পরিচ্ছেদঃ ৯৪/১. কামনা করা এবং যিনি শাহাদাত কামনা করেন।
৭২২৬. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! যদি কিছু লোক আমার সঙ্গে শরীক না হয়ে পিছনে থেকে যাওয়াটা অপছন্দ না করত, আর সকলকে (যুদ্ধে যাওয়ার) বাহন দিতে আমি অক্ষম না হতাম, তাহলে আমি কোন যুদ্ধ থেকেই পিছনে থাকতাম না। আমি অবশ্যই কামনা করি যে, আমাকে আল্লাহর পথে শহীদ করা হয়, আবার জীবিত করা হয়। আবার শহীদ করা হয় আবার জীবিত করা হয়। আবার শহীদ করা হয় আবার জীবিত করা হয়। আবার শহীদ করা হয়।[1] [৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৩২)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّمَنِّي وَمَنْ تَمَنَّى الشَّهَادَةَ
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْلاَ أَنَّ رِجَالاً يَكْرَهُونَ أَنْ يَتَخَلَّفُوا بَعْدِي وَلاَ أَجِدُ مَا أَحْمِلُهُمْ مَا تَخَلَّفْتُ لَوَدِدْتُ أَنِّي أُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللهِ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ.
Narrated Abu Huraira:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "By Him in Whose Hands my life is! Were it not for some men who dislike to be left behind and for whom I do not have means of conveyance, I would not stay away (from any Holy Battle). I would love to be martyred in Allah's Cause and come to life and then get, martyred and then come to life and then get martyred and then get resurrected and then get martyred.
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/১. কামনা করা এবং যিনি শাহাদাত কামনা করেন।
৭২২৭. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! আমি কামনা করি যেন আমি অবশ্যই আল্লাহর পথে যুদ্ধ করি। এতে আমাকে শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয় আবার শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, আবার শহীদ করা হয়। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বললেন, কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। এ সম্পর্কে আমি আল্লাহর নামে সাক্ষ্য দিচ্ছি। [৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৩৩)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّمَنِّي وَمَنْ تَمَنَّى الشَّهَادَةَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ وَدِدْتُ أَنِّي أُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللهِ فَأُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ فَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَقُولُهُنَّ ثَلاَثًا أَشْهَدُ بِاللهِ.
Narrated Al-A'raj:
Abu Huraira said, Allah's Messenger (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand my life is, I would love to fight in Allah's Cause and then get martyred and then resurrected (come to life) and then get martyred and then resurrected (come to life) and then get martyred, and then resurrected (come to life) and then get martyred and then resurrected (come to life)." Abu Huraira used to repeat those words three times and I testify to it with Allah's Oath.
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/২. কল্যাণ কামনা করা।
وَقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ كَانَ لِي أُحُدٌ ذَهَبًا
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ যদি ওহুদ পর্বত আমার জন্য স্বর্ণ হয়ে যেত।
৭২২৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যদি উহূদ (পাহাড়) পরিমাণ সোনা আমার কাছে থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই পছন্দ করতাম যে, তিন রাতও এ অবস্থায় অতিবাহিত না হোক যে ঋণ আদায় করার জন্য ছাড়া একটি দ্বীনারও আমার কাছে থাকুক যা গ্রহণ করার মত লোক পাই। [২৩৮৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৩৪)
بَاب تَمَنِّي الْخَيْرِ
إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ كَانَ عِنْدِي أُحُدٌ ذَهَبًا لأَحْبَبْتُ أَنْ لاَ يَأْتِيَ عَلَيَّ ثَلاَثٌ وَعِنْدِي مِنْهُ دِينَارٌ لَيْسَ شَيْءٌ أَرْصُدُهُ فِي دَيْنٍ عَلَيَّ أَجِدُ مَنْ يَقْبَلُهُ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "If I had gold equal to the mountain of Uhud, I would love that, before three days had passed, not a single Dinar thereof remained with me if I found somebody to accept it excluding some amount that I would keep for the payment of my debts.''
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কথাঃ কোন কাজ সম্পর্কে যদি আগে জানতে পারতাম যা পরে জানতে পেরেছি।
৭২২৯. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার কর্তব্য সম্পর্কে যদি আমি আগে জানতাম যা পরে জানতে পেরেছি, তাহলে আমি হাদী (অর্থাৎ কুরবানীর পশু) সঙ্গে নিয়ে আসতাম না এবং লোকেরা যখন (ইহরাম ছেড়ে) হালাল হয়েছে, তখন আমিও হালাল হয়ে যেতাম। [২৯৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৩৫)
بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَوْ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا سُقْتُ الْهَدْيَ وَلَحَلَلْتُ مَعَ النَّاسِ حِينَ حَلُّوا.
