পরিচ্ছেদঃ ৯/১. সালাতের সময় ও তার গুরুত্ব।
وَقَوْلِهِ )إِنَّ الصَلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا مُوَقَّتًا وَقَّتَهُ عَلَيْهِمْ(
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘নিশ্চয়ই সালাত নির্ধারিত সময়ে আদায় করা মু’মিনদের উপর ফার্য (ফরয)।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/১০৩)
৫২১. ইবনু শিহাব (রহ.) হতে বর্ণিত। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহ.) একদা কোন এক সালাত আদায়ে বিলম্ব করলেন। তখন ‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রাযি.) তাঁর নিকট গেলেন এবং তাঁর নিকট বর্ণনা করলেন যে, ইরাকে অবস্থানকালে মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাযি.) একদা এক সালাত আদায়ে বিলম্ব করেছিলেন। ফলে আবূ মাস‘ঊদ আনসারী (রাযি.) তাঁর নিকট গিয়ে বললেন, হে মুগীরাহ! একী? তুমি কি অবগত নও যে, জিব্রীল (‘আ.) অবতরণ করে সালাত আদায় করলেন, আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সালাত আদায় করলেন। আবার তিনি সালাত আদায় করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সালাত আদায় করলেন। পুনরায় তিনি সালাত আদায় করলেন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সালাত আদায় করলেন। আবার তিনি সালাত আদায় করলেন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সালাত আদায় করলেন। পুনরায় তিনি সালাত আদায় করলেন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সালাত আদায় করলেন। অতঃপর জিব্রীল (‘আ.) বললেন, আমি এজন্য আদিষ্ট হয়েছি। ‘উমার (ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয) (রহ.) ‘উরওয়াহ (রহ.)-কে বললেন, ‘‘তুমি যা রিওয়ায়াত করছ তা একটু ভেবে দেখ। জিব্রীলই কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য সালাতের ওয়াক্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন?’’ ‘উরওয়াহ (রহ.) বললেন, বাশীর ইবনু আবূ মাস‘ঊদ (রহ.) তার পিতা হতে এমনই বর্ণনা করতেন। (৩২২১, ৪০০৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৯৭)
بَاب مَوَاقِيتِ الصَلاَةِ وَفَضْلِهَا
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخَّرَ الصَّلاَةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ الصَّلاَةَ يَوْمًا وَهُوَ بِالْعِرَاقِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ بِهَذَا أُمِرْتُ فَقَالَ عُمَرُ لِعُرْوَةَ اعْلَمْ مَا تُحَدِّثُ أَوَأَنَّ جِبْرِيلَ هُوَ أَقَامَ لِرَسُولِ اللهِ وَقْتَ الصَّلاَةِ قَالَ عُرْوَةُ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ.
Narrated Ibn Shihab:
Once `Umar bin `Abdul `Aziz delayed the prayer and `Urwa bin Az-Zubair went to him and said, "Once in 'Iraq, Al-Mughira bin Shu`ba delayed his prayers and Abi Mas`ud Al-Ansari went to him and said, 'O Mughira! What is this? Don't you know that once Gabriel came and offered the prayer (Fajr prayer) and Allah's Messenger (ﷺ) prayed too, then he prayed again (Zuhr prayer) and so did Allah's Apostle and again he prayed (`Asr prayers and Allah's Messenger (ﷺ) did the same; again he prayed (Maghrib-prayer) and so did Allah's Messenger (ﷺ) and again prayed (`Isha prayer) and so did Allah's Apostle and (Gabriel) said, 'I was ordered to do so (to demonstrate the prayers prescribed to you)?'" `Umar (bin `Abdul `Aziz) said to `Urwa, "Be sure of what you Say. Did Gabriel lead Allah's Messenger (ﷺ) at the stated times of the prayers?" `Urwa replied, "Bashir bin Abi Mas`ud narrated like this on the authority of his father."
পরিচ্ছেদঃ ৯/১১. যুহরের সময় হয় সূর্য ঢলে পড়ার পর।
وَقَالَ جَابِرٌ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِالْهَاجِرَةِ.
জাবির (রাযি.) বলেন, দুপুরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করতেন।
৫৪০. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সূর্য ঢলে পড়লে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে এলেন এবং যুহরের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর মিম্বারে দাঁড়িয়ে কিয়ামত সম্বন্ধে আলোচনা করেন এবং বলেন যে, কিয়ামতে বহু ভয়ানক ঘটনা ঘটবে। অতঃপর তিনি বলেন, আমাকে কেউ কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাইলে করতে পারে। আমি যতক্ষণ এ বৈঠকে আছি, এর মধ্যে তোমরা আমাকে যা কিছু জিজ্ঞেস করবে আমি তা জানিয়ে দিবো। এ শুনে লোকেরা খুব কাঁদতে শুরু করলো। আর তিনি বারবার বলতে থাকলেনঃ আমাকে প্রশ্ন কর, আমাকে প্রশ্ন কর। এ সময় ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু হুযাফা সাহমী (রাযি.) দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আমার পিতা কে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার পিতা ‘হুযাফা’। অতঃপর তিনি অনেকবার বললেনঃ আমাকে প্রশ্ন কর। তখন ‘উমার (রাযি.) নতজানু হয়ে বসে বললেন, ‘‘আমরা আল্লাহকে প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে নবী হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব থাকলেন। কিছুক্ষণ পর বললেনঃ এক্ষুণি এ দেওয়ালের পাশে জান্নাত ও জাহান্নাম আমার সামনে তুলে ধরা হয়েছিল; এতো উত্তম ও এতো নিকৃষ্টের মতো কিছু আমি আর দেখিনি। (৯৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫১৩)
بَاب وَقْتُ الظُّهْرِ عِنْدَ الزَّوَالِ
أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ حِينَ زَاغَتْ الشَّمْسُ فَصَلَّى الظُّهْرَ فَقَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَذَكَرَ السَّاعَةَ فَذَكَرَ أَنَّ فِيهَا أُمُورًا عِظَامًا ثُمَّ قَالَ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ شَيْءٍ فَلْيَسْأَلْ فَلاَ تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلاَّ أَخْبَرْتُكُمْ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا فَأَكْثَرَ النَّاسُ فِي الْبُكَاءِ وَأَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ سَلُونِي فَقَامَ عَبْدُ اللهِ بْنُ حُذَافَةَ السَّهْمِيُّ فَقَالَ مَنْ أَبِي قَالَ أَبُوكَ حُذَافَةُ ثُمَّ أَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ سَلُونِي فَبَرَكَ عُمَرُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ رَضِينَا بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا فَسَكَتَ ثُمَّ قَالَ عُرِضَتْ عَلَيَّ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ آنِفًا فِي عُرْضِ هَذَا الْحَائِطِ فَلَمْ أَرَ كَالْخَيْرِ وَالشَّرِّ.
