পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন
৫৬-[৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি স্বভাব যার মধ্যে পাওয়া যাবে, সে খাঁটি মুনাফিক্ব এবং যার মধ্যে তার একটি দেখা যাবে তার মধ্যে মুনাফিক্বের একটি স্বভাব থাকবে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিহার করবে- (১) যখন তার নিকট কোন আমানত রাখা হয় সে তা খিয়ানত করে, (২) যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে, (৩) যখন ওয়াদা করে, ভঙ্গ করে এবং (৪) যখন কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ করে, তখন সে অশ্লীলভাষী হয়। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الْكَبَائِرِ وَعَلَامَاتِ النِّفَاقِ- الفصل الأول
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ وَإِذا خَاصم فجر»
Chapter: Major Sins and the Signs of Hypocrisy - Section 1
‘Abdallah b. ‘Amr reported God's messenger as saying, “Four characteristics constitute anyone who possesses them a sheer hypocrite, and anyone who possesses one of them possesses a characteristic of hypocrisy till he abandons it:
when he is trusted he betrays his trust, when he talks he lies, when he makes a covenant he acts treacherously, and when he quarrels he deviates from the truth.”
(Bukhari and Muslim.)
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে বর্ণিত চারটি অভ্যাস যার মধ্যে আছে সে খাঁটি মুনাফিক্ব। অর্থাৎ- এ চারটি অভ্যাসের ব্যাপারে সে খাঁটি মুনাফিক্ব। অন্যান্য বিষয়ে নয়। অথবা এর দ্বারা মুনাফিক্বদের সাথে এরূপ ব্যক্তির সাদৃশ্য আধিক্য বুঝানো হয়েছে অথবা যার মধ্যে এ অভ্যাসগুলো স্থায়ীভাবে গেড়ে বসেছে সে খাঁটি মুনাফিক্ব। প্রশ্ন হতে পারে যে পূর্বের হাদীসে মুনাফিক্বের আলামত ৩টি অভ্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এ হাদীসে কিভাবে চারটি অভ্যাসের কথা বলা হলো? এর জওয়াব এই যে মুসলিমের বর্ণনাটি যেভাবে এসেছে তা দ্বারা সীমাবদ্ধতা বুঝায় না। তাতে হাদীসের শব্দ এরূপ مِنْ عَلَامَةِ الْمُنَافِقٍ ثَلَاثٌ মুনাফিক্বের নিদর্শনের মধ্যে তিনটি নিদর্শন। এতে বুঝা যায় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সময় কিছু নিদর্শনের কথা আলোচনা করেছেন। আবার অন্য সময় অন্য কিছু নিদর্শনের কথা আলোচনা করেছেন। অথবা বলা যায় যে, নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করার অর্থ এ নয় যে, এর সংখ্যা এর চাইতে বেশী হবে না।