পরিচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না:
১. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব দীর্ঘ ছিলেন না আবার খাটোও ছিলেন না। তিনি ধবধবে সাদা কিংবা বাদামী বর্ণেরও ছিলেন না। তাঁর চুল একেবারে কোঁকড়ানো ছিল না, আবার একদম সোজাও ছিল না। ৪০ বছর বয়সে আল্লাহ তা’আলা তাকে নবুওয়াত দান করেন। এরপর মক্কায় ১০ বছর এবং মদিনায় ১০ বছর কাটান। আল্লাহ তা’আলা ৬০ বছর বয়সে তাঁকে ওফাত দান করেন। ওফাতকালে তাঁর মাথা ও দাড়ির ২০টি চুলও সাদা ছিল না।[1]
حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، أَنَّهُ سَمِعَهُ , يَقُولُ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ ، وَلَا بِالْقَصِيرِ ، وَلَا بِالأَبْيَضِ الأَمْهَقِ ، وَلَا بِالآدَمِ ، وَلَا بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ ، وَلَا بِالسَّبْطِ ، بَعَثَهُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ ، وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً ، وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُونَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ " .
Anas (Radiallahu Anhu) reports: "Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) was neither tall nor was he short (like a dwarf--He was of medium stature). In complexion, he was he was neither very white like lime, nor very dark, nor brown which results in darkness (he was illuminant, more luminous than even the full-moon on the 14th night).
The hair of Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) was neither very straight nor very curly (but slightly wavy). When he attained the age of forty, Allah the Almighty granted him nubuwwah (prophethood).He lived for ten years in Makkah (commentary) and in Madina for ten years. At that time there were not more than twenty white hair on his mubarak (blessed) head and beard." (This will be described in detail in the chapter on white hair of Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam).
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মাঝে যেমন উত্তম গুণাবলির সর্বাধিক সমাবেশ ঘটেছিল, তেমনি তাঁর দৈহিক সৌন্দর্যও ছিল অতুলনীয়। এ হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেমানান দীর্ঘকায় ছিলেন না। আবার অতি খাটোও ছিলেন না। বরং মাঝারি গড়নের চেয়ে একটু দীর্ঘ ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, নবী (সাঃ) এর ইন্তেকাল হয়েছে ৬৩ বছর বয়সে। তিনি মক্কায় ১৩ বছর এবং মদিনায় ১০ বছর অতিবাহিত করেছেন। এ সংক্রান্ত হাদীসগুলো এ গ্রন্থের শেষের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ণিত হাদীসটিতে দশকের পরের সংখ্যা ৩ বাদ দিয়ে মক্কায় অবস্থানকাল ১০ বছর এবং নবী (সাঃ) এর মোট বয়স ৬০ উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না
তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের:
২. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমাকৃতির ছিলেন। বেশি লম্বা কিংবা বেশি খাটোও ছিলেন না। তাঁর দেহ ছিল খুব আকর্ষণীয়। আর তাঁর চুল বেশি কোঁকড়ানো কিংবা একেবারে সোজাও ছিল না। তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের। পথ চলতে তিনি সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে চলতেন।[1]
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبْعَةً ، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلا بِالْقَصِيرِ ، حَسَنَ الْجِسْمِ ، وَكَانَ شَعْرُهُ لَيْسَ بِجَعْدٍ , وَلا سَبْطٍ أَسْمَرَ اللَّوْنِ ، إِذَا مَشَى يَتَكَفَّأُ "
THE NOBLE FEATURES OF RASULULLAH (SALLALLAHU ALAIHE WASALLAM)
Anas bin Malik (Radiallhu Anhu) reports, "Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) was of a medium stature, he was neither very tall nor very short. He was very handsome, of medium built and his hair was neither very curly nor very straight (but was slightly wavy). He had a wheat-coloured complexion. When he walked, he leaned forward slightly".
COMMENTARY. In this hadeeth Sayyidina Anas (Radiallhu Anhu) states that the complexion of Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) was wheat coloured. In the previous hadith, also narrated by Sayyidina Anas (Radiallahu Anhu), he states that Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) did not have a wheat-coloured complexion. This has been mentioned in the translation of the hadeeth. Actually, what is derived from the two hadeeth is that Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) was not of such a dark complexion that decrease the lightness and beauty of a person, but had a radiant and light colour, which slightly wheat-coloured. In this hadeeth the word `Yata-kaf-fa-oo' is used regarding the walking of Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam). The scholars interpret this word in several ways. Some say it means to walk at a fast pace. Some are of the opinion that it means to lean a bit forward while walking. Some say it means to lift the leg with force. All three explanations are correct because the walk of Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) fulfilled all three descriptions and the word also conveys these three meanings. Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) walked quickly and not like the Romeos of this age who walk like women. It was also the noble habit of Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) to walk with slight forward inclination of the head and shoulders. He did not walk with chest pushed out with pride. He lifted his legs as men do while walking and did not drag his legs on the ground.
পরিচ্ছেদঃ
তিনি ছিলেন মধ্যমাকৃতির:
৩. বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যমাকৃতির ছিলেন। তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী অংশ ছিল তুলনামূলক প্রশস্ত। তাঁর ঘন চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল। তাঁর দেহে লাল লুঙ্গি ও লাল চাদর শোভা পেত। আমি তাঁর তুলনায় সুদর্শন কাউকে কখনো দেখিনি।[1]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، قَالَ : سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ , يَقُولُ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , رَجُلا مَرْبُوعًا , بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ ، عَظِيمَ الْجُمَّةِ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ الْيُسْرَى ، عَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ ، مَا رَأَيْتُ شَيْئًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ " .
Baraa bin Aazib (Radiallahu anhu) relates that: "Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) was a man of a medium build, (slightly tall, as explained before); he had broad shoulders (from which we may gather that he had a wide chest); he had dense hair which reached his ear-lobes; he wore a red striped lungi (a cloth worn around the legs) and shawl. I never saw anybody or anything more handsome than him".
এ হাদীসে লাল চাদর ও লুঙ্গি পরিধান করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) পুরুষের জন্যে লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। এ বিরোধ সমাধানে কেউ কেউ বলেন, উজ্জ্বল লাল পরিধান করতে নিষেধ করা হয়েছে। এখানে যে কাপড়দ্বয়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা লাল ডোরাকাটা ছিল, উজ্জ্বল লাল বর্ণের ছিল না।
In this hadeeth the word `Rajulun Marbu'un' is used, which if the letter `Jeem' has a dammah (pesh), means a man. This could be correct. This type of word is used in the Arabic language for connecting words, but because no special quality or attribute is derived, some Muhadditheen (scholars of hadeeth) are of the opinion that if the letter `Jeem' has a fatah (zabar) on it, it means something that is between straight and bent. It may also be possible that in this case it refers to the description of the hair of Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam), and as described before, his mubarak (blessed) hair had a slight curl in it. From this hadeeth, some scholars are of the opinion that it is permissible for men to wear red coloured clothing. According to the Hanafis there is a detailed explanation on this subject. Before selecting red clothing, the scholars should be consulted regarding its permissibility. The scholars have written that in this hadeeth the Sahabi did not see `anything' more handsome and beautiful than Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam). This is said because besides human beings, the moon, sun, etc. are also included.
