পরিচ্ছেদঃ ২২২৯. ‘বাযাক’ (অর্থাৎ আঙ্গুরের সামান্য পাকানো রস)-এর বর্ণনা এবং যারা উদ্রেককারী যাবতীয় পানীয় নিষিদ্ধ বলেন তা বর্ণন। উমর, আবূ উবায়দা ও মুৱআয (রাঃ) ’তিলা’ অর্থাৎ আঙ্গুরের যে রসকে পাকিয়ে এক-তৃতীয়াংশ করা হয়েছে, তা পান করার জায়েয মনে করেন। বার ও আবূ জুহায়ফা (রাঃ) পাকিয়ে অর্ধেক থাকাবস্থায় রস পান করছেন। ইব্ন আব্বাস (রা) বলেছেন : আমি তাজা অবস্থায় থাকা পর্যন্ত আঙ্গুরের রস পান করেছি। উমর (রা) বলেছেনঃ আমি উবায়দুল্লাহ্র মূখ থেকে শরাবের ঘ্রাণ পেয়েছি এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাও করেছি। যদি তা নেশার সৃষ্টি করত, তাহেল আমি বেত্রাঘাত করতাম।
৫১৯৭। মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... আবূল জুওয়ায়রিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে ’বাযাক’ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তর দিলেনঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’বাযাক’ উৎপাদনের পূর্বে চলে গেছেন। কাজেই যে জিনিস নেশা সৃষ্টি করে থাকে তাই হারাম। তিনি বলেনঃ হালাল পানীয় পবিত্র। তিনি বলেন হালাল ও পবিত্র পানীয় ব্যতীত অন্যান্য পানীয় ঘৃণ্য হারাম।
باب الْبَاذَقِ وَمَنْ نَهَى عَنْ كُلِّ، مُسْكِرٍ مِنَ الأَشْرِبَةِ وَرَأَى عُمَرُ وَأَبُو عُبَيْدَةَ وَمُعَاذٌ شُرْبَ الطِّلاَءِ عَلَى الثُّلُثِ. وَشَرِبَ الْبَرَاءُ وَأَبُو جُحَيْفَةَ عَلَى النِّصْفِ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ اشْرَبِ الْعَصِيرَ مَا دَامَ طَرِيًّا. وَقَالَ عُمَرُ وَجَدْتُ مِنْ عُبَيْدِ اللَّهِ رِيحَ شَرَابٍ، وَأَنَا سَائِلٌ عَنْهُ، فَإِنْ كَانَ يُسْكِرُ جَلَدْتُهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الْبَاذَقِ،. فَقَالَ سَبَقَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم الْبَاذَقَ، فَمَا أَسْكَرَ فَهْوَ حَرَامٌ. قَالَ الشَّرَابُ الْحَلاَلُ الطَّيِّبُ. قَالَ لَيْسَ بَعْدَ الْحَلاَلِ الطَّيِّبِ إِلاَّ الْحَرَامُ الْخَبِيثُ.
Narrated Abu Al-Juwairiyya:
I asked Ibn `Abbas about Al-Badhaq. He said, "Muhammad prohibited alcoholic drinks before It was called Al-Badhaq (by saying), 'Any drink that intoxicates is unlawful.' I said, 'What about good lawful drinks?' He said,'Apart from what is lawful and good, all other things are unlawful and not good (unclean Al-Khabith).
