আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৭ টি

পরিচ্ছেদঃ ২২৫৪. সূরাতুল ফাতিহা (ফাতিহাতুল কিতাব) প্রসঙ্গে। সূরাহ ফাতিহাকে উম্মুল কিতাব (কিতাবের মুল) হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, সূরাহ ফাতিহা লেখা দ্বারাই কুরআন গ্রন্থাকারে লিখা শুরু হয়েছে। আর সূরাহ ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে স্বলাত আরম্ভ করা হয়। “দীন” অর্থ – ভাল ও মন্দের প্রতিফল । যেমন বলা হয়ে থাকে [وَالشَّرِّ كَمَا تَدِيْنُ تُدَانُ] “যেমন কর্ম তেমন ফল” । আর মুজাহিদ (র) বলেন, بِالدِّيْنِ - হিসাব –নিকাশ । مَدِيْنِيْنَ যার হিসাব নেওয়া হবে।

(الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ) اسْمَانِ مِنْ الرَّحْمَةِ الرَّحِيْمُ وَالرَّاحِمُ بِمَعْنًى وَاحِدٍ كَالْعَلِيْمِ وَالْعَالِمِ.

’’রহমান ও রহীম’’ শব্দদ্বয় ’রহমত’ শব্দ থেকে নিষ্পন্ন এবং রহীম ও র-হিম দু’টো শব্দই একই অর্ধবোধক যেমন ’আলীম ও আ-লিম।


৪১২২। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ ইবনু মুআল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে নববীতে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকেন। কিন্তু সে ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি সালাতরত ছিলাম। (এ কারণে জবাব দিতে পারিনি)। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেন নি যে, হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডাকেও যখন তিনি তোমাদেরকে আহবান করেন। (৮ঃ ২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বেই তোমাকে আমি কুরআনের এক মহান সূরা শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি না আমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতম সূরা শিক্ষা দিবেন বলে বলছিলেন? তিনি বললেন,الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা আমাকেই প্রদান করা হয়েছে।

باب ما جاء في فاتحة الكتاب وسميت أم الكتاب أنه يبدأ بكتابتها في المصاحف ويبدأ بقراءتها في الصلاة والدين الجزاء في الخير والشر كما تدين تدان وقال مجاهد بالدين بالحساب مدينين محاسبين

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أُجِبْهُ، فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ ‏(‏اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ‏)‏ ثُمَّ قَالَ لِي لأُعَلِّمَنَّكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ السُّوَرِ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قُلْتُ لَهُ أَلَمْ تَقُلْ ‏"‏ لأُعَلِّمَنَّكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ ‏"‏‏.‏ قَالَ ‏"‏ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏)‏ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُهُ ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Sa`id bin Al-Mu'alla: While I was praying in the Mosque, Allah's Messenger (ﷺ) called me but I did not respond to him. Later I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I was praying." He said, "Didn't Allah say'--"Give your response to Allah (by obeying Him) and to His Apostle when he calls you." (8.24) He then said to me, "I will teach you a Sura which is the greatest Sura in the Qur'an, before you leave the Mosque." Then he got hold of my hand, and when he intended to leave (the Mosque), I said to him, "Didn't you say to me, 'I will teach you a Sura which is the greatest Sura in the Qur'an?' He said, "Al-Hamdu-Li l-lah Rabbi-l-`alamin (i.e. Praise be to Allah, the Lord of the worlds) which is Al-Sab'a Al-Mathani (i.e. seven repeatedly recited Verses) and the Grand Qur'an which has been given to me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩৮৫. আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ! রাসুল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদেরকে প্রানবন্ত করে, তখন আল্লাহ ও রাসুলের আহবানে সাড়া দেবে এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের অন্তরালে থাকেন এবং তারই কাছে তোমাদের একত্র করা হবে (৮ঃ ২৪) اسْتَجِيْبُوْا তোমরা সাড়া দাও, لِمَا يُحْيِيْكُمْ তোমাদেরকে সংশোধন করার জন্যে।

