সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১. অনুমতিগ্রহণ তিনবার

২৬৬৭. আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ মুসা আশ’আরী তিনবার ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট অনুমতি চাইলো, কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেয়া হলো না। তাই তিনি ফিরে এলেন। ’উমার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কিসে তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল? তিনি বললেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “যদি তোমাদের কেউ তিনবার প্রবেশের অনুমতি চায়, কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া না হয় তবে সে যেন ফিরে যায়।” তখন ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ তোমাকে এ কথার উপর অবশ্যই সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে। নচেত নিশ্চয় আমি তোমাকে এই এই (শাস্তি প্রদান) করব। আবূ সাঈদ বলেন: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের সাথে মসজিদে উপস্থিত ছিলাম।

এমন সময় আবূ মূসা আমাদের নিকট আসলেন। আর তিনি এসময় উমারের হুমকি’র কারণে ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত ছিলেন। তিনি দাঁড়িয়ে বললেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহর দোহায় দিয়ে অনুরোধ করছি আপনাদের মাঝে যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীস শুনেছেন, তিনি আমার পক্ষে এর সাক্ষ্য দান করবেন। তিনি বলেনঃ তখন আমি দলের প্রধান ব্যক্তি (উবাই ইবনু কা’ব)-এর নিকট উঠে গিয়ে বললাম, আপনি তাকে বলে দিন আমিই এজন্য আপনার সাথে যাচ্ছি। অপর একজনও একথা বললেন। ফলে আবী মুসার দু:খ দূর হয়ে গেলো।[1]

بَاب الِاسْتِئْذَانِ ثَلَاثٌ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا دَاوُدُ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ اسْتَأْذَنَ عَلَى عُمَرَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ فَرَجَعَ فَقَالَ مَا رَجَعَكَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا اسْتَأْذَنَ الْمُسْتَأْذِنُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَإِنْ أُذِنَ لَهُ وَإِلَّا فَلْيَرْجِعْ فَقَالَ لَتَأْتِيَنَّ بِمَنْ يَشْهَدُ مَعَكَ أَوْ لَأَفْعَلَنَّ وَلَأَفْعَلَنَّ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَأَتَانَا وَأَنَا فِي قَوْمٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ وَهُوَ فَزِعٌ مِنْ وَعِيدِ عُمَرَ إِيَّاهُ فَقَامَ عَلَيْنَا فَقَالَ أَنْشُدُ اللَّهَ مِنْكُمْ رَجُلًا سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا شَهِدَ لِي بِهِ قَالَ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَقُلْتُ أَخْبِرْهُ أَنِّي مَعَكَ عَلَى هَذَا وَقَالَ ذَاكَ آخَرُونَ فَسُرِّيَ عَنْ أَبِي مُوسَى

اخبرنا ابو النعمان حدثنا يزيد بن زريع حدثنا داود عن ابي نضرة عن ابي سعيد الخدري ان ابا موسى الاشعري استاذن على عمر ثلاث مرات فلم يوذن له فرجع فقال ما رجعك قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول اذا استاذن المستاذن ثلاث مرات فان اذن له والا فليرجع فقال لتاتين بمن يشهد معك او لافعلن ولافعلن قال ابو سعيد فاتانا وانا في قوم من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم في المسجد وهو فزع من وعيد عمر اياه فقام علينا فقال انشد الله منكم رجلا سمع ذلك من رسول الله صلى الله عليه وسلم الا شهد لي به قال فرفعت راسي فقلت اخبره اني معك على هذا وقال ذاك اخرون فسري عن ابي موسى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৬৮

পরিচ্ছেদঃ ২. যেভাবে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে

২৬৬৮. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম এবং তাঁর দরজায় আঘাত করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কে? আমি বললামঃ আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি, আমি। যেন তিনি তা অপছন্দ করলেন।[1]

باب كَيْفَ الِاسْتِئْذَانُ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَرَبْتُ بَابَهُ فَقَالَ مَنْ ذَا فَقُلْتُ أَنَا قَالَ أَنَا أَنَا فَكَرِهَ ذَاكَ