Narrated Anas bin Malik:
Allah's Messenger (ﷺ) came out as the sun declined at midday and offered the Zuhr prayer. He then stood on the pulpit and spoke about the Hour (Day of Judgment) and said that in it there would be tremendous things. He then said, "Whoever likes to ask me about anything he can do so and I shall reply as long as I am at this place of mine. Most of the people wept and the Prophet (ﷺ) said repeatedly, "Ask me." `Abdullah bin Hudhafa As-Sahmi stood up and said, "Who is my father?" The Prophet (ﷺ) said, "Your father is Hudhafa." The Prophet (ﷺ) repeatedly said, "Ask me." Then `Umar knelt before him and said, "We are pleased with Allah as our Lord, Islam as our religion, and Muhammad as our Prophet." The Prophet then became quiet and said, "Paradise and Hell-fire were displayed in front of me on this wall just now and I have never seen a better thing (than the former) and a worse thing (than the latter).
পরিচ্ছেদঃ ৯/১৩. ‘আসরের ওয়াক্ত।
৫৪৫. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন সময় ‘আসরের সালাত আদায় করেছেন যে, সূর্যরশ্মি তখনো তাঁর ঘরের মধ্যে ছিল, আর ছায়া তখনো তাঁর ঘর হতে বেরিয়ে পড়েনি। (৫২২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫১৮)
بَاب وَقْتُ الْعَصْرِ
قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَظْهَرْ الْفَيْءُ مِنْ حُجْرَتِهَا.
Narrated `Aisha:
Allah's Messenger (ﷺ) used to offer the `Asr prayers at a time when the sunshine was still inside my chamber and no shadow had yet appeared in it.
পরিচ্ছেদঃ ৯/১৮. মাগরিবের ওয়াক্ত।
৫৬০. মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর ইবনু হাসান ইবনু ‘আলী (রহ.) হতে বর্ণিত। মুহাম্মাদ ইবনু আমার (রহ.) বলেন, হাজ্জাজ (ইবনু ইউসুফ) (মদ্বীনায়) এলে আমরা জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.)-কে সালাতের ওয়াক্ত সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম, (কেননা, হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ বিলম্ব করে সালাত আদায় করতেন)। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত প্রচন্ড গরমের সময় আদায় করতেন। আর ‘আসরের সালাত সূর্য উজ্জ্বল থাকতে আদায় করতেন, মাগরিবের সালাত সূর্য অস্ত যেতেই আর ‘ইশার সালাত বিভিন্ন সময়ে আদায় করতেন। যদি দেখতেন, সকলেই সমবেত হয়েছেন, তাহলে সকাল সকাল আদায় করতেন। আর যদি দেখতেন, লোকজন আসতে দেরী করছে, তাহলে বিলম্বে আদায় করতেন। আর ফজরের সালাত তাঁরা কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকার থাকতে আদায় করতেন। (৫৬৫; মুসলিম ৫/৪০, হাঃ ৬৪৬, আহমাদ ১৪৯৭৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৩৩)
بَاب وَقْتُ الْمَغْرِبِ
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ قَدِمَ الْحَجَّاجُ فَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ فَقَالَ كَانَ النَّبِيُّ يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَاجِرَةِ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ نَقِيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا وَجَبَتْ وَالْعِشَاءَ أَحْيَانًا وَأَحْيَانًا إِذَا رَآهُمْ اجْتَمَعُوا عَجَّلَ وَإِذَا رَآهُمْ أَبْطَوْا أَخَّرَ وَالصُّبْحَ كَانُوا أَوْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهَا بِغَلَسٍ.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) used to pray the Zuhr at midday, and the `Asr at a time when the sun was still bright, the Maghrib after sunset (at its stated time) and the `Isha at a variable time. Whenever he saw the people assembled (for `Isha' prayer) he would pray earlier and if the people delayed, he would delay the prayer. And they or the Prophet (ﷺ) used to offer the Fajr Prayers when it still dark.
