২৩০৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব

২৩০৮-[১৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন যাদেরকে প্রথমে জান্নাতের দিকে ডাকা হবে, তারা হলেন ঐসব ব্যক্তি যারা সুখে-দুঃখে সব সময় আল্লাহর প্রশংসা করেন। (এ হাদীস দু’টি বায়হাক্বী শু’আবূল ঈমানে বর্ণনা করেছে)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوَّلُ مَنْ يُدْعَى إِلَى الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الَّذِينَ يَحْمَدُونَ اللَّهَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ» . رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان

وعن ابن عباس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اول من يدعى الى الجنة يوم القيامة الذين يحمدون الله في السراء والضراء» . رواهما البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যা: (الَّذِينَ يَحْمَدُونَ اللّٰهَ فِى السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ) অর্থাৎ- স্বচ্ছল-অস্বচ্ছল এবং প্রত্যেক অবস্থাতে। কেননা মানুষ সুখ-দুঃখ থেকে মুক্ত না আর সুখের বিপরীত চিন্তা এবং দুঃখের বিপরীত উপকার এবং সুখ-দুঃখে বৈপরীত্য সৃষ্টি হওয়াতে অনেক ব্যাপকতা এবং বৈপরীতপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণে আয়ত্ব শক্তি রয়েছে যেন তিনি বলেছেন আনন্দের ক্ষেত্রে, চিন্তার ক্ষেত্রে, উপকারের ক্ষেত্রে, ক্ষতির ক্ষেত্রে। কেননা প্রত্যেকের উল্লেখ করা তার বিপরীত দিক উল্লেখ করাকে দাবী করে এবং সংক্ষিপ্তভাবে প্রত্যেকের উল্লেখকে অন্তর্ভুক্ত করে আর এটা বর্ণনার এক পদ্ধতি ভাষাবিদগণ যা অবলম্বন করে থাকেন। আর এর অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। এক মতে বলা হয়েছে, ধনী হোক, দরিদ্র হোক, অস্বচ্ছলতা হোক, স্বচ্ছলতা হোক যারা তাদের ওপর আরোপিত হুকুমের ব্যাপারে তাদের মুনীবের প্রতি সন্তুষ্ট। সুতরাং এখানে স্থায়িত্ব অর্থ উদ্দেশ্য। এক মতে বলা হয়েছে, আনন্দের ক্ষেত্রে (حمد) স্পষ্ট, পক্ষান্তরে দুঃখের ক্ষেত্রে (حمد) এ কারণে যে, আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং এর অপেক্ষা বড় বিপদ তার প্রতি অবতীর্ণ করেননি। অথবা দুঃখের ক্ষেত্রে সে যে সাওয়াব ও গুনাহ মোচন প্রত্যক্ষ করে সে কারণে। হাফেয ফাতহে বলেন, ত্ববারী ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আমর বিন ‘আস কর্তৃক ‘আবদুল্লাহ বিন বাবাহ-এর বর্ণনার মাধ্যমে সংকলন করেন, ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই ব্যক্তি যখন (لا إله إلا الله) বলে তখন (لا إله إلا) নিষ্ঠার বা ইখলাসের বাণী তা না বলা পর্যন্ত আল্লাহ ‘আমল কবূল করবেন না। আর বান্দা যখন (الحمد لله) বলে তখন তা শুকরিয়ার বাণী স্বরূপ। যতক্ষণ বান্দা এটা না বলবে ততক্ষণ সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল না।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)