৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান

৯০-[১২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক সন্তানই ইসলামী ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে থাকে। অতঃপর তার মাতা-পিতা তাকে ইয়াহুদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক বানিয়ে ফেলে। যেরূপে চতুষ্পদ জন্তু পূর্ণাঙ্গ জন্তুই জন্ম দিয়ে থাকে, এতে তোমরা কোন বাচ্চার কানকাটা দেখতে পাও কি? এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিলাওয়াত করলেনঃ

فِطْرَةَ اللهِ الَّتِيْ فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيْلَ لِخَلْقِ اللهِ ذلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ

’’আল্লাহর ফিতরাত, যার উপর তিনি মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টি রহস্যে কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল প্রতিষ্ঠিত দীন।’’ (সূরাহ্ আর্ রূম ৩০: ৩০)। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْإِيْمَانِ بِالْقَدْرِ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ كَانَ يحدث قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ كَمَا تُنْتَجُ الْبَهِيمَةُ بَهِيمَةً جَمْعَاءَ هَلْ تُحِسُّونَ فِيهَا مِنْ جَدْعَاءَ ثُمَّ يَقُول أَبُو هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ (فطْرَة الله الَّتِي فطر النَّاس عَلَيْهَا)
الْآيَة»

عن ابي هريرة رضي الله عنه كان يحدث قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «ما من مولود الا يولد على الفطرة فابواه يهودانه او ينصرانه او يمجسانه كما تنتج البهيمة بهيمة جمعاء هل تحسون فيها من جدعاء ثم يقول ابو هريرة رضي الله عنه (فطرة الله التي فطر الناس عليها) الاية»

Chapter: Belief in the Divine Decree - Section 1


Abu Huraira reported God’s messenger as saying, “Everyone is born a Muslim, but his parents make him a Jew, a Christian, or a Magian; just as a beast is born whole. Do you find some among them [born] maimed?” Then he was saying, “God’s pattern on which He formed mankind. There is no alteration of God’s creation. That is the true religion.” *

(Bukhari and Muslim.)

* Quran, 30:30. It is not quite clear whether these words were recited by the Prophet or by Abu Huraira.

ব্যাখ্যা: (الْفِطْرَةِ) শব্দের অনেক প্রকার ব্যাখ্যা রয়েছে তন্মধ্যে প্রসিদ্ধ হচ্ছে, এ দ্বারা উদ্দেশ্য ইসলাম। ইমাম বুখারী এ বক্তব্যকেই দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন এবং অনেক পূর্বসুরীই এটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। অন্য বর্ণনাতে الْفِطْرَةِ এর পরিবর্তে الملة শব্দটিও এ বক্তব্যকে সমর্থন করে। (فِطْرَةَ اللهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا) এ আয়াতের উল্লেখ। প্রকৃত ব্যাপার বুঝানোর জন্য হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে। দুনিয়ার হুকুমের ক্ষেত্রে প্রকৃতিগত ঈমান বা ইসলামের বিষয়টি ধর্তব্য নয়। দুনিয়াতে ধর্তব্য বিষয় হলো স্বেচ্ছায় ঈমান আনা।

(فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِه) প্রমাণ করে যে, দুনিয়ার হুকুমে সে কাফির যদিও তার মধ্যে স্বভাবগত ঈমান বিদ্যমান। কিংবা এখানে ফিত্বরাতের অর্থ হলো আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টাকে চিনবার যে যোগ্যতা দিয়েছেন সেই অবস্থার নামই ফিত্বরাত। সদ্যভূমিষ্ঠ সন্তানকে যদি তার ফিতরাতের উপর ছেড়ে দেয়া হত এবং তার পিতা-মাতা বা অন্য কোন দিক থেকে প্রভাবিত করা না হত তাহলে সে সত্য দীনকেই আঁকড়িয়ে থাকতো। তা বাদ দিয়ে অন্য দিকে যেত না এবং এ দীন ব্যতীত অন্য কোন দীন গ্রহণ করত না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)