اخبرنا سعيد بن الربيع حدثنا شعبة عن محمد بن المنكدر قال سمعت جابر بن عبد الله قال اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فضربت بابه فقال من ذا فقلت انا قال انا انا فكره ذاك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. কোনো ব্যক্তির জন্য তার পরিবারের নিকট রাতে প্রবেশ করা নিষেধ

২৬৬৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সফর থেকে ফিরে এসে রাতে ঘরে প্রবেশ করা হতে অথবা, তাদের (আপন পরিবার সম্পর্কে) সন্দেহ পোষণ করা হতে, অথবা তাদের স্খলন বা দোষত্রুটি অন্বেষণ করা হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।[1] সুফিয়ান বলেন: তাঁর বাণীঃ ’অথবা তাদের (আপন পরিবার সম্পর্কে) সন্দেহ পোষণ করা হতে, অথবা তাদের স্খলন বা দোষত্রুটি অন্বেষণ করা হতে’ সম্পর্কে আমি জানিনা ওটা কি। এ ব্যাপারে মুহারিব বলেন: অথবা, হাদীসের মধ্যকার বিষয়টি কী (তা জানি না)।

باب فِي النَّهْيِ أَنْ يَطْرُقَ الرَّجُلُ أَهْلَهُ لَيْلًا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ مُحَارِبَ بْنَ دِثَارٍ يَذْكُرُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَطْرُقَ الرَّجُلُ أَهْلَهُ لَيْلًا أَوْ يُخَوِّنَهُمْ أَوْ يَلْتَمِسَ عَثَرَاتِهِمْ قَالَ سُفْيَانُ قَوْلُهُ أَوْ يُخَوِّنَهُمْ أَوْ يَلْتَمِسَ عَثَرَاتِهِمْ مَا أَدْرِي شَيْءٌ قَالَهُ مُحَارِبٌ أَوْ شَيْءٌ هُوَ فِي الْحَدِيثِ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان قال سمعت محارب بن دثار يذكر عن جابر بن عبد الله قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يطرق الرجل اهله ليلا او يخونهم او يلتمس عثراتهم قال سفيان قوله او يخونهم او يلتمس عثراتهم ما ادري شيء قاله محارب او شيء هو في الحديث

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭০

পরিচ্ছেদঃ ৪. সালামের প্রসার করা

২৬৭০. আবদুল্লাহ ইবনু সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (হিজরত করে মক্কা থেকে) মদীনায় এলেন তখন লোকেরা তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকাতে লাগলো এবং বলাবলি হতে লাগলোঃ আল্লাহর রাসূল এসেছেন। আমিও লোকজনের সাথে (তাঁকে) দেখতে গেলাম। আমি তাঁর মুখমণ্ডল উত্তমরূপে দেখার পর বুঝতে পারলাম যে, এই চেহারা কোনো মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়। সর্বপ্রথম তাঁর মুখে আমার শোনা কথা এই যে, তিনি বললেন: “হে লোক সকল! তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার করো, খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন (রাতের বেলা) নামায পড়ো। তাহলে তোমরা শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।”[1]

باب فِي إِفْشَاءِ السَّلَامِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ عَوْفٍ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ اسْتَشْرَفَهُ النَّاسُ فَقَالُوا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَخَرَجْتُ فِيمَنْ خَرَجَ فَلَمَّا رَأَيْتُ وَجْهَهُ عَرَفْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ فَكَانَ أَوَّلَ مَا سَمِعْتُهُ يَقُولُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلَامَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصِلُوا الْأَرْحَامَ وَصَلُّوا وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ

اخبرنا سعيد بن عامر عن عوف عن زرارة بن اوفى عن عبد الله بن سلام قال لما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة استشرفه الناس فقالوا قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فخرجت فيمن خرج فلما رايت وجهه عرفت ان وجهه ليس بوجه كذاب فكان اول ما سمعته يقول يا ايها الناس افشوا السلام واطعموا الطعام وصلوا الارحام وصلوا والناس نيام تدخلوا الجنة بسلام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭১

