৪২৫

পরিচ্ছেদঃ

৪২৫। মালিক বিন আওস বিন হাদছান বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি তাঁর দরবারে এলাম। এই সময়ে তার মুক্ত গোলাম ইয়ারফা এলো তাঁর কাছে। সে বললো, এই যে উসমান, আবদুর রহমান, সা’দ ও যুবাইর ইবনুল আওয়াম উপস্থিত। (আমার মনে নেই তালহার কথাও বলেছিল কিনা) ওঁরা সবাই আপনার কাছে আসবার অনুমতি চাইছেন। উমার (রাঃ) বললেন, ওদেরকে অনুমতি দাও। এরপর ইয়ারফা কিছুক্ষণ কাটিয়ে আবার এলো এবং বললো, আব্বাস ও আলী আপনার নিকট আসবার অনুমতি চাইছেন। উমার (রাঃ) বললেন, ওদের দু’জনকে আসতে দাও। আব্বাস এসেই বললেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন, আমার ও এই ব্যক্তির মধ্যে ফায়সালা করে দিন। তারা উভয়ে (অর্থাৎ আব্বাস ও আলী) বনু নাযীরের যে সম্পত্তি আল্লাহ তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দিয়েছিলেন তা নিয়ে বিবাদে লিপ্ত ছিলেন।

উপস্থিত লোকেরা বললো, হে আমীরুল মুমিনীন, ওদের বিবাদ মিটিয়ে দিন এবং একজনকে অপর জন থেকে নিষ্কৃতি দিন। কেননা তাদের উভয়ের বিবাদ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে গেছে। উমার (রাঃ) বললেন, যে আল্লাহর অনুমতিতে আকাশ ও পৃথিবী টিকে আছে, সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, তোমরা কি জান, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে বণ্টিত হয় না এবং আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা? সকলে বললোঃ হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেছেন। তিনি ওঁদের দু’জনকে লক্ষ্য করেও একই কথা বললেন। তারা উভয়ে বললেনঃ হ্যাঁ।

উমার (রাঃ) বললেন, তাহলে আমি তোমাদেরকে এই ফাই’ (বিজয়ার্জিত ভূ-সম্পত্তি) সম্পর্কে অবহিত করছি। মহান আল্লাহ তার নবীকে নিজের পক্ষ থেকে এমন কিছু জিনিস দিয়ে বিশেষভাবে গৌরবান্বিত করেছেন, যা আর কাউকে দেননি। আল্লাহ বলেনঃ

وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ

“আর আল্লাহ তাদের (ইহুদীদের) কাছ থেকে তাঁর রাসূলকে যে সম্পত্তি দান করেছেন, তার জন্য তোমরা সেখানে ঘোড়া বা উট দাবড়াওনি।” [হাশরঃ ৬]

বস্তুত সে সম্পত্তি ছিল নিরংকুশভাবে শুধুই আল্লাহর রাসূলের জন্য। আল্লাহর কসম, তিনি তোমাদেরকে বাদ দিয়ে শুধু নিজের জন্যই তা রেখে দেননি, তোমাদের ওপর অগ্রাধিকার হিসাবেও তা গ্রহণ করেননি। বরঞ্চ তিনি তা তোমাদেরকে সকলের মধ্যে বণ্টন করেছেন এবং তোমাদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তা থেকে শুধু এইটুকু সম্পত্তি অবশিষ্ট রয়েছে। এ থেকে তিনি তার পরিবার পরিজনের সারা বছরের ব্যয় নির্বাহ করতেন। আর যা অবশিষ্ট থাকতো, তাকে আল্লাহর সম্পত্তি গণ্য করতেন। অতঃপর যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করলেন, তখন আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর আমি তার অভিভাবক। এই সম্পত্তিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করতেন, আমি তাই করবো।

[মুসনাদে আহমাদ-১৭২]

