পরিচ্ছেদঃ ৬০. দূত প্রেরণ প্রসংগে।
২৭৫২. মুহাম্মদ ইবন আমর ও রাযী (রহঃ) .... মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (ভণ্ডনবী) মুসায়লামা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একটি পত্র লেখে। যার সম্পর্কে না’ঈম ইবন মাসঊদ আশ’জাঈ (রাঃ) তাঁর পিতা না’ঈম (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসায়লামার পত্র পাঠান্তে তার দু’জন দূতকে এ মর্মে জিজ্ঞাসা করেনঃ এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? তখন তারা বলেঃ আমরা তা-ই বলি, সে যা বলে (অর্থাৎ সে যে নবুয়াতের দাবি করে, আমরা তাতে বিশ্বাসী)। তখন তিনি বলেনঃ আল্লাহর কসম! দূতদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা যদি না থাকতো, তবে আমি তোমাদের দু’জনের শিরশ্ছেদ করতাম।
باب فِي الرُّسُلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ كَانَ مُسَيْلِمَةُ كَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَقَدْ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ شَيْخٍ مِنْ أَشْجَعَ يُقَالُ لَهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُعَيْمِ بْنِ مَسْعُودٍ الأَشْجَعِيِّ عَنْ أَبِيهِ نُعَيْمٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَهُمَا حِينَ قَرَآ كِتَابَ مُسَيْلِمَةَ " مَا تَقُولاَنِ أَنْتُمَا " قَالاَ نَقُولُ كَمَا قَالَ . قَالَ " أَمَا وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنَّ الرُّسُلَ لاَ تُقْتَلُ لَضَرَبْتُ أَعْنَاقَكُمَا " .
Narrated Nu'aym ibn Mas'ud:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say when he read the letter of Musaylimah: What do you believe yourselves? They said: We believe as he believes. He said: I swear by Allah that were it not that messengers are not killed, I would cut off your heads.
পরিচ্ছেদঃ ১৭৫. অনাবাদী যমীন আবাদ করা।
৩০৬৪. আহমদ ইবন সাঈদ দারিমী (রহঃ) .... ইবন ইসহাক (রহঃ) হতে উপরোক্ত হাদীছের সনদে ও অর্থে হাদীছ বর্ণনা করা হয়েছে। অবশ্য তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের থেকে জনৈক সাহাবী বর্ণনা করেছেন।
রাবী বলেনঃ আমার ধারণা, তিনি হলেন আবূ সাঈদ খুদ্রী। তিনি বলেনঃ আমি তাকে কুড়াল দিয়ে গাছের গোড়ায় আঘাত করতে দেখেছি।
باب فِي إِحْيَاءِ الْمَوَاتِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ عِنْدَ قَوْلِهِ مَكَانَ الَّذِي حَدَّثَنِي هَذَا فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَكْثَرُ ظَنِّي أَنَّهُ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ فَأَنَا رَأَيْتُ الرَّجُلَ يَضْرِبُ فِي أُصُولِ النَّخْلِ .
The tradition mentioned above has also been transmitted by Ibn Ishaq through a different chain of narrators and to the same effect. Instead of the phrase “one who transmitted this tradition to me” this version has “A man from among the Companions of the Prophet (ﷺ) and probably he was Abu Sa’id Al Khudri. I saw the man striking at the roots of the palm trees.”
পরিচ্ছেদঃ ৪১০. কাফির যিম্মীকে কিরুপে শপথ দিতে হবে?
৩৫৮৬. আবদুল আযীয ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (রহঃ) ইমাম যুহরী (রহঃ) হতে হাদীছটি সনদসহ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমার কাছে মুযায়না গোত্রের জনৈক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, যিনি ইলমের অনুসারী এবং এর সংরক্ষণকারীও ছিলেন। এরপর পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
باب كَيْفَ يَحْلِفُ الذِّمِّيُّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الأَصْبَغِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَبِإِسْنَادِهِ قَالَ حَدَّثَنِي رَجُلٌ، مِنْ مُزَيْنَةَ مِمَّنْ كَانَ يَتَّبِعُ الْعِلْمَ وَيَعِيهِ يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ
The tradition mentioned above has also been transmitted by al-Zuhri through a different chain of narrator. This version has:
A man from Muzainah who followed the knowledge and memorized it to me that sa’id b.al-Musayyab transmitted it. He then mentioned the rest of the tradition to the same effect.
পরিচ্ছেদঃ ৫. ডান বা বাম হাতে আংটি ব্যাবহার সম্পর্কে।
৪১৮২. আবদুল্লাহ্ ইব্ন সাঈদ (রহঃ) .... মুহাম্মদ ইব্ন ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি সাল্ত ইব্ন আবদুল্লাহ্ ইব্ন নাওফল ইব্ন আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) এর ডান হাতের অনামিকা আঙ্গুলে আংটি দেখে জিজ্ঞাসা করেঃ ইহা কি? তিনি বলেনঃ আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-কে এভাবে আংটি পরতে দেখেছি এবং তিনি তার আংটির পাথর হাতের উপরের দিকে রাখতেন। তিনি আরো বলেনঃ তুমি মনে করো না যে, ইব্ন ’আব্বাস (রাঃ) কেবল এভাবে আংটি পরতেন, বরং তিনি বর্ণনা করতেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আংটি এভাবে পরিধান করতেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّخَتُّمِ فِي الْيَمِينِ أَوِ الْيَسَارِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ رَأَيْتُ عَلَى الصَّلْتِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ خَاتَمًا فِي خِنْصَرِهِ الْيُمْنَى فَقُلْتُ مَا هَذَا قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَلْبَسُ خَاتَمَهُ هَكَذَا وَجَعَلَ فَصَّهُ عَلَى ظَهْرِهَا . قَالَ وَلاَ يَخَالُ ابْنَ عَبَّاسٍ إِلاَّ قَدْ كَانَ يَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَلْبَسُ خَاتَمَهُ كَذَلِكَ .