পরিচ্ছেদঃ ৫. এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের হাক্ক (অধিকার)

২৬৭১. আবু হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মুসলিমের প্রতি মুসলিমের হক ছয়টি (সেগুলো হলোঃ) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম করবে; সে হাঁচি দিয়ে (আলহামদু লিল্লাহ বললে) তার জন্য সে (ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে) রহমতের দুআ করবে; সে অসুস্হ হলে সে তার সেবা- ‍শুশ্রুষা করবে; তাকে আহবান করলে সে তাতে সাড়া দেবে; সে মারা গেলে তার (জানাযায়) উপস্থিত হবে, সে তার জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করবে এবং তার অনুপস্থিতিতে তার কল্যাণ কামনা করবে।”[1]

باب فِي حَقِّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيَشْهَدُهُ إِذَا تُوُفِّيَ وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ وَيَنْصَحُ لَهُ بِالْغَيْبِ

اخبرنا عبيد الله عن اسراىيل عن ابي اسحق عن الحارث عن علي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم للمسلم على المسلم ست يسلم عليه اذا لقيه ويشمته اذا عطس ويعوده اذا مرض ويجيبه اذا دعاه ويشهده اذا توفي ويحب له ما يحب لنفسه وينصح له بالغيب

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭২

পরিচ্ছেদঃ ৬. আরোহী ব্যক্তি পায়ে হেঁটে চলা ব্যক্তিকে সালাম দিবে

২৬৭২. ফাযালা ইবনু উবাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আরোহী ব্যক্তি পথচারী ব্যক্তিকে, পথচারী ব্যক্তি দন্ডায়মান ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক লোক বেশী সংখ্যক লোককে সালাম দিবে।”[1]

باب فِي تَسْلِيمِ الرَّاكِبِ عَلَى الْمَاشِي

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ أَخْبَرَنَا أَبُو هَانِىءٍ الْخَوْلَانِيُّ أَنَّ أَبَا عَلِيٍّ الْجَنْبِيَّ حَدَّثَهُ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي وَالْقَائِمُ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ

اخبرنا عبد الله بن يزيد حدثنا حيوة اخبرنا ابو هانىء الخولاني ان ابا علي الجنبي حدثه عن فضالة بن عبيد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يسلم الراكب على الماشي والقاىم على القاعد والقليل على الكثير

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৭. আহলে কিতাবের সালামের জবাব দেওয়া

২৬৭৩. আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোনো ইয়াহূদী তোমাদের কাউকে সালাম দেয়, তখন সে বলেঃ আস-সামু আলাইকা, অর্থাৎ তুমি মর। কাজেই তুমি (তার সালামের জবাবে) বলবেঃ ওয়া- আলাইকা- অর্থাৎ তুমি মর।”[1]

باب فِي رَدِّ السَّلَامِ عَلَى أَهْلِ الْكِتَابِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْيَهُودَ إِذَا سَلَّمَ أَحَدُهُمْ فَإِنَّمَا يَقُولُ السَّامُ عَلَيْكَ قُلْ عَلَيْكَ

اخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن عبد الله بن دينار عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اليهود اذا سلم احدهم فانما يقول السام عليك قل عليك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭৪

পরিচ্ছেদঃ

২৬৭৪. সায়ার (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ছাবিত আল বুনানী (রহঃ) এর সঙ্গে চলছিলাম। একদল শিশুদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাদের সালাম দেন এবং ছাবিত (রহঃ) বলেন যে, তিনি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সঙ্গে ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি শিশুদের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রমের সময় তাদের সালাম দেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন। এসময় তিনি শিশুদের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম কালে তাদের সালাম করেন।[1]

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَيَّارٍ قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَحَدَّثَ ثَابِتٌ أَنَّهُ كَانَ مَعَ أَنَسٍ فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَحَدَّثَ أَنَسٌ أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ

حدثنا سهل بن حماد حدثنا شعبة عن سيار قال كنت امشي مع ثابت البناني فمر بصبيان فسلم عليهم وحدث ثابت انه كان مع انس فمر بصبيان فسلم عليهم وحدث انس انه كان مع النبي صلى الله عليه وسلم فمر بصبيان فسلم عليهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৯. নারীদেরকে সালাম করা প্রসঙ্গে

২৬৭৫. বনী আব্দু আশহাল গোত্রের এক নারী আসমা বিনতে ইয়াযীদ ইবনু সাকান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি কিছু মহিলাদের মাঝে ছিলেন, এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মহিলাদের নিকট দিয়ে যাবার সময় তাদের সালাম দিয়েছেন।[1]

باب فِي التَّسْلِيمِ عَلَى النِّسَاء

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ حَدَّثَنِي شَهْرٌ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ إِحْدَى نِسَاءِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ أَنَّهَا بَيْنَا هِيَ فِي نِسْوَةٍ مَرَّ عَلَيْهِنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِنَّ

اخبرنا الحكم بن نافع عن شعيب بن ابي حمزة عن ابن ابي حسين حدثني شهر عن اسماء بنت يزيد بن السكن احدى نساء بني عبد الاشهل انها بينا هي في نسوة مر عليهن النبي صلى الله عليه وسلم فسلم عليهن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. কোনো ব্যক্তিকে সালাম দিলে সে কিভাবে সালামের জবাব দিবে

২৬৭৬. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ “হে আয়িশা! জীবরীল (আ.) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন।” আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ’তাঁর প্রতিও সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত।’ তিনি বলেন, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমন কিছু দেখতেন, যা আমরা দেখতে পেতাম না।[1]

باب إِذَا قُرِئَ عَلَى الرَّجُلِ السَّلَامُ كَيْفَ يَرُدُّ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عَائِشُ هَذَا جِبْرِيلُ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلَامَ قَالَتْ وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ قَالَتْ وَهُوَ يَرَى مَا لَا أَرَى

اخبرنا الحكم بن نافع عن شعيب بن ابي حمزة عن الزهري قال حدثني ابو سلمة بن عبد الرحمن ان عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا عاىش هذا جبريل يقرا عليك السلام قالت وعليه السلام ورحمة الله قالت وهو يرى ما لا ارى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১১. সালামের জবাবদান প্রসঙ্গে

২৬৭৭. আবী যারর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলেন এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দুই রাকআত) সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি সালাত শেষ করলে আমি তাঁর কাছে আসলাম। আর আমিই হলাম প্রথম ব্যক্তি যে তাঁকে ইসলামী রীতি অনুযায়ী সালাম দিয়েছে। (আমি বললাম, আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ!) তিনি বললেনঃ “ওয়া আলাইকাস-সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। তুমি কোন্ গোত্রের লোক?” তিনি বলেন, আমি বললাম, গিফার গোত্রের। তিনি বলেন, তখন তিনি হাত দিয়ে আঘাত করতে লাগলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম, আমার নিজেকে গিফার গোত্রের সাথে সম্পর্কিত করাকে তিনি অপছন্দ করলেন।[1]

باب فِي رَدِّ السَّلَامِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ هُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَيْتُهُ حِينَ قَضَى صَلَاتَهُ فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ حَيَّا بِتَحِيَّةِ الْإِسْلَامِ قَالَ عَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ مِمَّنْ أَنْتَ قَالَ قُلْتُ مِنْ غِفَارٍ قَالَ فَأَهْوَى بِيَدِهِ قُلْتُ فِي نَفْسِي كَرِهَ أَنِّي انْتَمَيْتُ إِلَى غِفَارٍ

حدثنا عبد الله بن مسلمة حدثنا سليمان هو ابن المغيرة عن حميد بن هلال عن عبد الله بن الصامت عن ابي ذر قال صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاتيته حين قضى صلاته فكنت اول من حيا بتحية الاسلام قال عليك السلام ورحمة الله ممن انت قال قلت من غفار قال فاهوى بيده قلت في نفسي كره اني انتميت الى غفار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭৮

পরিচ্ছেদঃ ১২. সালাম দেওয়া ও তার জবাব দেওয়ার ফযীলত

২৬৭৮. ইমরান ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল: আস্‌ সালামু আলাইকুম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন: “দশ (নেকী)।” তারপর অন্য এক ব্যক্তি এসে সালাম দিতে গিয়ে বলল: আস্ সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন: “বিশ (নেকী)।” তারপর আরেক ব্যক্তি এসে সালাম দিতে গিয়ে বলল: আস্ সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন: “ত্রিশ (নেকী)।”[1]

باب فِي فَضْلِ التَّسْلِيمِ وَرَدِّهِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ عَوْفٍ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَرَدَّ عَلَيْهِ وَقَالَ عَشْرٌ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ فَسَلَّمَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ وَقَالَ عِشْرُونَ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ فَسَلَّمَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ فَرَدَّ عَلَيْهِ وَقَالَ ثَلَاثُونَ

حدثنا محمد بن كثير حدثنا جعفر بن سليمان عن عوف عن ابي رجاء عن عمران بن حصين قال جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال السلام عليكم فرد عليه وقال عشر ثم جاء رجل فسلم فقال السلام عليكم ورحمة الله فرد عليه وقال عشرون ثم جاء رجل فسلم فقال السلام عليكم ورحمة الله وبركاته فرد عليه وقال ثلاثون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৭৯

পরিচ্ছেদঃ ১৩. পেশাবরত অবস্থায় কোনো ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া হলে

২৬৭৯. আল-মুহাজির ইবন কুনফুয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন যে, একদা তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে তাঁকে সালাম দিলেন যখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পেশাবরত ছিলেন। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযূ না করা পর্যন্ত তার সালামের জবাব দিলেন না। অতঃপর তিনি উযূ করে তার সালামের জবাব দিলেন।[1]

باب إِذَا سُلِّمَ عَلَى الرَّجُلِ وَهُوَ يَبُولُ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ الْحُضَيْنِ عَنْ الْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذٍ أَنَّهُ سَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَبُولُ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ حَتَّى تَوَضَّأَ فَلَمَّا تَوَضَّأَ رَدَّهُ عَلَيْهِ

اخبرنا اسحق حدثنا معاذ بن هشام حدثني ابي عن قتادة عن الحسن عن الحضين عن المهاجر بن قنفذ انه سلم على النبي صلى الله عليه وسلم وهو يبول فلم يرد عليه السلام حتى توضا فلما توضا رده عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৮০

পরিচ্ছেদঃ ১৪. নারীদের নিকট প্রবেশ করার নিষেধাজ্ঞা

২৬৮০. উকবা ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা স্ত্রীলোকদের কাছে যেও না।” তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ’হামউ’ (দেবর-ভাসূর-স্বামীর ভগ্নিপতি) বাদে। তিনি বললেন, ’হামউ’ তো মৃত্যুতুল্য।”[1] ইয়াহইয়া বলেন, ’হামউ’ অর্থ স্বামীর নিকটাত্মীয় পুরুষগণ।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ الدُّخُولِ عَلَى النِّسَاءِ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ بِسْطَامَ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَدْخُلُوا عَلَى النِّسَاءِ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلَّا الْحَمْوُ قَالَ الْحَمْوُ الْمَوْتُ قَالَ يَحْيَى الْحَمْوُ يَعْنِي قَرَابَةَ الزَّوْجِ

اخبرنا يحيى بن بسطام حدثنا ليث بن سعد عن يزيد بن ابي حبيب عن ابي الخير عن عقبة بن عامر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تدخلوا على النساء قيل يا رسول الله الا الحمو قال الحمو الموت قال يحيى الحمو يعني قرابة الزوج

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৮১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. আকস্মিক দৃষ্টি সম্পর্কে

২৬৮১. জারীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন: তুমি তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও।[1]

باب فِي نَظْرَةِ الْفَجْأَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ يُونُسَ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ عَنْ جَرِيرٍ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نَظْرَةِ الْفَجْأَةِ فَقَالَ اصْرِفْ بَصَرَكَ

