৪৫৪৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৪৬-[৩৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘাড়ের দু’ পার্শ্বের দু’ রগে এবং দু’ বাহুর মধ্যখানে শিঙ্গা লাগাতেন। (আবূ দাঊদ)[1]

আর তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ এ বাক্যগুলো যে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ’’তাদের সতের, উনিশ এবং একুশ তারিখে শিঙ্গা লাগাতেন’’ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْتَجِمُ فِي الْأَخْدَعَيْنِ وَالْكَاهِلِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ: وَكَانَ يحتجمُ سبعَ عشرَة وتسع عشرَة وَإِحْدَى وَعشْرين

وعن انس قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يحتجم في الاخدعين والكاهل. رواه ابو داود وزاد الترمذي وابن ماجه: وكان يحتجم سبع عشرة وتسع عشرة واحدى وعشرين

ব্যাখ্যাঃ (فِي الْأَخْدَعَيْنِ) বলা হয় ঘাড়ের দুই পার্শ্বের উভয় রগকে। নিহায়াহ্ কিতাবে এভাবে এসেছে।

‘‘নায়লুল আওত্বার’’ কিতাবে এসেছে, শব্দের বিশ্লেষণকারীগণ বলেন, (أَخْدَعَيْنِ) ‘‘আখদা‘আয়ন’’ বলা হয় ঘাড়ের দুই পার্শ্বের উভয় রগকে যাতে শিঙ্গা লাগানো হয়। আর (كَاهِلِ) ‘কাহিল’ বলা হয়, যা দুই কাঁধের মাঝে থাকে সেই জায়গাকে। আর তা হলো পিঠের সম্মুখভাগ।

‘‘যাদুল মা‘আদ’’ এর মধ্যে ইবনুল কইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ (أَخْدَعَيْنِ) তথা ঘাড়ের দু্ই পার্শ্বের উভয় রগে শিঙ্গা লাগানো মাথা ও তার সাথে সংযুক্ত অঙ্গ, যেমন- মুখ, দাঁত, দুই কান, দুই চোখ এবং নাকের অসুখের জন্য উপকারী। শিঙ্গা তখন লাগাতে হয় যখন রক্ত খুব বেশী হয় অথবা নষ্ট হয়ে যায় অথবা উভয়টি এক সাথে হয়। তিনি আরো বলেন, শিঙ্গা লাগানো হিজাযবাসী ও গ্রীষ্ম প্রধান দেশের অধিবাসীদের জন্য, কারণ তাদের রক্ত থাকে পাতলা। শরীরের বাহ্যিকভাগ থেকে অত্যন্ত গরমের কারণে তাদের চামড়ার নিচ দিয়ে রক্ত হালকা হয়ে যায়। তাদের শরীরের লোমকূপ প্রশস্ত হয়। সুতরাং তাদের জন্য শিঙ্গা লাগানোর মাঝে ক্ষতি রয়েছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৫৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৩: চিকিৎসা ও ঝাড়-ফুঁক (كتاب الطب والرقى)