Narrated `Aisha:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If I had formerly known what I came to know recently, I would not have driven the Hadi with me and would have finished the state of Ihram along with the people when they finished it."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কথাঃ কোন কাজ সম্পর্কে যদি আগে জানতে পারতাম যা পরে জানতে পেরেছি।
৭২৩০. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম এবং আমরা হাজ্জের তালবিয়া পড়লাম। তারপর যিলহাজ্জ মাসের চারদিন অতিক্রান্ত হবার পর আমরা মক্কা্য় এসে পৌঁছলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বাইতুল্লাহ্ তাওয়াফ করতে এবং সাফা ও মারওয়ার সায়ী করতে নির্দেশ দিলেন এবং এটাকে ’উমরায় পরিণত করে ইহরাম খুলে হালাল হওয়ার জন্য বললেন। যাদের সঙ্গে হাদী (কুরবানীর পশু) ছিল তাদের ছাড়া। জাবির (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ত্বলহা (রাঃ) ব্যতীত আমাদের আর কারো সঙ্গে হাদী ছিল না। এ সময় ’আলী (রাঃ) ইয়ামান হতে আসলেন। তাঁর সঙ্গে হাদী ছিল। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেরূপ ইহরাম বেঁধেছেন, আমিও তেমন ইহরাম বেঁধেছি। সাহাবীগণ (রাঃ) বললেন, আমরা মিনার দিকে যাচ্ছি। অথচ আমাদের কারো কারো পুরুষাঙ্গ (স্ত্রী সহবাসের জন্য) উত্তেজিত হচ্ছে।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি আমার এ কাজে যদি আগে জানতাম যা আমি পরে জানতে পারলাম, তাহলে আমি হাদী সঙ্গে আনতাম না। আর আমার সঙ্গে যদি হাদী না থাকত তাহলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম। রাবী বলেন, এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র সঙ্গে সুরাকা ইবনু মালিক (রাঃ) সাক্ষাত করলেন যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামরা-ই আকাবাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করছিলেন। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি কেবল আমাদের জন্যই? তিনি বললেনঃ না, বরং এটা চিরদিনের জন্য। জাবির (রাঃ) বলেন, ’আয়িশাহ (রাঃ) ঋতুমতী হয়ে মক্কা্য় পৌঁছেছিলেন।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে নির্দেশ করলেন, হাজ্জের যাবতীয় কার্য যথারীতি আদায় কর, তবে পবিত্র হবার পূর্ব পর্যন্ত বাইতুল্লাহ্ তাওয়াফ করো না এবং সালাত আদায় করো না। তারা যখন বাতহা নামক স্থানে নামলেন, ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনারা একটি হাজ্জ ও একটি ’উমরাহ নিয়ে ফিরলেন। আর আমি কেবল একটি হাজ্জ নিয়ে ফিরছি? জাবির (রাঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-কে তাঁকে তানঈমে নিয়ে যাবার হুকুম করলেন। পরে ’আয়িশাহ (রাঃ) যিলহাজ্জ মাসে হাজ্জের দিনগুলোর পরে একটি ’উমরা আদায় করেন। [১৫৫৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৩৬)
بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَوْ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ
الْحَسَنُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ عَنْ حَبِيبٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَبَّيْنَا بِالْحَجِّ وَقَدِمْنَا مَكَّةَ لِأَرْبَعٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَطُوفَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَأَنْ نَجْعَلَهَا عُمْرَةً وَنَحِلَّ إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ قَالَ وَلَمْ يَكُنْ مَعَ أَحَدٍ مِنَّا هَدْيٌ غَيْرَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَطَلْحَةَ وَجَاءَ عَلِيٌّ مِنْ الْيَمَنِ مَعَهُ الْهَدْيُ فَقَالَ أَهْلَلْتُ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا نَنْطَلِقُ إِلَى مِنًى وَذَكَرُ أَحَدِنَا يَقْطُرُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّي لَوْ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ وَلَوْلاَ أَنَّ مَعِي الْهَدْيَ لَحَلَلْتُ قَالَ وَلَقِيَهُ سُرَاقَةُ وَهُوَ يَرْمِي جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَلَنَا هَذِهِ خَاصَّةً قَالَ لاَ بَلْ لِأَبَدٍ قَالَ وَكَانَتْ عَائِشَةُ قَدِمَتْ مَعَهُ مَكَّةَ وَهِيَ حَائِضٌ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تَنْسُكَ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنَّهَا لاَ تَطُوفُ وَلاَ تُصَلِّي حَتَّى تَطْهُرَ فَلَمَّا نَزَلُوا الْبَطْحَاءَ قَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللهِ أَتَنْطَلِقُونَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ وَأَنْطَلِقُ بِحَجَّةٍ قَالَ ثُمَّ أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَنْ يَنْطَلِقَ مَعَهَا إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرَتْ عُمْرَةً فِي ذِي الْحَجَّةِ بَعْدَ أَيَّامِ الْحَجِّ.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