Muhammad ibn Ishaq said:
I saw as-Salt ibn Abdullah ibn Nawfal ibn AbdulMuttalib wearing the signet-ring on his right small finger. I asked: What is this? He replied: I saw Ibn Abbas wearing his ring in this manner. He put its stone towards the upper part of his palm. Ibn Abbas also mentioned that the Messenger of Allah (ﷺ) used to wear his signet-ring in his manner.
পরিচ্ছেদঃ ২২. পাথর মেরে হত্যা করা সম্পর্কে।
৪৩৬৭. উবায়দুল্লাহ ইবন উমার (রহঃ) ..... মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আসিম ইবন আমর ইবন কাতাদা (রহঃ)-এর নিকট মা’ইয ইবন মালিক (রাঃ)-এর ঘটনা বর্ণনা করি। তখন তিনি বলেনঃ হাসান ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবূ তালিব (রাঃ) আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ হাদীছ বর্ণনা করেন যে, তোমরা আসলামের লোকদের মধ্য হতে তাকে পরিত্যাগ করনি। আমি অবশ্য এ জন্য তাদের দোষারূপ করি না।
রাবী বলেনঃ আমি হাদীছের এ অর্থ বুঝতে না পারায় জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর নিকট যাই এবং বলিঃ আসলাম গোত্রের কোন কোন লোক এ হাদীছ বর্ণনা করে যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে মা’ইযের পাথরের আঘাত প্রাপ্তির, তার ভীতি-জনক অবস্থার কথা বর্ণনা করা হয়, তখন তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না? আমি এ হাদীছের অর্থ বুঝতে অক্ষম।
তখন জাবির (রাঃ) বলেনঃ হে প্রিয় ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি এ হাদীছ সম্পর্কে অধিক অভিজ্ঞ এবং মা’ইযের রজমকারীদের মাঝে আমি অন্যতম। এরপর তিনি বলেনঃ আমরা তাকে ময়দানে নিয়ে যখন পাথর মারা শুরু করি, তখন সে স্থির হয়ে চীৎকার করে বলে যে, হে জনগণ! তোমরা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফিরিয়ে নিয়ে চল। কেননা আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য ধোঁকাবাজী করেছে। তারা আমাকে বলেছিলঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে হত্যার নির্দেশ দেবেন না। কিন্ত্বু তার এ কথার প্রতি আমরা কর্ণপাত না করে, তাকে হত্যা করে ফেলি।
আমরা ফিরে এসে এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করলে তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না এবং কেন আমার কাছে আনলে না? যাতে তিনি তাকে শাস্তি কবূল করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। কাজেই, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ নির্দেশ শাস্তি মাফ করার জন্য ছিল না। এরপর রাবী মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ এখন আমি সঠিকভাবে হাদীছের অর্থ বুঝতে পারলাম।
باب فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ ذَكَرْتُ لِعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قِصَّةَ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ لِي حَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ذَلِكَ، مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ " . مَنْ شِئْتُمْ مِنْ رِجَالِ أَسْلَمَ مِمَّنْ لاَ أَتَّهِمُ . قَالَ وَلَمْ أَعْرِفْ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ فَجِئْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقُلْتُ إِنَّ رِجَالاً مِنْ أَسْلَمَ يُحَدِّثُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُمْ حِينَ ذَكَرُوا لَهُ جَزَعَ مَاعِزٍ مِنَ الْحِجَارَةِ حِينَ أَصَابَتْهُ " أَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ " . وَمَا أَعْرِفُ الْحَدِيثَ قَالَ يَا ابْنَ أَخِي أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِهَذَا الْحَدِيثِ كُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَ الرَّجُلَ إِنَّا لَمَّا خَرَجْنَا بِهِ فَرَجَمْنَاهُ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ صَرَخَ بِنَا يَا قَوْمِ رُدُّونِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ قَوْمِي قَتَلُونِي وَغَرُّونِي مِنْ نَفْسِي وَأَخْبَرُونِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ قَاتِلِي فَلَمْ نَنْزِعْ عَنْهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ فَلَمَّا رَجَعْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخْبَرْنَاهُ قَالَ " فَهَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ وَجِئْتُمُونِي بِهِ " . لِيَسْتَثْبِتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ فَأَمَّا لِتَرْكِ حَدٍّ فَلاَ قَالَ فَعَرَفْتُ وَجْهَ الْحَدِيثِ .
