২০৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৬৮-[৩৩] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য দিন সওম রাখার চেয়ে শনি ও রবিবার দিন বেশী রাখতেন। তিনি বলতেন, এ দু’ দিন মুশরিকদের ঈদের দিন। তাই আমি তাদের বিপরীত কাজ করতে ভালবাসি। (আহমদ)[1]

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ يَوْمَ السَّبْتِ وَيَوْمَ الْأَحَدِ أَكْثَرَ مَا يَصُومُ مِنَ الْأَيَّامِ وَيَقُولُ: «إِنَّهُمَا يَوْمَا عِيدٍ لِلْمُشْرِكِينَ فَأَنَا أُحِبُّ أَن أخالفهم» . رَوَاهُ أَحْمد

وعن ام سلمة قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصوم يوم السبت ويوم الاحد اكثر ما يصوم من الايام ويقول: «انهما يوما عيد للمشركين فانا احب ان اخالفهم» . رواه احمد

ব্যাখ্যা: এখানে দলীল রয়েছে যে, আহলে কিতাবদের পরিপন্থী কর্ম হিসেবে শনি ও রবিবারে সিয়াম রাখা মুস্তাহাব। বাহ্যিকভাবে এ সিয়াম এককভাবে ও যুক্তভাবে পালনের উপর প্রমাণ করে। কিন্তু উল্লেখিত দু’টি সিয়াম (শনি ও রবি বার) দ্বারা যুক্ত ও ধারাবহিকভাবে পালন উদ্দেশ্য অর্থাৎ- শনি ও রবি বারের সিয়াম লাগাতার দু’দিন করতে হবে। যাতে করে পূর্বে উল্লেখিত শনিবারের দিন সিয়াম পালনের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত হাদীসের বিরোধী ‘আমল না হয়। পৃথকভাবে শনি ও রবিবারে সিয়াম পালন নিষিদ্ধ তবে ধারাবহিকভাবে পালন করা মুস্তাহাব। দু’টি ফিরকার (ইয়াহূদী ও নাসারা) বিপরীত হওয়ার কারণে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)