৪২৯১। ইসহাক (রহঃ) ... আবূ সাঈদ ইবনু মুয়াল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা নামাযে ছিলাম, এমতাবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গেলেন এবং আমাকে ডাকলেন, সালাত (নামায/নামাজ) শেষ না করা পর্যন্ত আমি তাঁর কাছে যাইনি, তারপর গেলাম, তিনি বললেন, তোমাকে আসতে বাধা দিল কিসে? আল্লাহ কি বলেননি, ’’রাসূল তোমাদেরকে ডাক দিলে, আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দেবে?’’ তারপর তিনি বললেন, আমি মসজিদ থেকে বের হবার পূর্বে তোমাকে একটি বড় সওয়াবযুক্ত সূরা শিক্ষা দেব। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আমি তাঁর নিকট প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিলাম।

মু’আয বলেন হাফস শুনেছেন, একজন সাহাবী আবূ সাঈদ ইবনুল মু’আল্লাকে এ হাদীস বর্ণনা করতে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন সেই সূরাটি হচ্ছে‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ সাত আয়াত বিশিষ্ট ও পুনঃ পুনঃ উল্লেখ্য আবৃত।

باب يا أيها الذين آمنوا استجيبوا لله وللرسول إذا دعاكم لما يحييكم واعلموا أن الله يحول بين المرء وقلبه وأنه إليه تحشرون استجيبوا أجيبوا لما يحييكم يصلحكم

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، سَمِعْتُ حَفْصَ بْنَ عَاصِمٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي فَمَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَعَانِي فَلَمْ آتِهِ حَتَّى صَلَّيْتُ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَأْتِيَ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ‏)‏ ثُمَّ قَالَ لأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ ‏"‏‏.‏ فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيَخْرُجَ فَذَكَرْتُ لَهُ‏.‏
وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبٍ، سَمِعَ حَفْصًا، سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ، رَجُلاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا، وَقَالَ هِيَ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏)‏ السَّبْعُ الْمَثَانِي‏.‏


Narrated Abu Sa`id bin Al-Mu'alla: While I was praying, Allah's Messenger (ﷺ) passed me and called me, but I did not go to him until I had finished the prayer. Then I went to him, and he said, "What prevented you from coming to me? Didn't Allah say:-- "O you who believe! Answer the call of Allah (by obeying Him) and His Apostle when He calls you?" He then said, "I will inform you of the greatest Sura in the Qur'an before I leave (the mosque)." When Allah's Messenger (ﷺ) got ready to leave (the mosque), I reminded him. He said, "It is: 'Praise be to Allah, the Lord of the worlds.' (i.e. Surat-al-Fatiha) As-sab'a Al-Mathani (the seven repeatedly recited Verses).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ولقد آتيناك سبعا من المثاني والقرآن العظيم “আমি তো তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত যা পুনঃপুন আবৃত্ত হয় এবং দিয়েছি মহা কুরআন।

৪৩৪৭। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূ সাইদ ইবনু মুয়াল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আমি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলাম। তিনি আমাকে ডাক দিলেন, তখন আমি সালাত শেষ না করে আসিনি। এরপর আমি আসলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমার কাছে আসতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল? আমি বললাম, আমি সালাত আদায় করছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা কি একথা বলেননি, “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ এবং রাসুলের ডাকে সাড়া দাও”? তারপর তিনি বললেন, আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগেই কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরাটি শিখিয়ে দিবনা? তারপর যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ থেকে বের হতে লাগলেন , আমি তাঁকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, সে সূরাটি হল, “আল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন”। এটি হল[১] পুনরাবৃত্ত সাতটি আয়াত এবং মহা কুরআন[২] যা আমাকে দান করা হয়েছে।

باب قوله ولقد آتيناك سبعا من المثاني والقرآن العظيم

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، قَالَ مَرَّ بِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أُصَلِّي فَدَعَانِي فَلَمْ آتِهِ حَتَّى صَلَّيْتُ ثُمَّ أَتَيْتُ فَقَالَ ‏"‏ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَأْتِيَ ‏"‏‏.‏ فَقُلْتُ كُنْتُ أُصَلِّي‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ‏)‏ ثُمَّ قَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ‏"‏ فَذَهَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَذَكَّرْتُهُ فَقَالَ ‏"‏‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏)‏ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُهُ ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Sa`id Al-Mualla: While I was praying, the Prophet (ﷺ) passed by and called me, but I did not go to him till I had finished my prayer. When I went to him, he said, "What prevented you from coming?" I said, "I was praying." He said, "Didn't Allah say" "O you who believes Give your response to Allah (by obeying Him) and to His Apostle." (8.24) Then he added, "Shall I tell you the most superior Sura in the Qur'an before I go out of the mosque?" When the Prophet (ﷺ) intended to go out (of the Mosque), I reminded him and he said, "That is: "Al hamdu-li l-lahi Rabbil-`alamin (Surat-al-fatiha)' which is the seven oft repeated verses (Al-Mathani) and the Grand Qur'an which has been given to me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪০৩. সূরা ফাতিহার ফযীলত