Narrated Jabir ibn Abdullah:
Muhammad ibn Ishaq said: I mentioned the story of Ma'iz ibn Malik to Asim ibn Umar ibn Qatadah. He said to me: Hasan ibn Muhammad ibn Ali ibn AbuTalib said to me: Some men of the tribe of Aslam whom I do not blame and whom you like have transmitted to me the saying of the Messenger of Allah (ﷺ): Why did you not leave him alone?
He said: But I did not understand this tradition. So I went to Jabir ibn Abdullah and said (to him): Some men of the tribe of Aslam narrate that the Messenger of Allah (ﷺ) said when they mentioned to him the anxiety of Ma'iz when the stones hurt him: "Why did you not leave him alone?' But I do not know this tradition.
He said: My cousin, I know this tradition more than the people. I was one of those who had stoned the man. When we came out with him, stoned him and he felt the effect of the stones, he cried: O people! return me to the Messenger of Allah (ﷺ). My people killed me and deceived me; they told me that the Messenger of Allah (ﷺ) would not kill me. We did not keep away from him till we killed him. When we returned to the Messenger of Allah (ﷺ) we informed him of it.
He said: Why did you not leave him alone and bring him to me? and he said this so that the Messenger of Allah (ﷺ) might ascertain it from him. But he did not say this to abandon the prescribed punishment. He said: I then understood the intent of the tradition.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. অপবাদের শাস্তি সম্পর্কে।
৪৪১৬. নুফায়লী (রহঃ) .... মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (রহঃ) থেকে এরূপ বর্ণিত আছে। কিন্তু সেখানে আইশা (রাঃ)-এর কথা উল্লেখ নেই। রাবী বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’জন পুরুষ ও একজন স্ত্রীলোকের উপর শাস্তির বিধান জারী করেন, যারা দুর্নাম রটনায় অংশ গ্রহণ করেছিল। এদের মধ্যে ছিলেন হাসসান ইবন ছাবিত এবং মিসতাহ ইবন আছাছা (রাঃ)। নুফায়লী (রহঃ) বলেনঃ লোকেরা যে মহিলার কথা বলতো, তিনি ছিলেন-হামনা বিনত জাহাশ (রাঃ)।
باب فِي حَدِّ الْقَذْفِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ لَمْ يَذْكُرْ عَائِشَةَ قَالَ فَأَمَرَ بِرَجُلَيْنِ وَامْرَأَةٍ مِمَّنْ تَكَلَّمَ بِالْفَاحِشَةِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ وَمِسْطَحِ بْنِ أُثَاثَةَ . قَالَ النُّفَيْلِيُّ وَيَقُولُونَ الْمَرْأَةُ حَمْنَةُ بِنْتُ جَحْشٍ .
The tradition mentioned above (No. 4459) has also been transmitted by Muhammad ibn Ishaq through a different chain of narrators. But he did not mention Aisha.
This version has:
He (the Prophet) commanded regarding the two men and the woman who spoke obscenity were Hassan ibn Thabit and Mistah ibn Uthathah. An-Nufayl said: It is said that the woman was Hammah daughter of Jahsh.
পরিচ্ছেদঃ ১৯. আতা (রহঃ) থেকে এই হাদীসের রাবীদের বর্ণনাগত পার্থক্য
৪৭৬৫. ইমরান ইবন বাক্কার (রহঃ) ... মুহাম্মাদ (রহঃ) আতা ইবন আবূ রাবাহ (রহঃ) থেকে, তিনি সাফওয়ান ইবন আবদুল্লাহ থেকে এবং তিনি তার দুই চাচা সালামা এবং ইয়ালা ইবন উমাইয়া (রাঃ) থেকে। তাঁরা বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাবুকের যুদ্ধে বের হলাম। আমাদের সাথে এক ব্যক্তি ছিল, সে এক মুসলিম ব্যক্তির সাথে ঝগড়া করলে, সে তার হাতে কামড় দিল। ঐ ব্যক্তি তার মুখ হতে হাত টেনে নিলে তার দাঁত পড়ে গেল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে দিয়াতের জন্য আবেদন করলো। তিনি বললেনঃ তোমাদের এক ব্যক্তি বের হয়ে জানোয়ারের ন্যায় নিজের ভাইকে কামড়ায়, পরে সে দিয়াতের জন্য আগমন করে। সে দিয়াত পাবে না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়াত বাতিল করে দিলেন।
ذِكْرُ الِاخْتِلَافِ عَلَى عَطَاءٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارٍ قَالَ أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَمَّيْهِ سَلَمَةَ وَيَعْلَى ابْنَيْ أُمَيَّةَ قَالَا خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَمَعَنَا صَاحِبٌ لَنَا فَقَاتَلَ رَجُلًا مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَعَضَّ الرَّجُلُ ذِرَاعَهُ فَجَذَبَهَا مِنْ فِيهِ فَطَرَحَ ثَنِيَّتَهُ فَأَتَى الرَّجُلُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْتَمِسُ الْعَقْلَ فَقَالَ يَنْطَلِقُ أَحَدُكُمْ إِلَى أَخِيهِ فَيَعَضُّهُ كَعَضِيضِ الْفَحْلِ ثُمَّ يَأْتِي يَطْلُبُ الْعَقْلَ لَا عَقْلَ لَهَا فَأَبْطَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
It was narrated from Safwan bin 'Abdullah that his two paternal uncles, Salamah and Ya'la, the sons of Umayyah, said:
"We went out with the Messenger of Allah on the campaign of Tabuk, and there was a friend of ours with us, who fought with a man from among the Muslims. The man bit him on the forearm, so he pulled it away from his mouth and a tooth fell out. The man came to the Prophet, seeking blood money, but his brother and bite him like a stallion bites, then come and demand blood money? There is no blood money for that." And the Messenger of Allah juddgedit to be invalid.
