৪৫৪৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৪৫-[৩২] ’আবদুর রহমান ইবনু উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন এক চিকিৎসক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, ঔষধের মধ্যে ব্যাঙ ব্যবহার করার হুকুম কী? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেন। (আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ: إِنَّ طَبِيبًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن عبد الرحمن بن عثمان: ان طبيبا سال النبي صلى الله عليه وسلم عن ضفدع يجعلها في دواء فنهاه النبي صلى الله عليه وسلم عن قتلها. رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (عَنْ قَتْلِهَا) অর্থাৎ তা দিয়ে ঔষধ তৈরি করতে। কারণ তা দ্বারা ঔষধ তৈরি করা নির্ভর করে থাকে হত্যা করার উপর। সুতরাং যখন তা হত্যা করা হারাম, তখন তা দিয়ে ঔষধ তৈরি করাও হারাম। এটি হতে পারে অপবিত্রতার কারণে আর হতে পারে ঘৃণার কারণে।

খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটি প্রমাণ করে যে, ব্যাঙ খাওয়া হারাম। কেননা পানির যেসব প্রাণী খাওয়া বৈধ করা হয়েছে এটি তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর প্রতিটি প্রাণীকে হত্যা না করার পেছনে দু’টি কারণ রয়েছে। হতে পারে তার সম্মানের জন্য হারাম। যেমন- মানুষ অথবা তার গোশতের জন্য হারাম। যেমন- মোটা মাথা, সাধা পেট ও সবুজ পিঠ বিশিষ্ট শিকারী পাখী এবং হুদহুদ পাখী ইত্যাদি। যদিও ব্যাঙ মানুষের মতো হারাম নয়। তবুও অন্যদিক থেকে তা নিষেধ করা হয়েছে। তা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোশত খাবার ছাড়া কোন প্রাণীকে যাবাহ করতে নিষেধ করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৬৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)