৪৬৪৪। আলী ইবনু আবদুল্লাহ‌ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ ইবনু মু’আল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালাত (নামায/নামাজ)-রত ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন; কিন্তু আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম না। পরে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি সালাত (নামায/নামাজ)-রত ছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি, “হে মু’মিনগণ, আল্লাহ ও রাসূল যখন তোমাদেরকে আহবান করেন তখন আল্লাহ ও রাসূলের আহবানে সাড়া দাও”। তারপর তিনি বললেন, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বে আমি কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরা শিক্ষা দেব না? তখণ তিনি আমার হাত ধরলেন। যখন আমরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করলাম তখন আমি বললাম, ইয়া, রাসূলাল্লাহ! আপনি তো বলেছেন মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বে আমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরার কথা বলবেন। তিনি বললেন, তা হলঃ “আল হামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামীন”। এটা বারবার পাঠিত সাতটি আয়াত (সাবআ মাছানী) এবং কুরআন আজীম যা আমাকে দেয়া হয়েছে।

باب ‏‏فَضْلِ‏‏ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي فَدَعَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أُجِبْهُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ ‏(‏اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ‏)‏ ثُمَّ قَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ‏"‏‏.‏ فَأَخَذَ بِيَدِي فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نَخْرُجَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ قُلْتَ لأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ‏.‏ قَالَ ‏"‏‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏)‏ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُهُ ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Sa`id Al-Mu'alla: While I was praying, the Prophet (ﷺ) called me but I did not respond to his call. Later I said, "O Allah's Apostle! I was praying." He said, "Didn't Allah say: 'O you who believe! Give your response to Allah (by obeying Him) and to His Apostle when he calls you'?" (8.24) He then said, "Shall I not teach you the most superior Surah in the Qur'an?" He said, '(It is), 'Praise be to Allah, the Lord of the worlds. ' (i.e., Surat Al-Fatiha) which consists of seven repeatedly recited Verses and the Magnificent Qur'an which was given to me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮৩: বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

১/১০১৬। আবূ সাঈদ রাফে’ ইবনে মুআল্লা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “মসজিদ থেকে বের হবার পূর্বেই তোমাকে কি কুরআনের সবচেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব না?” এই সাথে তিনি আমার হাত ধরলেন। অতঃপর যখন আমরা বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা করলাম, তখন আমি নিবেদন করলাম, ’ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি যে আমাকে বললেন, তোমাকে অবশ্যই কুরআনের সবচেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব?’ সুতরাং তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) ’আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ (সূরা ফাতেহা)। এটি হচ্ছে ’সাবউ মাসানী’ (অর্থাৎ নামাযে বারংবার পঠিতব্য সপ্ত আয়াত) এবং মহা কুরআন; যা আমাকে দান করা হয়েছে।” (বুখারী) [1]

(183) بَابُ فِي الْحَثِّ عَلٰى سُوَرٍ وآيَاتٍ مَخْصُوْصَةٍ

عَن أَبي سَعِيدٍ رَافِعِ بن الْمُعَلَّى رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «أَلاَ أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي القُرْآن قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ؟» فَأخَذَ بِيَدِي، فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نَخْرُجَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنَّكَ قُلْتَ: لأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي القُرْآنِ ؟ قَالَ: «اَلْحَمْدُ للهِ رَبِّ العَالَمِينَ، هِيَ السَّبْعُ المَثَانِي وَالقُرْآنُ العَظِيمُ الَّذِيْ أُوتِيتُهُ». رواه البخاري

(183) Chapter: Inducement towards the Recitation of some Special verses and Surah of the Noble Qur'an


Abu Sa'id Ar-Rafi' bin Al-Mu'alla (May Allah be pleased with him) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Shall I teach you the greatest Surah in the Qur'an before you leave the mosque?" Then he (ﷺ), took me by the hand, and when we were about to step out, I reminded him of his promise to teach me the greatest Surah in the Qur'an. He (ﷺ) said, "It is 'Alhamdu lillahi Rabbil 'Alamin (i.e., Surat Al-Fatihah) which is As-Sab' Al-Mathani (i.e., the seven oft- repeated Ayat) and the Great Qur'an which is given to me." [Al-Bukhari]. Commentary: Allah the Almighty says: "And indeed, We have bestowed upon you seven of Al-Mathani (the seven repeatedly recited Ayat), (i.e., Surat Al-Fatihah) and the Grand Qur'an.'' (15:87). This Hadith is an elaboration of the Quranic Ayah quoted above. The Prophet (PBUH) held that As-Sab` Al-Mathani is Surat Al-Fatihah (the Opening Chapter) because these seven Ayat are recited not only in every Salat but in every Rak`ah of every Salat for the reason that no Salat is valid without the recitation of this Surah, as is evident from the saying of the Prophet (PBUH): "The Salat of that person who has not recited Surat Al-Fatihah is void.'' It has also been regarded as the greatest Surah of the Qur'an as it covers all the objects of the Qur'an and is a condensation of all the subjects which have been discussed in detail in its other Surah. It includes the belief in the Tauhid (the belief in the Oneness of Allah)), the worship of Allah, the Day of Resurrection, promise (of Jannah) and warning (against Hell-fire), instances of the pious and impious people of the past communities, and the lessons their conduct has for others. Abu Dawud and At-Tirmidhi have reported a Hadith in which the Messenger of Allah (PBUH) said: "Al-hamdu lillahi Rabbil `Alamin (i.e., Surat Al-Fatihah) is Umm-ul-Qur'an that is its origin, basis and essence".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৫৬. সূরা ফাতিহা সম্পর্কে।

১৪৫৮. উবায়দুল্লাহ ইব্ন মুআয (রহঃ) ..... আবু সাঈদ ইবনুল মুআল্লা (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা তিনি নামাযে রত থাকাবস্থায় নবী করীম তাঁর পাশ দিয়ে গমনকালে তাঁকে ডাকেন। রাবী বলেন, আমি নামায সমাপন্তে তাঁর খিদমতে হাযির হই। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমার ডাকে সাড়া দিতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছে? আমি বলি, আমি নামাযে রত ছিলাম। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা কি ইরশাদ করেন নাই, হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল যখন তোমাদেরকে আহবান করেন, তখন তোমরা তার জবাব প্রদান করবে, কেননা তিনি তোমাদেরকে সত্যের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করেন? অতঃপর তিনি বলেনঃ আমি আজ মসজিদ হতে বের হবার পূর্বেই তোমাকে কুরআনের একটি সর্বোৎকৃষ্ট সূরা শিক্ষা দিব। আমি বলি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার মূল্যবান কথাটি বর্ণে বর্ণে সংরক্ষিত করব, যা আপনি ইরশাদ করবেন। তিনি বলেনঃ আলহামদু লিল্লাহে রব্বিল আলামীন সূরা যা প্রদান করা হয়েছে; এটা আস্-সাব্উ আল-মাছানী এবং আল্-কুরআনুল আজীম। (বুখারী, নাসাঈ, ইবন মাজা)।

باب فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ حَفْصَ بْنَ عَاصِمٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِ وَهُوَ يُصَلِّي فَدَعَاهُ قَالَ فَصَلَّيْتُ ثُمَّ أَتَيْتُهُ قَالَ فَقَالَ ‏"‏ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُجِيبَنِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ ‏)‏ لأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ أَوْ فِي الْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.‏ شَكَّ خَالِدٌ ‏"‏ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَوْلَكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ‏(‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ وَهِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي الَّتِي أُوتِيتُ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ ‏"‏ ‏.‏


Abu Sa'id b. al-Mu'alla said that when he was praying the Prophet (ﷺ) passed by him and he called him. He said: I prayed ant then I came to him. He asked: What prevented you from answering me ? He replied: I was praying. He said: Has not Allah said: "O you who believe, respond to Allah and the Apostle when he calls you to that which gives you life ? (8:24) Let me teach you the greatest surah from the Qur'an or in the Qur'an (the narrator Khalid doubted) before I leave the mosque. I said: (I shall memorize) your saying. He said: It is: "Praise be to Allah, the Lord of the Universe" which is the seven oft-repeated verses, and the mighty Qur'an.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭১. লি‘আন।

২২৫১. আহমাদ ইবন হাম্বল ..... আমর ইবন সাঈদ ইবন জুবায়র বলেন, আমি ইবন উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যভিচারের পরস্পর অভিসম্পাতকারীদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের হিসাব আল্লাহর উপর ন্যস্ত। আর অবশ্যই তোমাদের দুজনের মধ্যে একজন মিথ্যাবাদী। আর তোমার তার (স্ত্রীর) উপর কোন অধিকার নেই। তখন সে (স্বামী) জিজ্ঞাসা করে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার প্রদত্ত মালের (মাহর) বিষয় কী? তিনি বলেনঃ যদি তুমি তার ব্যাপারে সত্য কথাও বলে থাকো, তবুও তোমার দেয়া মাল (মাহর) তুমি ফেরত পাবে না আর তা এজন্য যে, তুমি তার যৌনাঙ্গ এর বিনিময়ে হালাল করেছিলে। আর যদি তুমি তার সম্পর্কে মিথ্যা বলে থাকো তবে তো এ সম্পর্কে কোন কথাই ওঠতে পারে না।

باب فِي اللِّعَانِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ سَمِعَ عَمْرٌو، سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْمُتَلاَعِنَيْنِ ‏"‏ حِسَابُكُمَا عَلَى اللَّهِ أَحَدُكُمَا كَاذِبٌ لاَ سَبِيلَ لَكَ عَلَيْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَالِي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ لاَ مَالَ لَكَ إِنْ كُنْتَ صَدَقْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ بِمَا اسْتَحْلَلْتَ مِنْ فَرْجِهَا وَإِنْ كُنْتَ كَذَبْتَ عَلَيْهَا فَذَلِكَ أَبْعَدُ لَكَ ‏"‏ ‏.‏


Ibn ‘Umar said “The Apostle of Allaah(ﷺ) said to the spouses who invoked curses on each other. Your reckoning is in Allaah’s hands for one of you is liar there is no way for you to (remarry) her. He then asked Apostle of Allaah(ﷺ) what about my property? He replied “There is no property for you. If you have spoken the truth, it is the price for your having had the right to intercourse with her and if you have lied against her it is still more remote for you.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৯/ মসজিদের নিকট দিয়ে গমন করার নামায।

৭৩৩। মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আবূল হাকাম (রহঃ) ... আবূ সাঈদ ইবনুল মুআল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় আমরা ভোরে বাজারের দিকে যেতাম। তখন আমরা মসজিদের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় সালাত আদায় করতাম।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ بْنِ أَعْيَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَرْوَانُ بْنُ عُثْمَانَ، أَنَّ عُبَيْدَ بْنَ حُنَيْنٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، قَالَ كُنَّا نَغْدُو إِلَى السُّوقِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَمُرُّ عَلَى الْمَسْجِدِ فَنُصَلِّي فِيهِ ‏.‏


It was narrated that Abu Sa'eed bin Al-Mu'alla said: "We used to go to the marketplace in the morning at the time of the Messenger of Allah (ﷺ), and we would pass through the Masjid and pray there."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬/ "আপনাকে সাব'আ মাসানি ও কুরআন আজিম দিয়েছি"- এর ব্যাখ্যা।

৯১৬। ইসমাঈল ইবনু মাসউদ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ ইবনু মুআল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (রহঃ) তার কাছ দিয়ে যাওয়ার কালে তাকে ডাকলেন, তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন। তিনি বলেন আমি সালাত শেষ করে তাঁর কাছে আসলে তিনি বললেন, আমার আহবানে সাড়া দিতে তোমাকে কিসে নিষেধ করল? তিনি বললেন, আমি সালাত আদায় করছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি, হে মুমিনগণ! রাসুল যখন তোমাদের এমন কিছুর দিকে আহ্বান করে যা তোমাদের প্রাণবন্ত করে, তখন আল্লাহ ও রাসুলের আহবানে সাড়া দিবে। (৮ঃ ২৪)।

মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর আমি কি তোমাকে সর্বোৎকৃষ্ট সূরা শিক্ষা দিব না? তিনি বললেন, তারপর তিনি বের হতে গেলে আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার কথা? তিনি বললেনঃ আল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন অর্থাৎ সূরা ফাতিহা, ঐ সাত আয়াত যা বারবার পড়া হয়ে থাকে, যা আমাকে দান করা হয়েছে এবং মহান কুরআন।

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ حَفْصَ بْنَ عَاصِمٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِ وَهُوَ يُصَلِّي فَدَعَاهُ - قَالَ - فَصَلَّيْتُ ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُجِيبَنِي ‏"‏ قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ)‏ أَلاَ أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَذَهَبَ لِيَخْرُجَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَوْلَكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي الَّذِي أُوتِيتُ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Sa'eed bin Al-Mu'alla that: The Prophet (ﷺ) passed by him when he was praying, and called him. He said: "I finished praying, then I came to him, and he said: 'What kept you from answering me?' He said: 'I was praying.' He said: 'Does not Allah say: O you who believe! Answer Allah (by obeying Him) and (His) Messenger when he calls you to that which will give you life? Shall I not teach you the greatest surah before I leave the masjid?' Then he went to leave, and I said: 'O Messenger of Allah, what about what you said?' He said: "All praise and thanks be to Allah, Lord of all that exists. These are the seven oft-recited that I have been given, and the Grand Quran.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১/১. সূরাতুল ফাতিহা (ফাতিহাতুল কিতাব) প্রসঙ্গে।

(الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ) اسْمَانِ مِنْ الرَّحْمَةِ الرَّحِيْمُ وَالرَّاحِمُ بِمَعْنًى وَاحِدٍ كَالْعَلِيْمِ وَالْعَالِمِ.

’’রহমান ও রহীম’’ শব্দদ্বয় ’রহমত’ শব্দ থেকে নিষ্পন্ন এবং রহীম ও র-হিম দু’টো শব্দই একই অর্ধবোধক যেমন ’আলীম ও আ-লিম।

(1) سورة الفاتحة

সূরাহ (১) : ফাতিহা*

وَسُمِّيَةْ أُمَّ الْكِةَابِ أَنَّهُ يُبْدَأُ بِكِةَابَةِهَا فِي الْمَصَاحِفِ وَيُبْدَأُ بِقِرَاءَةِهَا فِي الصَّلَاة.

وَ(الدِّيْنُ) الْجَزَاءُ فِي الْخَيْرِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (بِالدِّيْنِ) بِالْحِسَابِ (مَدِيْنِيْنَ) مُحَاسَبِيْنَ.

সূরাহ ফাতিহাকে উম্মুল কিতাব (কিতাবের মূল) হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, সূরাহ ফাতিহা লেখা দ্বারাই কুরআন গ্রন্থাকারে লেখা শুরু হয়েছে।

আর সূরাহ ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে সালাতও আরম্ভ করা হয়। ’’দ্বীন’’ অর্থ -ভাল ও মন্দের প্রতিফল। যেমন বলা হয়ে থাকে وَالشَّرِّ كَمَا تَدِيْنُ تُدَانُ ’’যেমন কর্ম তেমন ফল’’। আর মুজাহিদ (রহ.) বলেন, بِالدِّيْنِ হিসাব-নিকাশ। مَدِيْنِيْنَ যার হিসাব নেয়া হবে।

৪৪৭৪. আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’আল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে নাববীতে সালাত আদায় করছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকেন। কিন্তু ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সালাত আদায় করছিলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা সাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রাসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন- (সূরাহ আনফাল ৮/২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই তোমাকে আমি কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি বলেননি যে আমাকে কুরআনের অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিবেন? তিনি বললেন, الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ -সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল আমাকেই দেয়া হয়েছে। [৪৬৪৭, ৪৭০৩, ৫০০৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১১৯)

بَاب مَا جَاءَ فِيْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِيْ خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ كُنْتُ أُصَلِّيْ فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أُجِبْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ كُنْتُ أُصَلِّيْ فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللهُ (اسْتَجِيْبُوْا لِلهِ وَلِلرَّسُوْلِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيْكُمْ) ثُمَّ قَالَ لِيْ لَأُعَلِّمَنَّكَ سُوْرَةً هِيَ أَعْظَمُ السُّوَرِ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِيْ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قُلْتُ لَهُ أَلَمْ تَقُلْ لَأُعَلِّمَنَّكَ سُوْرَةً هِيَ أَعْظَمُ سُوْرَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَالَ (الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ)هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيْمُ الَّذِيْ أُوْتِيْتُهُ


