৮১৭

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাকবীরে তাহরীমার পর যা পড়তে হয়

৮১৭-[৬] জুবায়র ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকবীর তাহরীমার পর বললেনঃ ’’আল্লা-হু আকবার কাবীরা-, আল্লা-হু আকবার কাবীরা-, আল্লা-হু আকবার কাবীরা-, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরা-, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরা-, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরা-, ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি বুকরাতাওঁ ওয়াআসীলা- মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহী’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহ অতি মহান, এবং আল্লাহর জন্যই অনেক প্রশংসা, এবং আল্লাহর জন্যই অনেক প্রশংসা, এবং আল্লাহর জন্যই অনেক প্রশংসা, এবং সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহরই পবিত্রতা বর্ণনা করছি) শেষ কথাটিও তিনবার বললেন।

’’আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ্ শায়ত্ব-নির রজীম মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহী’’ (আপনি বিতাড়িত শায়ত্বন (শয়তান) হতে, অর্থাৎ তার অহমিকা, তার যাদু ও তার ওয়াস্ওয়াসা হতে আল্লাহর নিকট মুক্তি চাচ্ছি)। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]

কিন্তু ইমাম ইবনু মাজাহ ’’ওয়ালহাম্দু লিল্লা-হি কাসীরা-’’ উল্লেখ করেননি, আর শেষদিকে শুধু ’’মিনাশ্ শায়ত্ব-নির রজীম’’ বর্ণনা করেছেন। ’উমার (রাঃ) বলেছেন, نَفْخٌ (নাফখ) অর্থ অহমিকা, نَفْثٌ (নাফস) অর্থ কবিতা, আর هَمْزٌ (হাম্য) অর্থ ওয়াস্ওয়াসা।

وَعَن جُبَير بن مطعم: أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةً قَالَ: «اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَان الله بكرَة وَأَصِيلا» ثَلَاثًا «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِهِ وَنَفْثَهِ وَهَمْزَهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ: «وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا» . وَذَكَرَ فِي آخِرِهِ: «مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ» وَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: نَفْخُهُ الْكِبْرُ وَنَفْثُهُ الشِّعْرُ وهمزه الموتة

وعن جبير بن مطعم: انه راى رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي صلاة قال: «الله اكبر كبيرا الله اكبر كبيرا الله اكبر كبيرا والحمد لله كثيرا والحمد لله كثيرا والحمد لله كثيرا وسبحان الله بكرة واصيلا» ثلاثا «اعوذ بالله من الشيطان من نفخه ونفثه وهمزه» . رواه ابو داود وابن ماجه الا انه لم يذكر: «والحمد لله كثيرا» . وذكر في اخره: «من الشيطان الرجيم» وقال عمر رضي الله عنه: نفخه الكبر ونفثه الشعر وهمزه الموتة

ব্যাখ্যা: নফল সালাতে এ জাতীয় দু‘আ কালাম পাঠ করার কথা মহানাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত আছে। সকাল-সন্ধ্যা বলে দু’ ওয়াক্তকে নির্দিষ্ট করার কারণ হলো, এ সময়টা দিনের ও রাতের মালায়িকাহ্’র আগমন ও প্রস্থানের সময়। সুতরাং এ সময় আল্লাহর প্রশংসা করা একটি শুভ কাজের মধ্যে লিপ্ত হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে।

ইমাম শাওকানী বলেনঃ এটা শুধু প্রথম রাক্‘আতের মধ্যে সুন্নাত সাব্যস্ত হয়েছে। আর হাসান (রহঃ) বলেন, প্রতি রাক্‘আতে পড়া মুস্তাহাব। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু প্রথম রাক্‘আতে সানা পড়তেন- এ হাদীসটি সর্বাধিক স্পষ্ট, বেশি শক্তিশালী, বেশি বিশুদ্ধ। তাই এর উপরই ‘আমল থাকা উচিত।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)