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সোনা, রূপা এবং গণীমতের প্রথম মাল হতে অতিরিক্ত প্রদান প্রসংগে।
২৭৪৪. আবূ সালিহ মাহবূব ইবন মূসা (রহঃ) ..... আবূ জুওয়ায়রিয়া জারামী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মু’আবিয়া (রাঃ) এর খিলাফত কালে রোম দেশে স্বর্ণমুদ্রা ভর্তি লাল রংয়ের একটি থলে পাই। এসময় আমাদের নেতা ছিলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈক সাহাবী, যাঁর নাম ছিল মা’আন্ ইবন ইয়াযীদ এবং তিনি ছিলেন বনূ সালীম গোত্রের লোক। আমি উক্ত থলিটি তাঁর কাছে নিয়ে আসলে তিনি তা মুসলিমদের মাঝে বণ্টণ করে দেন এবং সেখান হতে আমাকেও কিছু প্রদান করেন।
অতঃপর তিনি বলেনঃ যদি আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ঐরূপ না শুনতাম যে, খুসুম বা এক-পঞ্চমাংশ রাখার পর, নফল বা অতিরিক্ত প্রদান করবে, তবে আমি তোমাকে অধিক দিতাম। অতঃপর তিনি তাঁর নিজ অংশ হতে আমাকে কিছু দিতে চাইলে আমি তা নিতে অস্বীকার করি।
باب فِي النَّفْلِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَمِنْ أَوَّلِ مَغْنَمٍ
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ الْجَرْمِيِّ، قَالَ أَصَبْتُ بِأَرْضِ الرُّومِ جَرَّةً حَمْرَاءَ فِيهَا دَنَانِيرُ فِي إِمْرَةِ مُعَاوِيَةَ وَعَلَيْنَا رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ يُقَالُ لَهُ مَعْنُ بْنُ يَزِيدَ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَسَمَهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَعْطَانِي مِنْهَا مِثْلَ مَا أَعْطَى رَجُلاً مِنْهُمْ ثُمَّ قَالَ لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ نَفْلَ إِلاَّ بَعْدَ الْخُمُسِ " . لأَعْطَيْتُكَ . ثُمَّ أَخَذَ يَعْرِضُ عَلَىَّ مِنْ نَصِيبِهِ فَأَبَيْتُ .
Narrated Ma'an ibn Yazid:
AbulJuwayriyyah al-Jarmi said: I found a red pitcher containing dinars in Byzantine territory during the reign of Mu'awiyah. A man from the Companions of the Prophet (ﷺ) belonging to Banu Sulaym was our ruler. He was called Ma'an ibn Yazid. I brought it to him. He apportioned it among the Muslims. He gave me the same portion which he gave to one of them. He then said: Had I not heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: There is no reward except after taking the fifth (from the booty), I would have given you (the reward). He then presented his own share to me, but I refused.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. মিযর ও বিত-এর ব্যাখ্যা
৫৬০৬. কুতায়বা (রহঃ) ... আবুল জুওাইরিয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) এর নিকট কাউকে প্রশ্ন করতে শুনলাম, কেউ তাঁকে বললোঃ আমাকে বাযাক সম্বন্ধে কিছু বলুন, তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় বাযাক ছিল না। আর প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
تَفْسِيرُ الْبِتْعِ وَالْمِزْرِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ وَسُئِلَ فَقِيلَ لَهُ أَفْتِنَا فِي الْبَاذَقِ فَقَالَ سَبَقَ مُحَمَّدٌ الْبَاذَقَ وَمَا أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ
It was narrated that Abu Al-Juwairiyah said:
"I heard Ibn 'Abbas when he was asked: 'Advise us about Badhiq (a drink made from the juice of grapes slightly boiled).' He said: 'Muhammad came before Badhiq (i.e., it was not known during his time), but everything that intoxicates is unlawful.'
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. যারা মাদকদ্রব্যকে বৈধ বলেছেন, তাদের দলীল
৫৬৮৭. কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ জুওয়াইরিয়া জারমী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি কাবার দিকে পিঠ দিয়ে বসেছিলেন, আমি তাঁকে বাযাক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ বাযাক বের হওয়ার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করেছেন। জেনে রাখ! প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম। আরবদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম এ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছি।
ذِكْرُ الْأَخْبَارِ الَّتِي اعْتَلَّ بِهَا مَنْ أَبَاحَ شَرَابَ السُّكْرِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ الْجَرْمِيِّ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ وَهُوَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ عَنْ الْبَاذَقِ فَقَالَ سَبَقَ مُحَمَّدٌ الْبَاذَقَ وَمَا أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ قَالَ أَنَا أَوَّلُ الْعَرَبِ سَأَلَهُ
It was narrated that Abu Al-Juwairiyah Al-Jarmi said:
"I asked Ibn 'Abbas, when he was leaning back against the Ka'bah, about Badhaq (a drink made from the juice of grapes slightly boiled). He said: 'Muhammad came before Badhaq (i.e., it was not known during his time), but everything that intoxicates in unlawful.'" He said: "I was the first of the 'Arabs to ask him."
