৫৩৮৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৫৩৮৫-[৭] আবূ বকরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) - বলেছেন : অচিরেই বিভিন্ন ধরনের ফিতনাহ্ দেখা দেবে। জেনে রাখ, এটার পর নানান ধরনের ফিতনাহ্ এসে পড়বে, সে সময় বসা অবস্থায় থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তির তুলনায় হবে উত্তম এবং চলমান ব্যক্তি উক্ত ফিতনার দিকে দ্রুতগামী ব্যক্তির তুলনায় হবে উত্তম। জেনে রেখ! যখন সেই ফিতনাহ সংঘটিত হবে তখন যার কাছে উট বকরি আছে সে যেন তা নিয়ে থাকে। আর যার ভূসম্পত্তি আছে, সে যেন উক্ত জমি-ভূমি নিয়েই থাকে। এ সময় জনৈক লোক বলল, হে আল্লাহর রসূল! যদি কারো উট, বকরি ও ভূসম্পত্তি না থাকে (তখন কি করবে)? তিনি (সা.) বললেন, তখন সে যেন নিজের তলোয়ারের প্রতি দৃষ্টি দেয় এবং তার ধার-পার্শ্ব দিয়ে পাথরে আঘাত করে তা ভেঙ্গে ফেলে, অতঃপর সম্ভব হলে উক্ত ফিতনার স্থান থেকে পালিয়ে বাঁচবে। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, হে আল্লাহ! আমি কি তোমার আদেশসমূহ পৌছিয়ে দিয়েছি? এ কথাটি তিনি (সা.) তিনবার বললেন। এ সময় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল! যদি কোন লোক বলপূর্বক আমাকে নিয়ে দুই দলের কোন এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়, অতঃপর কোন লোক তলোয়ারের আঘাতে আমাকে হত্যা করে অথবা তীর এসে আমায় বিধে এবং তাতে আমার মৃত্যু ঘটে, তখন (আমার পরিণাম সম্পর্কে আপনার কি মতামত? উত্তরে তিনি (সা.) বললেন, সে তার নিজের এবং তোমার গুনাহ বহন করবে এবং জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (মুসলিম)

الفصل الاول

وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتَنٌ أَلَا ثُمَّ تَكُونُ فِتنٌ أَلا ثمَّ تكونُ فتنةٌ القاعدُ خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي فِيهَا وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي إِلَيْهَا أَلَا فَإِذَا وَقَعَتْ فَمَنْ كَانَ لَهُ إِبل فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ وَمَنْ كَانَ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بغنمه وَمن كَانَت لَهُ أرضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ» فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ إِبِلٌ وَلَا غَنَمٌ وَلَا أَرْضٌ؟ قَالَ: «يَعْمِدُ إِلَى سَيْفِهِ فَيَدُقُّ عَلَى حَدِّهِ بِحَجَرٍ ثُمَّ لِيَنْجُ إِنِ اسْتَطَاعَ النَّجَاءَ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ؟» ثَلَاثًا فَقَالَ: رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ أُكْرِهْتُ حَتَّى ينْطَلق بِي إِلَى أحدالصفين فَضَرَبَنِي رَجُلٌ بِسَيْفِهِ أَوْ يَجِيءُ سَهْمٌ فَيَقْتُلُنِي؟ قَالَ: «يَبُوءُ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِكَ وَيَكُونُ مِنْ أَصْحَابِ النَّار» رَوَاهُ مُسلم

رواہ مسلم (13 / 2887)، (7250) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي بكرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «انها ستكون فتن الا ثم تكون فتن الا ثم تكون فتنة القاعد خير من الماشي فيها والماشي فيها خير من الساعي اليها الا فاذا وقعت فمن كان له ابل فليلحق بابله ومن كان له غنم فليلحق بغنمه ومن كانت له ارض فليلحق بارضه» فقال رجل: يا رسول الله ارايت من لم يكن له ابل ولا غنم ولا ارض؟ قال: «يعمد الى سيفه فيدق على حده بحجر ثم لينج ان استطاع النجاء اللهم هل بلغت؟» ثلاثا فقال: رجل: يا رسول الله ارايت ان اكرهت حتى ينطلق بي الى احدالصفين فضربني رجل بسيفه او يجيء سهم فيقتلني؟ قال: «يبوء باثمه واثمك ويكون من اصحاب النار» رواه مسلم رواہ مسلم (13 / 2887)، (7250) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা : আলোচ্য হাদীসে ফিতনার যুগে করণীয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রিয় নবী (সা.) -এর নির্দেশনা হলো সম্ভব হলে উট/ছাগলের পালসহ পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে নিজেকে রক্ষায় সেখানেই তা প্রতিপালনে আত্মনিয়োগ করবে। এমনিভাবে যার কৃষি জমি আছে, সে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করবে। যার পক্ষে এসব উপায় অবলম্বন সম্ভব নয়, সে নিজের ধারালো ও সক্রিয় অস্ত্রগুলো ভোতা ও নিষ্ক্রিয় করে নিশ্চুপ থাকবে। কোন পক্ষাবলম্বন না করে সাধ্যমত নিজের ঈমান ও আমল রক্ষায় ব্যস্ত থাকবে এবং ফিতনার সংস্পর্শ হতে নিজেকে গুটিয়ে রাখবে। অর্থাৎ তৃতীয় স্বতন্ত্র পক্ষ হিসেবে নিজেকে যাবতীয় সমস্যা মুক্ত রাখবে। আর এটিই হচ্ছে বাস্তব প্রেক্ষাপটের আলোকে সর্বোত্তম পন্থা অবলম্বন। কেননা এমতাবস্থায় মুসলিমদের কোন একটি গ্রুপে যোগ দিয়ে পারস্পরিক যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বকে উসকে দেয়া এবং ফিতনার প্রসার ঘটাতে সহযোগিতা করা কোনভাবেই জায়িয নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
অত্র হাদীস এবং পূর্বোক্ত হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে, কোনভাবেই ফিতনার যুগে কোন ধরনের হানাহানিতে অংশ নেয়া যাবে না। (শারহুন নববী)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)