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না
তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত ছিল
৪. বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুলবিশিষ্ট লাল চাদর ও লাল লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে সুদর্শন কাউকে দেখিনি। তাঁর কেশগুচ্ছ ছিল কাঁধ বরাবর। তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান অন্যদের তুলনায় কিছুটা প্রশস্ত ছিল। তিনি অধিক খাটো বা অধিক দীর্ঘাকৃতির ছিলেন না।[1]
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ ، قَالَ : " مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ، لَهُ شَعْرٌ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ ، بَعِيدُ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ ، لَمْ يَكُنْ بِالْقَصِيرِ , وَلا بِالطَّوِيلِ " .
THE NOBLE FEATURES OF RASULULLAH (SALLALLAHU ALAIHE WASALLAM)
Baraa bin Aazib (Radiallahu Anhu) reports: "I never seen someone with long hair and red clothing more handsome than Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam). His hair reached his shoulders. The portion between his two shoulders was wide. He was neither very tall nor very short".
৩ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মাথার চুল কানের লতি পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। আর এ হাদীসে বলা হয়েছে, কাঁধ পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। উভয় বক্তব্যই ঠিক। কেননা, চুল সব সময় এক অবস্থায় থাকে না। কখনো কম হয়, কখনো বেশি হয়। আবার ইচ্ছাকৃতভাবেও বড় ছোট রাখা হয়। চুলের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার ব্যাখ্যা এভাবে করা যায় যে, তিনি সর্বোচ্চ কাঁধ পর্যন্ত লম্বা করেছেন, যাকে ‘জিম্মা’ বলা হয়। আর সর্বাধিক ছোট করার পরিমান ছিল কানের লতি, যাকে ‘ওয়াফরা’ বলে। আর এর মাঝামাঝি অবস্থানকে ‘লিম্মা’ বলা হয়।
The description of the hair of Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam) in this hadeeth is different one mentioned before. There it is stated that his hair reached his ear-lobes. In reality there is no difference between the two hadeeth, as the hair does not remain the same length but grows. Sometimes the hair was shortened, sometimes longer hair was kept.
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না
তাঁর হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল :
৫. আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি দীর্ঘ কিংবা বেশি খাটো ছিলেন না। তাঁর হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল। তাঁর মাথা ছিল কিছুটা বড় এবং হাত-পায়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। বুক হতে নাভি পর্যন্ত পশমের একটি সরু রেখা প্রলম্বিত ছিল। যখন পথ চলতেন মনে হতো যেন কোন উঁচু স্থান হতে নিচে অবতরণ করছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর পূর্বে কিংবা পরে আমি তাঁর মতো (অনুপম আকর্ষণীয়) আর কাউকে দেখিনি।[1]
دَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ هُرْمُزَ ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ، قَالَ : " لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالطَّوِيلِ , وَلا بِالْقَصِيرِ ، شَثْنُ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ ، ضَخْمُ الرَّأْسِ ، ضَخْمُ الْكَرَادِيسِ ، طَوِيلُ الْمَسْرُبَةِ ، إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ تَكَفُّؤًا , كَأَنَّمَا يَنْحَطُّ مِنْ صَبَبٍ ، لَمْ أَرَ قَبْلَهُ , وَلا بَعْدَهُ مِثْلَهُ
THE NOBLE FEATURES OF RASULULLAH (SALLALLAHU ALAIHE WASALLAM)
It is reported from Ali (Radiallahu Anhu): "Rasullullah (Sallallahu alaihe wasallam was neither very tall nor very short. The soles of both feet were very fleshed. (This quality is praiseworthy in a man as it denotes strength and courage but is not praiseworthy for a woman). He had a large head. The joints of the bones was also large. The was a thin line of hair from the chest to the navel. When Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) walked, it appeared that he was descending from a high place". Ali (Radiallahu Anhu) says: "I did not see anyone like him neither before him, nor after him".
The use of a sentence like: "I have not seen anyone like him", is primarily for emphasis. By describing Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) in this manner, there is however no exaggeration because the complete beauty of appearance of Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) cannot be fully described. Munaawi wrote that every person is required to believe that with whatever physical qualities and attributes of Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) is described, no other person can compare with it. This is not merely a belief. Books on Seerah (History of the Prophet peace be upon him) and ahaadeeth are replete with descriptions of his beautiful qualities. Therein it is stated that Allah Ta'aala bestowed fully on the Prophet (peace be upon him) all the inner kamaalat (perfection) and Zaahiri (apparent) beauty. Two verses (couplets) are narrated from Sayyiditina Aa'ishah (Radiallahu Anha), the meaning of which is: "that if the friends of Zulaikha could see the blessed face of Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam), they would have cut their hearts instead of their hands". How true! If you wish to read more about the love of the Sahabah (Radiallahu Anhum---male and female---for Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) read Chapter Eight of my book `Stories of the Sahabah' (Radiallahu Anhum).
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না
তিনি ছিলেন প্রশস্ত মুখ, ডাগর চক্ষু এবং সরু গোড়ালি বিশিষ্ট :
৬. জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ প্রশস্ত ছিল। চোখের শুভ্রতার মাঝে কিছুটা লালিমা ছিল। পায়ের গোড়ালি স্বল্প মাংসল ছিল। শু’বা (রহঃ) বলেন, আমি সিমাক (রহঃ) কে বললাম, ضَلِيعُ الْفَمِ (যলী’উল ফাম) কী? তিনি বললেন, বড় মুখগহ্বর বিশিষ্ট। আমি আবার বললাম, أَشْكَلُ الْعَيْنِ (আশকালুল ’আইন) কী? তিনি বললেন, ডাগর চক্ষুবিশিষ্ট। আমি বললাম, مَنْهُوسُ الْعَقِبِ (মানুহূসুল আক্বিব) কী? তিনি বললেন, সরু গোড়ালি বিশিষ্ট।[1]
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ , يَقُولُ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَلِيعَ الْفَمِ ، أَشْكَلَ الْعَيْنِ ، مَنْهُوسَ الْعَقِبِ " . قَالَ شُعْبَةُ : قُلْتُ لِسِمَاكٍ : مَا ضَلِيعُ الْفَمِ ؟ قَالَ : عَظِيمُ الْفَمِ ، قُلْتُ : مَا أَشْكَلُ الْعَيْنِ ؟ قَالَ : طَوِيلُ شِقِّ الْعَيْنِ ، قُلْتُ : مَا مَنْهُوسُ الْعَقِبِ ؟ قَالَ : قَلِيلُ لَحْمِ الْعَقِبِ .