We were in the company of Allah's Messenger (ﷺ) and we assumed the state of Ihram of Hajj and arrived at Mecca on the fourth of Dhul-Hijja. The Prophet (ﷺ) ordered us to perform the Tawaf around the Ka`ba and (Sa`i) between As-Safa and Al-Marwa and use our lhram just for `Umra, and finish the state of Ihram unless we had our Hadi with us. None of us had the Hadi with him except the Prophet (ﷺ) and Talha. `Ali came from Yemen and brought the Hadi with him. `Ali said, 'I had assumed the state of Ihram with the same intention as that with which Allah's Messenger (ﷺ) had assumed it. The people said, "How can we proceed to Mina and our male organs are dribbling?" Allah's Messenger (ﷺ) said, "If I had formerly known what I came to know latterly, I would not have brought the Hadi, and had there been no Hadi with me, I would have finished my Ihram." Suraqa (bin Malik) met the Prophet (ﷺ) while he was throwing pebbles at the Jamrat-Al-`Aqaba, and asked, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Is this (permitted) for us only?" The Prophet (ﷺ) replied. "No, it is forever" `Aisha had arrived at Mecca while she was menstruating, therefore the Prophet (ﷺ) ordered her to perform all the ceremonies of Hajj except the Tawaf around the Ka`ba, and not to perform her prayers unless and until she became clean . When they encamped at Al-Batha, `Aisha said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! You are proceeding after performing both Hajj and `Umra while I am proceeding with Hajj only?" So the Prophet (ﷺ) ordered `Abdur-Rahman bin Abu Bakr As-Siddiq to go with her to at-Tan`im, and so she performed the `Umra in Dhul-Hijja after the days of the Hajj.
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৪. (নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)]-এর কথাঃ যদি এমন এমন হত।
৭২৩১. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেগে রইলেন। পরে তিনি বললেনঃ যদি আমার সাহাবীদের কোন নেককার লোক আজ রাতে আমার পাহারা দিত! হঠাৎ আমরা অস্ত্রের শব্দ শুনলাম। তখন তিনি বললেনঃ এ কে? বলা হল, এ হচ্ছে সা’দ, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে পাহারা দিতে এসেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমালেন, এমন কি আমরা তাঁর নাক ডাকার আওয়াজ শুনতে পেলাম।[1]
’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, বিলাল (রাঃ) আওড়াচ্ছিলেন- হায়! আমার উপলব্ধি, আমি কি উপত্যকায় রাত কাটাতে পারব, যখন আমার পাশে থাকবে জালীর ও ইয্খির (ঘাস)। পরে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ খবর পৌঁছিয়ে দিলাম। [২৮৮৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৩৭)
بَاب قَوْلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْتَ كَذَا وَكَذَا
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ أَرِقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَقَالَ لَيْتَ رَجُلاً صَالِحًا مِنْ أَصْحَابِي يَحْرُسُنِي اللَّيْلَةَ إِذْ سَمِعْنَا صَوْتَ السِّلاَحِ قَالَ مَنْ هَذَا قَالَ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللهِ جِئْتُ أَحْرُسُكَ فَنَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى سَمِعْنَا غَطِيطَهُ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ بِلاَلٌ أَلاَ لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم.
