পরিচ্ছেদঃ ১১. গর্হিত প্রতিষেধক সম্পর্কে।
৩৮৩১. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) .... আবদুর রহমান ইবন উছমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা জনৈক চিকিৎসক ব্যাঙকে ঔষধের মধ্যে ব্যবহার করা সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেন।
باب فِي الأَدْوِيَةِ الْمَكْرُوهَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ، أَنَّ طَبِيبًا، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَتْلِهَا .
Narrated AbdurRahman ibn Uthman:
When a physician consulted the Prophet (ﷺ) about putting frogs in medicine, he forbade him to kill them.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. ব্যাঙ মারা- সম্পর্কে।
৫১৭৯. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) .... আবদুর রহমান ইবন উছমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার একজন চিকিৎসক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঔষধের মধ্যেব্যাঙ ব্যবহার করার কথা জিজ্ঞাসা করলে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেন।
باب فِي قَتْلِ الضِّفْدَعِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ، أَنَّ طَبِيبًا، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَتْلِهَا .
Narrated AbdurRahman ibn Uthman:
When a physician consulted the Prophet (ﷺ) about putting frogs in medicine, he forbade him to kill them.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. ব্যাঙ
৪৩৫৬. কুতায়বা (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একজন চিকিৎসক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ঔষধ হিসাবে ব্যাঙ-এর উল্লেখ করলে, তিনি একে হত্যা করতে নিষেধ করেন।
الضِّفْدَعُ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ أَنَّ طَبِيبًا ذَكَرَ ضِفْدَعًا فِي دَوَاءٍ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِهِ
It was narrated from 'Abdur-Rahman bin 'Uthman that:
a physician made mention of the use of frogs in a remedy in the presence of the Messenger of Allah and the Messengher of Allah forbade killing them.
পরিচ্ছেদঃ ১. হাজীগণের হারানো বস্তু প্রাপ্তি
৪৪০১-(১১/১৭২৪) আবূ তাহির ও ইউনুস ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু উসমান তাইমী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজীদের হারানো বস্তু তুলে নিতে নিষেধ করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩৬০, ইসলামিক সেন্টার ৪৩৬০)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। ইসলামী পরিভাষায় লুকতা বলা হয়: এমন কোনো মূল্যবান পড়ে থাকা হারানো বস্তু, যার মালিক অজ্ঞাত। কিংবা লুকতা বলা হয়: সংরক্ষিত মূল্যবান হারানো সম্পদকে। আবার এই বিষয়ে অন্য উক্তিও রয়েছে।
২। পৃথিবীর মধ্যে লুকতার ইসলামী বিধান মাত্র একটি। কিন্তু মাক্কা শহরের হারাম ও সম্মানিত এলাকার লুকতার বিধানটি হলো আলাদা। তাই পৃথিবীর মধ্যে মাক্কা শহরের হারাম ও সম্মানিত এলাকা ছাড়া যে কোনো স্থানে সংরক্ষিত মূল্যবান হারানো সম্পদ কুড়িয়ে পাওয়া গেলে, সেই সম্পদ তার মালিকের নিকটে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এক বছর ধরে তার ঘোষণা করার বিধান নির্ধারিত রয়েছে। তাই সেই সম্পদ তার মালিকের নিকটে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এক বছর ধরে ঘোষণা করার পর যদি তার মালিকের সন্ধান পাওয়া না যায়, তাহলে যে ব্যক্তি উক্ত সম্পদ কুড়িয়ে পেয়েছে, সেই ব্যক্তি উক্ত কুড়িয়ে পাওয়া সম্পদের দ্বারা উপকৃত হতে পারবে। আর দেশের প্রথা অনুযায়ী কুড়িয়ে পাওয়া সম্পদ যদি অতি অল্প ও নগণ্য হয় কিংবা সংরক্ষণের যোগ্য না হয়, তাহলে তার মালিকের সন্ধানের জন্য এক বছর ধরে ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই।
৩। মক্কা শহরের হারাম ও সম্মানিত ( বা হারাম ) এলাকার লুকতার বিধানটি হলো এই যে, এই এলাকার কোনো স্থানে সংরক্ষিত মূল্যবান হারানো সম্পদ কুড়িয়ে নেওয়া জায়েজ নয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা জায়েজ হবে, যে ক্ষেত্রে সে কুড়িয়ে না নিলে উক্ত সম্পদটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রে উক্ত সম্পদ কুড়িয়ে নেওয়ার পর সে মাক্কা শহরে যতো দিন থাকবে, ততো দিন সেই সম্পদের ঘোষণা দিতে থাকবে তার মালিকের সন্ধানের জন্য। এবং মাক্কা শহর থেকে যখন তার চলে যাওয়ার সময় হয়ে যাবে, তখন সে উক্ত কুড়িয়ে পাওয়া লুকতা বা সম্পদ, লুকতা বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাদেরকে দিয়ে চলে যাবে। কেননা, সে তো উক্ত সম্পদের কোনো দিন কোনো অবস্থাতে মালিক হতে পারবে না। তাই সেই সম্পদটি কোনো ব্যক্তির জন্য কুড়িয়ে নেওয়া জায়েজ নয়। কিন্তু শুধু ওই ব্যক্তির জন্য কুড়িয়ে নেওয়া জায়েজ হবে, যে ব্যক্তি উক্ত সম্পদ কুড়িয়ে নেওয়ার পর সে মাক্কা শহরে যতো দিন থাকবে, ততো দিন সেই সম্পদের ঘোষণা দিতে থাকবে এবং তার মালিকের সন্ধানে থাকবে। যেহেতু আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “মাক্কা শহরের হারাম ও সম্মানিত এলাকায় কোনো স্থানে সংরক্ষিত মূল্যবান হারানো সম্পদ পড়ে থাকলে কুড়িয়ে নেওয়া চলবে না, কিন্তু এই ক্ষেত্রে কুড়িয়ে নেওয়া চলবে যে, তার মালিকের সন্ধান করে সেই হারানো সম্পদ তার মালিককে প্রদান করবে। [এই বিষয়ে দেখতে পারা যায় সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৩৪] ।
باب فِي لُقَطَةِ الْحَاجِّ
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ التَّيْمِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ لُقَطَةِ الْحَاجِّ .
