পরিচ্ছেদঃ ১৯৩৫. (মক্কা) বিজয়ের পর হিজরতের প্রয়োজন নেই
২৮৬২। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উবাইদ ইবনু উমাইর (রাঃ) সহ আয়িশা (রাঃ) এর নিকট গমন করি। তখন তিনি সাবিত পাহাড়ের উপর অবস্থান করছিলেন। তিনি আমাদের বললেন, ’যখন থেকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মক্কা বিজয় দান করেছেন, তখন হিজরত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
باب لاَ هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو وَابْنُ جُرَيْجٍ سَمِعْتُ عَطَاءً، يَقُولُ ذَهَبْتُ مَعَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ إِلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ وَهْىَ مُجَاوِرَةٌ بِثَبِيرٍ فَقَالَتْ لَنَا انْقَطَعَتِ الْهِجْرَةُ مُنْذُ فَتَحَ اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ.
Narrated `Ata':
I and 'Ubai bin `Umar went to `Aisha while she was staying near Thabir (i.e. a mountain). She said, "There is no Migration after Allah gave His Prophet victory over Mecca."
পরিচ্ছেদঃ ২১৫২. মক্কায় (থাকাকালীন) নাবী (ﷺ) এর নিকট আনসারের প্রতিনিধি দল এবং আকাবার বায়’আত
৩৬১২। ইব্রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... ’আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, জাবির (রাঃ) বলেন, আমি আমার পিতা আবদুল্লাহ এবং আমার মামা ’আকাবায় (বায়’আতে) অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলাম।
باب وُفُودُ الأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ وَبَيْعَةُ الْعَقَبَةِ
حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ أَنَا وَأَبِي، وَخَالِي، مِنْ أَصْحَابِ الْعَقَبَةِ.
Narrated Jabir:
My father, my two maternal uncles and I were among those who took part in the 'Aqaba Pledge.
পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন
৩৯৭৮। ইসহাক ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) ... ’আতা ইবনু আবূ রাবাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উবায়দ ইবনু উমায়র (রহঃ) সহ আয়িশা (রাঃ) এর সাক্ষাতে গিয়েছিলাম। সে সময় উবায়দ (রহঃ) তাঁকে হিজরত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, বর্তমানে হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই। পূর্বে মু’মিন ব্যাক্তির এ অবস্থা ছিল যে, সে তার দ্বীনকে ফিত্নার হাত থেকে হিফাজত করতে হলে তাকে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের দিকে (মদিনার দিকে) পালিয়ে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে (মক্কা বিজয়ের পর) আল্লাহ্ ইসলামকে বিজয় দান করেছেন। তাই এখন ম’মিন যেখানে যেভাবে চায় আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। তবে বর্তমানে জিহাদ এবং হিজরতের সওয়াবের নিয়্যাত রাখা যেতে পারে।
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ زُرْتُ عَائِشَةَ مَعَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ فَسَأَلَهَا عَنِ الْهِجْرَةِ، فَقَالَتْ لاَ هِجْرَةَ الْيَوْمَ، كَانَ الْمُؤْمِنُ يَفِرُّ أَحَدُهُمْ بِدِينِهِ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم مَخَافَةَ أَنْ يُفْتَنَ عَلَيْهِ، فَأَمَّا الْيَوْمَ فَقَدْ أَظْهَرَ اللَّهُ الإِسْلاَمَ، فَالْمُؤْمِنُ يَعْبُدُ رَبَّهُ حَيْثُ شَاءَ، وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ.
Narrated `Ata' bin Abi Rabah:
`Ubaid bin `Umar and I visited `Aisha, and he asked her about the migration. She said, "There is no migration today. A believer used to flee with his religion to Allah and His Prophet for fear that he might be put to trial as regards his religion. Today Allah has rendered Islam victorious; therefore a believing one can worship one's Lord wherever one wishes. But there is Jihad (for Allah's Cause) and intentions." (See Hadith 42, in the 4th Vol. for its Explanation)
পরিচ্ছেদঃ ২২৭৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ (রোযা ফরয করা হয়েছে তা) নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে কিংবা সফরে থাকলে সে অন্য সময়ে সওমের সংখ্যা পূরণ করে নিবে। আর সওম যাদের জন্য অতিশয় কষ্টদায়ক, তারা এর পরিবর্তে ফিদয়া দিবে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করে। কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। যদি তোমার উপলব্ধি করতে তবে বুঝতে যে রোযা পালন করাই তোমাদের জন্য অধিক ফলপ্রসু (২ঃ ১৮৪)
وَقَالَ عَطَاءٌ يُفْطِرُ مِنْ الْمَرَضِ كُلِّهِ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَقَالَ الْحَسَنُ وَإِبْرَاهِيمُ فِي الْمُرْضِعِ أَوْ الْحَامِلِ إِذَا خَافَتَا عَلَى أَنْفُسِهِمَا أَوْ وَلَدِهِمَا تُفْطِرَانِ ثُمَّ تَقْضِيَانِ وَأَمَّا الشَّيْخُ الْكَبِيرُ إِذَا لَمْ يُطِقْ الصِّيَامَ فَقَدْ أَطْعَمَ أَنَسٌ بَعْدَ مَا كَبِرَ عَامًا أَوْ عَامَيْنِ كُلَّ يَوْمٍ مِسْكِينًا خُبْزًا وَلَحْمًا وَأَفْطَرَ قِرَاءَةُ الْعَامَّةِ يُطِيقُونَهُ وَهْوَ أَكْثَرُ
ইমাম আতা (রহঃ) বলেন, সর্বপ্রকার রোগেই সওম ভঙ্গ করা যাবে। যেমন আল্লাহ বলেছেন। পক্ষান্তরে ইমাম হাসান ও ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, স্তন্যদাত্রী এবং গর্ভবতী স্ত্রীলোক যখন নিজ প্রাণ অথবা তাদের সম্মানের জীবনের প্রতি হুমকির আশংকা করে তখন তারা উভয়ে সওম ভঙ্গ করতে পারবে। পরে তা আদায় করে নিতে হবে। অতিবৃদ্ধ ব্যক্তি যখন সওম পালনে অক্ষম হয়ে পড়ে (তখন ফিদয়া আদায় করবে।) আনাস (রাঃ) বৃদ্ধ হওয়া পর এক বছর অথবা দু’বছর প্রতিদিন এক দরিদ্র ব্যক্তিকে রুটি ও মাংস খেতে দিতেন এবং সওম ছেড়ে দিতেন। অধিকাংশ লোকের কিরাআত হল- يُطِيْقُوْنَه অর্থাৎ যারা সওমের সামর্থ রাখে, এবং সাধারণত এরূপই পড়া হয়।
৪১৫৩। ইসহাক (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে পড়তে শুনেছেন وَعَلَى الَّذِينَ يُطَوَّقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ অর্থাৎ যাদের প্রতি রোযার বিধান আরোপ করা হয়েছে অথচ তারা এর সময় নয়। তাদের প্রতি একজন মিসকিনকে খানা খাওয়ানোই ফিদয়া। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, এ আয়াত রহিত হয়নি। এর হুকুম সেই অতিবৃদ্ধ পুরুষ ও স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা রোযা পালনে সামর্থ্য রাখে না, তখন প্রত্যেকদিনের রোযার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে পেট ভরে আহার করাবে।
بَاب قَوْلِهِ أَيَّامًا مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءٍ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقْرَأُ (وَعَلَى الَّذِينَ يُطَوَّقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ). قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَيْسَتْ بِمَنْسُوخَةٍ، هُوَ الشَّيْخُ الْكَبِيرُ وَالْمَرْأَةُ الْكَبِيرَةُ لاَ يَسْتَطِيعَانِ أَنْ يَصُومَا، فَلْيُطْعِمَانِ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا.
Narrated 'Ata:
That he heard Ibn `Abbas reciting the Divine Verse:-- "And for those who can fast they had a choice either fast, or feed a poor for every day.." (2.184) Ibn `Abbas said, "This Verse is not abrogated, but it is meant for old men and old women who have no strength to fast, so they should feed one poor person for each day of fasting (instead of fasting).
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ألم تر إلى الذين بدلوا نعمة الله كفرا “আপনি কি তাদের লক্ষ্য করেন না যারা আল্লাহর অনুগ্রহের বদলে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ألم تر আপনি কি জানেন না ألم تعلم এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন ألم تر كيف অথবা ألم تر إلى الذين خرجوا আয়াতে এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। البوار ধ্বংস । এটা بار يبور بورا থেকে গঠিত । قوما بورا অর্থ ধ্বংসশীল সম্প্রদায় ।
৪৩৪৩। আলি ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত , তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا এ আয়াত দ্বারা মক্কার কাফেরদেরকে বোঝানো হয়েছে।
باب ألم تر إلى الذين بدلوا نعمة الله كفرا ألم تر ألم تعلم كقوله ألم تر كيف ألم تر إلى الذين خرجوا البوار الهلاك بار يبور قوما بورا هالكين
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، (أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ كُفْرًا) قَالَ هُمْ كُفَّارُ أَهْلِ مَكَّةَ.
Narrated Ata:
When Ibn `Abbas heard:-- "Have you not seen those who have changed the favor of Allah into disbelief?" (14.28) he said, "Those were the disbelieving pagans of Mecca."
পরিচ্ছেদঃ ২৪২৯. বহুবিবাহ
৪৭০১। ইব্রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... আতা (রহঃ) বলেন, আমরা ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সঙ্গে ’সারিফ’ নামক স্থানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী মায়মূনা (রাঃ) এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী। সুতরাং যখন তোমরা তাঁর জানাযা উঠাবে তখন ধাক্কা-ধাক্কি এবং জোরে নাড়া-চাড়া করো না; বরং ধীরে ধীরে নিয়ে চলবে। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নয়জন বিবি ছিলেন। তিনি আট জনের সাথে পালাক্রমে রাত্রি যাপন করতেন। কিন্তু একজনের সাথে রাত্রি যাপনের পালা ছিল না।
باب كَثْرَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ حَضَرْنَا مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ جَنَازَةَ مَيْمُونَةَ بِسَرِفَ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هَذِهِ زَوْجَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا رَفَعْتُمْ نَعْشَهَا فَلاَ تُزَعْزِعُوهَا وَلاَ تُزَلْزِلُوهَا وَارْفُقُوا، فَإِنَّهُ كَانَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تِسْعٌ، كَانَ يَقْسِمُ لِثَمَانٍ وَلاَ يَقْسِمُ لِوَاحِدَةٍ.
Narrated 'Ata:
We presented ourselves along with Ibn `Abbas at the funeral procession of Maimuna at a place called Sarif. Ibn `Abbas said, "This is the wife of the Prophet (ﷺ) so when you lift her bier, do not Jerk it or shake it much, but walk smoothly because the Prophet (ﷺ) had nine wives and he used to observe the night turns with eight of them, and for one of them there was no night turn."
পরিচ্ছেদঃ ২১৫৩. রসূন ও (দুর্গন্ধ যুক্ত) তরকারী মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে। এ ব্যাপারে ইব্ন উমার (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর হাদীস বর্ণিত হয়েছে
৫০৫৮। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) মনে করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি রসূন বা পেঁয়াজ খাবে সে যেন আমাদের থেকে দুরে থাকে। অথবা তিনি বলেছেনঃ সে যেন আমাদের মসজিদ থেকে দুরে থাকে।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ الثُّومِ وَالْبُقُولِ فِيهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ زَعَمَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا، أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا ".
Narrated Jabir bin `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever has eaten garlic or onion should keep away from us (or should keep away from our mosque).'
পরিচ্ছেদঃ ২২৫৫. মৃগী রোগে আক্রান্ত রোগীর ফযীলাত
৫২৪৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আতা ইবনু আবূ রাবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেন আমি কি তোমাকে একজন জান্নাতী মহিলা দেখাবো না? আমি বললাম অবশ্যই। তখন তিনি বললেনঃ এই কৃষ্ণ বর্ণের মহিলাটি, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসেছিল। অরপর সে বললঃ আমি মৃগী রোগে আক্রান্ত হই এবং এ অবস্থায় আমার ছতর খুলে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোআ করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি যদি চাও, ধৈর্য ধারণ করতে পার। তোমার জন্য থাকবে জান্নাত। আর তুমি যদি চাও, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দুআ করি, যেন তোমাকে নিরাময় করেন। মহিলা বলল আমি ধৈর্য ধারণ করবো। সে বলল তবে যে সে অবস্থায় ছতর খুলে যায়। কাজেই আল্লাহর নিকট দুআ করুন যেন আমার ছতর খুলে না যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দু’আ করলেন।
باب فَضْلِ مَنْ يُصْرَعُ مِنَ الرِّيحِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عِمْرَانَ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ قَالَ لِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَلاَ أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ قُلْتُ بَلَى. قَالَ هَذِهِ الْمَرْأَةُ السَّوْدَاءُ أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي أُصْرَعُ، وَإِنِّي أَتَكَشَّفُ فَادْعُ اللَّهَ لِي. قَالَ " إِنْ شِئْتِ صَبَرْتِ وَلَكِ الْجَنَّةُ وَإِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَكِ ". فَقَالَتْ أَصْبِرُ. فَقَالَتْ إِنِّي أَتَكَشَّفُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ لاَ أَتَكَشَّفَ، فَدَعَا لَهَا.
Narrated 'Ata bin Abi Rabah:
Ibn `Abbas said to me, "Shall I show you a woman of the people of Paradise?" I said, "Yes." He said, "This black lady came to the Prophet (ﷺ) and said, 'I get attacks of epilepsy and my body becomes uncovered; please invoke Allah for me.' The Prophet (ﷺ) said (to her), 'If you wish, be patient and you will have (enter) Paradise; and if you wish, I will invoke Allah to cure you.' She said, 'I will remain patient,' and added, 'but I become uncovered, so please invoke Allah for me that I may not become uncovered.' So he invoked Allah for her."
পরিচ্ছেদঃ ২২৫৫. মৃগী রোগে আক্রান্ত রোগীর ফযীলাত
৫২৫০। মুহাম্মদ (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি সেই উম্মে যুফার (রাঃ) কে দেখেছেন কাবার গিলাফ ধরা অবস্থায়। সে ছিল দীর্ঘ দেহী কৃঞ্চ বর্ণের এক মহিলা।
باب فَضْلِ مَنْ يُصْرَعُ مِنَ الرِّيحِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّهُ رَأَى أُمَّ زُفَرَ تِلْكَ، امْرَأَةٌ طَوِيلَةٌ سَوْدَاءُ عَلَى سِتْرِ الْكَعْبَةِ.
Narrated 'Ata:
That he had seen Um Zafar, the tall black lady, at (holding) the curtain of the Ka`ba.
পরিচ্ছেদঃ ৩০৬৭. لَوْ ‘যদি’ শব্দটা বলা কতখানি বৈধ। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমাদের উপর যদি আমার শক্তি থাকত (১১ঃ ৮০)
৬৭৪৫। আলী (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এশার সালাত (নামায/নামাজ) বিলম্ব হল। তখন উমর (রাঃ) বেরিয়ে এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালাত (নামায/নামাজ)। (এদিকে) মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছিল। তখন তিনি বেরিয়ে এলেন, তার মাথা থেকে পানি টপকে পড়ছে। তিনি বলছিলেন, যদি আমার উম্মাতের জন্য, কিংবা বলেছিলেন, লোকের জন্য সুফিয়ানও বলেছেন, আমার উম্মাতের জন্য কষ্টসাধ্য মনে না করতাম, তাহলে অবশ্যই তাদের এ সময়ে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিতাম।
ইবনু জুরায়জ আতার সুত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সালাত বিলম্ব করলেন। ফলে উমর (রাঃ) এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি তাঁর মাথার পার্শ্ব থেকে পানি মুছতে মুছতে বেরিয়ে এসে বললেনঃ আসলে এটাই সময়। এরপর বললেনঃ যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম...।
আমর এ হাদীসটি আতা থেকে বর্ণনা করেন, সে সুত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নাম নেই। তবে আমর বলেছেন যে, তার মাথা থেকে পানি টপকে পড়ছিল। আর ইবনু জুরায়জ বলেন, তিনি তার এক পার্শ্ব থেকে পানি মুছছিলেন। আবার আমরের সুত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম। আর ইবনু জুরায়জ বলেন, এটাই সময়। যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টসাধ্য মনে না করতাম ...। তবে ইবরাহীম ইবনু মুনযির ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণিত আছে।
باب مَا يَجُوزُ مِنَ اللَّوْ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً}
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، قَالَ أَعْتَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْعِشَاءِ فَخَرَجَ عُمَرُ فَقَالَ الصَّلاَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، رَقَدَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ، فَخَرَجَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ يَقُولُ " لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي ـ أَوْ عَلَى النَّاسِ، وَقَالَ سُفْيَانُ أَيْضًا، عَلَى أُمَّتِي ـ لأَمَرْتُهُمْ بِالصَّلاَةِ هَذِهِ السَّاعَةَ ". قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَخَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الصَّلاَةَ فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَقَدَ النِّسَاءُ وَالْوِلْدَانُ. فَخَرَجَ وَهْوَ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ يَقُولُ " إِنَّهُ لَلْوَقْتُ، لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي ". وَقَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا عَطَاءٌ لَيْسَ فِيهِ ابْنُ عَبَّاسٍ أَمَّا عَمْرٌو فَقَالَ رَأْسُهُ يَقْطُرُ. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ. وَقَالَ عَمْرٌو لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ إِنَّهُ لَلْوَقْتُ، لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated 'Ata:
One night the Prophet (ﷺ) delayed the `Isha' prayer whereupon `Umar went to him and said, "The prayer, O Allah's Messenger (ﷺ)! The women and children had slept." The Prophet (ﷺ) came out with water dropping from his head, and said, "Were I not afraid that it would be hard for my followers (or for the people), I would order them to pray `Isha prayer at this time." (Various versions of this Hadith are given by the narrators with slight differences in expression but not in content).
পরিচ্ছেদঃ ৩১০০. নবী (সাঃ) এর নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়। তবে অন্য দলীলের দ্বারা যা মুবাহ্ হওয়া প্রমাণিত তা ব্যতীত। অনুরূপ তাঁর নির্দেশ দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়। তবে অন্য দলীল দ্বারা তা মুবাহ্ হওয়া প্রমাণিত হলে ভিন্ন কথা। যেমন নবী (সাঃ) এর বাণীঃ যখন তোমরা হালাল (ইহরাম থেকে) হয়ে যাও, নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে। জাবির (রাঃ) বলেন, এ কাজ তাদের জন্য ওয়াজিব করা হয়নি। বরং তাদের জন্য (স্ত্রী ব্যবহার) হালাল করা হয়েছে। উম্মে আতীয়্যা (রাঃ) বলেছেন, আমাদেরকে (মহিলাদের) জানাযার সাথে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আমাদের উপর বাধ্যতামূলক নয়
৬৮৬১। মাক্কী ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনু বাকর (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহকে এই কথা বলতে শুনেছি যে, তার সাথে তখন আরো কিছু লোক ছিল। আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ হাজ্জের (হজ্জ) নিয়তে ইহরাম বেধেছিলাম। এর সাথে উমরার নিয়ত ছিল না। বর্ণনাকারী আতা (রহঃ) বলেন, জাবির (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহাজ্জ মাসের চার তারিখ সকাল বেলায় (মক্কায়) আগমন করলেন। এরপর আমরাও যখন আগমন করলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা ইহরাম খুলে ফেল এবং স্ত্রীদের সাথে মিলিত হও।
(রাবী) আতা (রহঃ) বর্ণনা করেন, জাবির (রাঃ) বলেছেনঃ (স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা) তিনি তাদের উপর বাধ্যতামূলক করেননি বরং মুবাহ করে দিয়েছেন। এরপর তিনি অবহিত হন যে, আমরা বলাবলি করছি আমাদের ও আরাফার দিনের মাঝখানে মাত্র পাঁচদিন বাকি। তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা ইহরাম খুলে স্ত্রীদের সাথে মিলিত হই। তখন তো আমরা পৌছব আরাফায় আর আমাদের পুরুষাঙ্গ থেকে মযী ঝরতে থাকবে।
আতা বলেনঃ জাবির (রাঃ) এ কথা বোঝানোর জন্য হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেছিলেন কিংবা হাত নেড়েছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে বললেনঃ তোমরা জানো, আমি তোমাদের মধ্যে আল্লাহকে অধিক ভয় করি, তোমাদের তুলনায় আমি বেশি সত্যবাদী ও নিষ্ঠাবান। আমার সাথে যদি কুরবানীর পশু না থাকত আমিও তোমাদের মত ইহরাম খুলে ফেলতাম। সুতরাং তোমরা ইহরাম খুলে ফেল। আমি যদি আমার কাজের পরিণাম আগে জানতাম যা পরে অবগত হয়েছি তবে আমি কুরবানীর পশু সঙ্গে আনতাম না। অতএব আমরা ইহরাম খুলে ফেললাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ শুনলাম এবং তাঁর আনুগত্য করলাম।
بَابُ نَهْيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى التَّحْرِيمِ إِلاَّ مَا تُعْرَفُ إِبَاحَتُهُ وَكَذَلِكَ أَمْرُهُ نَحْوَ قَوْلِهِ حِينَ أَحَلُّوا: «أَصِيبُوا مِنَ النِّسَاءِ». وَقَالَ جَابِرٌ: وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ، وَلَكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ. وَقَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ: نُهِينَا عَنِ اتِّبَاعِ الْجَنَازَةِ وَلَمْ يُعْزَمْ عَلَيْنَا
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ. قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فِي أُنَاسٍ مَعَهُ قَالَ أَهْلَلْنَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَجِّ خَالِصًا لَيْسَ مَعَهُ عُمْرَةٌ ـ قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ ـ فَقَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صُبْحَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَحِلَّ وَقَالَ " أَحِلُّوا وَأَصِيبُوا مِنَ النِّسَاءِ ". قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ وَلَكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ فَبَلَغَهُ أَنَّا نَقُولُ لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ خَمْسٌ أَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ إِلَى نِسَائِنَا فَنَأْتِي عَرَفَةَ تَقْطُرُ مَذَاكِيرُنَا الْمَذْىَ قَالَ وَيَقُولُ جَابِرٌ بِيَدِهِ هَكَذَا وَحَرَّكَهَا فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ وَلَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّونَ فَحِلُّوا فَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ ". فَحَلَلْنَا وَسَمِعْنَا وَأَطَعْنَا.
Narrated Ata:
I heard Jabir bin `Abdullah in a gathering saying, "We, the companions of Allah's Messenger (ﷺ) assumed the state of Ihram to perform only Hajj without `Umra." Jabir added, "The Prophet (ﷺ) arrived (at Mecca) on the fourth of Dhul-Hijja. And when we arrived (in Mecca) the Prophet (ﷺ) ordered us to finish the state of Ihram, saying, "Finish your lhram and go to your wives (for sexual relation)." Jabir added, "The Prophet did not oblige us (to go to our wives) but he only made that legal for us. Then he heard that we were saying, "When there remains only five days between us and the Day of `Arafat he orders us to finish our Ihram by sleeping with our wives in which case we will proceed to `Arafat with our male organs dribbling with semen?' (Jabir pointed out with his hand illustrating what he was saying). Allah's Messenger (ﷺ) stood up and said, 'You (People) know that I am the most Allah-fearing, the most truthful and the best doer of good deeds (pious) from among you. If I had not brought the Hadi with me, I would have finished my Ihram as you will do, so finish your Ihram. If I had formerly known what I came to know lately, I would not have brought the Hadi with me.' So we finished our Ihram and listened to the Prophet (ﷺ) and obeyed him."
পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রতি রাক'আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৮। আমর আন নাকিদ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আতা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক সালাতে (নামায)-এই কিরা’আত পাঠ করা উচিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব সালাত (নামায/নামাজ) আমাদেরকে শুনিয়ে কিরা’আত পাঠ করেছেন সে সব সালাত আমরাও তোমাদেরকে শুনিয়ে পাঠ করি। আর যে সব সালাতে কিরা’আত নীরবে পাঠ করেছেন সে সব সালাতে আমরাও নীরবে পাঠ করি। অতঃপর তাকে এক ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করল, আমি যদি উম্মুল কুরআন এর চেয়ে আর বেশী না পড়ি? তিনি বললেন, তুমি যদি উম্মূল কুরআনের পর আরো বেশী পড় তাহলে তা হবে উত্তম। আর যদি শুধু উম্মুল কুরআনই পড় তাহলে তা হবে তোমার জন্য যথেষ্ট।
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي كُلِّ الصَّلاَةِ يَقْرَأُ فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى مِنَّا أَخْفَيْنَا مِنْكُمْ . فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ إِنْ لَمْ أَزِدْ عَلَى أُمِّ الْقُرْآنِ فَقَالَ إِنْ زِدْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ خَيْرٌ وَإِنِ انْتَهَيْتَ إِلَيْهَا أَجْزَأَتْ عَنْكَ .
'Ata' narrated on the authority of Abu Huraira who said that one should recite (al-Fatiha) in every (rak'ah of) prayer. What we heard (i. e. recitation) from the Messenger of Allah (ﷺ), we made you listen to that. And that which he (recited) inwardly, we (recited) inwardly for you. A person said to him:
If I add nothing to the (recitation) of the Umm al Qur'an (Surat al-Fatiha), would it make the prayer incomplete? He (AbuHuraira) said: If you add to that (if you recite some of verses of the Qur'an along with Surat at-Fatiha) that is better for you. But if you are contented with it (Surat al-Fatiha) only, it is sufficient for you.
পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রতি রাক'আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক সালাতে কিরা’আত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যে সালাত (নামায/নামাজ)-এ [কিরা’আত] শুনিয়েছেন, আমরাও সে সালাতে তোমাদেরকে শোনাই আর যে সালাতে তিনি নীরবে পাঠ করেছেন আমরাও সে সালাতে নীরবে পাঠ করি। যে ব্যাক্তি উম্মুল কিতাব (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে তার জন্য তা যথেষ্ট হবে। আর যে আরো বেশী পাঠ করবে তা হবে উত্তম।
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - عَنْ حَبِيبٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فِي كُلِّ صَلاَةٍ قِرَاءَةٌ فَمَا أَسْمَعَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى مِنَّا أَخْفَيْنَاهُ مِنْكُمْ وَمَنْ قَرَأَ بِأُمِّ الْكِتَابِ فَقَدْ أَجْزَأَتْ عَنْهُ وَمَنْ زَادَ فَهُوَ أَفْضَلُ .
'Ata' reported it on the authority of Abu Huraira who said:
Recitation (of Surat al-Fatiha) in every (rak'ah) of prayer in essential. (The recitation) that we listened to from the Messenger of Allah (ﷺ) we made you listen to it. And that which he recited inwardly to us, we recited it inwardly for you. And he who recites Umm al-Qur'an, it is enough for him (to complete the prayer), and he who adds to it (recites some other verses of the Holy Qur'an along with Surat al-Fatiha), it is preferable for him.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১৯২৩। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু যুবায়রের (রাঃ) এর যখন প্রথম বায়আত অনুষ্ঠিত হল, তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) তার নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, তিনি ঈদূল ফিতরের সালাতের জন্য আযান দেওয়া হত না। অতএব তুমিও আযান দিও না। রাবী বলেন, ইবনু যুবায়র (রাঃ) ঐ দিন ঈদুল ফিতরের সালাতে আযান দেননি তিনি আরও বলে পাঠান যে, খুতবা সালাতের পর। পূর্বে এভাবেই করা হত। রাবী বলেন, ইবনু যুবায়র (রাঃ) খূতবা দেয়ার পূর্বেই সালাত আদায় করে নিলেন।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ أَوَّلَ مَا بُويِعَ لَهُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ لِلصَّلاَةِ يَوْمَ الْفِطْرِ فَلاَ تُؤَذِّنْ لَهَا - قَالَ - فَلَمْ يُؤَذِّنْ لَهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ يَوْمَهُ وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ إِنَّمَا الْخُطْبَةُ بَعْدَ الصَّلاَةِ وَإِنَّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يُفْعَلُ - قَالَ - فَصَلَّى ابْنُ الزُّبَيْرِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ .
'Ata' reported that Ibn 'Abbas sent (him) to Ibn Zubair at the commencement of the oath of allegiance to him (for Caliphate saying):
As there is no Adhan on 'Id-ul-Fitr, so you should not pronounce it. Ibn Zubair did not pronounce Adhan on that day. He (Ibn 'Abbas) also sent him (with this message) that sermon (is to be delivered) after the prayer, and thus it was done. So lbn Zubair observed prayer before Khutba.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৮১৪। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... রাবী আতা (রহঃ) বলেন, আমি একদল লোকের মধ্যে ছিলাম। এ অবস্থায় জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) বলতে শুনলাম, আমরা মুহাম্মাদ এর সাহাবীগণ কেবল হাজ্জের (হজ্জ) ইহরামই বাঁধলাম। আতা (রহঃ) বলেছেনঃ জাবির (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার যিলহাজ্জের (হজ্জ) ভোরে (মক্কায়) পৌছে আমাদেরকে হালাল হওয়ার নির্দেশ দিলেন। আতা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা হালাল হও এবং স্ত্রীদের কাছে যাও। কিন্তু তার এ নির্দেশ বাধ্যতামূলক ছিল না, বরং তাদেরকে ন্ত্রী সহবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছিল মাত্র।
জাবির (রাঃ) বলেন, আরাফাত দিবসের আর পাঁচ দিন মাত্র বাকী। অতএব আমরা এ অবস্থায় আমাদেরকে স্ত্রীগমনের নির্দেশ দিলেন। তাহলে তো আমরা এমন অবস্থায় আরাফাতে পৌঁছব যে, আমাদের যৌনাঙ্গ থেকে বীর্য ঝরছে। আতা (রহঃ) বলেন, জাবির (রাঃ) তার হাত নেড়ে কথাগুলো বলছিলেন এবং আমি যেন তার হাতের নড়াচড়া দেখতে পাচ্ছি। জাবির (রাঃ) বলেন, ইত্যবসরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়ালেন এবং বললেন, তোমরা নিশ্চিত জান, আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহকে অধিক ভয় করি, আমি তোমাদের চেয়ে অধিক সত্যবাদী এবং পূণ্যবান। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম যেমন তোমরা হালাল হয়েছ। আমি আমার বিষয়টি যদি আগে জানতাম, যেমন পরে জেনেছি, তবে আমি সাথে করে কুরবানীর পশু আনতাম না, অতএব তোমরা হালাল হও (ইহরাম ভঙ্গ কর)।
আতা (রহঃ) বলেছেন, জাবির (রাঃ) বলেনঃ অতএব আমরা হালাল হলাম, তার কথা শুনলাম এবং তাঁর আনুগত্য করলাম। জাবির (রাঃ) আরও বলেন, আলী (রাঃ) (ইয়েমেনবাসীদের থেকে আদায়কৃত) খারাজ নিয়ে উপস্থিত হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কোন ধরনের ইহরাম বেঁধেছ? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ধরনের ইহরাম বেঁধেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কুরবানী কর এবং ইহরাম অবস্থায় থাক। জাবির (রাঃ) বলেন, আলী (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য কুরবানীর পশু এনেছিলেন। সুরাকা ইবনু মালিক ইবনু জুশুম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এটা কি শুধু এই বছরের জন্য, না সব সময়ের জন্য? তিনি বললেন, সর্বকালের জন্য।
باب بَيَانِ وُجُوهِ الإِحْرَامِ وَأَنَّهُ يَجُوزُ إِفْرَادُ الْحَجِّ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ وَجَوَازِ إِدْخَالِ الْحَجِّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَمَتَى يَحِلُّ الْقَارِنُ مِنْ نُسُكِهِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - فِي نَاسٍ مَعِي قَالَ أَهْلَلْنَا أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ خَالِصًا وَحْدَهُ - قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ - فَقَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صُبْحَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَأَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ . قَالَ عَطَاءٌ قَالَ " حِلُّوا وَأَصِيبُوا النِّسَاءَ " . قَالَ عَطَاءٌ وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ وَلَكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ . فَقُلْنَا لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ خَمْسٌ أَمَرَنَا أَنْ نُفْضِيَ إِلَى نِسَائِنَا فَنَأْتِيَ عَرَفَةَ تَقْطُرُ مَذَاكِيرُنَا الْمَنِيَّ . قَالَ يَقُولُ جَابِرٌ بِيَدِهِ - كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى قَوْلِهِ بِيَدِهِ يُحَرِّكُهَا - قَالَ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِينَا فَقَالَ " قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ وَلَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّونَ وَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقِ الْهَدْىَ فَحِلُّوا " . فَحَلَلْنَا وَسَمِعْنَا وَأَطَعْنَا . قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ فَقَدِمَ عَلِيٌّ مِنْ سِعَايَتِهِ فَقَالَ " بِمَ أَهْلَلْتَ " . قَالَ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَأَهْدِ وَامْكُثْ حَرَامًا " . قَالَ وَأَهْدَى لَهُ عَلِيٌّ هَدْيًا فَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ لأَبَدٍ فَقَالَ " لأَبَدٍ " .
'Ata'reported:
I, along with some people, heard Jabir b. 'Abdullah saying: We the Companions of Muhammad (ﷺ) put on Ihram for Hajj only. Ata' further said that Jabir stated: Allah's Apostle (ﷺ) came on the 4th of Dhu'l-Hijja and he commanded us to put off Ihram. 'Ata'said that he (Allah's Apostle) commanded them to put off Ihram and to go to their wives (for intercourse). 'Ata' said: It was not obligatory for them, but (intercourse) with them had become permissible. We said: When only five days had been left to reach 'Arafa, he (the Holy Prophet) commanded us to have intercourse with our wives. And we reached 'Arafa in a state as if we had just had intercourse (with them). He ('Ata') said: Jabir pointed with his hand and I (perceive) as if I am seeing his hand as it moved. In the (meantime) the Messenger of Allah (ﷺ) stood amongst us and said: You are well aware that I am the most God-fearing, most truthful and most pious amongst you. And if there were not sacrificial animals with me, I would also have put off Ihram as you have put off. And if I were to know this matter of mine what I have come to know later on, I would not have brought sacrificial animals with me. So they (the Companions) put off Ihram and we also put it off and listened to (the Holy Prophet) and obeyed (his command). Jabir said: 'Ali came with the revenue of the taxes (from Yemen). He (the Holy Prophet) said: For what (purpose) have you entered into the state of Ihram (whether you entered into the state purely for Hajj and, Umra jointly or Hajj and Umra separately)? He said: For the purpose for which the Messenger of Allah (ﷺ) had entered. (The Prophet had entered as a Qiran, i.e. Ihram covering both Umra and Hajj simultaneously.) Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: Offer a sacrifice of animal, and retain Ihram. And 'Ali brought a sacrificial animal for him (for the Holy Prophet). Suraqa b. Malik b. Ju'shum said: Messenger of Allah, is it (this concession putting off Ihram of Hajj or Umra) meant for this year or is it forever? He said: It is forever.
পরিচ্ছেদঃ ২৮. পরিচ্ছেদ নাই
২৮৯০। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আতা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলতেন, যে ব্যাক্তি (মক্কায় পৌছে) বায়তুল্লাহ এর তাওয়াফ করল, সে ইহরাম মুক্ত হয়ে গেল- চাই সে হাজ্জ (হজ্জ) পালনকারী হোক অথবা অন্য কিছু (উমরা) পালনকারী। আমি (ইবনু জুরায়জ) আতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কিসের ভিত্তিতে একথা বলেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কালামের ভিত্তিতেঃ "অতঃপর এগুলোর কুরবানীর স্থান মর্যাদাবান ঘরের নিকট" (সূরা হাজ্জঃ ৩৩)। আমি বললাম, তা তো আরাফাত থেকে ফিরার পর। তিনি বললেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলতেন, (কুরবানীর স্থান সম্মানিত ঘরের নিকট) তা আরাফাতে উকূফের পর হোক অথবা পূর্বে। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কার্যক্রম থেকে প্রমাণ গ্রহণ করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং বিদায় হাজ্জের (হজ্জ) সময়ে ইহরাম খোলার নির্দেশ দেন।
باب
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ لاَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ حَاجٌّ وَلاَ غَيْرُ حَاجٍّ إِلاَّ حَلَّ . قُلْتُ لِعَطَاءٍ مِنْ أَيْنَ يَقُولُ ذَلِكَ قَالَ مِنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ( ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ) قَالَ قُلْتُ فَإِنَّ ذَلِكَ بَعْدَ الْمُعَرَّفِ . فَقَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ هُوَ بَعْدَ الْمُعَرَّفِ وَقَبْلَهُ . وَكَانَ يَأْخُذُ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَمَرَهُمْ أَنْ يَحِلُّوا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ .
Ata' said:
Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them) used to say that a pilgrim or non-pilgrim (one performing 'Umar) who circumambulates the House is free from the responsibility of Ihram. I (Ibn Juraij, one of the narrators) said to 'Ata': On what authority does he (Ibn Abbas) say this? He said: On the authority uf Allah's words:" Then their place of sacrifice is the Ancient House" (al-Qur'an, xxii. 33). I said: It concerns the time after staying at 'Arafat, whereupon he said: Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them) had stated (that the place of sacrifice is the Ancient House) ; it way be after staying at 'Arafat or before (staying there). And he (Ibn Abbas) made this deduction I from the command of Allah's Apostle (ﷺ) when he had ordered to put off Ihram on the occasion of the Farewell Pilgrimage.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. কা'বা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১৫। হান্নাদ ইবনুল সারী (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াযীদ ইবনু মু’আবিয়ার সময় কাবাঘর দগ্ধীভূত হয়েছিল- যখন সিরীয় বাহিনী মক্কায় যুদ্ধে লিপ্ত ছিল (৬৩ হিজরী) এবং কা’বার যা হবার তাই হল। হজ্জের মৌসুমে লোকদের আগমণের সময় আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) কাবাকে এই অবস্থায় রেখে দিলেন। তার উদ্দেশ্যে ছিল লোকদেরকে উদ্দীপ্ত করা অথবা তাদের মধ্যে সিরীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার মনোবল সৃষ্টি করা। লোকেরা সমবেত হলে তিনি বললেন, হে জনগণ! আমাকে কাবাঘর সম্পর্কে পরামর্শ দিন। আমি কি তা ভেঙ্গে ফেলে সম্পূর্ণ নতুনভাবে গড়ে তুলব, নাকি শুধু এর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করব?
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমার মনে একটি মতের উদয় হয়েছে, আমি মনে করি যে, শুধু ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তুমি মেরামত করবে এবং লোকদের ইসলাম গ্রহণ ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওয়াত লাভকালীন সময়ে কাবাঘর ও পাথরসমূহ যে অবস্থায় ছিল, তা সেই আবস্থায় রেখে দেবে। ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, আপনাদের কারো ঘর অগ্নিদগ্ধ হলে তা সংস্কার না করা পর্যন্ত তিনি স্বস্তি লাভ করতে পারেন না। অতএব আপনাদের প্রতিপালকের ঘর কি করে এরূপ জীর্ণ অবস্থায় রাখা যেতে পারে? আমি আমার রব এর কাছে তিন দিন ইস্তিখারা করব (অভিপ্রায় অবগত হওয়ার জন্য)। অতঃপর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তিন দিন পর তিনি কা’বাঘর ভেঙ্গে পূনর্নির্মাণের দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন।
লোকেরা আশংকা করল যে, সর্ব প্রথম যে ব্যক্তি কাবার ছাদে উঠবে, সে হয়ত কোন আসমানী গযবে নিপতিত হবে। শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তি (ছাদ ভাঙ্গার জন্য) কা’বার ছাদে উঠল এবং তার একটি পাথর নীচে ফেলল। লোকেরা যখন দেখল সে কোন বিপদে পড়েনি, তখন তারাও তাকে অনুসরণ করল এবং কাবাঘর ভেঙ্গে যমীনের সাথে মিশিয়ে দিল। অতঃপর ইবনু যুবায়র (রাঃ) কতগুলো থাম স্থাপন করে এগুলোর সাথে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। অবশেষে কা’বার দেয়ালের গাঁথুনি উচ্চ হল।
ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, অবশ্যই আমি আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “লোকেরা যদি নিকট অতীতে কুফরী ত্যাগ না করত এবং আমার নিকটও কাবাকে পুনর্নির্মাণ করার মত অর্থ-সামর্থ্যও নেই- তাহলে আমি অবশ্যই আল-হিজার (হাতীম) এর পাঁচ গজ স্থান কা’বা ঘরের অন্তর্ভুক্ত করতাম এবং লোকদের প্রবেশের জন্য ও বের হওয়ার জন্য এর দুটি দরজা বানাতাম।
ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, বর্তমানে আমার হাতে তা নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আছে এবং লোকদের তরফ থেকেও কোন প্রতিবাদের আশংকা নেই। রাবী বলেন, এরপর হাতীমের পাঁচ গজ এলাকা কা’বার অন্তর্ভুক্ত করলেন। এভাবে তিনি (পুরাতন) ভিত উন্মোচন করলেন [যার উপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তা গড়েছিলেন] এবং লোকেরা তা অবলোকন করল। এই ভিতের উপর দেয়াল গড়ে তোলা হল। কাবার দৈর্ঘ্য ছিল আঠার গজ। তা যখন (প্রস্থে) বাড়ানো হল, তখন (স্বাভাবিকভাবেই দৈর্ঘ্যে) তা ছোট হওয়ায় দৈর্ঘ্যে তা আরও দশ গজ বৃদ্ধি করা হল এবং এর দুটি দরজা নির্মাণ করা হল, একটি প্রবেশের জন্য এবং অপরটি প্রস্থানের জন্য।
ইবনু যুবায়র (রাঃ) শহীদ হলে হাজ্জাজ (ইবনু ইউসূফ) আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ানকে তা লিখে জানাল। সে আরও জানাল যে, ইবনু যুবায়র (কা’বার ঘর) সেই ভিতের উপর নির্মাণ করেছে যা ছিল ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিত এবং মক্কার বিশ্বস্ত লোকেরা তা যাচাই করে দেখেছে। আবদুল মালিক তাকে লিখে পাঠালেন যে, কোন বিষয়ে ইবনু যুবায়রকে অভিযুক্ত করার প্রয়োজন আমাদের নেই। সে দৈর্ঘ্যে যতইকু বর্ধিত করেছে, তা বহাল রাখ এবং হাতীমের দিকে যতটুকু বর্ধিত করেছে, তা ভেঙ্গে পূর্বাবস্থায় নিয়ে আসো। আর সে যে (নতুন) দরজা খুলেছে তা বন্ধ করে দাও। এরপর হাজ্জাজ তা ভেঙ্গে পূর্বের ভিতের উপর পুননির্মাণ করে।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ لَمَّا احْتَرَقَ الْبَيْتُ زَمَنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ حِينَ غَزَاهَا أَهْلُ الشَّامِ فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا كَانَ تَرَكَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ حَتَّى قَدِمَ النَّاسُ الْمَوْسِمَ يُرِيدُ أَنْ يُجَرِّئَهُمْ - أَوْ يُحَرِّبَهُمْ - عَلَى أَهْلِ الشَّامِ فَلَمَّا صَدَرَ النَّاسُ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَشِيرُوا عَلَىَّ فِي الْكَعْبَةِ أَنْقُضُهَا ثُمَّ أَبْنِي بِنَاءَهَا أَوْ أُصْلِحُ مَا وَهَى مِنْهَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَإِنِّي قَدْ فُرِقَ لِي رَأْىٌ فِيهَا أَرَى أَنْ تُصْلِحَ مَا وَهَى مِنْهَا وَتَدَعَ بَيْتًا أَسْلَمَ النَّاسُ عَلَيْهِ وَأَحْجَارًا أَسْلَمَ النَّاسُ عَلَيْهَا وَبُعِثَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لَوْ كَانَ أَحَدُكُمُ احْتَرَقَ بَيْتُهُ مَا رَضِيَ حَتَّى يُجِدَّهُ فَكَيْفَ بَيْتُ رَبِّكُمْ إِنِّي مُسْتَخِيرٌ رَبِّي ثَلاَثًا ثُمَّ عَازِمٌ عَلَى أَمْرِي فَلَمَّا مَضَى الثَّلاَثُ أَجْمَعَ رَأْيَهُ عَلَى أَنْ يَنْقُضَهَا فَتَحَامَاهُ النَّاسُ أَنْ يَنْزِلَ بِأَوَّلِ النَّاسِ يَصْعَدُ فِيهِ أَمْرٌ مِنَ السَّمَاءِ حَتَّى صَعِدَهُ رَجُلٌ فَأَلْقَى مِنْهُ حِجَارَةً فَلَمَّا لَمْ يَرَهُ النَّاسُ أَصَابَهُ شَىْءٌ تَتَابَعُوا فَنَقَضُوهُ حَتَّى بَلَغُوا بِهِ الأَرْضَ فَجَعَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَعْمِدَةً فَسَتَّرَ عَلَيْهَا السُّتُورَ حَتَّى ارْتَفَعَ بِنَاؤُهُ . وَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِنِّي سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْلاَ أَنَّ النَّاسَ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِكُفْرٍ وَلَيْسَ عِنْدِي مِنَ النَّفَقَةِ مَا يُقَوِّي عَلَى بِنَائِهِ لَكُنْتُ أَدْخَلْتُ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ خَمْسَ أَذْرُعٍ وَلَجَعَلْتُ لَهَا بَابًا يَدْخُلُ النَّاسُ مِنْهُ وَبَابًا يَخْرُجُونَ مِنْهُ " . قَالَ فَأَنَا الْيَوْمَ أَجِدُ مَا أُنْفِقُ وَلَسْتُ أَخَافُ النَّاسَ - قَالَ - فَزَادَ فِيهِ خَمْسَ أَذْرُعٍ مِنَ الْحِجْرِ حَتَّى أَبْدَى أُسًّا نَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَبَنَى عَلَيْهِ الْبِنَاءَ وَكَانَ طُولُ الْكَعْبَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ ذِرَاعًا فَلَمَّا زَادَ فِيهِ اسْتَقْصَرَهُ فَزَادَ فِي طُولِهِ عَشَرَ أَذْرُعٍ وَجَعَلَ لَهُ بَابَيْنِ أَحَدُهُمَا يُدْخَلُ مِنْهُ وَالآخَرُ يُخْرَجُ مِنْهُ . فَلَمَّا قُتِلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ كَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يُخْبِرُهُ بِذَلِكَ وَيُخْبِرُهُ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ قَدْ وَضَعَ الْبِنَاءَ عَلَى أُسٍّ نَظَرَ إِلَيْهِ الْعُدُولُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ . فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ إِنَّا لَسْنَا مِنْ تَلْطِيخِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي شَىْءٍ أَمَّا مَا زَادَ فِي طُولِهِ فَأَقِرَّهُ وَأَمَّا مَا زَادَ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ فَرُدَّهُ إِلَى بِنَائِهِ وَسُدَّ الْبَابَ الَّذِي فَتَحَهُ . فَنَقَضَهُ وَأَعَادَهُ إِلَى بِنَائِهِ .
'Ata' reported:
The House was burnt during the time of Yazid b. Muawiya when the people of Syria had fought (in Mecca). And it happened with it (the Ka'ba) what was (in store for it). Ibn Zubair (Allah be pleased with him) felt it (in the same state) until the people came in the season (of Hajj). (The idea behind was) that he wanted to exhort them or incite them (to war) against the people of Syria. When the people had arrived he said to them: O people, advise me about the Ka'ba. Should I demolish it and then build it from its very foundation, or should I repair whatever has been damaged of it? Ibn 'Abbas said: An idea has occurred to me according to which I think that you should only repair (the portion which has been) damaged, and leave the House (in that very state in which) people embraced Islam (and leave those very stones in the same state) when people embraced Islam, and over which Allah's Apostle (ﷺ) had raised it. Thereupon Ibn Zubair said: It the house of any one of you is burnt, he would not be contented until he had reconstructed it, then what about the House of your Lord (which is far more Important than your house)? I would seek good advice from my Lord thrice and then I would make up (my mind) about this affair. After seeking good advice thrice, he made up his mind to demolish it. The people apprehended that calamity might fall from heaven on those persons who would be first to climb (over the building for the purpose of demolishing it), till one (took up courage, and ascended the roof), and threw down one of its stones. When the people saw no calamity befalling him, they followed him, demolished it until it was razed to the ground. Then Ibn Zubair erected pillars and hung cartains on them (in order to provide facilities to the people for observing the time of its construction). And the walls were raised; and Ibn Zubair said: I heard 'A'isha (Allah be pleased with her) say that Allah's Apostle (ﷺ) had observed: If the people had Rot recently (abandoned) unbelief, find I had means enough to reconstruct it, which I had not, I would have definitely excompassed in it five cubits of area from Hijr. And I would also have constructed a door for the people to enter, and a door for their exit. I today have (the means to spend) and I entertain no fearfrom the side of people (that they would protest against this change). So he added five cubits of area from the side of Hatim to it that there appeared (the old) foundation (upon which Hadrat Ibrahim had built the Ka'ba). and the people saw that and it was upon this foundation that the wall was raised. The length of the Ka'ba was eighteen cubits. when addition was made to it (which was in its breadth), then naturally the length appears to be) small (as compared with its breadth). Then addition of ten cubits (of area) was made in its length (also). Two doors were also constructed, one of which (was meant) for entrance and the other one for exit. When Ibn Zubair (Allah be pleased with him) was killed, Hajjaj wrote to 'Abd al-Malik (b. Marwan) informing him about it, and telling him that Ibn Zubair (Allah be pleased with him) had built (the Ka'ba) on those very foundations (which were laid by Ibrahim) and which reliable persons among the Meccans had seen. 'Abd al-Malik wrote to him: We are not concerned with the censuring of Ibn Zubair in anything. Keep intact the addition made by him in the side of length, and whatever he has added frem the side of Hijr revert to (its previous) foundation, and wall up the door which he had opened. Thus Hajjaj at the command of Abd al-Malik) demolished it (that portion) and rebuilt it on (its previous) foundations.
পরিচ্ছেদঃ ৩. মুত'আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮৫। হাসান হুলওয়ানী (রহঃ) ... আতা (রহঃ) বলেন, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) উমরা পালন করতে এলেন। তখন আমরা তাঁর আবাসে তাঁর নিকট গেলাম। লোকেরা তাঁর নিকট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেসা করল। অতঃপর তারা মুত’আর উল্লেখ করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এবং আবূ বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) এর যুগে মুতআ (বিবাহ) করেছি।
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قَالَ عَطَاءٌ قَدِمَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مُعْتَمِرًا فَجِئْنَاهُ فِي مَنْزِلِهِ فَسَأَلَهُ الْقَوْمُ عَنْ أَشْيَاءَ ثُمَّ ذَكَرُوا الْمُتْعَةَ فَقَالَ نَعَمِ اسْتَمْتَعْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ .
Ibn Uraij reported:
'Ati' reported that jibir b. Abdullah came to perform 'Umra, and we came to his abode, and the people asked him about different things, and then they made a mention of temporary marriage, whereupon he said: Yes, we had been benefiting ourselves by this temporary marriage during the lifetime of the Prophet (ﷺ) and during the time of Abu Bakr and 'Umar.
পরিচ্ছেদঃ ৬. সতীনকে নিজের পালা হেবা করা বৈধ
৩৫০২। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সারিফ নামক স্থানে ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পত্নী মায়মুনা (রাঃ) এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, ইনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী। সুতরাং তোমরা যখন তার কফিন (লাশ) তুলবে তখন তাকে খুব জোরে নাড়া দিবে না এবং কাঁপাবে না; নরম ও আলতোভাবে তাঁকে তুলবে। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নয়জন স্ত্রী ছিলেন। তাঁদের আটজনের জন্য রাত যাপনের পালা নির্ধারণ করতেন এবং একজনের জন্য করতেন না। (মধ্যবর্তী) রাবী আতা (রহঃ) বলেন, যার জন্য পালা নির্ধারণ করতেন না তিনি হলেন সাফিয়্যা বিনত হুয়াই ইবনু আখতাব (রাঃ)।
باب جَوَازِ هِبَتِهَا نَوْبَتَهَا لِضَرَّتِهَا
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ بَكْرٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ حَضَرْنَا مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ جَنَازَةَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِسَرِفَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هَذِهِ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا رَفَعْتُمْ نَعْشَهَا فَلاَ تُزَعْزِعُوا وَلاَ تُزَلْزِلُوا وَارْفُقُوا فَإِنَّهُ كَانَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِسْعٌ فَكَانَ يَقْسِمُ لِثَمَانٍ وَلاَ يَقْسِمُ لِوَاحِدَةٍ . قَالَ عَطَاءٌ الَّتِي لاَ يَقْسِمُ لَهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىِّ بْنِ أَخْطَبَ .
'Ata related that when they were with Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them) at the funeral of Maimuna In Sarif, Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them) said:
This is the wife of Allah's Apostle (ﷺ) ; so when you lift her bier, do not shake her or disturb her, but be gentle, for Allah's Messenger (ﷺ) had nine wives, with eight of whom he shared his time, but to one of them, he did not allot a share. 'Ati said: The one to whom he did not allot a share of time was Safiyya, daughter of Huyayy b. Akhtab.
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বীনের মানদণ্ডে বিবাহের জন্য কন্যা পছন্দ করা মুস্তাহাব
৩৫০৫। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নূমায়র (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়কালে আমি একটি মহিলা কে বিয়ে করলাম। পরে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাক্ষাত করলে তিনি বললেন, হে জাবির! তুমি বিয়ে করেছে? আমি বললাম, জি হাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললাম, বিধবা। তিনি বললেন, তবে কুমারী নয় কেন? তুমি তার সঙ্গে সোহাগ স্ফূর্তি করতে (সে ও তোমার সঙ্গে হাস্য লাস্য করত)। আমি বললাম, ইযা রাসুলাল্লাহ! আমার কয়েকটি (অবিবাহিত) বোন রয়েছে তাই আমার আশংকা হল যে, বধু (কুমারী হলে সে) আমার ও বোনদের মাঝে অনুপ্রবেশ করবে (অন্তরায় হবে)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তবে তো তা-ই ঠিক। মহিলাকে বিয়ে করা হয় তার দ্বীনদারীর কারণে, তার সম্পদের কারণে ও তার রূপ লাবণ্যের কারণে, তোমার কর্তব্য ধার্মিকাকে গ্রহণ করা, তোমার দু’হাত ধূলিমলিন হোক।
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ ذَاتِ الدِّينِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَقِيتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا جَابِرُ تَزَوَّجْتَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " بِكْرٌ أَمْ ثَيِّبٌ " . قُلْتُ ثَيِّبٌ . قَالَ " فَهَلاَّ بِكْرًا تُلاَعِبُهَا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي أَخَوَاتٍ فَخَشِيتُ أَنْ تَدْخُلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُنَّ . قَالَ " فَذَاكَ إِذًا . إِنَّ الْمَرْأَةَ تُنْكَحُ عَلَى دِينِهَا وَمَالِهَا وَجَمَالِهَا فَعَلَيْكَ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ " .
Jabir b. 'Abdullah (Allah be pleased with them) reported:
I married a woman during the lifetime of Allah's Messenger (may peace be. upon him). I met the Messenger of Allah (ﷺ), whereupon he said: Jabir, have you married? I said: Yes. He said: A virgin or one previously marrried? I said: With due previously married, whereupon he said: Why did you not marry a virgin with whom you could sport? I said: Allah's Messenger, I have sisters; I was afraid that she might intervene between me and them, whereupon he said: Well and good, if it is so. A woman is married for four reasons, for her religion, her property, her status, her beauty, so you should choose one with religion. May your hands cleave to dust.