পরিচ্ছেদঃ ৯/২২. ‘ইশার সালাতের মর্যাদা।
৫৬৭. আবূ মূসা (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও আমার সাথীরা-যারা (আবিসিনিয়া হতে) জাহাজ মারফত আমার সঙ্গে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন- বাকী‘য়ে বুতহানের একটা মুক্ত এলাকায় বসবাসরত ছিলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থাকতেন মদিনা্য়। বুতহানের অধিবাসীরা পালাক্রমে একদল করে প্রতি রাতে ‘ইশার সালাতের সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিদমতে আসতেন। পালাক্রমে ‘ইশার সালাতের সময় আমি ও আমার কতিপয় সঙ্গী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে হাযির হলাম। তখন তিনি কোনো কাজে খুব ব্যস্ত ছিলেন, ফলে সালাত আদায়ে বিলম্ব করলেন। এমন কি রাত অর্ধেক হয়ে গেলো। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে এলেন এবং সবাইকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষে তিনি উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে বললেনঃ প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে বসে যাও। তোমাদের সুসংবাদ দিচ্ছি যে, আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য এটি এক নিয়ামত যে, তোমরা ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ এ মুহূর্তে সালাত আদায় করছে না। কিংবা তিনি বলেছিলেনঃ তোমরা ছাড়া কোন উম্মাত এ সময় সালাত আদায় করেনি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন্ বাক্যটি বলেছিলেন বর্ণনাকারী তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। আবূ মূসা (রাযি.) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এ কথা শুনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত মনে বাড়ি ফিরলাম। (মুসলিম ৫/৩৯, হাঃ ৬৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৪০)
بَاب فَضْلِ الْعِشَاءِ
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأَصْحَابِي الَّذِينَ قَدِمُوا مَعِي فِي السَّفِينَةِ نُزُولاً فِي بَقِيعِ بُطْحَانَ وَالنَّبِيُّ بِالْمَدِينَةِ فَكَانَ يَتَنَاوَبُ النَّبِيَّ عِنْدَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ كُلَّ لَيْلَةٍ نَفَرٌ مِنْهُمْ فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ أَنَا وَأَصْحَابِي وَلَهُ بَعْضُ الشُّغْلِ فِي بَعْضِ أَمْرِهِ فَأَعْتَمَ بِالصَّلاَةِ حَتَّى ابْهَارَّ اللَّيْلُ ثُمَّ خَرَجَ النَّبِيُّ فَصَلَّى بِهِمْ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ لِمَنْ حَضَرَهُ عَلَى رِسْلِكُمْ أَبْشِرُوا إِنَّ مِنْ نِعْمَةِ اللهِ عَلَيْكُمْ أَنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ مِنْ النَّاسِ يُصَلِّي هَذِهِ السَّاعَةَ غَيْرُكُمْ أَوْ قَالَ مَا صَلَّى هَذِهِ السَّاعَةَ أَحَدٌ غَيْرُكُمْ لاَ يَدْرِي أَيَّ الْكَلِمَتَيْنِ قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى فَرَجَعْنَا فَفَرِحْنَا بِمَا سَمِعْنَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Abu Musa:
My companions, who came with me in the boat and I landed at a place called Baqi [??] Buthan [??] . The Prophet (ﷺ) was in Medina at that time. One of us used to go to the Prophet (ﷺ) by turns every night at the time of the `Isha prayer. Once I along with my companions went to the Prophet (ﷺ) and he was busy in some of his affairs, so the `Isha' prayer was delayed to the middle of the night He then came out and led the people (in prayer). After finishing from the prayer, he addressed the people present there saying, "Be patient! Don't go away. Have the glad tiding. It is from the blessing of Allah upon you that none amongst mankind has prayed at this time save you." Or said, "None except you has prayed at this time." Abu Musa added, 'So we returned happily after what we heard from Allah's Messenger (ﷺ) ."
পরিচ্ছেদঃ ৯/২৫. রাতের অর্ধাংশ পর্যন্ত ‘ইশার সময়।
وَقَالَ أَبُو بَرْزَةَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَحِبُّ تَأْخِيرَهَا
আবূ বারযাহ (রাযি.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইশার সালাত দেরিতে আদায় করা পছন্দ করতেন।
৫৭২. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইশার সালাত অর্ধেক রাত পর্যন্ত বিলম্ব করলেন। অতঃপর সালাত আদায় করে তিনি বললেনঃ লোকেরা নিশ্চয়ই সালাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েছে। শোন! তোমরা যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষায় ছিলে ততক্ষণ তোমরা সালাতেই ছিলে। ইবনু আবূ মারইয়াম (রহ.)-এর বর্ণনায় আরও আছে, তিনি বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবনু আইউব (রহ.) হুমায়দ (রহ.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (হুমায়দ) আনাস (রাযি.)-কে বলতে শুনেছেন, সে রাতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আংটির উজ্জ্বলতা আমি যেন এখনও দেখতে পাচ্ছি। (৬০০, ৬৬১, ৮৪৭, ৫৮৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৪৪)
بَاب وَقْتِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ
عَبْدُ الرَّحِيمِ الْمُحَارِبِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ أَخَّرَ النَّبِيُّ صَلاَةَ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ ثُمَّ صَلَّى ثُمَّ قَالَ قَدْ صَلَّى النَّاسُ وَنَامُوا أَمَا إِنَّكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرْتُمُوهَا وَزَادَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ خَاتَمِهِ لَيْلَتَئِذٍ.
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) delayed the `Isha' prayer till midnight and then he offered the prayer and said, "The people prayed and slept but you have been in prayer as long as you have been waiting for it (the prayer)." Anas added: As if I am looking now at the glitter of the ring of the Prophet (ﷺ) on that night.
