১১৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান

১১৭-[৩৯] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট খদীজাহ্ (রাঃ)তাঁর (পূর্ব-স্বামীর) দু’টি সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, যারা জাহিলিয়্যাতের যুগে মারা গেছে (তারা কোথায় জান্নাতী, না জাহান্নামী)। উত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারা উভয়ে জাহান্নামী। ’আলী (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (যখন সন্তানদের জাহান্নামী হওয়ার ব্যাপারে বর্ণনা দেন তখন) খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর চেহারায় বিষণ্ণ ও অসন্তোষের ভাব লক্ষ্য করে বললেন, তুমি যদি তাদের অবস্থান বা অবস্থা দেখতে, তবে তুমি নিশ্চয়ই তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে। অতঃপর খাদীজাহ্ (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আপনার ঔরসে আমার যেসব সন্তান জন্মগ্রহণ করে মারা গেছে (ক্বাসিম ও ’আবদুল্লাহ (রাঃ), তাদের কী হবে)? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারা জান্নাতে অবস্থান করছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মু’মিনগণ ও তাদের সন্তান-সন্ততিরা জান্নাতে এবং মুশরিক ও তাদের সন্তানাদিরা জাহান্নামে যাবে। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কুরআনের) আয়াত করলেন (অনুবাদঃ) ’’যারা ঈমান এনেছে আর তাদের সন্তানরা যারা তাদের অনুসরণ করেছে, [আমি তাদের সন্তানদেরকে (জান্নাতে) ওদের সাথে রাখবো]’’- (সূরাহ্ আত্ তূর ৫২: ২১)। (আহমাদ)[1]

باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث

عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلت خَدِيجَة النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ وَلَدَيْنِ مَاتَا لَهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هُمَا فِي النَّارِ قَالَ فَلَمَّا رأى الْكَرَاهِيَة فِي وَجْهِهَا قَالَ لَوْ رَأَيْتِ مَكَانَهُمَا لَأَبْغَضْتِهِمَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَوَلَدِي مِنْكَ قَالَ فِي الْجنَّة قَالَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْمُؤْمِنِينَ وَأَوْلَادَهُمْ فِي الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْمُشْرِكِينَ وَأَوْلَادَهُمْ فِي النَّارِ ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذرياتهم)

عن علي رضي الله عنه قال سالت خديجة النبي صلى الله عليه وسلم عن ولدين ماتا لها في الجاهلية فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: هما في النار قال فلما راى الكراهية في وجهها قال لو رايت مكانهما لابغضتهما قالت يا رسول الله فولدي منك قال في الجنة قال ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان المومنين واولادهم في الجنة وان المشركين واولادهم في النار ثم قرا رسول الله صلى الله عليه وسلم (والذين امنوا واتبعتهم ذريتهم بايمان الحقنا بهم ذرياتهم)

Chapter: Belief in the Divine Decree - Section 3


‘Ali said that Khadija asked the Prophet about two children of hers who had died in the pre-Islamic period and God’s messenger replied, “They are in hell.” Then when he saw her look of disapproval he said, “If you saw their position you would hate them.” She asked, “Messenger of God, what about my son whom I had from you?” He replied, “He is in paradise.” Then God’s messenger said, “The believers and their children are in paradise and the polytheists and their children are in hell.” Then God’s messenger recited, “Those who believe and whose offspring have followed them.”

Ahmad transmitted it.

ব্যাখ্যা: (سَأَلَتْ خَدِيْجَةُ) তিনি হচ্ছেন খদীজাহ্ বিনতু খুওয়াইলিদ বিন আসাদ বিন ‘আবদুল ‘উযযা বিন কুসাই আল্ কুরাশিয়াহ্ (রাঃ)। তিনি আবূ হালাহ বিন যুবায়র-এর স্ত্রী ছিলেন। অতঃপর তাকে ‘আতীক্ব বিন ‘আয়িয বিবাহ করে, অতঃপর তাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ করেন সে সময় তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ২৫ বছর। এটাই ছিল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রথম বিবাহ এবং তিনি বেঁচে থাকতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর কাউকে বিবাহ করেননি। তিনিই হলেন সর্বপ্রথম ঈমান আনয়নকারিণী। আর কেউ কেউ বলেছেন, মহিলাদের মধ্যে প্রথম ঈমান আনয়নকারিণী। নুবূওয়্যাতের পূর্বে তাকে ত্বাহিরাহ্ নামে ডাকা হতো। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সব সন্তানই তাঁর গর্ভের একমাত্র ইবরাহীম ছাড়া। কেননা তিনি হলেন মারিয়াতুল কিবতিয়া (রাঃ)-এর গর্ভে। হিজরতের পাঁচ বছর পূর্বে মক্কায় মৃত্যুবরণ করেন।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)