২১৫৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২১৫৮-[৫০] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন দু’শ বার সূরা ’কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ’ পড়বে তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে। যদি তার ওপর কোন ঋণের বোঝা না থাকে। (তিরমিযী ও দারিমী। কিন্তু দারিমীর বর্ণনায় [দু’শ বারের জায়গায়] পঞ্চাশ বারের কথা উল্লেখ হয়েছে। তিনি ঋণের কথা উল্লেখ করেননি।)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَتَيْ مَرَّةٍ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ)
مُحِيَ عَنْهُ ذُنُوبُ خَمْسِينَ سَنَةً إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلَيْهِ دَيْنٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَفِي رِوَايَتِهِ «خَمْسِينَ مَرَّةٍ» وَلَمْ يَذْكُرْ «إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلَيْهِ دين»

وعن انس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من قرا كل يوم ماىتي مرة (قل هو الله احد) محي عنه ذنوب خمسين سنة الا ان يكون عليه دين» . رواه الترمذي والدارمي وفي روايته «خمسين مرة» ولم يذكر «الا ان يكون عليه دين»

ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি প্রত্যহ সূরা ইখলাস প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দু’শত বার পাঠ করবে তার ‘আমলনামা থেকে পঞ্চাশ বছরের গুনাহ মুছে দেয়া হবে, তবে তার ওপর যদি কোন ঋণের বোঝা বা গুনাহ থাকে তবে সেটা স্বতন্ত্র কথা, অর্থাৎ- ঋণের গুনাহ মাফ হবে না।

অন্য এক বর্ণনায় পঞ্চাশবার পড়ার কথা আছে, তবে সেখানে ঋণের কথা নেই।
শায়খ ‘আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ) বলেন, ঋণের গুনাহকে ইস্‌তিসনা করা (অর্থাৎ- ঋণের গুনাহ ব্যতীত) কথাটির দু’টি অর্থ হতে পার।

১. ঋণের গুনাহ মুছে দেয়া হয় না এবং তাকে ক্ষমা করাও হয় না। এখানে ঋণকে গুনাহের জাতিভুক্ত করা হয়েছে ভীতিপ্রদর্শন করার জন্য এবং গুরুত্ব বুঝানোর জন্য।

২. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির গুনাহই ক্ষমা করা হয় না, সুতরাং ঐ সূরা পাঠ তার ওপর কোন প্রভাব ফেলে না। অর্থাৎ- তার গুনাহ মুছে ফেলে না।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)