THE NOBLE FEATURES OF RASULULLAH (SALLALLAHU ALAIHE WASALLAM)
Jaabir bin Samurah (Radiallahu anhu) says: "Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) had a wide
mouth. There were red lines in the whiteness of his eyes. He had little flesh on his heels."
It is desirable for Arab men to have wide mouths. According to some a wide mouth means eloquence (fluency of language). The translation adopted in the description of the eyes has been taken from accepted sayings. However in this Hadith, Imam Tirmidi has translated this to mean wide eyes, as a narrator of this hadith has done, which according to the linguists is not correct.
"These intoxicated eyes on which thousands of my kindred be sacrificed.
That endless destroyer remains intoxicated day and night."
পরিচ্ছেদঃ
তিনি ছিলেন পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও চমৎকার :
৭. জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার পূর্ণিমা রাত্রির স্নিগ্ধ আলোতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে লাল চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখলাম। তখন আমি একবার তাঁর দিকে ও একবার চাদের দিকে তাকাতে থাকলাম। মনে হলো তিনি আমার কাছে পূর্ণিমার চাদের চেয়ে অধিকতর চমৎকার।[1]
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ ، عَنْ أَشْعَثَ يَعْنِي ابْنَ سَوَّارٍ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : " رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي لَيْلَةٍ إِضْحِيَانٍ ، وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ ، فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِ وَإِلَى الْقَمَرِ ، فَلَهُوَ عِنْدِي أَحْسَنُ مِنَ الْقَمَرِ " .
It is related from Jaabir (Radiallahu anhu) that he said: " I once saw Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) on the night of a full moon. On that night he wore red clothing. At times I looked at the full moon and at times at Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) . Ultimately I came to the conclusion that Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) was more handsome, beautiful and more radiant than the full moon."
পরিচ্ছেদঃ
৮. আবু ইসহাক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার বারা ইবনে আযিব (রাঃ) কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা কি তরবারির ন্যায় ছিল? তিনি বললেন, না; বরং তা ছিল চাঁদের মতো।[1]
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرُّؤَاسِيُّ ، عَنْ زُهَيْرٍ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، قَالَ : سَأَلَ رَجُلٌ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ : أَكَانَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مثل السَّيْفِ ؟ قَالَ : " لا ، بَلْ مثل الْقَمَرِ " .
Abu-Ishaaq says: "A person once asked Baraa bin Aazib (Radiallahu anhu),
"Was the face of Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) shining like a sword?" He replied: "No but like a full-moon with its roundness."
তরবারির সাথে সাদৃশ্য করা এ জন্য ত্রুটিযুক্ত ছিল যে, এতে চেহারা অধিক লম্বা হওয়ার ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া তরবারির চমকে শুভ্রতা বেশি থাকে, কিন্তু উজ্জ্বলতা থাকে না। তাই বারা ইবনে আযিব (রাঃ) তরবারির কথা অস্বীকার করে চাদের সাথে তুলনা করেছেন।
In making a comparison with a sword, it may have meant that Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) had a long face. However the glitter of a sword has more whiteness than being luminous. For this reason Sayyidina Baraa (Radiallahu anhu) gave the similarity of the full moon, and not that of a sword. All these similarities are approximate descriptions, otherwise even a thousand moons cannot give the brightness of Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam). An Arab poet says: "If you want to describe a shortcoming of a beloved, then give the beloved a similitude of a full moon. This is enough to insult him."
পরিচ্ছেদঃ
তাঁর শুভ্রতা ছিল রৌপ্যের ন্যায় :
৯. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুভ্রতায় ছিলেন রৌপ্যের ন্যায় এবং তাঁর চুলগুলো ছিল কিছুটা কোঁকড়ানো।[1]
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْمَصَاحِفِيُّ سُلَيْمَانُ بْنُ سَلْمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي الأَخْضَرِ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْيَضَ كَأَنَّمَا صِيغَ مِنْ فِضَّةٍ ، رَجِلَ الشَّعْرِ " .
Abu Hurayrah (Radiallahu anhu) says: "Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) was so clean, clear, beautiful and handsome, as though his body was covered and moulded in silver. His hair was slightly curled."
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত এ অধ্যায়ের সর্বপ্রথম হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর গায়ের রং নিরেট সাদা ছিল না। তাই এ হাদীসে তাকে রূপার সাথে তুলনা করা হয়েছে। তিনি লাল মিশ্রিত সাদা ছিলেন এবং উজ্জ্বল সুন্দর ছিলেন।
In the first narration mentioned by Sayyidina Anas (Radiallahu anhu), it is denied that Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) was very white. From the above hadith, it does not mean that he had white complexion like silver; rather he had a white and reddish complexion, in which the beauty and brightness was overwhelming.
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না
তিনি ছিলেন ইবরাহীম (আঃ) এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ:
১০. জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার কাছে নবীগণকে পেশ করা হয়। মূসা (আঃ) এর মধ্যে বিভিন্ন লোকের সাদৃশ্য বিদ্ধমান ছিল। তিনি যেন শানুয়াহ গোত্রের লোক। আমি ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) কে উরওয়া ইবনে মাসঊদের সাদৃশ্যপূর্ণ দেখতে পাই। তারপর আমি ইবরাহীম (আঃ) কে দেখতে পাই এবং তাকে পাই ’তোমাদের সঙ্গীর’ সাথে সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। তোমাদের সঙ্গী বলে তিনি নিজেকে বুঝিয়েছেন। আর আমি জিবরীল (আঃ) কে দিহইয়া (কালবী) এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ দেখতে পাই।[1]
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " عُرِضَ عَلَيَّ الأَنْبِيَاءُ ، فَإِذَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلامُ , ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ ، كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ ، وَرَأَيْتُ عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلامُ ، فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ ، وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلامُ ، فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا صَاحِبُكُمْ ، يَعْنِي نَفْسَهُ ، وَرَأَيْتُ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلامُ , فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا دِحْيَةُ " .
THE NOBLE FEATURES OF RASULULLAH (SALLALLAHU ALAIHE WASALLAM)
Jaabir bin Abdullah (Radiallahu anhu) narrates from Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) that he said: "The Ambiyaa (Prophets) were shown to me. I saw Musa (Alaihis salaam), he had a thin body, like one from among the tribe of Shanu'ah. I saw Esa (Alaihis salaam). From among all those whom I have seen, he somewhat resembled Urwah bin Masud. I saw Ebrahim (Alaihis
salaam). From among all those that I have seen,I, more or less, look like him. In the same manner I saw Jibra-eel (Alaihis salaam). From among all those I had seen, he more or less looked like Dihyah Kalbi."
This was on the night of mi'raaj or in a dream. Imaam Bukhaari (Rahmatullahi alaihe) has narrated both, on the night of mi'raaj and also in a dream. There is no confusion or difficulty in these differences, because he may have seen them on both occasions. The translation of the description of Sayyidina Musa (Alaihis salaam) as having a light body, in my opinion, is made from more accurate sayings. Some Ulama in the translation of this sentence, have expressed other opinions. These three Ambiyaa (Prophets) were described because Sayyidina Musa (Alaihis salaam) and Sayyidina Esa (Alaihis salaam) are the nabis of the Bani Israel and Sayyidina Ebrahim (Alaihis salaam), besides being the great grandfather of Sayyidina Rsulullah (Sallallahu alaihe wasallam), was also accepted by all Arabs.
পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না
তিনি ছিলেন শুভ্রকায় ও লাবণ্যময়:
১১. আবু তুফায়েল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি তবে তাকে যারা দেখেছেন তাঁদের মধ্যে আমি ছাড়া কেউ ভূপৃষ্ঠে বেঁচে নেই। (বর্ণনাকারী বললেন) আমি বললাম আপনি আমার কাছে তাঁর বিবরণ পেশ করুন। তিনি বললেন, তিনি ছিলেন শুভ্রকায় ও লাবণ্যময় সুসামঞ্জস্যপূর্ণ।[1]
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، الْمَعْنَى وَاحِدٌ ، قَالا : أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ , يَقُولُ : " رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا بَقِيَ عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ أَحَدٌ رَآهُ غَيْرِي " ، قُلْتُ : صِفْهُ لِي ، قَالَ : " كَانَ أَبْيَضَ , مَلِيحًا , مُقَصَّدًا " .
THE NOBLE FEATURES OF RASULULLAH (SALLALLAHU ALAIHE WASALLAM)
Sa'eed Jariri says: "I heard Abu Tufayl (Radiallahu anhu) say: "There is no one left on the face of this Earth, besides me who had seen Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam)." I asked him to describe to me the noble features of Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam). He said: "Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) had a white complexion, which
was slightly reddish, and had a medium sized body."
Sayyidina Abu Tufayl (Radiallahu anhu) was the last one among the Sahabah (Radiallahu anhum) to pass away. He died in the year 110 Hijri. That is why he said, that there was no one left besides him who had seen Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam). The ulama say that he used the phrase `face of the earth' because Sayyidina Esa (Alaihis salaam) is also from the ones who had seen Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam), and is present in the skies (heavens).
পরিচ্ছেদঃ
خاتم অর্থ- আংটি, মোহর, সীল। মোহরে নবুওয়াত হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’কাঁধের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত একটি মাংসের টুকরা। এটি ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওয়াতের নিদর্শন; আর এ নিদর্শনের কথা পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহেও বর্ণিত ছিল।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’কাঁধের মধ্যভাগে মোহরে নবুওয়াত ছিল:
১২. সায়িব ইবনে ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমার খালা আমাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলেন। এরপর তিনি আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ভাগ্নে অসুস্থ। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার মাথায় হাত বুলালেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দু’আ করলেন। তারপর তিনি ওযু করলেন। আমি তাঁর ওযুর অবশিষ্ট পানি পান করলাম এবং তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সহসা তাঁর দু’কাঁধের মধ্যস্থ মোহরে নবুওয়াতের প্রতি আমার দৃষ্টি পড়ে, যা দেখতে পাখির (কবুতরের) ডিমের মতো।[1]
حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، عَنِ الْجَعْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ , يَقُولُ : ذَهَبَتْ بِي خَالَتِي إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنَّ ابْنَ أُخْتِي وَجِعٌ . فَمَسَحَ رَأْسِي وَدَعَا لِي بِالْبَرَكَةِ ، وَتَوَضَّأَ ، فَشَرِبْتُ مِنْ وَضُوئِهِ ، " وَقُمْتُ خَلْفَ ظَهْرِهِ ، فَنَظَرْتُ إِلَى الْخَاتَمِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ ، فَإِذَا هُوَ مثل زِرِّ الْحَجَلَةِ " .
Saa-ib bin Yazid (Radiallahu anhu) said: "My (maternal) aunt took to me to the Holy Prophet (Sallallahu alaihe wasallam) and said to him, this nephew of mine is ill. Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) wiped his holy hand over my head and made for barakah for me. When the Holy Prophet (Sallallahu alaihe wasallam) performed Wudu, I drank the water of that wudu. (The Holy Prophet (Sallallahu alaihe wasallam) may have performed wudu for some reason, but
here it is clear that the Holy Prophet (Sallallahu alaihe wasallam) performed wudu so that the water could be used as a remedy and medicine). I saw the seal of Prophethood, which was like the knot on a mosquito net or bedstead." (Which is the size of a pigeon's egg in roundness).
If in this Hadith the left over water of wudu is meant, then there is no difficulty or difference of opinion. If that water is meant which falls after washing the limbs etc., which in Arabic is known as 'Mae Musta'amal', then too there is no complication or difficulty, because even the excrements of Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) is paak. So how can there be a complaint regarding the 'Mae Musta'amal'(Used water).
পরিচ্ছেদঃ
তা ছিল ডিমের ন্যায় লাল মাংসপিণ্ড:
১৩. জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে মোহরে নবুওয়াত দেখেছি। আর তা যেন ছিল ডিমের ন্যায় লাল মাংসপিণ্ড।[1]
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ ، قَالَ : حدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : " رَأَيْتُ الْخَاتَمَ بَيْنَ كَتِفَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , غُدَّةً حَمْرَاءَ , مثل بَيْضَةِ الْحَمَامَةِ " .
Jaabir bin Samurah (Radhiallahu Anhu reports that: "I saw the Seal of Prophethood of Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam) between his two shoulders, which was like a red tumour (protruding flesh), the size of which was like that of a pigeon's egg".
There are various and different narrations regarding the size and colour of the Seal of Prophethood of Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam). Qurtubi has reconciled these by sayimg that the size changed from time to time, as did the colour. According to this humble servant, this reconciliation may also be possible, that in reality all these are similarities, and every similarity is according to a person's understanding, which is an approximate state. There is no disagreement in explaining approximates. This is a more appropriate explanation.
পরিচ্ছেদঃ
১৪. রুমায়সা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনে মুয়ায (রাঃ) এর ওফাতের দিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তাঁর মৃত্যুতে রহমান (আল্লাহ তা’আলা) এর আরশ কেঁপে উঠেছিল। রুমায়ছা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এ উক্তি করেন তখন আমি তাঁর এত নিকটে ছিলাম যে, ইচ্ছে করলে তাঁর মোহরে নবুওয়াত চুম্বন করতে পারতাম।[1]
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدَنِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ ، عَنْ جَدَّتِهِ رُمَيْثَةَ , قَالَتْ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَلَوْ أَشَاءُ أَنْ أُقَبِّلَ الْخَاتَمَ الَّذِي بَيْنَ كَتِفَيْهِ مِنْ قُرْبِهِ لَفَعَلْتُ ، يَقُولُ لِسَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ يَوْمَ مَاتَ : " اهْتَزَّ لَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ " .
Rumaythah (Radhiallahu Anha) said: "I heard this subject from Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam) and at that time I was so near him, that if I wanted to, I could have kissed the Seal of Prophethood. That subjewct is: `Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam) was talking about Sa's bin Mu'aadh (Radhiallahu anhu), that because of Sa'd's death, the `Arsh (Throne) of Allah also started to sway in happiness'".
There is a disagreement regarding the swinging of the Arsh. What is the reason and what does it mean? The above translation is in accordance with well-known sayings. Some are of the opinion that this refers to the People of the Arsh. Some are of the opinion that it is the Takht (Throne) of Sayyidina Sa'd (Radhiallahu Anhu), etc. Sayyidina Sa'd bin Mu'aadh is from among the great Sahabah. In the books of hadith many of the merits have been mentioned. Before the Hijra Sayyidina Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam) sent Sayyidina Mu'aadh bin Umayr (Radhiallahu Anhu) to Madina to teach and propagate Islaam. Sayyidina Sa'd (Radhiallahu anhu) accepted Islaam at his hands. He was leader of his community and as a result, his whole family accepted Islaam on the same day. This was the first family in Madinah accepted Islaam. He passed away at the age of 37 in the fifth year Hijri. 70,000 malaa'ikha (angels) attended his jnaazah salaah. With all this, it appears from hadith that he also went through hardship for a while in the grave. We should all take heed. A person should not be lax in this matter, and should always remember Allah, repent and fear the punishment of the grave. Whenever Sayyidina Uthmaan (Radhiallahu anhu) passed a grave, he used to weep till his beard became wet. Someone asked him, `Jannah and Jahanam are also discussed, but at that time you do not weep?' He replied: `I heard Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam) say: "The grave is the first stage of the aakhirah (hereafter); whoever goes through this easily, all the other stages become easy. And for whom this stage is difficult, all the other stages become more difficult'". He says I also heard Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam) say: "Of all the scenes of the aakhirah that I have seen, the one of Qabr (grave) is the most difficult".-Mishkaat. May Allah Ta'aala save us all from it. Imaam Tirmidhi did not intend to relate this incident here, but because the Seal of Prophethood is mentioned, therefore it is included here. Also Rumaythah (Radhiallahu Anha) by mentioning her experience of being near Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam) and seeing the Seal of Prophethood, and by hearing this subject conclusively proves that there remains no place for errors.
পরিচ্ছেদঃ
সেটি ছিল এক গুচ্ছ কেশের মতো:
১৫. আবু যায়েদ আমর বিন আখতাব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আবু যায়েদ! আমার কছে এসো এবং আমার পৃষ্ঠদেশে হাত বুলাও। তখন আমি তাঁর পিঠে হাত বুলাতে থাকলাম। এক পর্যায়ে আমার আঙ্গুলগুলো মোহরে নবুওয়াতের উপর লেগে গেল। বর্ণনাকারী আমর বিন আখতাব (রাঃ) কে বললেন, ’খাতাম’ (মোহরে নবুওয়াত) কী জিনিস? তিনি বললেন, এক গুচ্ছ কেশ।[1]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي عِلْبَاءُ بْنُ أَحْمَرَ الْيَشْكُرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبُو زَيْدٍ عَمْرُو بْنُ أَخْطَبَ الأَنْصَارِيُّ ، قَالَ : قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " يَا أَبَا زَيْدٍ ، ادْنُ مِنِّي فَامْسَحْ ظَهْرِي " ، فَمَسَحْتُ ظَهْرَهُ ، فَوَقَعَتْ أَصَابِعِي عَلَى الْخَاتَمِ قُلْتُ : وَمَا الْخَاتَمُ ؟ قَالَ : " شَعَرَاتٌ مُجْتَمِعَاتٌ "
`Ilbaa bin Ahmar Al-yashkari says that the Sahaabi, Abu Zayd `Amr bin Akhtab Al-Ansaari Radhiallahu Anhu said to me: "Rasullullah (Sallallahu alaihi wasallam) once asked me to massage his waist. When I began massaging the back, accidently (by chance) my fingers touched the Seal of Prophethood. `Ilbaa (Radhiallahu anhu) says: `I asked Amr (Radhiallahu anhu), what is the Seal of Prophethood?' He replied: `It was a collection of few hair'".
This is not contrary to the first hadith, because there was hair around the Seal of Prophethood. He only mentioned the hair.
পরিচ্ছেদঃ
সালমান ফারসি (রাঃ) মোহরে নবুওয়াত দেখে ঈমান এনেছিলেন:
১৬. আবু বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মদিনায় হিজরতের পর একবার সালমান ফারসী (রাঃ) একটি পাত্রে কিছু কাঁচা খেজুর নিয়ে এলেন এবং তিনি তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে রাখলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সালমান! এগুলো কিসের খেজুর? (অর্থাৎ হাদিয়া না সাদাকা?) তিনি বললেন, এগুলো আপনার ও আপনার সার্থীদের জন্য সাদাকা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এগুলো তুলে নাও। আমরা সাদাকা খাই না।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি তা তুলে নিলেন। পরের দিন তিনি অনুরূপ খেজুর নিয়ে আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পেশ করেন। তখন তিনি বললেন, সালমান! এসব কিসের খেজুর? সালমান (রাঃ) বললেন, আপনার জন্য হাদিয়া। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা হস্ত প্রসারিত করো (হাদিয়া গ্রহণ করো)। এরপর সালমান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পৃষ্ঠদেশে মোহরে নবুওয়াত দেখতে পেলেন; অতঃপর ঈমান আনলেন।
(বর্ণনাকারী বলেন) সালমান (রাঃ) জনৈক ইয়াহুদির গোলাম ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এত এত দিরহামের বিনিময়ে এবং এ শর্তে খরিদ করেন যে, সালমান তাঁর ইয়াহুদি মনিবের জন্য একটি খেজুর বাগান করে দেবে এবং তাতে ফল আসা পর্যন্ত তত্ত্বাবধান করতে থাকবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজ হাতে একটি চারা ছাড়া সবগুলো রোপণ করলেন এবং একটি চারা গাছ ওমর (রাঃ) রোপণ করেছিলেন। সে বছরই সকল গাছেই খেজুর আসল কিন্তু একটি গাছে খেজুর আসল না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ গাছটির এ অবস্থা কেন? উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এটি রোপণ করেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ চারাটি উপড়িয়ে আবার রোপণ করলেন। ফলে সে বছরই তাতে খেজুর আসল।[1]
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ ، حَدَّثَنِي أَبِي ، قَالَ : حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَبِي بُرَيْدَةَ ، يَقُولُ : جَاءَ سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ بِمَائِدَةٍ عَلَيْهَا رُطَبٌ , فَوَضَعَهَا بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : " يَا سَلْمَانُ مَا هَذَا ؟ " فَقَالَ : صَدَقَةٌ عَلَيْكَ , وَعَلَى أَصْحَابِكَ ، فَقَالَ : " ارْفَعْهَا ، فَإِنَّا لا نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ " ، قَالَ : فَرَفَعَهَا ، فَجَاءَ الْغَدَ بِمِثْلِهِ ، فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : " مَا هَذَا يَا سَلْمَانُ ؟ " فَقَالَ : هَدِيَّةٌ لَكَ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأَصْحَابِهِ : " ابْسُطُوا " ثُمَّ نَظَرَ إِلَى الْخَاتَمِ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَآمَنَ بِهِ ، وَكَانَ لِلْيَهُودِ فَاشْتَرَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , بِكَذَا وَكَذَا دِرْهَمًا عَلَى أَنْ يَغْرِسَ لَهُمْ نَخْلا ، فَيَعْمَلَ سَلْمَانُ فِيهِ ، حَتَّى تُطْعِمَ ، فَغَرَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , النَّخلَ إِلا نَخْلَةً وَاحِدَةً ، غَرَسَهَا عُمَرُ فَحَمَلَتِ النَّخْلُ مِنْ عَامِهَا ، وَلَمْ تَحْمِلْ نَخْلَةٌ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَا شَأْنُ هَذِهِ النَّخْلَةِ ؟ " فَقَالَ عُمَرُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَنَا غَرَسْتُهَا ، فَنَزَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَغَرَسَهَا فَحَمَلَتْ مِنْ عَامِهَا .
Buraydah bin Radiyallahu 'Anhu reports: "when Rasulalullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam came to Medinah, Salmaan Faarisi Radiyallahu 'Anhu brought a tray which had fresh dates on it, and presented it to Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam, who asked: "O Salmaan, what dates are
these?" He replied: "This is sadaqah for you and your companions"
Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam replied: "We do not eat Sadaqah. Remove it from me." ( The 'ulama differ in their opinions as to the meaning of the word "we". Some say it is Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam himself, and the plural is used as a mark of respect. Others explain that it is the ambiyaa (prophets). According to some it is Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam and his relatives, for whome it is not permissible to
accept zakaah. According to this humble servant the third ihtimaal (supposition) is superior and more acceptable. Allaamah Munaawi's criticism of the third explanationis not forceful and weighty). On the next day this happened again. Salmaan Radiyallahu 'Anhu brought a tray of fresh dates, and in reply to the question of Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam, he replied: "O messenger of Allah, it is a present for you". Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam said to the Sahaabah Radiyallahu 'Anhum "Help
yourselves". He then saw the seal of Prophethood on the back of Sayyidina Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam and embraced Islam. (At that time Sayyidina Salmaan Radiyallahu 'Anhu was a slave of a Jew from the tribe of Banu Qurayzah.
Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam purchased him(this is figureatively speaking. The fact is that Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam made him a Mukaatab - One whoi buys One's freedom for anm agreed sum.) and paid Dirhams for him to become a Mukaatab, and also agreed that he(Sayyidina Salmaan Radiyallahu 'Anhu should plant for the Jew date palms,(the amount of three hundred palms) and until these bore fruit to tend them. Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam planted the palms with his mubaarak hands and it was his mu'jizah(miracle) that all the palms bore fruit in the same year.
One tree among these did not bear fruit. Upon investigating it was found that Umar Radiyallahu 'Anhu had planted this tree, and that it was not planted by Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam removed this palm and replanted it. Another mu'jizah Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam is that he planted the palms out of season and they bore fruit the same year.
أنا لا نأكل الصدقة আমরা সাদাকা ভক্ষণ করি না এ বাক্যের মধ্যে আমরা দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং তাঁর ঐ সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে বুঝানো হয়েছে, যাদের জন্য সাদাকা খাওয়া হারাম।
The Ulama have made thorough research on this Hadith. For example Sayyidina Salmaan Radiyallahu 'Anhu was a slave, was his sadaqah and hadiyyah(gift) permissible or not? Also what was the difference between Hadiyyah and Sadaqah etcetra? Due to the discussion being lengthy, it has been ommited to keep the subject short. From this hidith we learn some of the special habits Sayyidina Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam, that he included the servants and those present, in the gifts he received. This was one of the special habits of Sayyidina Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam. There are thousands of similar instances mentioned in the ahadith. In this hadith Sayyidina Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam also enjoined us to share presents. Those who are present should also be included. According to the Muhadditheen there is a variation in the words of this hadith and that this hadith is weak, but according to the subject matter, the incidence strengthen it. What type of presents are meant and what is meant by those that are sitting together? (near). These need an explanation. Mullah Ali Qaari writes that person brought a present to a pious Shaykh of that time. A person sitting in his assembly said : "Presents are shared". The Shaykh replied :"We do not make shirk(ascribe partners onto Allah) and believe in one creator. All these(presents) are for you". The presents were so many that that person could not carry all of them. The Shaykh instructed his servant to deliver it to that persons home. In the same manner, this happended in the assembly of Imam Abu Yusuf Rahmatullahi alayih. A person presented him a monetary gift. One from among those present said "Presents are shared". The Imam replied that those are special types of presents and instructed his servant to put away the present. The Ulama say that both instances are correct and well balanced. What the pious Suffi did was proper and befitting, and what the Fakih(Jurist) did was also proper and befitting, and this is true. Imam Abu Yusuf Rahmatullahi alayih was a celebrated and famous Imam. If he did not do as he had done, it might have become Shar'Ee Mas-alah that presents should be shared, and this would have made it difficult for the Umma. Shah Waliyullah Dehlawy wrote in one of his kitabs "Dreams and Glad Tiding". Many admirable incidence, one of which is his Father. He wrote :"In my young days I loved to fast. After seeing all the different opinions of the Ulama, I began hesitating to fast. I saw Sayyidina Rasullullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam in my dream in which he gave me a loaf of bread. Sayyidina Abubaker Siddique Radiyallahu 'Anhu was also sitting there and said "Presents are shared". I presented thje bread to him and he ate a piece from it. There after Sayyidina Umar Radiyallahu 'Anhu said "Presents are shared" I presented the bread to him also, and he took a piece from it. Sayyidina Uthmaan Radiyallahu 'Anhu then also said : "Presents are shared". I then said "If all of you will devide this bread amongst yourselves only, what will be left for me?". Sayyidina Salman Faarisi Radiyallahu 'Anhu is from among the grear Sahaabah. It is stated in the Hadith that when this Aayah was revealed :"If you turn away, He will substitute another
people instead of you."
O ' Messenger of Allah, who are those people who will take our place?" Sayyidina Rasulullah (Sallallhu alaihe wasallam) then patted Sayyidina Salmaan (radiallahu anhu) on his back and said: "I swear by the Name of the Being in Whose Hands lie my life, if Imaan was suspended on Thurayya (Pleiades),the people of Faaris would have taken it from there also." The ulama have written that this was a glad tiding in favour of Imaam Abu Hanifa (rahmatullahi alaihe). Sayyidina Salaam (radiallahu anhu) stated in detail how he had accepted Islam (Imaan). This detail is given in the books of hadith. Therein are mentioned the signs which prompted Sayyidina Salmaan (radiallahu anhu) to investigate Islam. Sayyidina Salmaan (radiallahu anhu) says that he was a resident in the province of Asbahaan, at a place called Jay. Sayyidina Salmaan narrates: "My father was a headman and a leader of the locality. He loved me very much. I tried very hard to become a success in my old religion of Zorastrianism (fire worship), and thus became a caretaker of the temple. Once my father sent me on an errand for him. On the way I passed a Christian church. I went inside, and saw the Christians praying there. I liked what I saw there. I was attracted to this religion and remained in the Church till the evening. I enquired from Christians them where their headquarters were? They replied that it was in Shaam (Syria). When I returned home in the evening, my family asked where I had been the whole day. I related to them what had happened. My father said: "That religion is not good. Your religion and the religion of your forefathers is the best." I replied : "Never, that religion (Christianity ) is the best." My father, fearing that I would leave home, fastened a chain to my leg and locked me up in the house. I sent a message to the Christians that when the merchants from Shaam, who often came to trade, arrived, I should be informed. When the merchants arrived, they sent a message to me. At the time of their departure I cut loose the chains, ran away and joined the caravan to Shaam. When I reached Shaam I enquired who was the best and most learned in this religion of Christianity. The people directed me to bishop. I went to him and informed him that I would like to become a Christian and stay in his company. He agreed. I began living with him but found him to be dishonest. He persuaded the people to give charity (tithe) and whatever he collected, he put into his personal treasure. He did not give the poor anything. After his death, another bishop was appointed in his place. He was a pious man, and did not care for material things. I began living with him and started to love him. When his end came near I asked him, who should I go to after his death. He replied that there was only one person in this world following the same path, and there was no one else besides him. He said: He lives in Mosul and you must go to him. After the bishop's death I went to the person in Mosul and related my story to him. He allowed me to stay in his service. He was a very good person. When his end came near I asked him that after his death, who should I go to? He replied that I should go to a person in Naseebayn. After his death I went to Naseebayn. Where I related my story to the resident bishop who agreed to keep me in his service. He was a good man. Again, when his end came near, I asked him the same question. He replied that I should go to a certain place in Ghamurya. I went to Ghamurya and began living with the bishop there. Here I worked and learned too. As a result I owned some cattle and sheep. When the Bishop of Ghamurya's end came near, I asked: "Now what should I do?" He took an oath and said: "There is no learned person anymore who follows our path. The time has come near when the last of all Prophets will appear, who will follow the religion of Ibrahim (Alaihis salaam). He will be born in ` Arabia '. He will migrate to such a place where many dates grow and on both sides of this place the soil is stony. The Prophet will accept gifts, but will not eat from Sadaqah. The Seal of Prophethood will be between his two shoulders. (This is the sign of Prophethood and for this reason Sayyidina Salmaan radiallahu anhu looked for the seal). If you can go to this place, try to do so." After the bishop's death a few traders from the tribe of Banu Kalb passed Ghamurya. I said to them:"If you take me with you to Arabia, I will give you in return these cattle and sheep". They accepted and brought me to Wadi al Qura (Mecca Mukarramah). I gave them the cattle and sheep but they oppressed me. They said I was a slave and sold me. A jew from the tribe of Banu Qurayzah bought me and took me to Madinah. I recognised the signs that the bishop of Ghamurya had explained to me. I said to myself, ` This is that place'. I lived there till Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) migrated from Mecca Mukarramah to Madinah Munawwarah. Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) was in Quba at that time. When I heard of of Sayyidina Rasulullah Sallallahu alaihe wasallam, whatever I owned I took with and presented it to him and said: "This is from Sadaqah." Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) did not partake any of it. I said to myself that one sign has been fulfilled and I returned to Madinah and collected a few things. In the meantime Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) came to live in Madinah. I presented somethings (dates, food etc) and said: "This a gift." Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) accepted the gift, I said to myself that the second sign has also been fulfilled. Thereafter I attended his noble assembly. Sayyidina Rasulallah (Sallallahu alaihe wasallam) was at the Baqi (attending a Sahabi's funeral). I greeted him and made an attempt to look at his back. Sayyidina Rasulallah (Sallallahu alaihe wasallam) understood what I was doing and lifted his sheet. I saw the Seal of the Prophet and in zeal bowed towards it. I kissed it and cried. Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) said:"Come in front of me." I came before him and related the whole story. After that I continued serving my Jewish master in slavery . Once Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) said:"Make an agreement with your master to make you a mukaatab (one who purchases his own freedom) ." I made an agreement with my master he made two conditions. The first was that I should pay forty uqqiyyah cash in gold. (One uqqiyyah is forty dirhams and a dirham is 3 to 4 maashaa, 3g to 4g). The second condition was that I should plant 300 date palms and tend them till they bear fruit. Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) planted the date palms with his own hands (as is mentioned above ). It happened that some gold arrived from somewhere for Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam). He gave this to Sayyidina Salmaan (radiallahu anhu) and told him to go and pay it his master. Sayyidina Salmaan (radiallahu anhu) asked:" Will this gold be enough as the amount is much more."Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) replied:"It will not be surprising if Allah Ta'aala fulfils the need with this gold."I took the gold and weighing it paid the amount of forty uqqiyyah. (Jamul Fawaaid)
From this incident it is evident that Sayyidina Rasulullah (Sallallahu alaihe wasallam) buying Sayyidina Salmaan (radiallahu anhu) over from slavery meant he had paid the money so that Sayyidina Salmaan (radiallahu anhu) could a makaatab. Sayyidina Rasulullah (Sallallhu alaihe wasallam) planted the palms with his own hands and gave the gold that was stipulated in the agreement. Sayyidina Salmaan (radiallahu anhu) says:"I was a slave of ten different people. In the Battle of Khandaq, a trench was dug according to his advice, otherwise there was no knowledge of digging trenches.
পরিচ্ছেদঃ
এটি ছিল এক টুকরো বাড়তি মাংস:
১৭. আবু নজর আওয়াকী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোহরে নবুওয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন, তা ছিল তাঁর পৃষ্ঠদেশের উপর এক টুকরো বাড়তি মাংস।[1]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْوَضَّاحِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ الدَّوْرَقِيُّ ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ الْعَوْقِيِّ ، قَالَ : سَأَلْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ , عَنْ خَاتَمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي خَاتَمَ النُّبُوَّةِ ، فَقَالَ : " كَانَ فِي ظَهْرِهِ بَضْعَةٌ نَاشِزَةٌ " .
Abi Nadrah AI-'Awfee RA. reports: "I asked Abu Sa'eed Khudari Radiyallahu 'Anhu about the Seal of Prophethood of Rasulullah sallailahu 'Alayhi Wasallam. He said: 'It was a piece of raised flesh that was on Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam's back".
Abdullah bin Sarjas Radiyallahu 'Anhu says: "I came to Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam while there were people sitting in his company. I went around to the back of Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam (The narrator may have done this physically). Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam understood what I was trying to do. He removed the sheet (body wrap) from his back. I saw the place of the Seal of Prophethood between his two shoulders. It was like a cluster surrounded by til (moles) which appeared to be like a wart. I came before Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam and said to him. May Allah forgive you (or Allah has forgiven you, as is mentioned in Surah Fath, 'That Allah may forgive you, your former and your latter sins'). Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam replied: 'May Allah forgive you too'. The people said to me that Rasulullah Sallallahu'Alayhi Wasallam has made du'aa for your maghfirah (forgiveness). I replied: 'Yes, and for you too, because Allah Ta'aala has said: 'O Muhammad, seek forgiveness for yourself and the Mu'min males and females also"'. (That is why Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam asked for the forgiveness of Muslims).
পরিচ্ছেদঃ
এটি ছিল মুষ্টিবদ্ধ আঙ্গুলীর ন্যায়, আর এর চারপার্শ্বে আচিলের মতো কতগুলো তিলক ছিল:
১৮. আবদুল্লাহ ইবনে সারজিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলাম। তখন তিনি তাঁর সাহাবীগণের মাঝে ঘুরতেছিলেন। এক পর্যায়ে আমি তাঁর পিছু ধরলাম। তিনি আমার মনোবাঞ্ছনা বুঝতে পেরে পিঠ থেকে চাদর সরিয়ে ফেলেন। তখন আমি তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে মোহরে নবুওয়াত দেখতে পাই। আর তা ছিল মুষ্টিবদ্ধ আঙ্গুলীর ন্যায় এবং এর চারপার্শ্বে আচিলের মতো কতগুলো তিলক শোভা পাচ্ছিল। এরপর আমি তাঁর সামনে এসে দাঁড়ালাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন। তখন তিনি বললেন, তোমাকেও ক্ষমা করুন। তারপর লোকে আমাকে বলতে লাগল, তুমি বড়ই সৌভাগ্যবান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার মাগফিরাত কামনা করেছেন। তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি তোমাদের জন্যও দু’আ করেছেন। এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন
وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ
(হে রাসূল!) আপনি আপনার জন্য এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্য মাগফিরাত কামনা করুন। (সূরা মুহাম্মাদ- ১৯)[1]
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ أَبُو الأَشْعَثِ الْعِجْلِيُّ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ ، قَالَ : أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ ، فَدُرْتُ هَكَذَا مِنْ خَلْفِهِ ، فَعَرَفَ الَّذِي أُرِيدُ ، فَأَلْقَى الرِّدَاءَ عَنْ ظَهْرِهِ ، فَرَأَيْتُ مَوْضِعَ الْخَاتَمِ عَلَى كَتِفَيْهِ , مثل الْجُمْعِ حَوْلَهَا خِيلانٌ , كَأَنَّهَا ثَآلِيلُ ، فَرَجَعْتُ حَتَّى اسْتَقْبَلْتُهُ ، فَقُلْتُ : غَفَرَ اللَّهُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَقَالَ : " وَلَكَ " فَقَالَ الْقَوْمُ : أَسْتَغْفَرَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ فَقَالَ : نَعَمْ ، وَلَكُمْ ، ثُمَّ تَلا هَذِهِ الآيَةَ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ
Abdullah bin Sarjas Radiyallahu 'Anhu says: "I came to Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam
while there were people sitting in his company. I went around to the back of Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam (The narrator may have done this physically). Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam understood what I was trying to do. He removed the sheet (body wrap) from his back. I saw the place of the Seal of Prophethood between his two shoulders. It was like a
cluster surrounded by til (moles) which appeared to be like a wart. I came before Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam and said to him. May Allah forgive you (or Allah has forgiven you, as is mentioned in Surah Fath, 'That Allah may forgive you, your former and your latter sins').
Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam replied: 'May Allah forgive you too'. The people said to me that Rasulullah Sallallahu'Alayhi Wasallam has made du'aa for your maghfirah (forgiveness). I replied: 'Yes, and for you too, because Allah Ta'aala has said: 'O Muhammad, seek forgiveness
for yourself and the Mu'min males and females also"'. (That is why Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam asked for the forgiveness of Muslims).
পরিচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথার চুল দু’কানের মধ্যভাগ পর্যন্ত লম্বা ছিল:
১৯. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথার চুল দু’কানের মধ্যভাগ পর্যন্ত লম্বা ছিল।[1]
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " كَانَ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى نِصْفِ أُذُنَيْهِ " .
Anas R.A. reported: "The hair of Rasulullah (SAW) reached till half of his ears".
পরিচ্ছেদঃ
২০. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একত্রে একই পাত্রের পানি দ্বারা গোসল করতাম। আর তাঁর চুল কানের লতি এবং মধ্যবর্তী স্থান বরাবর লম্বা ছিল।[1]
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : " كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ ، وَكَانَ لَهُ شَعْرٌ فَوْقَ الْجُمَّةِ , وَدُونَ الْوَفْرَةِ " .
Ayesha R.A. reported: Rasulullah (SAW) and I bathed in one utensil, and the mubarak hair of Rasulullah (SAW) was longer than those that reached the ear lobes, and were less than those that reached the shoulders". (It means that they were not very long nor were they short, but of a medium length).
It is not clear from this hadith if both bathed in a state of undress. Ayesha R.A. herself says: 'I did not see the private parts of Sayyidina Rasulullah (SAW), nor did he see my private parts'. Also the using of water from the same utensil cannot prove this. There are many ways both could have bathed from the same utensil and yet not see the private parts of one another. From this hadith we also learn of the bathing together of husband and wife. The ulama are unanimous in accepting Imaam Nawawi's saying that this is jaa'iz (permissible). Another method is that the husband bathes first and the wife bathes after him with the remaining water. This is also unanimously accepted by all. The third method is the opposite where the wife bathes first then the husband bathes with the remaining water. This method is accepted by the Hanafis, Shaafi'ees and the Maalikis. The Hunbalis says it is not permissible, but if the husband is present and both bath together, then it is permissible. The pros and cons of this subject are very lengthy, therefore they have been omitted here. This subject have been mentioned briefly in Arabic commentary. Since a reputed Imaam opposes this, and this has also been mentioned in the hadith, it will therefore to better to abstain from it.