পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৯-[৪০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা এমন যুগে আছ, যে যুগে তোমাদের কেউ তার উপর নির্দেশিত বিষয়ের এক-দশমাংশও ছেড়ে দিলে সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। অতঃপর এমন এক যুগ আসবে, যখন কেউ যদি তার প্রতি নির্দেশিত বিষয়ের এক-দশমাংশের উপরও ’আমল করে সে পরিত্রাণ পাবে। (তিরমিযী)[1]
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكُم فِي زمَان تَرَكَ مِنْكُمْ عُشْرَ مَا أُمِرَ بِهِ هَلَكَ ثُمَّ يَأْتِي زَمَانٌ مَنْ عَمِلَ مِنْهُمْ بِعُشْرِ مَا أَمر بِهِ نجا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: হাদীসে বর্ণিত সে যামানা হলো ইসলামের স্বর্ণযুগ, যে যুগে মুসলিমদের সার্বিক নিরাপত্তা ছিল। নির্দেশিত বিষয় বলতে সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ এখানে ফরয বা আবশ্যকীয় বিষয়াদি কম-বেশী করে করার কোন দিক নেই। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ তোমরা এই যুগে নির্দেশিত বিষয় থেকে এক-দশমাংশ তরক করলেও ধ্বংস হবে। কারণ, সে যুগটি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিদ্যমানতায় ও ইসলামের সবচেয়ে সম্মানজনক। সুতরাং সে যুগে নির্দেশিত বিষয় তরক করা অপরাধমূলক, যা গ্রহণযোগ্য ছিল না।
আর শেষ যামানায় এক-দশমাংশ পালন করলেই নাজাত পাবে। কারণ হলোঃ সেই যামানায় যুলম-অত্যাচার ফিৎনা-ফাসাদ বেড়ে যাবে, অন্যদিকে হক ও হাক্বের সাহায্যকারী হ্রাস পাবে। উপরন্তু উপযুক্ত ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে মুসলিম সমাজ সঠিক দিক-নির্দেশনা হতে বঞ্চিত থাকবে।