পরিচ্ছেদঃ ৭৪/১০. ‘বাযাক’ অর্থাৎ (আঙ্গুরের হালকা জাল দেয়া রস)-এর বর্ণনা।
وَمَنْ نَهٰى عَنْ كُلِّ مُسْكِرٍ مِنَ الأَشْرِبَةِ وَرَأٰى عُمَرُ وَأَبُو عُبَيْدَةَ وَمُعَاذٌ شُرْبَ الطِّلاَءِ عَلٰى الثُّلُثِ وَشَرِبَ الْبَرَاءُ وَأَبُو جُحَيْفَةَ عَلٰى النِّصْفِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ اشْرَبْ الْعَصِيرَ مَا دَامَ طَرِيًّا وَقَالَ عُمَرُ وَجَدْتُ مِنْ عُبَيْدِ اللهِ رِيحَ شَرَابٍ وَأَنَا سَائِلٌ عَنْه“ فَإِنْ كَانَ يُسْكِرُ جَلَدْتُهُ.
এবং যারা নেশা সৃষ্টিকারী সকল পানীয় নিষিদ্ধ বলেন তার বর্ণনা। ’উমার, আবূ ’উবাইদাহ ও মু’আয ’তিলা’ অর্থাৎ আঙ্গুরের যে রসকে পাকিয়ে এক-তৃতীয়াংশ করা হয়েছে, তা পান করা জায়িয মনে করেন। বারা ও আবূ জুহাইফাহ পাকিয়ে অর্ধেক থাকতে রস পান করেছেন। ইবনু ’আব্বাস বলেছেনঃ আমি তাজা অবস্থার আঙ্গুরের রস পান করেছি। ’উমার বলেছেনঃ আমি উবাইদুল্লাহর মুখ হতে শরাবের গন্ধ পেয়েছি এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসও করেছি। যদি তা নেশার সৃষ্টি করত, তাহলে আমি বেত্রাঘাত করতাম।
৫৫৯৮. আবুল জুওয়াইরিয়া (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে ’বাযাক’ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তর দিলেনঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’বাযাক’ উৎপাদনের আগে বিদায় হয়ে গেছেন। কাজেই যে বস্ত্ত নেশা জন্মায় তা-ই হারাম। তিনি বলেনঃ হালাল পানীয় পবিত্র। তিনি বলেন, হালাল ও পবিত্র পানীয় ছাড়া অন্যসব পানীয় ঘৃণ্য হারাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৮৪)
بَاب الْبَاذَقِ
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الْبَاذَقِ فَقَالَ سَبَقَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم الْبَاذَقَ فَمَا أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ قَالَ الشَّرَابُ الْحَلاَلُ الطَّيِّبُ قَالَ لَيْسَ بَعْدَ الْحَلاَلِ الطَّيِّبِ إِلاَّ الْحَرَامُ الْخَبِيثُ.
Narrated Abu Al-Juwairiyya:
I asked Ibn `Abbas about Al-Badhaq. He said, "Muhammad prohibited alcoholic drinks before It was called Al-Badhaq (by saying), 'Any drink that intoxicates is unlawful.' I said, 'What about good lawful drinks?' He said,'Apart from what is lawful and good, all other things are unlawful and not good (unclean Al-Khabith).
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০০৯-[২৫] আবুল জুওয়াইরিয়্যাহ্ আল জারমী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর শাসনামলে রোমকদের সাথে যুদ্ধে স্বর্ণমুদ্রা ভর্তি লালবর্ণের একটি কলস লাভ করি। তখন আমাদের সেনাপতি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের একজন বানী সুলায়ম গোত্রীয় মা’ন ইবনু ইয়াযীদ। অতএব আমি উক্ত মুদ্রার কলসটি তাঁর নিকট নিয়ে এলাম। তখন তিনি উক্ত মুদ্রাগুলো সমস্ত মুসলিমদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন এবং তাদের প্রত্যেককে যে পরিমাণ দিলেন আমাকেও সে পরিমাণই দিলেন। অতঃপর বললেনঃ আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমনটি বলতে না শুনতাম যে, ’’খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) বের করার পরই নফল দিতে হয়, তবে আমি তোমাকে তা হতে অবশ্যই নফল স্বরূপ দিতাম’’। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَّةِ الْجَرْمِيِّ قَالَ: أَصَبْتُ بِأَرْضِ الرُّومِ جَرَّةً حَمْرَاءَ فِيهَا دَنَانِيرُ فِي إِمْرَةِ مُعَاوِيَةَ وَعَلَيْنَا رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ يُقَالُ لَهُ: مَعْنُ بْنُ يَزِيدَ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَسَمَهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَعْطَانِي مِنْهَا مِثْلَ مَا أَعْطَى رَجُلًا مِنْهُمْ ثُمَّ قَالَ: لَوْلَا أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا نَفَلَ إِلَّا بَعْدَ الْخُمُسِ» لَأَعْطَيْتُكَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে মা‘ন ইবনু ইয়াযীদ আবূ জুওয়াইরিয়্যাহ্ আল্ জারমী-কে অন্য সকলের মতো অংশ দিয়েছেন। যদিও তিনি এককভাবে উক্ত কলস পেয়েছেন। মা‘ন ইবনু ইয়াযীদ বণ্টনের পর বললেন যে, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি ‘‘এক-পঞ্চমাংশতের পর নফল বা অতিরিক্ত হিসেবে দেয়া হয়’’ তথা- তিনি বুঝাতে চাইলেন নফল বা অতিরিক্ত পঞ্চমাংশত থেকে হয়ে থাকে, তন্মধ্যে চারটি অংশ যোদ্ধাদের মাঝে যথানিয়মে বণ্টিত হয়। আর বাকী এক অংশ থেকে ইমাম বা রাষ্ট্রপ্রধান চাইলে অতিরিক্তি হিসেবে কাউকে দিতে পারেন। আর তা হয়ে থাকে যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ। তবে যে সম্পদ ফাই হিসেবে অর্জিত হয় তাতে কোনো নফল থাকে না। তাই তো মা‘ন ইবনু ইয়াযীদ আবূ জুয়াইরিয়্যাহ্-কে ফাই হিসেবে অর্জিত সম্পদ সকলের মতো অংশ দিয়েছেন, অতিরিক্ত কিছুই দেননি।
আর আমাদের কতিপয় ব্যাখ্যাকার বলেন যে, হাদীসের বর্ণনাকারী মনে করেন, পাঁচ ভাগ করার পরে এক পঞ্চমাংশত থেকে নফল বা অতিরিক্ত হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে। আর তা ইমামের ইখতিয়ারে থাকে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৫০)
পরিচ্ছেদঃ ১৬০. সোনা-রূপা ও গানীমাতের প্রাথমিক মাল থেকে অতিরিক্ত প্রদান
২৭৫৩। আবুল জুওয়াইরিয়াহ আল-জারমী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ (রাঃ)-এর শাসনামলে রোম এলাকায় স্বর্ণমুদ্রা ভর্তি লাল রঙের একটি কলস পাই। এ সময়ে আমাদের অধিনায়ক ছিলেন বনী সুলাইম গোত্রের মা’ব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) নামক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক সাহাবী। আমি কলসটি নিয়ে তার কাছে আসলে তিনি সৈনিকদের মধ্যে দীনারগুলো ভাগ করে দিলেন। তিনি অন্যদের মতো আমাকেও এক ভাগ দিলেন। তিনি বললেন, আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একথা বলতে না শুনতামঃ ’’এক-পঞ্চমাংশ নির্ধারণ করার পরই অতিরিক্ত দেয়া যায়।’’ তাহলে আমি তোমাকে অতিরিক্ত দিতাম। অতঃপর তিনি তার অংশ থেকে আমাকে কিছু দিতে চাইলে আমি নিতে অসম্মতি জানাই।[1]
بَابٌ فِي النَّفْلِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَمِنْ أَوَّلِ مَغْنَمٍ
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ الْجَرْمِيِّ، قَالَ: أَصَبْتُ بِأَرْضِ الرُّومِ جَرَّةً حَمْرَاءَ فِيهَا دَنَانِيرُ فِي إِمْرَةِ مُعَاوِيَةَ وَعَلَيْنَا رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ يُقَالُ لَهُ: مَعْنُ بْنُ يَزِيدَ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَسَمَهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَعْطَانِي مِنْهَا مِثْلَ مَا أَعْطَى رَجُلًا مِنْهُمْ، ثُمَّ قَالَ: لَوْلَا أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَا نَفْلَ إِلَّا بَعْدَ الْخُمُسِ لَأَعْطَيْتُكَ، ثُمَّ أَخَذَ يَعْرِضُ عَلَيَّ مِنْ نَصِيبِهِ فَأَبَيْتُ
صحيح
Narrated Ma'an ibn Yazid:
AbulJuwayriyyah al-Jarmi said: I found a red pitcher containing dinars in Byzantine territory during the reign of Mu'awiyah. A man from the Companions of the Prophet (ﷺ) belonging to Banu Sulaym was our ruler. He was called Ma'an ibn Yazid. I brought it to him. He apportioned it among the Muslims. He gave me the same portion which he gave to one of them. He then said: Had I not heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: There is no reward except after taking the fifth (from the booty), I would have given you (the reward). He then presented his own share to me, but I refused.