حدثنا محمد بن يوسف وابو نعيم عن سفيان عن يونس عن عمرو بن سعيد عن ابي زرعة بن عمرو بن جرير عن جرير قال سالت النبي صلى الله عليه وسلم عن نظرة الفجاة فقال اصرف بصرك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৮২

পরিচ্ছেদঃ ১৬. মহিলাদের কাপড়ের আঁচল বা নিম্নভাগ সম্পর্কে

২৬৮২. উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মহিলাদের আঁচল বা কাপড়ের নিম্নপ্রান্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, “(নিসফে সাক্ব হতে) এক বিঘত (নিচে নামিয়ে দিবে)।” আমি বললাম, তা হলে তো তাদের পা অনাবৃত হয়ে যেতে পারে?

তিনি বললেন, তা হলে এক হাত (নিচে ঝুলিয়ে দিবে)। এর বেশী করবে না।”[1] আব্দুল্লাহ বলেন, লোকেরা নাফি’ হতে সুলাইমান ইবনু ইয়াসার সূত্রে (এটি) বর্ণনা করতো।[2]

باب فِي ذُيُولِ النِّسَاءِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَيْلِ الْمَرْأَةِ فَقَالَ شِبْرًا فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَنْ تَبْدُوَ أَقْدَامُهُنَّ قَالَ قَدْرَ ذِرَاعٍ لَا يَزِدْنَ عَلَيْهِ قَالَ عَبْد اللَّهِ النَّاسُ يَقُولُونَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ

اخبرنا احمد بن خالد حدثنا محمد هو ابن اسحق عن نافع عن صفية بنت ابي عبيد عن ام سلمة زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت سىل النبي صلى الله عليه وسلم عن ذيل المراة فقال شبرا فقلت يا رسول الله اذن تبدو اقدامهن قال قدر ذراع لا يزدن عليه قال عبد الله الناس يقولون عن نافع عن سليمان بن يسار

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৮৩

পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিনাত বা সৌন্দর্য প্রদর্শন বা প্রকাশ করা অপছন্দনীয়

২৬৮৩. হুযাইফার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বোন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দানকালে বলেন: “হে নারী সমাজ! তোমাদের কি রূপা (এর অলংকার) নেই যা দিয়ে তোমরা নিজেকে অলংকৃত করবে? তোমাদের মধ্যে যে কোনো নারী সোনা (এর অলংকার) পরিধান করবে, অত:পর তা প্রকাশ (বা প্রদর্শন) করে বেড়াবে, তাকে এর দ্বারাই শাস্তি দেওয়া হবে।”[1]

باب فِي كَرَاهِيَةِ إِظْهَارِ الزِّينَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ حَدَّثَنِي رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ عَنْ امْرَأَتِهِ عَنْ أُخْتٍ لِحُذَيْفَةَ قَالَتْ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ أَمَا لَكُنَّ فِي الْفِضَّةِ مَا تَحَلَّيْنَ بِهِ أَمَا إِنَّهُ لَيْسَتْ مِنْكُنَّ امْرَأَةٌ تَحَلَّى الذَّهَبَ فَتُظْهِرَهُ إِلَّا عُذِّبَتْ بِهِ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن منصور حدثني ربعي بن حراش عن امراته عن اخت لحذيفة قالت خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا معشر النساء اما لكن في الفضة ما تحلين به اما انه ليست منكن امراة تحلى الذهب فتظهره الا عذبت به

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১৮. নারীদের বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ

২৬৮৪. আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে কোন মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে বাইরে যায়, যাতে তার সুগন্ধি পাওয়া যায়, তবে সে হল ব্যভিচারিণী। আর প্রতিটি চোখই ব্যভিচারী।”[1] আবী আসিম বলেন, আমাদের কোনো কোনো সাথী এটিকে মারফু’ হিসেবে (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে) বর্ণনা করেছেন।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ الطِّيبِ إِذَا خَرَجَتْ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُمَارَةَ عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِي مُوسَى أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ ثُمَّ خَرَجَتْ لِيُوجَدَ رِيحُهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ وَكُلُّ عَيْنٍ زَانٍ وَقَالَ أَبُو عَاصِمٍ يَرْفَعُهُ بَعْضُ أَصْحَابِنَا