'Abd al-Rahman b. 'Uthman al-Taimi reported that Allah's Messenger (ﷺ) forbade taking into custody the stray thing of the pilgrims.
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৪৫-[৩২] ’আবদুর রহমান ইবনু উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন এক চিকিৎসক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, ঔষধের মধ্যে ব্যাঙ ব্যবহার করার হুকুম কী? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেন। (আবূ দাঊদ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ: إِنَّ طَبِيبًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ (عَنْ قَتْلِهَا) অর্থাৎ তা দিয়ে ঔষধ তৈরি করতে। কারণ তা দ্বারা ঔষধ তৈরি করা নির্ভর করে থাকে হত্যা করার উপর। সুতরাং যখন তা হত্যা করা হারাম, তখন তা দিয়ে ঔষধ তৈরি করাও হারাম। এটি হতে পারে অপবিত্রতার কারণে আর হতে পারে ঘৃণার কারণে।
খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটি প্রমাণ করে যে, ব্যাঙ খাওয়া হারাম। কেননা পানির যেসব প্রাণী খাওয়া বৈধ করা হয়েছে এটি তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর প্রতিটি প্রাণীকে হত্যা না করার পেছনে দু’টি কারণ রয়েছে। হতে পারে তার সম্মানের জন্য হারাম। যেমন- মানুষ অথবা তার গোশতের জন্য হারাম। যেমন- মোটা মাথা, সাধা পেট ও সবুজ পিঠ বিশিষ্ট শিকারী পাখী এবং হুদহুদ পাখী ইত্যাদি। যদিও ব্যাঙ মানুষের মতো হারাম নয়। তবুও অন্যদিক থেকে তা নিষেধ করা হয়েছে। তা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোশত খাবার ছাড়া কোন প্রাণীকে যাবাহ করতে নিষেধ করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৬৭)
পরিচ্ছেদঃ ১. লুক্বতার সংজ্ঞা
১৭১৯। ’আব্দুর রহমান ইবনু ’উসমান আত-তাইমী সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজীদেরকে পথে পড়ে থাকা বস্ত্ত তুলে নিতে নিষেধ করেছেন। আহমাদ বলেন, ইবনু ওয়াহাব হাজ্জের মৌসুমে পথে পড়ে থাকা বস্ত্ত সম্পর্কে বলেন, তা পতিত অবস্থায় থাকতে দাও যাতে তার মালিক তা পেয়ে যায়।[1]
সহীহ।
بَابُ التَّعْرِيفِ بِاللُّقَطَةِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ التَّيْمِيِّ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلمنَهَى عَنْ لُقَطَةِ الْحَاجِّ. قَالَ أَحْمَدُ: قَالَ ابْنُ وَهْبٍ: يَعْنِي فِي لُقَطَةِ الْحَاجِّ يَتْرُكُهَا حَتَّى يَجِدَهَا صَاحِبُهَا، قَالَ ابْنُ مَوْهَبٍ، عَنْ عَمْرٍو
صحيح
‘Abd al-Rahman bin `Uthman al-Taime said:
The Messenger of Allah (SWAS) prohibited taking the find of pilgrims. Ibn Wahb said : One should leave the find of a pilgrim till its owner finds it.
পরিচ্ছেদঃ ব্যাঙ হত্যা করা নিষেধ
১৩৩১। আব্দুর রহমান ইবনু উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত; কোন চিকিৎসক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ব্যাঙ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলেন এটা ঔষধে প্রয়োগ করবেন কি না? তিনি ওটা হত্যা করতে নিষেধ করলেন।[1]
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ الْقُرَشِيُّ - رضي الله عنه: أَنَّ طَبِيبًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم عَنِ الضِّفْدَعِ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ, فَنَهَى عَنْ قَتْلِهَا. أَخْرَجَهُ أَحْمَدُ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ
-
صحيح. رواه أحمد (3/ 499)، والحاكم (4/ 411) من طريق ابن المسيب، عن عبد الرحمن، به. قلت: وأيضا رواه أبو داود (3871)، والنسائي (7/ 210) من نفس الطريق، وبنفس اللفظ
'Abdur Rahman bin 'Uthman al-Qurashi (RAA) narrated, 'A doctor consulted the Prophet (ﷺ) about extracting medicine from a frog but he prohibited killing it.' Related by Ahmad, Abu Dawud and An-Nasai. Al-Hakim graded it as Sahih.