৮১৯

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়

৮১৯-[৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় রাক্’আত আদায় করার পর উঠে সাথে সাথে সূরাহ্ ফাতিহাহ্ দ্বারা ক্বিরাআত (কিরআত) শুরু করে দিতেন এবং চুপ করে থাকতেন না।[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَهَضَ مِنَ الرَّكْعَة الثَّانِيَة استفتح الْقِرَاءَة ب «الْحَمد لله رب الْعَالمين» وَلَمْ يَسْكُتْ. هَكَذَا فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ. وَذَكَرَهُ الْحُمَيْدِيُّ فِي أَفْرَادِهِ وَكَذَا صَاحِبُ الْجَامِعِ عَنْ مُسلم وَحده

وعن ابي هريرة قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا نهض من الركعة الثانية استفتح القراءة ب «الحمد لله رب العالمين» ولم يسكت. هكذا في صحيح مسلم. وذكره الحميدي في افراده وكذا صاحب الجامع عن مسلم وحده

ব্যাখ্যা: এখানে উদ্দেশ্য শুধু সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ ছাড়া আর কিছু পড়তেন না। সুতরাং প্রমাণিত যে, বিসমিল্লা-হ আলহাম্দু সূরাহ্’র অন্তর্ভুক্ত নয়- এ কথাটি ‘আল্লামা ত্বীবী বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেন, বিসমিল্লা-হ হলো সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্’র একটি অংশ বিশেষ কাজেই আলহাম্দু সূরাহ্ শুরু করা মানে মনে মনে বিসমিল্লা-হ পাঠের পর আরম্ভ করা। ‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, দ্বিতীয় রাক্‘আতে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়ার আগে নীরবতাটা শার‘ঈ বিধান না হওয়ার উপর এ হাদীস প্রমাণ করে। এমনিভাবে দ্বিতীয় রাক্‘আতে তা‘আব্বুয শার‘ঈ রীতিনীতি না হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে। তাই বুঝা গেল, একমাত্র ক্বিরাআতের পূর্বে প্রথম রাক্‘আতে নীরবতা অবলম্বন করা নির্ধারিত থাকবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)