যেমন বদর, উহুদ, খন্দক, খায়বার থেকে ফিরে আসার সময় কুরা উপত্যকায়, ওমরাতুল ক্বাযা, হুনায়নে প্রহরী নিযুক্তির সংবাদের বর্ণনা পাওয়া যায়।
আর এই হাদীসটিকে শক্তিশালী করেছে আবূ সাঈদ (রাঃ)’র হাদীস যা ইমাম ত্ববারানী তার সুপ্রসিদ্ধ সগীর গ্রন্থে বর্ণনা করেন : كان العباس فيمن يحرص النبي صلى الله عليه وسلم فلما نزلت هذه الأية ترك
নাবী (সাঃ) কে পাহারা দেয়ার মহান দায়িত্ব যারা পালন করেছেন তারা হলেন : আববাস, সা‘দ ইবনু মু‘আয, মুহাম্মাদ ইবনু সামালামা, যুবাইর, আবূ আইয়ূব আনসারী, যাকওয়ান ইবনু আবিল কায়েস, আদরা আস সুলামী মিহজান ইবনু আদরা, আববাস ইবনু বিশর, আবূ রাইহানা প্রমুখ সাহাবী (রাযিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন)। (ফাতহুল বারী)
Narrated Aisha:
One night the Prophet (ﷺ) was unable to sleep and said, "Would that a righteous man from my companions guarded me tonight." Suddenly we heard the clatter of arms, whereupon the Prophet (ﷺ) said, "Who is it?" It was said, "I am Sa`d, O Allah's Messenger (ﷺ)! I have come to guard you." The Prophet (ﷺ) then slept so soundly that we heard him snoring. Abu `Abdullah said: `Aisha said: Bilal said, "Would that I but stayed overnight in a valley with Idhkhir and Jalil (two kinds of grass) around me (i.e., in Mecca)." Then I told that to the Prophet (ﷺ) .
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৫. কুরআন (পাঠ) ও ইলম অর্জনের কামনা।
৭২৩২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’টি বিষয় ব্যতীত হিংসা করা যাবে না। এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্ কুরআন দান করেছেন সে তা দিন রাত তিলাওয়াত করে। কেউ বলল, একে যা দেয়া হয়েছে, যদি আমাকেও তা দেয়া হত, তবে সে যেমন করছে, আমিও তেমন করতাম। আর এক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্ মাল দিয়েছেন, সে তা যথোচিতভাবে খরচ করে। কেউ বলল, তাকে যা দেয়া হয়েছে তা যদি আমাকে দেয়া হত, তাহলে আমি অবশ্যই তাই করতাম, সে যা করে। [৫০২৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৩৮)
بَاب تَمَنِّي الْقُرْآنِ وَالْعِلْمِ
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَحَاسُدَ إِلاَّ فِي اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ الْقُرْآنَ فَهُوَ يَتْلُوهُ آنَاءَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ يَقُولُ لَوْ أُوتِيتُ مِثْلَ مَا أُوتِيَ هَذَا لَفَعَلْتُ كَمَا يَفْعَلُ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً يُنْفِقُهُ فِي حَقِّهِ فَيَقُولُ لَوْ أُوتِيتُ مِثْلَ مَا أُوتِيَ لَفَعَلْتُ كَمَا يَفْعَلُ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ بِهَذَا.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Not to wish to be the like except of two men. A man whom Allah has given the (knowledge of the) Qur'an and he recites it during the hours of night and day and the one who wishes says: If I were given the same as this (man) has been given, I would do what he does, and a man whom Allah has given wealth and he spends it in the just and right way, in which case the one who wishes says, 'If I were given the same as he has been given, I would do what he does.' "
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৬. যা কামনা করা নিষিদ্ধ।
(وَلاَ تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللهُ بِهٖ بَعْضَكُمْ عَلٰى بَعْضٍ لِلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِمَّا اكْتَسَبُوا وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٌ مِمَّا اكْتَسَبْنَ وَاسْأَلُوا اللهَ مِنْ فَضْلِهٖ إِنَّ اللهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا)
আল্লাহর নির্দেশ: তোমরা তা কামনা করো না যা দ্বারা আল্লাহ তোমাদের কাউকে কারো উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন। পুরুষেরা তাদের কৃতকার্যের অংশ পাবে, নারীরাও তাদের কৃতকর্মের অংশ পাবে এবং তোমরা আল্লাহর নিকট তাঁর অনুগ্রহ কামনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/৩২)
৭২৩৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যদি আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে না শুনতাম যে, তোমরা মৃত্যু কামনা করো না, তাহলে অবশ্যই আমি কামনা করতাম। [৫৬৭১; মুসলিম ৪৮/৪, হাঃ ২৬৮০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৩৯)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّمَنِّي
حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ قَالَ قَالَ أَنَسٌ لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ تَتَمَنَّوْا الْمَوْتَ لَتَمَنَّيْتُ
Narrated Anas:
If I had not heard the Prophet (ﷺ) saying, "You should not long for death," I would have longed (for it).
