পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৪৭১-[২৬] আবূ রিমসাহ্ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) আমি আমার পিতার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার সাথে এটা কে? আমার পিতা বললেন, আমার ছেলে। এ ব্যাপারে আপনি সাক্ষী থাকুন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, জেনে রাখ! তার অন্যায়ের শাস্তি তোমার ওপর এবং তোমার অন্যায়ের শাস্তি তার ওপর বর্তাবে না। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
আর শারহুস্ সুন্নাহ্-তে হাদীসের প্রথম দিকে কিছু অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে। তিনি (আবূ রিমসাহ্ ) বলেন, আমি আমার পিতার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম। তখন আমার পিতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পৃষ্ঠদর্শনে (মোহরে নাবূওয়াত দেখে) বললেন, আমাকে অনুমতি দিন। আপনার পিঠে যেটি আছে, আমি এর সুচিকিৎসা করে দেই। কেননা আমি একজন চিকিৎসক। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কেবল একজন সেবক আর আল্লাহ তা’আলা হলেন (প্রকৃত) চিকিৎসক।
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَن أبي رِمْثَةَ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أبي فقالَ: «مَنْ هَذَا الَّذِي مَعَكَ؟» قَالَ: ابْنِي أَشْهَدُ بِهِ قَالَ: «أَمَا إِنَّهُ لَا يَجْنِي عَلَيْكَ وَلَا تَجْنِي عَلَيْهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَزَادَ فِي «شَرْحِ السُّنَّةِ» فِي أَوَّلِهِ قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَى أَبِي الَّذِي بِظَهْرِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ: دَعْنِي أُعَالِجُ الَّذِي بِظَهْرِكِ فَإِنِّي طَبِيبٌ. فَقَالَ: «أَنْتَ رفيقٌ واللَّهُ الطبيبُ»
ব্যাখ্যা: ‘‘সে আমার পুত্র, এ ব্যাপারে আপনি সাক্ষী থাকুন।’’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- যদি আমি কোনো অপরাধ করি তাহলে আমার বদলে সে, আর যদি সে কোনো অপরাধ করে তাহলে তার বদলে আমি শাস্তি ভোগ করব। আর এ ধরনের নিয়ম জাহিলী যুগের সমাজ ব্যবস্থায় চালু ছিল।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী : তোমার অপরাধের শাস্তি তার ওপর এবং তার অপরাধের শাস্তি তোমার ওপর বর্তাবে না। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, একজনের অপরাধের দরুন অপরজনকে জবাবদিহি করতে হবে না।
এ ব্যাপারে ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এখানে দু’টি ব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা রাখে- ১. একজনের জন্য অপরজনের ওপর কিসাস বর্তাবে না। ২. একজন অপরজনের পাপের শাস্তি ভোগ করবে না।
এ হাদীসের শেষাংশে বলা হয়েছে যে, সমস্ত রোগ নিরাময়কারী একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ শুধু সেবাযত্ন করতে পারে। প্রকৃত আরোগ্য দানকারী হলেন একমাত্র মহান আল্লাহ। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪৪৮৬; শারহেন্ নাসায়ী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ৪৮৪৭)