৩১৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - (স্বামী-স্ত্রীর) সহবাস

৩১৮৪-[২] উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন কুরআন মাজীদ নাযিল হচ্ছিল তখন আমরা ’আযল করতাম। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

মুসলিম-এর অপর বর্ণনায় আছে, আমাদের এ সংবাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌঁছলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে নিষেধ করেননি।

بَابُ الْمُبَاشَرَةِ

وَعنهُ كُنَّا نَعْزِلُ وَالْقُرْآنُ يَنْزِلُ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَزَادَ مُسْلِمٌ: فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلم ينهنا

وعنه كنا نعزل والقران ينزل. متفق عليه. وزاد مسلم: فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فلم ينهنا

ব্যাখ্যা: ‘আযল হলো রতিক্রিয়ার সময় রেতপাতের পূর্বে পুরুষ তার যৌনাঙ্গকে স্ত্রীঅঙ্গ থেকে বের করা।

জাবির (রাঃ)-এর কথা ‘‘আমরা কুরআন অবতরণকালে ‘আযল করতাম’’ এর অর্থ হলো আমাদের ‘আযল করার এই অবস্থাদি আল্লাহ তা‘আলা সম্পূর্ণরূপে অবহিত ছিলেন আর কুরআন তখনও নাযিল হচ্ছিল কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে কোথাও তা নিষেধ করেননি। সুফ্ইয়ান সাওরী (রহঃ)-বলেছেন, এ বিষয়ে যদি কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকত তাহলে কুরআনে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা জারী হতো।

সহীহ মুসলিম-এর বর্ণনায় অতিরিক্ত এ কথাও এসেছে যে, ‘‘আমাদের ‘আযল করার খবর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটও পৌঁছল, কিন্তু তিনিও নিষেধ করলেন না।’’ ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ)-বলেন, এর অর্থ হলোঃ ওয়াহী আমাদের এ কাজে নিষেধাজ্ঞা জারী করেনি এবং সুন্নাহ্-ও কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। ইবনুল হুমাম (রহঃ) বলেনঃ অধিকাংশ ‘আলিমের নিকট ‘আযল জায়িয। পক্ষান্তরে সাহাবীদের একদল এবং তৎপরবর্তী এটাকে অপছন্দ করেছেন। তবে বিশুদ্ধ কথা হলো এটা জায়িয। (ফাতহুল কাদীর ৩য় খন্ড, ২৭২ পৃঃ)

‘আল্লামা নববী (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ‘আযল করা মাকরূহ বা অপছন্দনীয় কাজ। কেননা এটা জন্ম নিরোধের একটি পদ্ধতি এজন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে ‘‘আযল হলো গোপন সমাহিত’’।

মিশকাতের ভাষ্যকার মুল্লা ‘আলী আল কারী (রহঃ) বলেনঃ ‘‘আমাদের সাথীগণ বিবাহিতা বাদী ও দাসীর অনুমতি ছাড়াই তাদের সাথে ‘আযল করা বৈধ বলে মনে করেন।’’ তাদের ক্ষেত্রে এটা হারাম নয়, চাই তারা অনুমতি দিক অথবা না দিক। কারণ মালিকানা সত্বের দাসীর গর্ভে সন্তান হলে ঐ দাসী হয় ‘উম্মু ওয়ালাদ’ বা নিজ সন্তানের মা, ফলে তাকে আর বিক্রয় করা বৈধ নয়। আর যদি বিবাহিতা দাসীর ঘরে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাহলে সন্তান মায়ের অনুসরণে দাসত্বের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়; এ উভয় অবস্থাই পুরুষের জন্য ক্ষতির কারণ, সুতরাং এদের সাথে সর্বোতভাবেই ‘আযল বৈধ। পক্ষান্তরে স্বাধীনা স্ত্রী যদি অনুমতি দেয় তবে তার সাথে ‘আযল (সহীহ মতানুযায়ী ) হারাম নয়। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫২০৯; শারহে মুসলিম ৯/১০ম খন্ড, হাঃ ১৪৪০; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)