اخبرنا ابو عاصم عن ثابت بن عمارة عن غنيم بن قيس عن ابي موسى ايما امراة استعطرت ثم خرجت ليوجد ريحها فهي زانية وكل عين زان وقال ابو عاصم يرفعه بعض اصحابنا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১৯. (পরচুলা) সংযোজনকারী নারী ও যে নারী তা সংযোজন করায়, তাদের সম্পর্কে

২৬৮৫. ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ লা’নাত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি যারা অন্যের শরীরে উল্কি অংকণ করে এবং যারা নিজ শরীরে উল্কি অংকন করায়, যারা (ভ্রু-চুল) উপড়িয়ে ফেলে এবং সৌন্দর্যের জন্য দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সে সব নারী আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে। এরপর বানী আসাদ গোত্রের উম্মু ইয়াকূব নামের এক মহিলার কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে সে এসে বলল, আমি জানতে পারলাম, আপনি এই এই ধরনের মহিলাদের প্রতি লা’নাত করেছেন। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার প্রতি লা’নাত করেছেন, আল্লাহর কিতাবে তা রয়েছে, আমি তার প্রতি লা’নাত করব না কেন? তখন মহিলা বলল, আমি দুই ফলকের মাঝে যা আছে তা (পূর্ণ কুরআন) পড়েছি। কিন্তু আপনি যা বলেছেন, তা তো এতে পাইনি।

’আবদুল্লাহ্ বললেন, যদি তুমি কুরআন পড়তে তাহলে অবশ্যই তা পেতে, তুমি কি পড়নি: “রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।” (সূরা হাশর: ৭) মহিলাটি বলল, হাঁ নিশ্চয়ই পড়েছি। ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তখন মহিলা বলল, আমার মনে হয় আপনার পরিবারও এ কাজ করে। তিনি বললেন, তুমি যাও এবং ভালমত দেখে এসো। এরপর মহিলা গেল এবং ভালভাবে দেখে এলো। কিন্তু তার দেখার বিষয়ে কিছুই দেখতে পেলো না। তখন ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, যদি আমার স্ত্রী এমন করত, তবে সে আমার সঙ্গে একত্র থাকতে পারত না।’[1]

باب فِي الْوَاصِلَةِ وَالْمُسْتَوْصِلَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ فَبَلَغَ ذَلِكَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي أَسَدٍ يُقَالُ لَهَا أُمُّ يَعْقُوبَ فَجَاءَتْ فَقَالَتْ بَلَغَنِي أَنَّكَ لَعَنْتَ كَيْتَ وَكَيْتَ فَقَالَ وَمَا لِي لَا أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَقَالَتْ لَقَدْ قَرَأْتُ مَا بَيْنَ اللَّوْحَيْنِ فَمَا وَجَدْتُ فِيهِ مَا تَقُولُ قَالَ لَئِنْ كُنْتِ قَرَأْتِيهِ لَقَدْ وَجَدْتِيهِ أَمَا قَرَأْتِ مَا آتَاكُمْ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا فَقَالَتْ بَلَى قَالَ فَإِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْهُ فَقَالَتْ فَإِنِّي أَرَى أَهْلَكَ يَفْعَلُونَهُ قَالَ فَادْخُلِي فَانْظُرِي فَدَخَلَتْ فَنَظَرَتْ فَلَمْ تَرَ مِنْ حَاجَتِهَا شَيْئًا فَقَالَ لَوْ كَانَتْ كَذَلِكِ مَا جَامَعْتُهَا

اخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن منصور عن ابراهيم عن علقمة عن عبد الله قال لعن الله الواشمات والمستوشمات والمتنمصات والمتفلجات للحسن المغيرات خلق الله فبلغ ذلك امراة من بني اسد يقال لها ام يعقوب فجاءت فقالت بلغني انك لعنت كيت وكيت فقال وما لي لا العن من لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في كتاب الله فقالت لقد قرات ما بين اللوحين فما وجدت فيه ما تقول قال لىن كنت قراتيه لقد وجدتيه اما قرات ما اتاكم الرسول فخذوه وما نهاكم عنه فانتهوا فقالت بلى قال فانه قد نهى عنه فقالت فاني ارى اهلك يفعلونه قال فادخلي فانظري فدخلت فنظرت فلم تر من حاجتها شيىا فقال لو كانت كذلك ما جامعتها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
২৬৮৬

পরিচ্ছেদঃ ২০. কোনো পুরুষের সাথে পুরুষ এবং কোনো নারীর সাথে নারী একসাথে শয়ন করা নিষেধ

২৬৮৬. আবু আমের থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী আবু রাইহানা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশটি জিনিস থেকে নিষেধ করেছেনঃ উভয়ের শরীরে (পোশাক বা বস্ত্র জাতীয়) কোনো কিছু ব্যতীত এক পুরুষের সাথে অন্য পুরুষের একই কাপড়ের মধ্যে শয়ন করা, অনুরুপ উভয়ের শরীরে (পোশাক বা বস্ত্র জাতীয়) কোনোকিছু ব্যতীত অন্য মহিলার সাথে কোন মহিলার একই কাপড়ের মধ্যে শয়ন করা, (ভ্রু-চুল) উপড়িয়ে ফেলা, শরীরে উল্কি অংকন করা, (কারো সম্পদ) লুট করা, চিতা বাঘের চামড়া ব্যবহার করা, (বস্ত্রের) দুই কাঁধের উপরে রেশম ব্যবহার করা, কাপড় (পায়ের গিঁঠের) নিচে ঝুলিয়ে পরিধান করা।”[1]আব্দুল্লাহ বলেন, আবূ আমির তাদের শাইখ। আর মুকা’আমাহ’ অর্থ একত্রে শয়ন করা।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ مُكَامَعَةِ الرَّجُلِ الرَّجُلَ وَالْمَرْأَةِ الْمَرْأَةَ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ الْحَضْرَمِيُّ أَخْبَرَنِي عَيَّاشُ بْنُ عَبَّاسٍ الْحِمْيَرِيُّ عَنْ أَبِي الْحُصَيْنِ الْحَجْرِيِّ عَنْ أَبِي عَامِرٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا رَيْحَانَةَ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْ عَشْرِ خِصَالٍ مُكَامَعَةِ الرَّجُلِ الرَّجُلَ فِي شِعَارٍ وَاحِدٍ لَيْسَ بَيْنَهُمَا شَيْءٌ وَمُكَامَعَةِ الْمَرْأَةِ الْمَرْأَةَ فِي شِعَارٍ وَاحِدٍ لَيْسَ بَيْنَهُمَا شَيْءٌ وَالنَّتْفِ وَالْوَشْمِ وَالنُّهْبَةِ وَرُكُوبِ النُّمُورِ وَاتِّخَاذِ الدِّيبَاجِ هَا هُنَا عَلَى الْعَاتِقَيْنِ وَفِي أَسْفَلِ الثِّيَابِ قَالَ عَبْد اللَّهِ أَبُو عَامِرٍ شَيْخٌ لَهُمْ وَالْمُكَامَعَةُ الْمُضَاجَعَةُ

اخبرنا عثمان بن محمد حدثنا زيد بن الحباب حدثني يحيى بن ايوب الحضرمي اخبرني عياش بن عباس الحميري عن ابي الحصين الحجري عن ابي عامر قال سمعت ابا ريحانة صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ينهى عن عشر خصال مكامعة الرجل الرجل في شعار واحد ليس بينهما شيء ومكامعة المراة المراة في شعار واحد ليس بينهما شيء والنتف والوشم والنهبة وركوب النمور واتخاذ الديباج ها هنا على العاتقين وفي اسفل الثياب قال عبد الله ابو عامر شيخ لهم والمكامعة المضاجعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »