পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৩৯. ’আত্বা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এশার সালাত দেরি হল। তখন ’উমার (রাঃ) বের হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সালাত, মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছেন। তখন তিনি বের হয়ে এলেন, তাঁর মাথা থেকে পানি টপ টপ করে পড়ছে। তিনি বলছিলেন, যদি আমার উম্মাতের জন্য কিংবা বলেছিলেন, লোকেদের জন্য, সুফ্ইয়ানও বলেছেন, আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এ সময়ে সালাত পড়ার হুকুম দিতাম।
ইবনু জুরায়জ ’আত্বার সূত্রে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সালাত বিলম্ব করলেন। ফলে ’উমার (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি তাঁর মাথার পাশ থেকে পানি মুছতে মুছতে বের হয়ে এসে বললেনঃ আসলে এটাই সময়। এরপর বললেনঃ যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম.....।
’আমর এ হাদীসটি ’আত্বা থেকে বর্ণনা করেন, সে সূত্রে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর নাম নেই। তবে ’আমর বলেছেন যে, তাঁর মাথা থেকে পানি টপ টপ করে পড়ছিল। আর ইবনু জুরায়জ বলেন, তিনি তাঁর মাথার এক পাশ থেকে পানি মুছছিলেন। আবার ’আমরের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম। আর ইবনু জুরায়জ বলেন, এটাই সময়। যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম.....। তবে ইব্রাহীম ইবনু মুনযির ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণিত আছে। [৫৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৫)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا عَطَاءٌ قَالَ أَعْتَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلمبِالْعِشَاءِ فَخَرَجَ عُمَرُ فَقَالَ الصَّلاَةَ يَا رَسُولَ اللهِ رَقَدَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ فَخَرَجَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ يَقُولُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ وَقَالَ سُفْيَانُ أَيْضًا عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ بِالصَّلاَةِ هَذِهِ السَّاعَةَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَخَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الصَّلاَةَ فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَقَدَ النِّسَاءُ وَالْوِلْدَانُ فَخَرَجَ وَهُوَ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ يَقُولُ إِنَّهُ لَلْوَقْتُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا عَطَاءٌ لَيْسَ فِيهِ ابْنُ عَبَّاسٍ أَمَّا عَمْرٌو فَقَالَ رَأْسُهُ يَقْطُرُ وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ وَقَالَ عَمْرٌو لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ إِنَّهُ لَلْوَقْتُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated 'Ata:
One night the Prophet (ﷺ) delayed the `Isha' prayer whereupon `Umar went to him and said, "The prayer, O Allah's Messenger (ﷺ)! The women and children had slept." The Prophet (ﷺ) came out with water dropping from his head, and said, "Were I not afraid that it would be hard for my followers (or for the people), I would order them to pray `Isha prayer at this time." (Various versions of this Hadith are given by the narrators with slight differences in expression but not in content).