পরিচ্ছেদঃ ৯/২৯. যে ব্যক্তি সালাতের এক রাক‘আত পেল।
৫৮০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন সালাতের এক রাক‘আত পায়, সে সালাত পেলো। (৫৫৬; মুসলিম ৫/৩০, হাঃ ৬০৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৫৩)
بَاب مَنْ أَدْرَكَ مِنْ الصَّلاَةِ رَكْعَةً
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلاَةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلاَةَ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever could get one rak`a of a prayer, (in its proper time) he has got the prayer."
পরিচ্ছেদঃ ৪/ ঠাণ্ডার মধ্যে যোহরের নামায তাড়াতাড়ি পড়া।
৫০০। উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... খালিদ ইবনু দ্বীনার খালদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গরমের সময় (যোহরের সালাত) বিলম্বে এবং ঠাণ্ডার সময় তাড়াতাড়ি আদায় করতেন।
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ دِينَارٍ أَبُو خَلْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ الْحَرُّ أَبْرَدَ بِالصَّلاَةِ وَإِذَا كَانَ الْبَرْدُ عَجَّلَ .
Khalid bin Dinar Abu Khaldah said:
"I heard Anas bin Malik say: 'When it was hot, the Messenger of Allah (ﷺ) would wait until it cooled down to pray, and when it was cold he would hasten to pray.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫/ প্রচণ্ড গরম হলে যোহরের নামায গরম কমলে পড়া।
৫০১। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গরম প্রচন্ড হলে সালাত বিলম্ব করে আদায় কর। কেননা গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের ভাপ।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ " .
It was narrated that Abu Hurairah said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'If it is very hot, wait until it cools down before you pray, for intense heat is a breeze from Hell.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬/ যোহরের নামাযের শেষ সময়।
৫০৪। আবূ আব্দুর রহমান আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ আযরামী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গ্রীষ্মকালে যোহরের সালাত আদায় করতেন যখন কোন ব্যাক্তির ছায়া তিন হতে পাঁচ কদমের মধ্যে হতো এবং শীতকালে ছায়া যখন পাঁচ হতে সাত কদমের মধ্যে হতো।
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَذْرَمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَ قَدْرُ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فِي الصَّيْفِ ثَلاَثَةَ أَقْدَامٍ إِلَى خَمْسَةِ أَقْدَامٍ وَفِي الشِّتَاءِ خَمْسَةَ أَقْدَامٍ إِلَى سَبْعَةِ أَقْدَامٍ .
It was narrated that 'Abdullah bin Mas'ud said:
"The Prophet (ﷺ) prayed Zuhr when the length of (a person's shadow) was between three and five feet in summer, and between five and seven feet in winter."
পরিচ্ছেদঃ ৮/ আসরের নামায তাড়াতাড়ি পড়া।
৫০৬। কুতায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এমন সময়) আসরের সালাত আদায় করলেন যে, সুর্যরশ্মি তখনও তাঁর ঘরে ছিলো এবং সুর্যরশ্মি তখনো গৃহের আঙিনা থেকে উপরে উঠেনি।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى صَلاَةَ الْعَصْرِ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَظْهَرِ الْفَىْءُ مِنْ حُجْرَتِهَا .
It was narrated from 'Aishah that the Messenger of Allah (ﷺ) prayed 'Asr when the sun was in her room and the shadow had not appeared on her wall.
পরিচ্ছেদঃ ৯/ আসরের নামায বিলম্বে আদায়ের ব্যাপারে সাবধান বানী।
৫১২। আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... আ’লা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি যোহরের সালাত আদায় করার পর আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বসরায় অবস্থিত বাসস্থানে গেলেন। তাঁর বাড়ি মসজিদের পার্শ্বেই ছিল। আ’লা (রহঃ) বলেন, যখন আমরা তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি আসরের সালাত আদায় করেছ? আমরা বললাম, না। আমরা তো এইমাত্র যোহরের সালাত আদায় করলাম। তিনি বললেন, এখন আসরের সালাত আদায় কর।
আ’লা বলেন, আমরা তত্ক্ষনাত সালাতে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং সালাত আদায় করলাম। সালাত শেষে তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, এটা মুনাফিকের সালাত যে, বসে সালাতের অপেক্ষারত থাকে, তারপর সুর্য যখন শয়তানের দুই শিং-এর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে (সূর্যাস্তের সময় নিকটবর্তী হয়ে যায়) তখন (তাড়াহুড়া করে মোরগের মত) চারটি ঠোকর মারে এবং তাতে আল্লাহ তা’আলার স্মরণ সামান্যই করে।
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ مُقَاتِلِ بْنِ مُشَمْرِجِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فِي دَارِهِ بِالْبَصْرَةِ حِينَ انْصَرَفَ مِنَ الظُّهْرِ - وَدَارُهُ بِجَنْبِ الْمَسْجِدِ - فَلَمَّا دَخَلْنَا عَلَيْهِ قَالَ أَصَلَّيْتُمُ الْعَصْرَ قُلْنَا لاَ إِنَّمَا انْصَرَفْنَا السَّاعَةَ مِنَ الظُّهْرِ . قَالَ فَصَلُّوا الْعَصْرَ . قَالَ فَقُمْنَا فَصَلَّيْنَا فَلَمَّا انْصَرَفْنَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " تِلْكَ صَلاَةُ الْمُنَافِقِ جَلَسَ يَرْقُبُ صَلاَةَ الْعَصْرِ حَتَّى إِذَا كَانَتْ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ قَامَ فَنَقَرَ أَرْبَعًا لاَ يَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فِيهَا إِلاَّ قَلِيلاً "
Al-'Ala' narrated to us that he entered upon Anas bin Malik in his house in Al-Basrah, when he had finished Zuhr, and his house was beside the Masjid. "When we entered upon him, he said:
'Have you prayed 'Asr?' We said: 'No, we have just finished Zuhr.' He said: 'Pray 'Asr.' So we got up and prayed, and when we finished he said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "That is the prayer of the hypocrite: he sits and delays 'Asr prayer until (the sun) is between the horns of the Shaitan, then he gets up and pecks four (Rak'ahs) in which he only remembers Allah a little.'"
