পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৫৭-[৪৯] মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে (ঘুম থেকে) উঠে তিনবার বলবে, ’’আ’ঊযু বিল্লা-হিস সামী’ইল ’আলীমি মিনাশ্ শাইত্ব-নির রজীম’’ এবং এরপর সূরা হাশর-এর শেষের তিন আয়াত পড়বে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) নিযুক্ত করবেন। এরা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’আ করতে থাকবেন। যদি এ দিন সে মারা যায়, তার হবে শাহীদের মৃত্যু। যে ব্যক্তি এ দু’আ সন্ধ্যার সময় পড়বে, সেও এ একই মর্যাদা পাবে। (তিরমিযী, দারিমী। ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব।)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ: أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ فَقَرَأَ ثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ (الْحَشْرِ)
وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ سَبْعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ مَاتَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ مَاتَ شَهِيدًا. وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُمْسِي كَانَ بِتِلْكَ الْمَنْزِلَةِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
ব্যাখ্যা: তিনবার আ‘ঊযুবিল্লা-হ পাঠ করা হলো শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়ার ক্ষেত্রে অধিক কাকুতি মিনতি করা।
কুরআনুল কারীম তিলাওয়াতের শুরুতে আ‘ঊযূবিল্লা-হ পাঠ করা হলো সূরা আন্ নাহল এর এ আয়াতের নির্দেশ পালনে, আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
‘‘যখন কুরআন পাঠ করবে তখন আ‘ঊযুবিল্লা-হ পড়ে (বিতাড়িত শয়তান থেকে) আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে।’’ (সূরা আন্ নাহল ১৬ : ৯৮)
এরপর সূরা হাশর-এর যে শেষ তিনটি আয়াত পড়ার কথা বলা হয়েছে, এ তিনটি আয়াত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অনেক মনীষীর মতে এ তিনটি আয়াত হলো ইসমে আ‘যম সম্বলিত আয়াত। সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) তার জন্য নিযুক্ত করা হয় যারা তার ওপর সালাত পাঠ করে, এর অর্থ হলো তার নেক কাজের তাওফীকের জন্য এবং সকল প্রকার অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করার জন্য দু‘আ করে। সর্বোপরি তারা তার মাগফিরাতও কামনা করে থাকে।