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، قَالَ: أَرْسَلَ إِلَيَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَبَيْنمَا أَنَا كَذَلِكَ، إِذْ جَاءَهُ مَوْلاهُ يَرْفَأُ، فَقَالَ: هَذَا عُثْمَانُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَسَعْدٌ وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ - قَالَ: وَلا أَدْرِي أَذَكَرَ طَلْحَةَ أَمْ لَا - يَسْتَأْذِنُونَ عَلَيْكَ. قَالَ: ائْذَنْ لَهُمْ. ثُمَّ مَكَثَ سَاعَةً ثُمَّ جَاءَ، فَقَالَ: هَذَا الْعَبَّاسُ وَعَلِيٌّ يَسْتَأْذِنَانِ عَلَيْكَ. قَالَ: ائْذَنْ لَهُمَا. فَلَمَّا دَخَلَ الْعَبَّاسُ، قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا. وَهُمَا حِينَئِذٍ يَخْتَصِمَانِ فِيمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَمْوَالِ بَنِي النَّضِيرِ، فَقَالَ الْقَوْمُ: اقْضِ بَيْنَهُمَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَرِحْ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْ صَاحِبِهِ، فَقَدْ طَالَتْ خُصُومَتُهُمَا. فَقَالَ عُمَرُ: أَنْشُدُكُمُ اللهَ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمََاواتُ وَالْأَرْضُ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ "؟ قَالُوا: قَدْ قَالَ ذَلِكَ. وَقَالَ لَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ، فََقََالَا: نَعَمْ. قَالَ: فَإِنِّي سَأُخْبِرُكُمْ عَنْ هَذَا الْفَيْءِ، إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ خَصَّ نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ غَيْرَهُ، فَقَالَ: (وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ) [الحشر: ٦] ، وَكَانَتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً، وَاللهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ، وَلا اسْتَأْثِرُهَا عَلَيْكُمْ، لَقَدْ قَسَمَهَا بَيْنَكُمْ وَبَثَّهَا فِيكُمْ، حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ، فَكَانَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ مِنْهُ سَنَةً، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ مِنْهُ مَجْعَلَ مَالِ اللهِ، فَلَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ، أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا

إسناده صحيح على شرط الشيخين

حدثنا عبد الرزاق، حدثنا معمر، عن الزهري، عن مالك بن اوس بن الحدثان، قال: ارسل الي عمر بن الخطاب، فبينما انا كذلك، اذ جاءه مولاه يرفا، فقال: هذا عثمان وعبد الرحمن وسعد والزبير بن العوام - قال: ولا ادري اذكر طلحة ام لا - يستاذنون عليك. قال: اىذن لهم. ثم مكث ساعة ثم جاء، فقال: هذا العباس وعلي يستاذنان عليك. قال: اىذن لهما. فلما دخل العباس، قال: يا امير المومنين، اقض بيني وبين هذا. وهما حينىذ يختصمان فيما افاء الله على رسوله من اموال بني النضير، فقال القوم: اقض بينهما يا امير المومنين، وارح كل واحد من صاحبه، فقد طالت خصومتهما. فقال عمر: انشدكم الله الذي باذنه تقوم السماوات والارض، اتعلمون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: " لا نورث، ما تركنا صدقة "؟ قالوا: قد قال ذلك. وقال لهما مثل ذلك، فقالا: نعم. قال: فاني ساخبركم عن هذا الفيء، ان الله عز وجل خص نبيه صلى الله عليه وسلم منه بشيء لم يعطه غيره، فقال: (وما افاء الله على رسوله منهم فما اوجفتم عليه من خيل ولا ركاب) [الحشر: ٦] ، وكانت لرسول الله صلى الله عليه وسلم خاصة، والله ما احتازها دونكم، ولا استاثرها عليكم، لقد قسمها بينكم وبثها فيكم، حتى بقي منها هذا المال، فكان ينفق على اهله منه سنة، ثم يجعل ما بقي منه مجعل مال الله، فلما قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال ابو بكر: انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم بعده، اعمل فيها بما كان يعمل رسول الله صلى الله عليه وسلم فيها اسناده صحيح على شرط الشيخين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুসনাদে আহমাদ
মুসনাদে উসমান বিন আফফান (রাঃ) [উসমানের বর্ণিত হাদীস] (مسند عثمان بن عفان)