পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নিকৃষ্ট লোকেদের ওপরেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।
৫৫১৬-[১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কিয়ামত তখনই সংঘটিত হবে, যখন জমিনের মধ্যে ’আল্লাহ’ ’আল্লাহ’ বলার মতো কেউ থাকবে না। অপর এক বর্ণনায় আছে- এমন কোন লোকের ওপরে কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যে ’আল্লাহ’ ’আল্লাহ’ বলেছে। (মুসলিম)
الفصل الاول (بَابُ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ إِلَّا عَلَى شِرَارِ النَّاس)
عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لَا يُقَالَ فِي الْأَرْضِ: اللَّهُ اللَّهُ . وَفِي رِوَايَةٍ: لَا تَقُومُ السَّاعَةُ عَلَى أَحَدٍ يَقُولُ: اللَّهُ الله . رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (234 / 148)، (375) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لَا يُقَالَ فِي الْأَرْضِ: اللَّهُ اللَّهُ) পৃথিবীতে আল্লাহর যিকর বলা মানুষ থাকা অবস্থায় কিয়ামত সংঘটিত হবে না।
হাদীসে ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ' শব্দ দুটি তাগিদ বুঝানোর জন্য দ্বিত্ত করে আনা হয়েছে। অথবা শব্দটি দু’বার আনার মাধ্যমে অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকর বুঝানো হয়েছে। অথবা এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট অথবা তিনিই আমার মা'বুদ।
ভাষ্যকার বলেন, (اللَّهُ) শব্দটিতে পেশ দিয়ে পড়লে অর্থ হবে আল্লাহই ‘ইবাদতের যোগ্য একমাত্র মা'বুদ, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ নন। আর যদি যবর দিয়ে পড়া হয় তখন অর্থ হবে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তার ইবাদাত কর। অতএব এই মতে হাদীসের অর্থ দাঁড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পৃথিবীতে মুসলিম অবশিষ্ট থাকবে এবং মানুষকে আল্লাহ থেকে সতর্ক করবে। অথবা, যখন আল্লাহর যিকর করার কেউ থাকবে না তখন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার হিকমত বাকী থাকবে না। অতএব এটা সুস্পষ্ট যে, পৃথিবী অবশিষ্ট রয়েছে সৎকর্মপরায়ণ ‘আলিম ও নেক বান্দা ও মুমিনদের বদৌলতে। অপর এক বর্ণনা মতে, আল্লাহ বলা কারো ওপর কিয়ামত সংঘটিত হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ২য় খণ্ড, হা. ২৩৪)