পরিচ্ছেদঃ ১০/ আসরের শেষ সময় প্রসঙ্গে।
৫১৪। ইউসুফ ইবনু ওয়াদিহ (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতের ওয়াক্ত শিক্ষা দেয়ার জন্য আসলেন। তারপর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) সামনে দাঁড়ালেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পেছনে এবং অনান্য লোকেরা দাঁড়ালেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে। এরপর যোহরের সালাত আদায় করলেন যখন সুর্য ঢলে পড়লো, আবার যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার বরাবর হল, তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আগমন করলেন এবং পূর্বের মত তিনি আগে দাঁড়ালেন, আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পেছনে এবং অনান্য লোকগণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর পেছনে (সারিবদ্ধ হয়ে) দাঁড়িয়ে গেলেন। (এভাবে) আসরের সালাত আদায় করলেন। পুনরায় সূর্যাস্তের পর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আসলেন এবং সামনে দাঁড়ালেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পেছনে এবং অনান্য লোকগণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে দাঁড়িয়ে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। আবার সূর্যাস্তের পর যখন শফক অদৃশ্য হয়ে গেলো, তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আসলেন এবং সামনে দাঁড়ালেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পেছনেদাঁড়ালেন এবং লোকগণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর পেছনে দাঁড়িয়ে গেলেন। এইভাবে ইশার সালাত আদায় করলেন। পুনরায় প্রভাত হওয়ার পর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আসলেন এবং সামনে দাঁড়ালেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পেছনে ও অনান্য লোকগণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর পেছনে দাঁড়িয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন।
তারপর দ্বিতীয় দিন আসলেন যখন লোকের ছায়া তার সমান হল। তখন গতদিন যেরূপ করা হয়েছিল সেরূপ করা হল-- যোহরের সালাত আদায় করলেন। পরে আবার তিনি আসলেন যখন লোকের ছায়া তার দ্বিগুন হল, তখন গত দিনের ন্যায় আসরের সালাত আদায় করলেন। আবার আসলেন যখন সুর্য অস্তমিত হয়ে গেল, তখন গত দিনের ন্যায় মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। পরে আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে জাগলাম, পুনরায় ঘুমিয়ে ঘুম থেকে জাগলাম। এরপর তিনি এসে পূর্বের ন্যায় ’ইশার সালাত আদায় করলেন। পুনরায় আসলেন যখন প্রভাত হল এবং (আকাশে) তারকাগুলি দৃশ্যমান ছিল। তখনও পূর্বের ন্যায় ফজরের সালাত আদায় করলেন। তারপর বললেনঃ উভয় দিনের সালাতের মধ্যবর্তী সময় সালাতের জন্য নির্ধারিত।
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ وَاضِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا قُدَامَةُ، - يَعْنِي ابْنَ شِهَابٍ - عَنْ بُرْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ جِبْرِيلَ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُهُ مَوَاقِيتَ الصَّلاَةِ فَتَقَدَّمَ جِبْرِيلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَلْفَهُ وَالنَّاسُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى الظُّهْرَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَأَتَاهُ حِينَ كَانَ الظِّلُّ مِثْلَ شَخْصِهِ فَصَنَعَ كَمَا صَنَعَ فَتَقَدَّمَ جِبْرِيلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَلْفَهُ وَالنَّاسُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ أَتَاهُ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ فَتَقَدَّمَ جِبْرِيلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَلْفَهُ وَالنَّاسُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ أَتَاهُ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ فَتَقَدَّمَ جِبْرِيلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَلْفَهُ وَالنَّاسُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى الْعِشَاءَ ثُمَّ أَتَاهُ حِينَ انْشَقَّ الْفَجْرُ فَتَقَدَّمَ جِبْرِيلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَلْفَهُ وَالنَّاسُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى الْغَدَاةَ ثُمَّ أَتَاهُ الْيَوْمَ الثَّانِيَ حِينَ كَانَ ظِلُّ الرَّجُلِ مِثْلَ شَخْصِهِ فَصَنَعَ مِثْلَ مَا صَنَعَ بِالأَمْسِ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَتَاهُ حِينَ كَانَ ظِلُّ الرَّجُلِ مِثْلَ شَخْصَيْهِ فَصَنَعَ كَمَا صَنَعَ بِالأَمْسِ فَصَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ أَتَاهُ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ فَصَنَعَ كَمَا صَنَعَ بِالأَمْسِ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ فَنِمْنَا ثُمَّ قُمْنَا ثُمَّ نِمْنَا ثُمَّ قُمْنَا فَأَتَاهُ فَصَنَعَ كَمَا صَنَعَ بِالأَمْسِ فَصَلَّى الْعِشَاءَ ثُمَّ أَتَاهُ حِينَ امْتَدَّ الْفَجْرُ وَأَصْبَحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ فَصَنَعَ كَمَا صَنَعَ بِالأَمْسِ فَصَلَّى الْغَدَاةَ ثُمَّ قَالَ " مَا بَيْنَ هَاتَيْنِ الصَّلاَتَيْنِ وَقْتٌ " .
