পরিচ্ছেদঃ ৬৭: সর্বনিম্ন পর্যায়ের সংক্ষিপ্তকরণ যা দ্বারা সালাত শুদ্ধ হয়ে যায়
১৩১৩. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... ইয়াহইয়া-এর চাচা [রিফা’আহ্ ইবনু রাফি’ (রাঃ) যিনি বদরী সাহাবী ছিলেন] হতে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি একদিন মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করতে লাগল আর রাসূলুল্লাহ (সা.) তার প্রতি লক্ষ্য রেখেছিলেন অথচ আমরা তা জানতামও না। সে ব্যক্তি সালাত শেষ করে রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে সালাম করলে তিনি বললেন, তুমি ফিরে গিয়ে আবার সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ব্যক্তি ফিরে গিয়ে পুনরায় সালাত আদায় করে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে আসলে তিনি বললেন, তুমি ফিরে গিয়ে পুনরায় সালাত আদায় কর। কেননা তুমি সালাত আদায় করনি। রাসূলুল্লাহ (সা.) এরূপ দু’বার কি তিনবার করলে ঐ ব্যক্তি তাকে বলল, হে আল্লাহর রসূল! সে আল্লাহর কসম, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন, আমি তো খুব চেষ্টা করে দেখলাম, আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তখন তিনি বললেন, তুমি যখন সালাত আদায় করতে ইচ্ছা কর, তখন উত্তমরূপে উযূ করবে। এরপর কিবলামুখী হয়ে তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন পাঠ করে তাকবীর বলে রুকূতে যাবে এবং খুব স্থিরতার সাথে রুকু করে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে, অতঃপর স্থিরতার সাথে সিজদা করে মাথা উঠাবে। পরে মাথা তুলে স্থিরতার সাথে বসবে। পুনরায় সিজদা করবে এবং স্থিরতার সাথে সিজদা করে মাথা উঠাবে। এরপর তমি এরূপ করে স্বীয় সালাত সমাপ্ত করবে।
باب أقل ما يجزي من عمل الصلاة
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ عَلِيٍّ وَهُوَ ابْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمٍّ لَهُ بَدْرِيّ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ، أَنَّ رَجُلًا دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمُقُهُ، وَنَحْنُ لَا نَشْعُرُ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَرَجَعَ فَصَلَّى، ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ، فَقَالَ لَهُ: الرَّجُلُ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ جَهِدْتُ فَعَلِّمْنِي، فَقَالَ: إِذَا قُمْتَ تُرِيدُ الصَّلَاةَ فَتَوَضَّأْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ، ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ، ثُمَّ اقْرَأْ، ثُمَّ ارْكَعْ فَاطْمَئِنَّ رَاكِعًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَاعِدًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ ارْفَعْ، ثُمَّ افْعَلْ كَذَلِكَ حَتَّى تَفْرُغَ مِنْ صَلَاتِكَ .
تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۶۶۸، ۱۱۳۷ (حسن صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1314 - حسن صحيح
67. The Minimum That Is Required For The Prayer To Be Valid
It was narrated from 'Ali- who is bin Yahya- from his father that: A paternal uncle of his who was present at Badr told him, that a man entered the masjid and prayed, and the Messenger of Allah (ﷺ) was watching, but we did not realize. When he had finished, he came and greeted the Messenger of Allah (ﷺ) with salam. He said: Go back and pray, for you have not prayed. So he went back and prayed, then he came to the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: Go back and pray, for you have not prayed. (This happened) two or three times. Then the man said to him: By the One who has honored you , O Messenger of Allah (ﷺ), I have tried my best; teach me. He said: When you get up to pray, perform wudu and do it well, then turn to face the Qiblah and say the takbir. Then recite the Quran, then bow until you are at ease in bowing. Then stand up until you are standing straight, then prostrate until you are at ease prostrating, then sit up until you are at ease sitting, then prostrate until you are at ease prostrating, then get up, and continue doing that until you have finished your prayer.