লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০০৯-[২৫] আবুল জুওয়াইরিয়্যাহ্ আল জারমী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর শাসনামলে রোমকদের সাথে যুদ্ধে স্বর্ণমুদ্রা ভর্তি লালবর্ণের একটি কলস লাভ করি। তখন আমাদের সেনাপতি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের একজন বানী সুলায়ম গোত্রীয় মা’ন ইবনু ইয়াযীদ। অতএব আমি উক্ত মুদ্রার কলসটি তাঁর নিকট নিয়ে এলাম। তখন তিনি উক্ত মুদ্রাগুলো সমস্ত মুসলিমদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন এবং তাদের প্রত্যেককে যে পরিমাণ দিলেন আমাকেও সে পরিমাণই দিলেন। অতঃপর বললেনঃ আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমনটি বলতে না শুনতাম যে, ’’খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) বের করার পরই নফল দিতে হয়, তবে আমি তোমাকে তা হতে অবশ্যই নফল স্বরূপ দিতাম’’। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَّةِ الْجَرْمِيِّ قَالَ: أَصَبْتُ بِأَرْضِ الرُّومِ جَرَّةً حَمْرَاءَ فِيهَا دَنَانِيرُ فِي إِمْرَةِ مُعَاوِيَةَ وَعَلَيْنَا رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ يُقَالُ لَهُ: مَعْنُ بْنُ يَزِيدَ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَسَمَهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَعْطَانِي مِنْهَا مِثْلَ مَا أَعْطَى رَجُلًا مِنْهُمْ ثُمَّ قَالَ: لَوْلَا أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا نَفَلَ إِلَّا بَعْدَ الْخُمُسِ» لَأَعْطَيْتُكَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে মা‘ন ইবনু ইয়াযীদ আবূ জুওয়াইরিয়্যাহ্ আল্ জারমী-কে অন্য সকলের মতো অংশ দিয়েছেন। যদিও তিনি এককভাবে উক্ত কলস পেয়েছেন। মা‘ন ইবনু ইয়াযীদ বণ্টনের পর বললেন যে, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি ‘‘এক-পঞ্চমাংশতের পর নফল বা অতিরিক্ত হিসেবে দেয়া হয়’’ তথা- তিনি বুঝাতে চাইলেন নফল বা অতিরিক্ত পঞ্চমাংশত থেকে হয়ে থাকে, তন্মধ্যে চারটি অংশ যোদ্ধাদের মাঝে যথানিয়মে বণ্টিত হয়। আর বাকী এক অংশ থেকে ইমাম বা রাষ্ট্রপ্রধান চাইলে অতিরিক্তি হিসেবে কাউকে দিতে পারেন। আর তা হয়ে থাকে যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ। তবে যে সম্পদ ফাই হিসেবে অর্জিত হয় তাতে কোনো নফল থাকে না। তাই তো মা‘ন ইবনু ইয়াযীদ আবূ জুয়াইরিয়্যাহ্-কে ফাই হিসেবে অর্জিত সম্পদ সকলের মতো অংশ দিয়েছেন, অতিরিক্ত কিছুই দেননি।
আর আমাদের কতিপয় ব্যাখ্যাকার বলেন যে, হাদীসের বর্ণনাকারী মনে করেন, পাঁচ ভাগ করার পরে এক পঞ্চমাংশত থেকে নফল বা অতিরিক্ত হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে। আর তা ইমামের ইখতিয়ারে থাকে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৭৫০)