It was narrated from Jabir bin 'Abdullah that Jibril came to the Prophet (ﷺ) to teach him the times of prayer. Jibril went forward, with the Messenger of Allah (ﷺ) behind him and the people behind the Messenger of Allah (ﷺ), and he prayed Zurh when the sun had passed its zenith. Then he came to him when the shadow of a person was equal to his height, and did as he had done before; Jibril went forward, with the Messenger of Allah (ﷺ) behind him and the people behind the Messenger of Allah (ﷺ), and he prayed 'Asr. Then Jibril came to him when the sun had set; Jibril went forward, with the Messenger of Allah (ﷺ) behind him and the people behind the Messenger of Allah (ﷺ), and he prayed Al-Ghadah. [1] Then he came to him on the second day when a man's shadow was equal to his height, and did as he had done the day before, he prayed Zuhr. Then he came to him when the shadow of a man was twice his height, and did what he had done the day before, and prayed 'Asr. Then he came to him when the sun had set and did what he had done the day before, and prayed Maghrib. Then we slept and got up, and slept and got up again. Then he came to him and did what he had done the day before and prayed 'Isha.' The he came to him when the (the light of) dawn was spread (on the horizon) [2] and the starts were still clear in the sky, and he did the same as he had done the day before, and prayed Al-Ghadah. Then he said:
' The time between these two is the time for prayer.'"
[1] Meaning Fajr, the morning prayer.
[2] The Fajr prayer was elongated because the Prophet recited at length during the prayer, so that it ended just before sunrise. That defined the end of the time for Fajr, as the beginning of the time was defined by the moment when he started the first Rak'ah.
পরিচ্ছেদঃ ১১/ যে ব্যক্তি আসরের দু'রাকাআত পাবে।
৫১৬। মুহাম্মদ ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যাক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের সালাতের এক রাক’আত পেল, অথবা সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রাক’আত পেল, সে সালাত পেল।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ مَعْمَرًا، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ صَلاَةِ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ أَوْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْفَجْرِ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ فَقَدْ أَدْرَكَ " .
It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said:
"Whoever catches up with one Rak'ah of 'Asr prayer before the sun sets, or catches up with one Rak'ah of Fajr before the sun rises, has caught it."
পরিচ্ছেদঃ ১৩/ মাগরিবের নামায তাড়াতাড়ি আদায় করা।
৫২১। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূ বিশর (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাসসান ইবনু বিলাল (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহচরদের মধ্য থেকে আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যাক্তি থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ তাঁর সঙ্গে মাগরিবের সালাত আদায় করতেন। তারপর মদিনার প্রান্তরে নিজ নিজ পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে যেতেন। এমতবস্থায় তারা তীর নিক্ষেপ করতেন এবং তারা তীর পতনের স্থান দেখতে পেতেন। (অর্থাত রাত্র অন্ধকার হওয়ার পূর্বেই মাগরিবের সালাত আদায় করতেন )।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ حَسَّانَ بْنَ بِلاَلٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَسْلَمَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ كَانُوا يُصَلُّونَ مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَغْرِبَ ثُمَّ يَرْجِعُونَ إِلَى أَهَالِيهِمْ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ يَرْمُونَ وَيُبْصِرُونَ مَوَاقِعَ سِهَامِهِمْ .
It was narrated from a man of Aslam, who was one of the Companions of the Prophet (ﷺ), that they used to pray Maghrib with the Prophet (ﷺ),then they would go back to their families in the furthest part of Al-Madinah, shooting arrows and seeing where they landed. [1]
[1] Because it was still bright enough.
পরিচ্ছেদঃ ১৫/ মাগরিবের শেষ সময়।
৫২৩। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। শু’বা (রহঃ) বলেন, কাতাদা (রাঃ) এই হাদিস কখনও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মারফু’ রূপে বর্ণনা করেন, কখনও এরূপ বর্ণনা করেন না। তিনি [’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ)] বলেনঃ যোহরের শেষ সময় যতক্ষণ পর্যন্ত আসর উপস্থিত না হয়, আর আসরের সময় যতক্ষণ পর্যন্ত সুর্য হলুদ বর্ণ না হয় এবং মাগরিবের শেষ সময় যতক্ষণ পর্যন্ত শাফাক অদৃশ্য না হয়। ইশার শেষ সময় অর্ধ রাত্রের পূর্ব পর্যন্ত এবং ফজরের শেষ সময় সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أَيُّوبَ الأَزْدِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، - قَالَ شُعْبَةُ كَانَ قَتَادَةُ يَرْفَعُهُ أَحْيَانًا وَأَحْيَانًا لاَ يَرْفَعُهُ - قَالَ " وَقْتُ صَلاَةِ الظُّهْرِ مَا لَمْ تَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَوَقْتُ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَسْقُطْ ثَوْرُ الشَّفَقِ وَوَقْتُ الْعِشَاءِ مَا لَمْ يَنْتَصِفِ اللَّيْلُ وَوَقْتُ الصُّبْحِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ " .
It was narrated from 'Abdullah bin 'Amr - and (one of the narrators) Shu'bah said:
"Sometimes he (Qatadah, his teacher) narrated it as a Marfu' report and sometimes he did not" - "The time for Zuhr prayer is until 'Asr comes, and the time for 'Asr prayer is until the sun turns yellow. the time for Maghrib is until the twilight disappears, and the time for 'Isha' is until the night is halfway through, and the time for Subh is until the sun rises."
