৮১৮

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়

৮১৮-[৭] সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দু’টি নীরবতার স্থান স্মরণ রেখেছেন। একটি নীরবতা তাঁর তাকবীরে তাহরীমা বাঁধার পর, আর একটি নীরবতা হলো, ’’গয়রিল মাগযূবি ’আলায়হিম ওয়ালায্ যোয়াল্লীন’’ পাঠ করার পর। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-ও তার বক্তব্য সমর্থন করেন। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)[1]

وَعَن سَمُرَة بن جُنْدُب: أَنَّهُ حَفِظَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَكْتَتَيْنِ: سَكْتَةً إِذَا كَبَّرَ وَسَكْتَةً إِذَا فَرَغَ مِنْ قِرَاءَةِ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالّين)
فَصَدَّقَهُ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وروى التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه والدارمي نَحوه

وعن سمرة بن جندب: انه حفظ عن رسول الله صلى الله عليه وسلم سكتتين: سكتة اذا كبر وسكتة اذا فرغ من قراءة (غير المغضوب عليهم ولا الضالين) فصدقه ابي بن كعب. رواه ابو داود وروى الترمذي وابن ماجه والدارمي نحوه

ব্যাখ্যা: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে মোট দু’টো নীরবতা পালন করতেন। প্রথম নীরবতা ছিল সানা পড়ার জন্যে অথবা অনুরূপ কোন কোন দু‘আ পড়ার জন্যে যেমন- আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্বিরাআত (কিরআত) ও তাকবীরের মাঝখানে নীরব থাকতেন এবং দু‘আ পড়তেন। এখানে এর মর্ম হলো সজোরে পড়া থেকে নীরব থাকা। কেননা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) যিকর থেকে খালি থাকে না। সালাতের সমস্ত অংশই যিকর।

দ্বিতীয় নীরবতা হলো যখন তিনি ‘আলায়হিম ওয়ালায্ যোয়াল্লীন বলে অবসর হতেন। তাই সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ ও আমীন এর মাঝখানে ব্যবধান করার জন্যে নীরব থাকতেন যাতে কুরআন ও গায়রে কুরআন মিলে না যায়। সেটা হালকা নীরবতা হবে প্রথমটার তুলনায়। হানাফীরা এ হাদীস দিয়ে নিঃশব্দে ‘আমীন’ বলা প্রমাণ করে। উত্তরে বলা যায় যে, দ্বিতীয় নীরবতাটা ‘আমীন’ নিঃশব্দের জন্যে নয়, কেননা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আমীন’ স্বশব্দে উচ্চারণ করতেন।

যায়নুল ‘আরব বলেছেন, এ নীরবতার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মুক্তাদী সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পড়বে এবং ইমাম শ্বাস নিবে ও আরামবোধ করবে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)