লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে
৩২৯৩-[২০] মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তাঁর নিকট (বিশ্বস্ত সূত্রে) খবর এসেছে যে, জনৈক ব্যক্তি ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, আমি স্বীয় স্ত্রীকে একশ’ তালাক দিয়েছি, এ সম্পর্কে আমার প্রতি আপনার অভিমত কি? উত্তরে তিনি বললেন, তিনটির মাধ্যমেই তোমার স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত হয়েছে, বাকি সাতানব্বইটি দ্বারা তুমি আল্লাহর আয়াত (শারী’আতের বিধান)-এর সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছ। (মুয়াত্ত্বা)[1]
وَعَن مَالك بلغه رَجُلًا قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ: إِنِّي طَلَّقْتُ امْرَأَتِي مِائَةَ تَطْلِيقَةٍ فَمَاذَا تَرَى عَلَيَّ؟ فَقَالَ ابْن عَبَّاس: طلقت مِنْك ثَلَاث وَسَبْعٌ وَتِسْعُونَ اتَّخَذْتَ بِهَا آيَاتِ اللَّهِ هُزُوًا. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ
ব্যাখ্যা: ত্বলাকের উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করা, বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত করা। এই উদ্দেশ্য এক ত্বলাকের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা যায়, দুই বা তিন ত্বলাকের প্রয়োজন হয় না। এরপরও যদি কেউ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক দিতে চায় তাহলে এই তিন পর্যন্তই, তার বেশি নয়।
পবিত্র কুরআনে এই তিনের কথাই বলা হয়েছে এবং তা পর্যায়ক্রমে যে, সূরা আল বাকারা-এর ২২৯ ও ২৩০ আয়াতে যা উল্লেখ হয়েছে।
ত্বলাকের এই অধিকার ও পন্থা পরিত্যাগ করে কেউ যদি একই সঙ্গে বহু সংখ্যক তালাক প্রদান করে তবে সেটা সীমালঙ্ঘন এবং আল্লাহর কিতাব বা বিধান নিয়ে খেল-তামাশার শামিল হবে।