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৬. যা কামনা করা নিষিদ্ধ।
৭২৩৪. কায়স (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা খাব্বাব ইবনু আরাত্ (রাঃ) এর সেবা শুশ্রুষা করার জন্য এলাম। তিনি সাতটি দাগ লাগিয়েছিলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি আমাদেরকে মৃত্যুর জন্য দু’আ করতেন নিষেধ না করতেন, তাহলে আমি অবশ্যই এজন্য দু’আ করতাম। [৫৬৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪০)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّمَنِّي
مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ ابْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ قَيْسٍ قَالَ أَتَيْنَا خَبَّابَ بْنَ الأَرَتِّ نَعُودُهُ وَقَدْ اكْتَوَى سَبْعًا فَقَالَ لَوْلاَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا أَنْ نَدْعُوَ بِالْمَوْتِ لَدَعَوْتُ بِهِ.
Narrated Qais:
We went to pay a visit to Khabbab bin Al-Art and he had got himself branded at seven spots over his body. He said, "If Allah's Messenger (ﷺ) had not forbidden us to invoke Allah for death, I would have invoked for it."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৬. যা কামনা করা নিষিদ্ধ।
৭২৩৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কারণ সে যদি সৎ হয় তবে (বেঁচে থাকলে) হয়ত সে নেক কাজ বৃদ্ধি করবে। আর যদি পাপী হয়, তাহলে হয়ত সে তওবা করবে।
আবূ ’আবদুল্লাহ্ (বুখারী) (রহ.) বলেন, আবূ ’উবায়দ-এর নাম হচ্ছে সা’দ ইবনু ’উবায়দ আব্দুর রহমান ইবনু আয্হার এর আযাদকৃত গোলাম। [৩৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪১)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّمَنِّي
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ اسْمُهُ سَعْدُ بْنُ عُبَيْدٍ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَتَمَنَّى أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ إِمَّا مُحْسِنًا فَلَعَلَّهُ يَزْدَادُ وَإِمَّا مُسِيئًا فَلَعَلَّهُ يَسْتَعْتِبُ.
Narrated Sa`d bin Ubaid:
(the Maula of `Abdur-Rahman bin Azhar) Allah's Messenger (ﷺ) said, "None of you should long for death, for if he is a good man, he may increase his good deeds, and if he is an evil-doer, he may stop the evil deeds and repent."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৭. কোন এক ব্যক্তির উক্তিঃ আল্লাহ্ না করলে আমরা কেউ হিদায়াত পেতাম না।
৭২৩৬. বারাআ ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সঙ্গে মাটি উঠাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে দেখতে পেলাম, মাটি তাঁর পেটের শুভ্রতাকে ঢেকে ফেলেছে। তিনি বলছিলেন :
(হে আল্লাহ্!) যদি আপনি না করতেন তাহলে আমরা হিদায়াত পেতাম না
এবং আমরা দান-সাদাকা করতাম না, আর আমরা সালাতও পড়তাম না।
অতএব আপনি আমাদের উপর শান্তি নাযিল করুন।
প্রথম দলটি, কখনো বলতেন, একদল লোক আমাদের উপর যুল্ম করেছে।
যখন তারা ফিতনার ইচ্ছে করে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। ’প্রত্যাখ্যান করি’-
উচ্চস্বরে বলতেন। [২৮১৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪২)
بَاب قَوْلِ الرَّجُلِ لَوْلاَ اللهُ مَا اهْتَدَيْنَا
عَبْدَانُ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ شُعْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَنْقُلُ مَعَنَا التُّرَابَ يَوْمَ الأَحْزَابِ وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ وَارَى التُّرَابُ بَيَاضَ بَطْنِهِ يَقُولُ :
لَوْلاَ أَنْتَ مَـا اهْـتَـدَيْنــَا نَحْـنُ وَلاَ تَـصَدَّقْـنَا وَلاَ صَـلَّيْـنَا
فَأَنـْزِلَـنْ سَكِينَـةً عَلَيْنَــا إِنَّ الأُلَى وَرُبَّمَا قَالَ الْمَلاَ قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا
إِذَا أَرَادُوا فِـتْنَـةً أَبَـيْـنَـا أَبَـــيْـــنَــــــــا
يَرْفَعُ بِهَا صَوْتَهُ.
