পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩০৯-[১৬] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একদিন মূসা (আঃ) বললেন, হে রব! আমাকে এমন একটি কালাম বা বাক্য শিখিয়ে দাও, যা দিয়ে আমি তোমার জিকির করতে পারি। অথবা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমার কাছে দু’আ করতে পারি। তখন আল্লাহ তা’আলা বললেনঃ হে মূসা! তুমি বলো, ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’’। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে রব! তোমার প্রত্যেক বান্দাই তো এটা (কালিমা) বলে থাকে। আমি তো তোমার কাছে আমার জন্য একটি বিশেষ ’কালিমা’ চাচ্ছি। আল্লাহ তা’আলা তখন বললেন, হে মূসা! সাত আকাশ ও আমি ছাড়া এর সকল অধিবাসী এবং সাত জমিন যদি এক পাল্লায় রাখা হয়, আর ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’’ অন্য পাল্লায় রাখা হয়, তবে অবশ্যই ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’’-এর পাল্লা ভারী হবে। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا رَبِّ عَلِّمْنِي شَيْئًا أَذْكُرُكَ بِهِ وَأَدْعُوكَ بِهِ فَقَالَ: يَا مُوسَى قُلْ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَقَالَ: يَا رَبِّ كلُّ عبادكَ يقولُ هَذَا إِنَّما أيد شَيْئًا تَخُصُّنِي بِهِ قَالَ: يَا مُوسَى لَوْ أَنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَعَامِرَهُنَّ غَيْرِي وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ وُضِعْنَ فِي كِفَّةٍ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فِي كِفَّةٍ لَمَالَتْ بِهِنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
ব্যাখ্যা: (قُلْ: لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ) নিশ্চয়ই (لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ) অংশটুকু আল্লাহর সত্তার একত্ববাদের উপর এবং তার একক গুণাবলীর উপর অধিক প্রমাণ করা সত্ত্বেও তা (لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ) ছাড়া প্রত্যেক দু‘আ ও জিকিরকে অন্তর্ভুক্ত করে থাকে।
(قَالَ: يَا مُوسٰى لَوْ أَنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ الخ) ইমাম ত্বীবী বলেন, যদি তুমি বল মূসা (আঃ) এমন কিছু অনুসন্ধান করেছেন যার মাধ্যমে জিকির ও দু‘আর দিক দিয়ে তিনি অন্যের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব হওয়ার ইচছা করেছেন তাহলে প্রশ্নোত্তরের অনুকূল কোথায়? আমি বলব, যেন সে বলেছে আমি অসম্ভব জিনিস অনুসন্ধান করেছি, কেননা এর অপেক্ষা উত্তম দু‘আ ও জিকির আর নেই। ইমাম ত্বীবী বলেন, উত্তরের সারাংশ হল, নিশ্চয়ই তোমার সাথে নির্দিষ্ট বিষয় হতে তুমি যা অনুসন্ধান করেছ তা সকল যিকিরের উপর শ্রেষ্ঠ অসম্ভবকর, কেননা এ কালিমাটিকে আকাশ ও তার বাসিন্দাগণ জমিন এবং তার বাসিন্দাগণের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়।
(وَالْأَرَضِيْنَ السَّبْعَ) অর্থাৎ- ‘স্তরসমূহ সীবাবদ্ধ ব্যবহারের কারণে জমিনে আবাদকারী’ কথাটি উল্লেখ করেননি অথবা আকাশের আবাদকারী উক্তি উল্লেখ করে পর্যাপ্ত পথ অবলম্বন করেছেন।
(لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ فِىْ كِفَّةٍ) অর্থাৎ- এর সাওয়াব বা কার্ড এক পাল্লাতে। হাফেয ফাত্হ-এ এ হাদীস উল্লেখের পর বলেন, এ হাদীস থেকে মাসআলাহ্ গ্রহণ করা যাচ্ছে যে, (لا إله إلا الله) দ্বারা জিকির করা (الحمد لله) দ্বারা জিকির করা অপেক্ষা প্রাধান্য পাবে। আবূ মালিক আল আশ্‘আরী-এর মারফূ' হাদীস (আল হামদুলিল্লা-হ দাড়িপাল্লাকে পূর্ণ করে দেয়) এর বিরোধিতা করবে না। কেননা পূর্ণাঙ্গ সমতার উপর প্রমাণ বহন করে, পক্ষান্তরে (رجحان) স্পষ্টভাবে আধিক্যতাকে বুঝায়। সুতরাং (لا إله إلا الله) দ্বারা জিকির করাই উত্তম। আর দাড়িপাল্লা পরিপূর্ণ হওয়া এর অর্থ হল (لا إله إلا الله) এর জিকিরকারী সাওয়াব দ্বারা দাড়িপাল্লাকে পূর্ণ করবে।