পরিচ্ছেদঃ ১৬/ মাগরিবের নামাযের পর ঘুমানো মাকরূহ ।
৫২৬। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সাইয়ার ইবনু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে আবূ বারযাহ (রাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। আমার পিতা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে ফরজ সালাত আদায় করতেন, এ সমন্ধে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেনঃ সুর্য ঢলে পড়লে যোহরের সালাত আদায় করতেন যাকে তোমরা প্রথম সালাত বল। তিনি এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, সালাত আদায় করে কেউ মদিনার এক প্রান্তে নিজ অবস্থানে আসতে পারত এবং তখনও সুর্য করোজ্জ্বল থাকত।
বর্ণনাকারী সাইয়ার (রাঃ) বলেনঃ মাগরিব সমন্ধে কি বলেছিলেন তা আমি ভুলে গেয়েছি। ইশার সালাত যাকে তোমরা ’আতামা’ বল, বিলম্বে আদায় করাকে তিনি পছন্দ করতেন। ’ইশার পূর্বে ঘুমানো ও ইশার পর কথা বলাকে মকরূহ জানতেন। আর ফজরের সালাত আদায় করে এমন সময় ফিরতেন যে, তখন যে কেউ তার পার্শ্ববর্তী লোককে চিনতে পারত। আর এ সালাতে ষাট আয়াত থেকে একশত আয়াত পাঠ করতেন।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ حَدَّثَنِي سَيَّارُ بْنُ سَلاَمَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي بَرْزَةَ فَسَأَلَهُ أَبِي كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ قَالَ كَانَ يُصَلِّي الْهَجِيرَ الَّتِي تَدْعُونَهَا الأُولَى حِينَ تَدْحَضُ الشَّمْسُ وَكَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ حِينَ يَرْجِعُ أَحَدُنَا إِلَى رَحْلِهِ فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي الْمَغْرِبِ وَكَانَ يَسْتَحِبُّ أَنْ يُؤَخِّرَ الْعِشَاءَ الَّتِي تَدْعُونَهَا الْعَتَمَةَ وَكَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا وَكَانَ يَنْفَتِلُ مِنْ صَلاَةِ الْغَدَاةِ حِينَ يَعْرِفُ الرَّجُلُ جَلِيسَهُ وَكَانَ يَقْرَأُ بِالسِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ .
Sayyar bin Salamah said:
"I entered upon Abu Barzah, and my fatehr asked him: 'How did the Messenger of Allah (ﷺ) pray the prescribed prayers?' He said: 'He used to pray Zuhr, which you call Al-Uula (the first) when the sun passed its zenith; he used to pray 'Asr when one of us could go back to his hoome in the farthest part of Al-Madinah while the sun was still bright.' I forgot what he said about Maghrib. 'And he used to like to delay 'Isha', which you call Al-'Atamah, and he did not like to sleep before it nor talk after it. And he used to finish the Al-Ghadah (Fajr) prayer when a man could recognize his neighbor, and he used to recite (in it) between sixty and one hundred verses.'"
পরিচ্ছেদঃ ১৭/ ইশার প্রথম ওয়াক্ত প্রসঙ্গে।
৫২৭। সুওয়ায়দ ইবনু নাসর (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুর্য ঢলে পড়ার পর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আপনি দাঁড়ান, সুর্য মাথার উপর থেকে ঢলে পড়লে যোহরের সালাত আদায় করুন। তারপর অপেক্ষা করলেন। যখন মানুষের ছায়া তার সমান হল, তখন আসরের জন্য তাঁর নিকট এসে বললেনঃ হে মুহাম্মদ! উঠুন এবং আসরের সালাত আদায় করুন। আবার অপেক্ষা করলেন।
যখন সুর্য অস্তমিত হল তখন এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! উঠুন এবং মাগরিবের সালাত আদায় করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন এবং সুর্য ডোবার সাথে সাথেই মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। পুনরায় অপেক্ষা করলেন এবং আকাশের শাফাক অদৃশ্য হয়ে গেলে তিনি এসে বললেনঃ উঠুন এবং ইশার সালাত আদায় করুন। তিনি দাঁড়িয়ে ইশার সালাত আদায় করলেন। যখন স্পষ্টরূপে প্রভাত হল, আবার এসে বললেনঃ হে মুহাম্মদ! উঠুন এবং ফজরের সালাত আদায় করুন। তিনি ফজরের সালাত আদায় করলেন। পরদিন ছায়া মানুষের বরাবর হলে আবার এসে বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আপনি উঠুন এবং সালাত আদায় করুন।
তিনি যোহরের সালাত আদায় করলেন। কোনো মানুষের ছায়া যখন দ্বিগুন হল জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আবার আসলেন এবং বললেনঃ হে মুহাম্মদ! উঠুন এবং সালাত আদায় করুন। তিনি আসরের সালাত আদায় করলেন। সূর্যাস্তের পর পূর্ব দিনের ন্যায় মাগরিবের জন্য আবার আসলেন এবং বললেন, উঠে সালাত আদায় করুন। তিনি মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। রাতের এক-তৃতীয়াংশ চলে গেলে ইশার জন্য আবার এসে বললেনঃ উঠুন এবং সালাত আদায় করুন। তিনি ঈশা আদায় করলেন। প্রভাত স্পষ্ট হওয়ার পর ফজরের সালাতের জন্য আবার আসলেন এবং বললেন, উঠুন, সালাত আদায় করুন এবং তিনি ফজরের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর বললেন, এই দুইদিনের সময়ের মধ্যবর্তী সময়ই সালাতের সময়।