Narrated Al-Bara' bin `Azib:
The Prophet (ﷺ) was carrying earth with us on the day of the battle of Al-Ahzab (confederates) and I saw that the dust was covering the whiteness of his `Abdomen, and he (the Prophet (ﷺ) ) was saying, "(O Allah) ! Without You, we would not have been guided, nor would we have given in charity, nor would we have prayed. So (O Allah!) please send tranquility (Sakina) upon us as they, (the chiefs of the enemy tribes) have rebelled against us. And if they intend affliction (i.e. want to frighten us and fight against us) then we would not (flee but withstand them). And the Prophet (ﷺ) used to raise his voice with it.
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৮. শত্রুর মুখোমুখী হবার কামনা করা নিষিদ্ধ। এটা আরাজ (রহ.) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন।
৭২৩৭. আবূ নাযর সালিম (রাঃ) যিনি ’উমার ইবনু ’উবাইদুল্লাহর আযাদ করা গোলাম এবং তার কাতিব (সচিব) ছিলেন, বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তার কাছে ’আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) চিঠি লিখলেন, আমি তা পড়লাম। তাতে লেখা ছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শত্রুর মুখোমুখী হওয়ার কামনা করো না বরং আল্লাহ্ তা’আলার কাছে নিরাপত্তা কামনা কর। [২৮১৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৩)
بَاب كَرَاهِيَةِ تَمَنِّي لِقَاءِ الْعَدُوِّ وَرَوَاهُ الأَعْرَجُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ وَكَانَ كَاتِبًا لَهُ قَالَ كَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى فَقَرَأْتُهُ فَإِذَا فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَتَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ وَسَلُوا اللهَ الْعَافِيَةَ.
Narrated `Abdullah bin Abi `Aufa:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Do not long for meeting your enemy, and ask Allah for safety (from all sorts of evil)."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
وَقَوْلِهِ تَعَالٰى: (لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً)
আল্লাহর বাণীঃ তোমাদেরকে দমন করার ক্ষমতা আমার যদি থাকত! (সূরাহ হূদ ১১/৮০)
৭২৩৮. কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) দু’জন লি’আনকারীর বিষয়ে বর্ণনা করলেন। তখন ’আবদুল্লাহ্ ইবনু শাদ্দাদ বললেন, এটা কি সেই স্ত্রীলোক যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, বিনা প্রমাণে যদি কোন মহিলাকে রজম (প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদন্ড দান) করতাম? তিনি বললেন, না, সে মহিলাটি প্রকাশ্যে অশ্লীল কাজ করেছিল। [৫৩১০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৪)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ ذَكَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْمُتَلاَعِنَيْنِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ شَدَّادٍ أَهِيَ الَّتِي قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ كُنْتُ رَاجِمًا امْرَأَةً مِنْ غَيْرِ بَيِّنَةٍ قَالَ لاَ تِلْكَ امْرَأَةٌ أَعْلَنَتْ
Narrated Al-Qasim bin Muhammad:
Ibn `Abbas mentioned the case of a couple on whom the judgment of Lian has been passed. `Abdullah bin Shaddad said, "Was that the lady in whose case the Prophet (ﷺ) said, "If I were to stone a lady to death without a proof (against her)?' "Ibn `Abbas said, "No! That was concerned with a woman who though being a Muslim used to arouse suspicion by her outright misbehavior."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৩৯. ’আত্বা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এশার সালাত দেরি হল। তখন ’উমার (রাঃ) বের হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সালাত, মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছেন। তখন তিনি বের হয়ে এলেন, তাঁর মাথা থেকে পানি টপ টপ করে পড়ছে। তিনি বলছিলেন, যদি আমার উম্মাতের জন্য কিংবা বলেছিলেন, লোকেদের জন্য, সুফ্ইয়ানও বলেছেন, আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এ সময়ে সালাত পড়ার হুকুম দিতাম।
ইবনু জুরায়জ ’আত্বার সূত্রে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সালাত বিলম্ব করলেন। ফলে ’উমার (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি তাঁর মাথার পাশ থেকে পানি মুছতে মুছতে বের হয়ে এসে বললেনঃ আসলে এটাই সময়। এরপর বললেনঃ যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম.....।
’আমর এ হাদীসটি ’আত্বা থেকে বর্ণনা করেন, সে সূত্রে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর নাম নেই। তবে ’আমর বলেছেন যে, তাঁর মাথা থেকে পানি টপ টপ করে পড়ছিল। আর ইবনু জুরায়জ বলেন, তিনি তাঁর মাথার এক পাশ থেকে পানি মুছছিলেন। আবার ’আমরের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম। আর ইবনু জুরায়জ বলেন, এটাই সময়। যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম.....। তবে ইব্রাহীম ইবনু মুনযির ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণিত আছে। [৫৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৫)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا عَطَاءٌ قَالَ أَعْتَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلمبِالْعِشَاءِ فَخَرَجَ عُمَرُ فَقَالَ الصَّلاَةَ يَا رَسُولَ اللهِ رَقَدَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ فَخَرَجَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ يَقُولُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ وَقَالَ سُفْيَانُ أَيْضًا عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ بِالصَّلاَةِ هَذِهِ السَّاعَةَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَخَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الصَّلاَةَ فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَقَدَ النِّسَاءُ وَالْوِلْدَانُ فَخَرَجَ وَهُوَ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ يَقُولُ إِنَّهُ لَلْوَقْتُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا عَطَاءٌ لَيْسَ فِيهِ ابْنُ عَبَّاسٍ أَمَّا عَمْرٌو فَقَالَ رَأْسُهُ يَقْطُرُ وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ وَقَالَ عَمْرٌو لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ إِنَّهُ لَلْوَقْتُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated 'Ata:
One night the Prophet (ﷺ) delayed the `Isha' prayer whereupon `Umar went to him and said, "The prayer, O Allah's Messenger (ﷺ)! The women and children had slept." The Prophet (ﷺ) came out with water dropping from his head, and said, "Were I not afraid that it would be hard for my followers (or for the people), I would order them to pray `Isha prayer at this time." (Various versions of this Hadith are given by the narrators with slight differences in expression but not in content).
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৪০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের উপর যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে আমি তাদেরকে মিস্ওয়াক করার হুকুম করতাম। [৮৮৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৬)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Were I not afraid that it would be hard on my followers, I would order them to use the siwak (as obligatory, for cleaning the teeth).
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৪১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, (কোন এক) মাসের শেষভাগে নবী বিরতিহীন সওম রাখলেন এবং আরো কতিপয় লোকও বিরতিহীনভাবে সওম রাখল। এ সংবাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ যদি আমার এ মাস প্রলম্বিত হত, তবুও আমি এভাবে বিরতিহীন সওম পালন করতাম। যাতে অধিক কষ্টকারীরা তাদের কষ্ট করা ত্যাগ করে। আমি তো তোমাদের মত নই, আমার প্রতিপালক আমাকে আহার করান এবং পান করান। সুলায়মান ইবনু মুগীরাহ আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হুমায়দ-এর অনুসরণ করেছেন। [১৯৬১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৭)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ وَاصَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم آخِرَ الشَّهْرِ وَوَاصَلَ أُنَاسٌ مِنْ النَّاسِ فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَوْ مُدَّ بِيَ الشَّهْرُ لَوَاصَلْتُ وِصَالاً يَدَعُ الْمُتَعَمِّقُونَ تَعَمُّقَهُمْ إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ إِنِّي أَظَلُّ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِ تَابَعَهُ سُلَيْمَانُ بْنُ مُغِيرَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) fasted Al-Wisal on the last days of the month. Some people did the same, and when the news reached the Prophet (ﷺ) he said, "If the month had been prolonged for me, then I would have fasted Wisal for such a long time that the most exaggerating ones among you would have given up their exaggeration. I am not like you; my Lord always makes me eat and drink."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৪২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিরতিহীন সওম পালন করতে নিষেধ করলেন। সাহাবীগণ বললেন, আপনি বিরতিহীন সওম পালন করছেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের কে আছ আমার মতো? আমি তো রাত কাটাই যাতে আমার প্রতিপালক আমাকে খাওয়ান ও পান করান। কিন্তু তারা যখন বিরত থাকতে অস্বীকৃতি জানাল, তখন তিনি তাদেরসহ একদিন, তারপর আর একদিন সওম পালন করলেন। তারপর তারা নতুন চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি চাঁদ আরো (কয়দিন) পরে উদিত হত, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের (সওম) বাড়াতাম। তিনি যেন তাদেরকে শাসন করছিলেন। [১৯৬৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৮)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْوِصَالِ قَالُوا فَإِنَّكَ تُوَاصِلُ قَالَ أَيُّكُمْ مِثْلِي إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِ فَلَمَّا أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا وَاصَلَ بِهِمْ يَوْمًا ثُمَّ يَوْمًا ثُمَّ رَأَوْا الْهِلاَلَ فَقَالَ لَوْ تَأَخَّرَ لَزِدْتُكُمْ كَالْمُنَكِّلِ لَهُمْ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) forbade Al-Wisal. The people said (to him), "But you fast Al-`Wisal," He said, "Who among you is like me? When I sleep (at night), my Lord makes me eat and drink. But when the people refused to give up Al-Wisal, he fasted Al-Wisal along with them for two days and then they saw the crescent whereupon the Prophet (ﷺ) said, "If the crescent had not appeared I would have fasted for a longer period," as if he intended to punish them herewith.
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৪৩. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কা’বার বাইরের দেয়াল (হাতীম) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যে, সেটা কি কা’বা ঘরের অংশ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললাম, তাহলে তারা এ অংশকে ঘরে শামিল করল না কেন? তিনি বললেনঃ তোমার গোত্রের খরচে কমতি দেখা দিয়েছিল। আমি বললামঃ এর দরজাটা এত উঁচুতে বানানো হল কেন? তিনি বললেনঃ এটা তোমার কওম এ জন্য করেছিল, যাতে তারা যাকে ইচ্ছে ঢুকতে দেবে এবং যাকে ইচ্ছে বাধা দেবে। তোমার কওম যদি সবে জাহিলীয়্যাত মুক্ত না হত, অতঃপর তাদের অন্তর বিগড়ে যাবার আশঙ্কা না করতাম তাহলে দেয়ালটিকে ঘরের মাঝে শামিল করে দিতাম এবং এর দরজাকে ভূমি বরাবর করে দিতাম। [১২৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৯)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ حَدَّثَنَا أَشْعَثُ عَنْ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْجَدْرِ أَمِنَ الْبَيْتِ هُوَ قَالَ نَعَمْ قُلْتُ فَمَا لَهُمْ لَمْ يُدْخِلُوهُ فِي الْبَيْتِ قَالَ إِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرَتْ بِهِمْ النَّفَقَةُ قُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا قَالَ فَعَلَ ذَاكِ قَوْمُكِ لِيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِالْجَاهِلِيَّةِ فَأَخَافُ أَنْ تُنْكِرَ قُلُوبُهُمْ أَنْ أُدْخِلَ الْجَدْرَ فِي الْبَيْتِ وَأَنْ أَلْصِقْ بَابَهُ فِي الأَرْضِ.
Narrated `Aisha:
I asked the Prophet (ﷺ) about the wall (outside the Ka`ba). "Is it regarded as part of the Ka`ba?" He replied, "Yes." I said, "Then why didn't the people include it in the Ka`ba?" He said, "(Because) your people ran short of money." I asked, "Then why is its gate so high?" He replied, ''Your people did so in order to admit to it whom they would and forbid whom they would. Were your people not still close to the period of ignorance, and were I not afraid that their hearts might deny my action, then surely I would include the wall in the Ka`ba and make its gate touch the ground."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৪৪. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি হিজরত (মহান আল্লাহ কর্তৃক ঘোষিত একটি মর্যাদাপূর্ণ পন্থা) না হত, তাহলে আমি আনসারদের একজন হতাম। আর যদি লোকেরা এক উপত্যকা দিয়ে চলত আর আনসাররা অন্য উপত্যকা দিয়ে কিংবা গিরিপথ দিয়ে চলত, তাহলে আমি আনসারদের উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়েই চলতাম। [৩৭৭৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৫০)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَوْلاَ الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنْ الأَنْصَارِ وَلَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتْ الأَنْصَارُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ أَوْ شِعْبَ الأَنْصَارِ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "But for the emigration, I would have been one of the Ansar: and if the people took their way in a valley (or a mountain pass), I would take the Ansar's valley or the mountain pass."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৪৫. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ যদি হিজরত না হত, তাহলে আমি আনসারদের একজন হতাম। আর লোকেরা যদি কোন এক উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়ে চলত, তাহলে আমি আনসারদের উপত্যকা বা গিরিপথ দিয়েই চলতাম।
আবূ তাইয়াহ্ (রহ.) আনাস (রাঃ)-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরকম হাদীস ’উপত্যকার’ কথা উল্লেখ করে ’আব্বাস ইবনু তামীম-এর অনুসরণ করেছেন। [৪৩৩০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৫১)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
مُوسَى حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْلاَ الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنْ الأَنْصَارِ وَلَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا أَوْ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الأَنْصَارِ وَشِعْبَهَا تَابَعَهُ أَبُو التَّيَّاحِ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الشِّعْبِ.
Narrated `Abdullah bin Zaid:
The Prophet (ﷺ) said, "But for the emigration, I would have been one of the Ansar; and if the people took their way in a valley (or a mountain pass), I would take Ansar's valley or their mountain pass."