পরিচ্ছেদঃ ৫১. জ্ঞানের আলাপ-আলোচনা
৬৩৯. মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক থেকে বর্ণিত, যুহরী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: আমি যখন উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দুল্লাহ রাহি.-এর সাথে সাক্ষাৎ (করে তাকে প্রশ্ন) করতাম, তখন মনে হতো যেন আমি কোনো এক সাগরকে সবেগে প্রবাহিত করে দিয়েছি।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ৮/৭১১ নং ৬১০৮, ১৩/৮৯ নং ১৫৭৮৩; ফাসাওয়ী, আল মা’রিফাহ ১/৫৬১ সহীহ সনদে। দেখুন মা’রিফাহ ১/২৫৫, ৬২২ ও তারীখ, ইবনু আসাকীর- যুহরী নং ২২৭।
بَابُ مُذَاكَرَةِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ كُنْتُ إِذَا لَقِيتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَكَأَنَّمَا أَفْجُرُ بِهِ بَحْرًا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের সূচনা
১২১৯. মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে (আবু মুহাম্মদ দারেমী বলেন: তখা মদীনায়) আগমণ করলেন, তখন সালাতের ওয়াক্ত হলে লোকেরা তাঁর নিকট কোনো আহ্বান ছাড়াই তার নিকট সালাতের জন্য একত্রিত হতো। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনস্থ করলেন যে, ইয়াহুদীরা যেমন শিঙ্গা বাজিয়ে তাদের সালাতের জন্য আহবান করে থাকে, তেমনি একটি শিঙ্গা নির্ধারণ করে দিবেন। তারপর তিনি তা অপছন্দ করলেন। তারপর তিনি একটি ঘন্টা বানানোর নির্দেশ দিলেন, ফলে তা বানানো হলো যাতে তা বাজানোর মাধ্যমে মুসলিমদেরকে সালাতের দিকে আহবান করা যায়। তারা যখন এমন অবস্থায় রয়েছে, তখন আল হারিস ইবনুল খাযরাজ -এর ভাই আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু আব্দি রব্বিহ (স্বপ্নে) দেখলেন। এরপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আগমণ করে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, রাতে আমি বারবার স্বপ্নে দেখলাম যে, দু’টি সবুজ কাপড় পরিহিত এক ব্যক্তি হাতে ’নাকুস’ (শিঙ্গা) নিয়ে আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা! আপনি কি ’নাকুস’টি বিক্রি করবেন? সে বললো, আপনি এটি দিয়ে কী করবেন?
আমি বললাম, আমি এটি দিয়ে সালাতের জন্য (লোকদেরকে) আহ্বান করবো। তখন সে বললো, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম (বস্তু) বলে দেবো না? আমি বললাম: সেটা কি? তিনি বললেন, আপনি বলুন: ’আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ। হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
তারপর সামান্য সময় বিরতি দিয়ে সে তার (আযানের বাক্যগুলোর) অনুরূপ পূণরায় বললো, তবে সেগুলি বিজোড় বানিয়ে (একবার করে) বললো। তবে সে (শেষের দিকে এ বাক্যগুলিও) বললো: ’ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ’ ’ক্বাদ ক্বমাতিস সালাহ’, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।
যখন সে এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হলো, তখন তিনি বললেন: “ইনশা আল্লাহ এটি সত্য স্বপ্ন। তাই তুমি উঠে বিলালের সাথে যাও, এবং একথাগুলি তাকে বলে দাও। কেননা, সে তোমার চেয়ে উচ্চ কন্ঠেস্বরের অধিকারী।” তখন বিলাল আযান দিতে আরম্ভ করলো। আর উমার ইবনু খাত্তাব আযান শুনতে পেলো। তখন সে তখন বাড়িতে ছিলো। ফলে তিনি (বাড়ি থেকে) বেরিয়ে তার ’ইযার’ (লুঙ্গি) ধরে টানতে টানতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে উপস্থিত হলেন এবং বলতে লাগলেন, ইয়া নবীয়্যাল্লাহ, যে মহান সত্ত্বা আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর শপথ! আমিও তার অনুরূপ (স্বপ্ন) দেখেছি, যা সে দেখেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, ফলে এ বিষয়টি অধিকতর শক্তিশালী হলো।[1]
তাখরীজ: আমরা এটি তাখরীজ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৭৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৮৭ ((আহমদ ৪/৪৩; দারুকুতনী ১/৪১ নং ২৯; বাইহাকী ১/৩৯০-৩৯১, ৪১৫; আবু দাউদ ৪৯৯; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১/১৯৩ নং ৩৭১; তিরমিযী ১৮৯; ইবনু মাজাহ ৭০৬; আব্দুর রাযযাক ১/৪৬০ নং ১৭৮৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১৩১-১৩২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ২/২৫৭; তিরমিযী, আল ইলাল গ্রন্থে বলেন, এ হাদীস সম্পর্কে মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল তথা বুখারীকে এ হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেন, আমার নিকট এ হাদীস সহীহ।- মুহহাক্বিক্বের তাহক্বীক্বকৃত মাওয়ারিদুয যাম’আন ২৮৭ নং হাদীসের টীকা হতে।- অনুবাদক))
