির নিকট উপদেশ এসেছে, যাতে সে তোমাদেরকে সতর্ক করে? আর তোমরা স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদেরকে নূহের কওমের পর স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন এবং সৃষ্টিতে তোমাদেরকে দৈহিক গঠন ও শক্তিতে সমৃদ্ধ করেছেন। সুতরাং তোমরা স্মরণ কর আল্লাহর নিআমতসমূহকে, যাতে তোমরা সফলকাম হও’। আল-বায়ান
তোমরা কি আশ্চর্য হচ্ছ যে, তোমাদেরই মধ্যে একজন লোকের উপর তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে উপদেশ এসেছে তোমাদেরকে সাবধান করার উদ্দেশে। আরো স্মরণ কর তিনি তোমাদেরকে নূহের কওমের পর তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন আর দৈহিক গঠনে অধিকতর বলিষ্ঠ করেছেন, কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর যাতে তোমরা সাফল্যমন্ডিত হতে পার।’ তাইসিরুল
তোমরা কি এতে বিস্মিত হচ্ছ যে, তোমাদের জাতিরই একটি লোকের মাধ্যমে তোমাদের রবের পক্ষ হতে তাঁর বিধান ও উপদেশসহ তোমাদেরকে সতর্ক করার উদ্দেশে তোমাদের কাছে এসেছে? তোমরা সেই অবস্থার কথা স্মরণ কর যখন নূহের সম্প্রদায়ের পর আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এবং তোমাদেরকে অন্যদের অপেক্ষা শক্তিতে অধিকতর বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন। তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, হয়তো তোমরা সফলকাম হবে। মুজিবুর রহমান
Then do you wonder that there has come to you a reminder from your Lord through a man from among you, that he may warn you? And remember when He made you successors after the people of Noah and increased you in stature extensively. So remember the favors of Allah that you might succeed. Sahih International
৬৯. তোমরা কি বিস্মিত হচ্ছ যে, তোমাদের কাছে তোমাদের একজনের মাধ্যমে তোমাদের রবের কাছ থেকে তোমাদেরকে সতর্ক করার জন্য উপদেশ এসেছে(১)? এবং স্মরণ কর যে, আল্লাহ তোমাদেরকে নুহের সম্প্রদায়ের (ধ্বংসের) পরে তোমাদেরকে (তোমাদের আগের লোকদের) স্থলাভিষিক্ত করেছেন(২) এবং সৃষ্টিতে (দৈহিক গঠনে) তোমাদেরকে বেশী পরিমাণে হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ করেছেন। কাজেই তোমরা আল্লাহ্র অনুগ্রহসমূহ স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
(১) এখানে আদ জাতির সে আপত্তির কথাই উল্লেখ করা হয়েছে, যা তাদের পূর্বে নূহ 'আলাইহিস সালামের সম্প্রদায় উত্থাপন করেছিল। অর্থাৎ আমরা নিজেদেরই মত কোন মানুষকে নেতারূপে কিভাবে মেনে নিতে পারি? কোন ফিরিশতা হলে মেনে নেয়া সম্ভবপর ছিল। এর উত্তরেও হুদ আলাইহিস সালাম তেমনি জবাব দিয়েছিলেন, যা নূহ আলাইহিস সালাম দিয়েছিলেন। অর্থাৎ এটা আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, কোন মানুষ আল্লাহ্র রাসূল হয়ে মানুষকে ভয় প্রদর্শনের জন্য আসবেন। কেননা মানুষকে বুঝানোর জন্য মানুষেরই নবী হওয়া বাস্তবসম্মত হতে পারে।
(২) আদ জাতির পূর্বে নুহ আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের উপর পতিত মহাশক্তির স্মৃতি তখনো মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। তাই হুদ আলাইহিস সালাম আযাবের কঠোরতা বর্ণনা করা প্রয়োজন মনে করেননি। বরং এতটুকু বলাই যথেষ্ট মনে করেছেন যে, তোমরা কি ভয় করনা?
তাফসীরে জাকারিয়া(৬৯) তোমরা কি আশ্চর্যবোধ করছ যে, তোমাদেরই একজনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের নিকট উপদেশ এসেছে, যাতে সে তোমাদেরকে সতর্ক করে? স্মরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে নূহের সম্প্রদায়ের পরে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এবং তোমাদেরকে অবয়ব ও শক্তিতে (অন্য লোক অপেক্ষা অধিকতর) সমৃদ্ধ করেছেন।[1] সুতরাং তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, হয়তো তোমরা সফলকাম হবে।’
[1] অন্য এক স্থানে মহান আল্লাহ এদের সম্পর্কে বলেন, {لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلادِ} ‘‘(শক্তি ও বলবীর্যে) যাদের সমতুল্য কোন দেশে সৃজিত হয়নি।’’ (সূরা ফাজর ৮) নিজেদের এই শক্তি-সামর্থ্যের অহংকারে পড়ে দম্ভ করে তারা বলল, مَنْ أَشَدُّ مِنَّا قُوَّةً ‘‘আমাদের চেয়ে অধিক শক্তিধর আর কে আছে?’’ মহান আল্লাহ বললেন, ‘‘যে আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিধর।’’ (হা-মীম সাজদাহ ১৫)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান