২৩০৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব

২৩০৭-[১৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’আলহামদুলিল্লা-হ’’ বা প্রশংসা করা হলো সর্বোত্তম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। যে বান্দা আল্লাহর প্রশংসা করল না, সে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল না।[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَمْدُ رَأْسُ الشُّكْرِ مَا شَكَرَ اللَّهَ عَبْدٌ لَا يحمده»

وعن عبد الله بن عمرو قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الحمد راس الشكر ما شكر الله عبد لا يحمده»

ব্যাখ্যা: (الْحَمْدُ رَأْسُ الشُّكْرِ) কেননা শুকরিয়া আদায় অনুগ্রহকারীকে সম্মান প্রদর্শন এবং জবানের কাজ এ ব্যাপারে যা সর্বাধিক স্পষ্ট ও সর্বাধিক প্রমাণবহ। পক্ষান্তরে অন্তরের কাজ হল গোপনীয়। আর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর কর্মের উপরও প্রমাণে ঘাটতি রয়েছে। কতিপয় ব্যাখ্যাকার বলেন, (الحمد) শুকরিয়ার মূল অর্থাৎ- তার কতক বৈশিষ্ট্য ও সর্বোচ্চ বৈশিষ্ট্য, কেননা (حمد) শুধু জবানের মাধ্যমে এবং (شكر) জবান, অন্তর এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসূমহের মাধ্যমে আদায় হয়। কেননা (شكر) আল্লাহ যার মাধ্যমে বান্দার ওপর অনুগ্রহ করেছেন সে সকল কিছু বান্দা নিজ সৃষ্টি উদ্দেশের দিকে ফিরিয়ে দেয়। সুতরাং (حمد) হল (شكر) এর শাখা-প্রশাখার একটি। আর বস্ত্তর মূল সে বস্ত্তর কিছু। সুতরাং তা এ দৃষ্টিকোণ থেকে (شكر) এর কিছু। আর (حمد) কে (شكر) এর মাথা করা হয়েছে, কেননা মাথা শরীরের অংশসমূহের মাঝে সর্বাধিক সম্মানিত। আর জবানে গুণকীর্তন করা (شكر) এর অংশসমূহের মাঝে সর্বাধিক সম্মানিত, কেননা জবানে নিয়ামতের উল্লেখ এবং অভিমুখীকারীর উপর গুণকীর্তন নিয়ামতের সর্বাধিক প্রকাশকারী এবং গোপন বিশ্বাসের কারণে নিয়ামতের স্থানের উপর সর্বাধিক প্রমাণবহ এবং জবানের ‘আমলের বিপরীতের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ‘আমলের ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনা আছে তার কারণে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)