এছাড়া বাইহাকী দালাইলুল নবুওয়াত ৭/১৭-১৮।
بَاب فِي بَدْءِ الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ قَالَ وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَهَا قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي الْمَدِينَةَ إِنَّمَا يُجْتَمَعُ إِلَيْهِ بِالصَّلَاةِ لِحِينِ مَوَاقِيتِهَا بِغَيْرِ دَعْوَةٍ فَهَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْعَلَ بُوقًا كَبُوقِ الْيَهُودِ الَّذِينَ يَدْعُونَ بِهِ لِصَلَاتِهِمْ ثُمَّ كَرِهَهُ ثُمَّ أَمَرَ بِالنَّاقُوسِ فَنُحِتَ لِيُضْرَبَ بِهِ لِلْمُسْلِمِينَ إِلَى الصَّلَاةِ فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ إِذْ رَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ أَخُو بَلْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ طَافَ بِيَ اللَّيْلَةَ طَائِفٌ مَرَّ بِي رَجُلٌ عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ يَحْمِلُ نَاقُوسًا فِي يَدِهِ فَقُلْتُ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَتَبِيعُ هَذَا النَّاقُوسَ فَقَالَ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ قُلْتُ نَدْعُو بِهِ إِلَى الصَّلَاةِ قَالَ أَفَلَا أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ قُلْتُ وَمَا هُوَ قَالَ تَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَأْخَرَ غَيْرَ كَثِيرٍ ثُمَّ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ وَجَعَلَهَا وِتْرًا إِلَّا أَنَّهُ قَالَ قَدْ قَامَتْ الصَّلَاةُ قَدْ قَامَتْ الصَّلَاةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَلَمَّا خُبِّرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٌّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَقُمْ مَعَ بِلَالٍ فَأَلْقِهَا عَلَيْهِ فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ فَلَمَّا أَذَّنَ بِلَالٌ سَمِعَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَجُرُّ إِزَارَهُ وَهُوَ يَقُولُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ مَا رَأَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلِلَّهِ الْحَمْدُ فَذَاكَ أَثْبَتُ
পরিচ্ছেদঃ ১৮. কৃত ‘আমল ও না করা আমলের খারাবী থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৬৭৯৮-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... ইবনু ইসহাক (রহঃ) এর সানাদে এ সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পার্থক্য এটুকু যে, ইবনুল মুসান্না তার বর্ণিত হাদীসে الْعَفَافَ এর স্থলে الْعِفَّةَ (হারাম থেকে পবিত্রতা) শব্দ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৫৭, ইসলামিক সেন্টার ৬৭১০)
باب التَّعَوُّذِ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلَ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ يَعْمَلْ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي، إِسْحَاقَ بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ ابْنَ الْمُثَنَّى، قَالَ فِي رِوَايَتِهِ " وَالْعِفَّةَ " .
This hadith has been narrated on the authority of Abu Ishaq with the same chain of transmitters but with a slight variation of wording.
পরিচ্ছেদঃ ৯. যে স্থানে সম্পদ সমূহের যাকাত গ্রহণ করবে
১৫৯২। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। ’লা জালাবা ওয়া লা জানাবা’-এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, চতুষ্পদ জন্তুর যাকাত তার অবস্থানস্থল থেকেই নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই তা আদায়কারীর নিকট টেনে নিতে বাধ্য করা যাবে না এবং ’ওয়া লা জানাবা’-ও একইরূপ। মালের অধিকারী তা আদায়কারীর কাছে হাঁকিয়ে নিবে না। বর্ণনাকারী বলেন, যাকাত আদায়কারী যাকাত দাতার নিকট থেকে দূরে অবস্থান করবে না, বরং, বরং মালের স্থানে থেকেই যাকাত নেয়া হবে।[1]
সহীহ মাক্বতূ’।
باب أَيْنَ تُصَدَّقُ الأَمْوَالُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، فِي قَوْلِهِ " لَا جَلَبَ وَلَا جَنَبَ " . قَالَ أَنْ تُصَدَّقَ الْمَاشِيَةُ فِي مَوَاضِعِهَا وَلَا تُجْلَبُ إِلَى الْمُصَدِّقِ وَالْجَنَبُ عَنْ غَيْرِ هَذِهِ الْفَرِيضَةِ أَيْضًا لَا يُجْنَبُ أَصْحَابُهَا يَقُولُ وَلَا يَكُونُ الرَّجُلُ بِأَقْصَى مَوَاضِعِ أَصْحَابِ الصَّدَقَةِ فَتُجْنَبُ إِلَيْهِ وَلَكِنْ تُؤْخَذُ فِي مَوْضِعِهِ .
