পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৭-[৬] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ (প্রকৃত) মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা, তার সন্তান-সন্ততি এবং অন্যান্য সকল মানুষ হতে প্রিয়তম হই। (বুখারী, মুসলিম)[1]

الفصل الاول

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ»

وعن انس رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يومن احدكم حتى اكون احب اليه من والده وولده والناس اجمعين

Chapter - Section 1


Anas reported God’s messenger as saying, “None of you believes till I am dearer to him than his father, his child, and all mankind.”

(Bukhari and Muslim).

ব্যাখ্যা: হাদীসে স্বীয় সত্তার কথা উল্লেখ করা হয়নি এজন্য যে, তা وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ এর মধ্যে নিহিত রয়েছে। অথবা পিতা ও সন্তান উল্লেখ করার পর স্বীয় সত্তার উল্লেখ করা প্রয়োজন হয়নি এজন্য যে, পিতা ও সন্তান নিজ সত্তার চেয়েও ব্যক্তির নিকট মর্যাদাবান। ইমাম খাত্ত্বাবী বলেনঃ হাদীসে মুহাব্বাত বা ভালোবাসা দ্বারা অভ্যাসগত ভালোবাসা বুঝানো হয়নি। বরং তা দ্বারা ইখতিয়ারী (ইচ্ছাকৃত) ভালোবাসা বুঝানো হয়েছে। কেননা মানুষের পরিবার ও সম্পদের প্রতি ভালোবাসা প্রকৃতিগত ভালোবাসা যা থেকে পরিত্রাণ মানুষের সাধ্যাতীত। তা পরিবর্তন করার কোন পথ নেই। অতএব হাদীসের মর্ম হলো, কোন ব্যক্তি তার ঈমানের দাবীতে সঠিক বলে প্রমাণিত হবে না যতক্ষণ না সে স্বীয় সত্তাকে আমার আনুগত্যের উদ্দেশে উৎসর্গ করবে এবং আমার সন্তুষ্টিকে স্বীয় প্রবৃত্তির উপর প্রাধান্য দিবে।

হাদীসের শিক্ষাঃ

১। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভালোবাসা ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।

২। এ ভালোবাসা অর্জনে মানুষের মধ্যে শ্রেণী বিন্যাস রয়েছে। অর্থাৎ- রসূলের প্রতি ভালোবাসা অর্জনে সকলে একই স্তরের নয়।

৩। রসূলের প্রতি ভালোবাসার কারণে ঈমান বৃদ্ধি পায়। আর তাঁর প্রতি ভালোবাসা কমে গেলে ঈমানও কমে যায়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)