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ الظُّهْرَ حِينَ مَالَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى إِذَا كَانَ فَىْءُ الرَّجُلِ مِثْلَهُ جَاءَهُ لِلْعَصْرِ فَقَالَ قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ الْعَصْرَ . ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ جَاءَهُ فَقَالَ قُمْ فَصَلِّ الْمَغْرِبَ فَقَامَ فَصَلاَّهَا حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ سَوَاءً ثُمَّ مَكَثَ حَتَّى إِذَا ذَهَبَ الشَّفَقُ جَاءَهُ فَقَالَ قُمْ فَصَلِّ الْعِشَاءَ . فَقَامَ فَصَلاَّهَا ثُمَّ جَاءَهُ حِينَ سَطَعَ الْفَجْرُ فِي الصُّبْحِ فَقَالَ قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ . فَقَامَ فَصَلَّى الصُّبْحَ ثُمَّ جَاءَهُ مِنَ الْغَدِ حِينَ كَانَ فَىْءُ الرَّجُلِ مِثْلَهُ فَقَالَ قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ . فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ جَاءَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ حِينَ كَانَ فَىْءُ الرَّجُلِ مِثْلَيْهِ فَقَالَ قُمْ يَا مُحَمَّدُ فَصَلِّ . فَصَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ جَاءَهُ لِلْمَغْرِبِ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ وَقْتًا وَاحِدًا لَمْ يَزُلْ عَنْهُ فَقَالَ قُمْ فَصَلِّ . فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ جَاءَهُ لِلْعِشَاءِ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الأَوَّلُ فَقَالَ قُمْ فَصَلِّ . فَصَلَّى الْعِشَاءَ ثُمَّ جَاءَهُ لِلصُّبْحِ حِينَ أَسْفَرَ جِدًّا فَقَالَ قُمْ فَصَلِّ . فَصَلَّى الصُّبْحَ فَقَالَ " مَا بَيْنَ هَذَيْنِ وَقْتٌ كُلُّهُ " .
Jabir bin 'Abdullah said:
"Jibril, peace be upon him, came to the Prophet (ﷺ) when the sun had passed its zenith and said: 'Get up, O Muhammad, and pray Zuhr when the sun has passed its zenith.' Then he waited until a man's shadow was equal to his height. Then he came to him for 'Asr and said: 'Get up, O Muhammad, and pray 'Asr.' Then he waited until the sunset, then he came to him and said: 'Get up, O Muhammad, and pray Maghrib.' So he got up and prayed it when the sun had set. Then he waited until the twilight disappeared, then he came to him and said: 'Get up, O Muhammad, and pray 'Isha'.' So he got up and prayed it. Then he came to him when dawn broke and said: 'Get up, O Muhammad, and pray.' So he got up and prayed Subh.' So he got up and prayed Subh. Then he came to him the next day when a man's shadow was equal to his height, and said: 'Get up, O Muhammad, and pray.' So he prayed Zuhr. Then Jibril came to him when a man's shadow was equal to twice his length and said: 'Get up, O Muhammad, and pray.' So he prayed 'Asr. Then he came to him for Maghrib when the sun set, at exactly the same time as the day before, and said: 'Get up, O Muhammad, and pray.' So he prayed Maghrib. Then he came to him for 'Isha' when the first third of the night had passed, and said: 'Get up and pray.' So he prayed 'Isha'. Then he came to him for Subh when it had become very bright, and said: 'Get up and pray.' So he prayed Subh. Then he said: 'The times of prayer one between those two (limits).'"
পরিচ্ছেদঃ ১৮/ ইশার নামায তাড়াতাড়ি পড়া।
৫২৮। আমর ইবনু আলী ও মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহরের সালাত সময়ের শুরুতে আদায় করতেন। আসরের সালাত সুর্য উজ্জ্বল থাকতেই আদায় করে নিতেন। সূর্যাস্তের পরেই মাগরিবের সালাত আদায় করতেন। ইশার সালাত কখনও লোক একত্র হলে তাড়াতাড়ি আদায় করতেন আবার কখনও লোক জমায়েত দেরিতে হলে বিলম্বে আদায় করতেন।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَسَنٍ، قَالَ قَدِمَ الْحَجَّاجُ فَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَاجِرَةِ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا وَجَبَتِ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ أَحْيَانًا كَانَ إِذَا رَآهُمْ قَدِ اجْتَمَعُوا عَجَّلَ وَإِذَا رَآهُمْ قَدْ أَبْطَئُوا أَخَّرَ .
It was narrated that Muhammad bin 'Amr bin Hasan said:
"Al-Hajjaj arrived, and we asked Jabir bin 'Abdullah, who said: 'The Messenger of Allah (ﷺ) prayed Zuhr at the time of intense heat, [1] and 'Asr when the sun was white and clear, and Maghrib when the sun set, and with 'Isha' it would depend - if he saw that the people had gathered, he would pray early, and if he saw that they had not come yet, he would delay it.'"
[1] Meaning, at the earliest time.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/ শাফাক প্রসঙ্গে।
৫২৯। মুহাম্মদ ইবনু কুদামা (রহঃ) ... নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইশার সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে অধিক অবগত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয়ার (তৃতীয় রাতের চাঁদ) চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময় ইশার সালাত আদায় করতেন।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ رَقَبَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ، بِمِيقَاتِ هَذِهِ الصَّلاَةِ عِشَاءِ الآخِرَةِ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهَا لِسُقُوطِ الْقَمَرِ لِثَالِثَةٍ .
It was narrated that An-Nu'man bin Bashir said:
"I am the most knowledgeable of people about the time of the 'Isha' prayer. The Prophet (ﷺ) used to pray it when the moon set on the third night of the month."