- صحيح مقطوع
Explaining the meaning of Jalab and janab Muhammad bin Ishaq said The meaning of jalab said is that the zakat of animals should be collected at their places (dwellings), and they (animals) should not be pulled to the collector of zakat. The meaning of janab is that the animals are removed at a distance (from the collector). The owners of the animals should do so. The collector of zakat should not stay at a distance from the places of the people who bring their animals to him. The zakat should be collected in its place.
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যে ব্যক্তি তার সমস্ত সম্পদ দান করতে চায়
১৬৭৪। ইবনু ইসহাক (রহঃ) হতে উল্লেখিত সানাদে অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত। তাতে আরো রয়েছেঃ ’তুমি তোমার মাল নিয়ে যাও, আমাদের এর কোনই প্রয়োজন নেই’।[1]
দুর্বল।
باب الرَّجُلِ يَخْرُجُ مِنْ مَالِهِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ زَادَ " خُذْ عَنَّا مَالَكَ لَا حَاجَةَ لَنَا بِهِ " .
- ضعيف
The above mentioned tradition has also been transmitted by Ibn Ishaq through a different chain of narrators to the same effect. This version adds "have your property with you from us. We have no need of it."
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. বন্দী দাসীদের সাথে সঙ্গম করা
২১৫৯। ইবনু ইসহাক (রহ.) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে যতক্ষণ না হায়িয থেকে মুক্ত হয় কথাটি রয়েছে। এতে আরো রয়েছেঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে সে যেন মুসলিমদের যুদ্ধলব্ধ পশুর পিঠে না চড়ে (বন্টনের পূর্বে), অবশেষে সে তা দুর্বল অবস্থায় ফেরত দেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে সে যেন মুসলিমদের গনীমাতের কাপড় না পরে, অবশেষে তা পুরাতন করে ফেরত দেয়। আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, হাদীসের মধ্যে ’ঋতুবতী নারী’ শব্দটি সংরক্ষিত নয়।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي وَطْءِ السَّبَايَا
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ: حَتَّى يَسْتَبْرِئَهَا بِحَيْضَةٍ زَادَ فِيهِ بِحَيْضَةٍ. وَهُوَ وَهْمٌ مِنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَهُوَ صَحِيحٌ فِي حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ. زَادَ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَرْكَبْ دَابَّةً مِنْ فَيْءِ الْمُسْلِمِينَ، حَتَّى إِذَا أَعْجَفَهَا رَدَّهَا فِيهِ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَلْبَسْ ثَوْبًا مِنْ فَيْءِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى إِذَا أَخْلَقَهُ رَدَّهُ فِيهِ ". قَالَ أَبُو دَاوُدَ: الْحَيْضَةُ لَيْسَتْ بِمَحْفُوظَةٍ وَهُوَ وَهْمٌ مِنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ
حسن
The aforesaid tradition has also been transmitted by Ibn Ishaq through a different chain of narrators. This version has the traditional word “a menstrual course” in the phrase “till she is free from a menstrual course”. This is a misunderstanding on the part of the narrator Abu Mu’awiyah. This is correct in the tradition of Abu Sa’id Al Khudri. This version has the additional words “he who believes in Allaah and the Last Day should not ride on a mount belonging to the spoil of Muslims and when he makes it emaciated returns it; he who believes in Allaah and the Last Day should not put on cloth belonging to the spoils of Muslims and when makes it old (shabby) returns it.
Abu Dawud said “The word “menstrual course” is not guarded. This is a misunderstanding on the part of Abu Mu’awiyah”
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২১৫। ইবনু ইসহাক (রহ.) থেকে এই সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। এতে আরো আছে, ’আরাক হলো তিরিশ সা’-এর সমান। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু আদমের বর্ণিত হাদীসের চেয়ে অধিকতর বিশুদ্ধ।[1]
হাসান, তার এ কথাটি বাদেঃ ’’ষাট সা’তে এক ’আরাক।’’
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الْأَصْبَغِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِهَذَا الْإِسْنَادِ نَحْوَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: وَالْعَرَقُ مِكْتَلٌ يَسَعُ ثَلَاثِينَ صَاعًا، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ آدَم
حسن، دون قوله (و العرق ...)
A similar tradition has been transmitted by Ibn Ishaq with a different chain of narrators. But in this version he said ‘Araq is a date-basket holding thirty sa’s.
Abu Dawud said “This version is sounder than that of Yahya bin Adam.”
পরিচ্ছেদঃ ৭. যাকাত আদায়কারীর সাওয়াব সম্পর্কে
২৯৩৮। ইবনু ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনগণের নিকট থেকে খাজনা আদায়কারীকে তহসিলদার বলা হয়।[1]
بَابٌ فِي السِّعَايَةِ عَلَى الصَّدَقَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَطَّانُ، عَنِ ابْنِ مَغْرَاءَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: الَّذِي يَعْشُرُ النَّاسَ يَعْنِي صَاحِبَ الْمَكْسِ
مقطوع
Narrated Ibn Ishaq:
Sahib maks means one who (receives) tithes (from) people.
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. অনাবাদি জমি আবাদ করা সম্পর্কে
৩০৭৫। ইবনু ইসহাক (রহঃ) তার নিজস্ব সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তাতে রয়েছেঃ উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের মধ্যকার এক ব্যক্তি বলেছেন। আমার ধারণা সম্ভবত তিনি হলেন আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)। তিনি বলেছেন, আমি দেখলাম, লোকটি খেজুর গাছের গোড়া কেটে ফেলেছে।[1]
بَابٌ فِي إِحْيَاءِ الْمَوَاتِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: عِنْدَ قَوْلِهِ مَكَانَ الَّذِي حَدَّثَنِي هَذَا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَأَكْثَرُ ظَنِّي أَنَّهُ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ فَأَنَا رَأَيْتُ الرَّجُلَ يَضْرِبُ فِي أُصُولِ النَّخْلِ
حسن
The tradition mentioned above has also been transmitted by Ibn Ishaq through a different chain of narrators and to the same effect. Instead of the phrase “one who transmitted this tradition to me” this version has “A man from among the Companions of the Prophet (ﷺ) and probably he was Abu Sa’id Al Khudri. I saw the man striking at the roots of the palm trees.”
পরিচ্ছেদঃ ২২. ‘আরিয়্যার ব্যাখ্যা
৩৩৬৬। ইবনু ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আরিয়্যা হলো- কোনো ব্যক্তি তার কিছু খেজুর গাছ অন্য কাউকে দান করলো। অতঃপর দাতার নিকট এটা অপ্রিয় মনে হলো যে, (গ্রহীতা) ব্যক্তি এ গাছের কাছে আসুক। এমতাবস্থায় সে (গ্রহীতা) ব্যক্তি তার গাছের খেজুর অনুমান করে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে মালিকের কাছে বিক্রি করে দিলো (এটাই আরিয়্যা)।[1]
بَابُ تَفْسِيرِ الْعَرَايَا
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: الْعَرَايَا أَنْ يَهَبَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ النَّخَلَاتِ، فَيَشُقُّ عَلَيْهِ أَنْ يَقُومَ عَلَيْهَا فَيَبِيعُهَا، بِمِثْلِ خَرْصِهَا
صحيح الإسناد مقطوع
Ibn Ishaq said:
'Araya means that a man lends another man some palm-trees, but he (the owner) feels inconvenient that the man looks after the trees (by frequent visits). He (the borrower) sells them (to the owner) by calculation.
পরিচ্ছেদঃ ৫. ডান অথবা বাম হাতে আংটি পরা সম্পর্কে
৪২২৯। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আস-সালদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু নাওফাল ইবনু আব্দুল মুত্তালিবকে তার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আংটি পরিধান করতে দেখে তাকে প্রশ্ন করলাম, এটা কি? তিনি বললেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে এভাবে আংটি পরতে দেখেছি। তিনি আংটির পাথর হাতের পিঠের দিকে রাখতেন। তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) অবশ্যই উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আংটি পরতেন এভাবে।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّخَتُّمِ فِي الْيَمِينِ أَوِ الْيَسَارِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: رَأَيْتُ عَلَى الصَّلْتِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ خَاتَمًا فِي خِنْصَرِهِ الْيُمْنَى، فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ قَالَ: رَأَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَلْبَسُ خَاتَمَهُ هَكَذَا، وَجَعَلَ فَصَّهُ عَلَى ظَهْرِهَا، قَالَ: وَلَا يَخَالُ ابْنَ عَبَّاسٍ إِلَّا قَدْ كَانَ يَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَلْبَسُ خَاتَمَهُ كَذَلِكَ
حسن صحيح
Muhammad ibn Ishaq said:
I saw as-Salt ibn Abdullah ibn Nawfal ibn AbdulMuttalib wearing the signet-ring on his right small finger. I asked: What is this? He replied: I saw Ibn Abbas wearing his ring in this manner. He put its stone towards the upper part of his palm. Ibn Abbas also mentioned that the Messenger of Allah (ﷺ) used to wear his signet-ring in his manner.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা
৪৪২০। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মাঈয ইবনু মালিকের ঘটনা আসিম ইবনু উমার ইবনু কাতাদাহর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, হাসান ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আলী ইবনু আবূ তালিব আমাকে বলেছেন, এরা আসলাম গোত্রের কতক লোক যাদেরকে আমি দোষারোপ করি না এবং যাদের নিকট থেকে তুমি আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ’’তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন’’ বর্ণনা করেছো আমি এ হাদীস হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনি।
অতএব আমি তাকে জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে বললাম, আসলাম গোত্রের কয়েকজন লোক বর্ণনা করছে যে, পাথর নিক্ষেপের মারাত্মক চোট পেয়ে মাঈযের হতবুদ্ধি হয়ে যাওয়ার ঘটনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আলোচনা করাতে তিনি বলেনঃ ’’তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন?’’ অথচ আমি তো এ হাদীস সম্পর্কে জানি না। জাবির বললেন, হে ভাতিজা! এ হাদীস সম্পর্কিত ঘটনা আমি অধিক জ্ঞাত। কেননা আমিও লোকটিকে পাথর মারার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিদের অন্যতম।
আমরা যখন তাকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে পাথর মারা শুরু করলাম তখন পাথর নিক্ষেপের মারাত্মক চোট পেয়ে সে আমাদের নিকট চিৎকার করে বলতে লাগলো, হে লোক সকল! তোমরা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফিরিয়ে নিয়ে চলো। আমার আপনজনেরাই আমাকে হত্যার জন্য দায়ী। তারা আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা আমাকে বলেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে হত্যা করবেন না।
তথাপি আমরা তাকে হত্যা না করে ছাড়িনি। অতঃপর আমরা যখন ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসব কথা বললাম, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন এবং আমার নিকট নিয়ে এলে না কেন? যাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অনুতাপ কবূল করতেন। কিন্তু তিনি হাদ্দ পরিত্যাগ করার জন্য একথা বলেননি। বর্ণনাকারী বলেন, এবার আমি এ হাদীসের মর্ম বুঝতে পারলাম।[1]
হাসান।
بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: ذَكَرْتُ لِعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، قِصَّةَ مَاعِزِ ابْنِ مَالِكٍ، فَقَالَ: لِي حَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ذَلِكَ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَهَلَّا تَرَكْتُمُوهُ مَنْ شِئْتُمْ مِنْ رِجَالِ أَسْلَمَ مِمَّنْ لَا أَتَّهِمُ، قَالَ: وَلَمْ أَعْرِفْ هَذَا الْحَدِيثَ، قَالَ: فَجِئْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فَقُلْتُ: إِنَّ رِجَالًا مِنْ أَسْلَمَ يُحَدِّثُونَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُمْ حِينَ ذَكَرُوا لَهُ جَزَعَ مَاعِزٍ مِنَ الْحِجَارَةِ حِينَ أَصَابَتْهُ: أَلَّا تَرَكْتُمُوهُ، وَمَا أَعْرِفُ الْحَدِيثَ، قَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِهَذَا الْحَدِيثِ، كُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَ الرَّجُلَ، إِنَّا لَمَّا خَرَجْنَا بِهِ فَرَجَمْنَاهُ، فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ صَرَخَ بِنَا: يَا قَوْمُ رُدُّونِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّ قَوْمِي قَتَلُونِي، وَغَرُّونِي مِنْ نَفْسِي، وَأَخْبَرُونِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرُ قَاتِلِي، فَلَمْ نَنْزَعْ عَنْهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ، فَلَمَّا رَجَعْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخْبَرْنَاهُ قَالَ: فَهَلَّا تَرَكْتُمُوهُ وَجِئْتُمُونِي بِهِ لِيَسْتَثْبِتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ، فَأَمَّا لِتَرْكِ حَدٍّ فَلَا، قَالَ: فَعَرَفْتُ وَجْهَ الْحَدِيثِ
حسن
Narrated Jabir ibn Abdullah:
Muhammad ibn Ishaq said: I mentioned the story of Ma'iz ibn Malik to Asim ibn Umar ibn Qatadah. He said to me: Hasan ibn Muhammad ibn Ali ibn AbuTalib said to me: Some men of the tribe of Aslam whom I do not blame and whom you like have transmitted to me the saying of the Messenger of Allah (ﷺ): Why did you not leave him alone?
He said: But I did not understand this tradition. So I went to Jabir ibn Abdullah and said (to him): Some men of the tribe of Aslam narrate that the Messenger of Allah (ﷺ) said when they mentioned to him the anxiety of Ma'iz when the stones hurt him: "Why did you not leave him alone?' But I do not know this tradition.
He said: My cousin, I know this tradition more than the people. I was one of those who had stoned the man. When we came out with him, stoned him and he felt the effect of the stones, he cried: O people! return me to the Messenger of Allah (ﷺ). My people killed me and deceived me; they told me that the Messenger of Allah (ﷺ) would not kill me. We did not keep away from him till we killed him. When we returned to the Messenger of Allah (ﷺ) we informed him of it.
He said: Why did you not leave him alone and bring him to me? and he said this so that the Messenger of Allah (ﷺ) might ascertain it from him. But he did not say this to abandon the prescribed punishment. He said: I then understood the intent of the tradition.
পরিচ্ছেদঃ ৩৫. যেনার মিথ্যা অপবাদদাতার শাস্তি
৪৪৭৫। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তবে তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেনঃ যারা অশ্লীল কথা রটিয়েছিল, তিনি তাদের মধ্যে দু’ জন পুরুষ ও একজন নারী সম্পর্কে আদেশ দেন। পুরুষ দু’ জন হলোঃ হাসান ইবনু সাবিত ও মিসতাহ ইবনু উসাসাহ। নুফাইলী বলেনঃ তারা বলতেনঃ মহিলাটি হলো হামনা বিনতু জাহশ।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي حَدِّ الْقَذْفِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ، لَمْ يَذْكُرْ عَائِشَةَ، قَالَ: فَأَمَرَ بِرَجُلَيْنِ وَامْرَأَةٍ مِمَّنْ تَكَلَّمَ بِالْفَاحِشَةِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، وَمِسْطَحِ بْنِ أُثَاثَةَ، قَالَ النُّفَيْلِيُّ: وَيَقُولُونَ: الْمَرْأَةُ حَمْنَةُ بِنْتُ جَحْشٍ
حسن
The tradition mentioned above has also been transmitted by Muhammad ibn Ishaq through a different chain of narrators. But he did not mention Aisha.
This version has:
He (the Prophet) commanded regarding the two men and the woman who spoke obscenity were Hassan ibn Thabit and Mistah ibn Uthathah. An-Nufayl said: It is said that the woman was Hammah daughter of Jahsh.