Narrated Abu Sa`id bin Al-Mu'alla: While I was praying in the Mosque, Allah's Messenger (ﷺ) called me but I did not respond to him. Later I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I was praying." He said, "Didn't Allah say'--"Give your response to Allah (by obeying Him) and to His Apostle when he calls you." (8.24) He then said to me, "I will teach you a Sura which is the greatest Sura in the Qur'an, before you leave the Mosque." Then he got hold of my hand, and when he intended to leave (the Mosque), I said to him, "Didn't you say to me, 'I will teach you a Sura which is the greatest Sura in the Qur'an?' He said, "Al-Hamdu-Li l-lah Rabbi-l-`alamin (i.e. Praise be to Allah, the Lord of the worlds) which is Al-Sab'a Al-Mathani (i.e. seven repeatedly recited Verses) and the Grand Qur'an which has been given to me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১৫/৩. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আর আমি তো আপনাকে দিয়েছি সাতটি আয়াত যা বারবার পাঠ করা হয় এবং দিয়েছি মহা কুরআন। (সূরাহ হিজর ১৫/৮৭)

৪৭০৩. আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’য়াল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পার্শ্ব দিয়ে গেলেন, তখন আমি সালাত আদায় করছিলাম। তিনি আমাকে ডাক দিলেন। আমি সালাত শেষ না করে আসিনি। তারপর আমি আসলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমার কাছে আসতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল। আমি বললাম, আমি সালাত আদায় করছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা’আলা কি এ কথা বলেননি, ’’হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্ এবং রাসূলের ডাকে সাড়া দাও?’’ তারপর তিনি বললেন, আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগেই কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরাটি শিখিয়ে দেব না। তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মসজিদ থেকে বের হতে উদ্যত হলেন, আমি তাকে কথাটি মনে করিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, সে সূরাটি হল, ’’আল্ হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।’’ এটি হল, বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহা কুরআন[1] যা আমাকে দেয়া হয়েছে। [৪৪৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৪৩)

بَاب قَوْلِهِ :{وَلَقَدْ اٰتَيْنَاكَ سَبْعًا مِّنَ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْاٰنَ الْعَظِيْمَ}.

مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ مَرَّ بِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أُصَلِّيْ فَدَعَانِيْ فَلَمْ آتِهِ حَتَّى صَلَّيْتُ ثُمَّ أَتَيْتُ فَقَالَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَأْتِيَنِيْ فَقُلْتُ كُنْتُ أُصَلِّيْ فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللهُ (يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اسْتَجِيْبُوْا لِلهِ وَلِلرَّسُوْلِ) إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيْكُمْ ثُمَّ قَالَ أَلَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُوْرَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَذَهَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَذَكَّرْتُهُ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيْمُ الَّذِيْ أُوْتِيْتُهُ.


Narrated Abu Sa`id Al-Mualla: While I was praying, the Prophet (ﷺ) passed by and called me, but I did not go to him till I had finished my prayer. When I went to him, he said, "What prevented you from coming?" I said, "I was praying." He said, "Didn't Allah say" "O you who believes Give your response to Allah (by obeying Him) and to His Apostle." (8.24) Then he added, "Shall I tell you the most superior Sura in the Qur'an before I go out of the mosque?" When the Prophet (ﷺ) intended to go out (of the Mosque), I reminded him and he said, "That is: "Al hamdu-li l-lahi Rabbil-`alamin (Surat-al-fatiha)' which is the seven oft repeated verses (Al-Mathani) and the Grand Qur'an which has been given to me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৬/৯. সূরাহ ফাতিহার ফযীলত।

৫০০৬. আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’আল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালাত আদায়রত ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন; কিন্তু আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম না। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সালাত আদায়রত ছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি, ’’হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্ ও রাসূল যখন তোমাদেরকে আহবান করেন তখন আল্লাহ্ ও রাসূলের আহবানে সাড়া দাও।’’ (সূরাহ আল-আনফাল ৮/২৪)

তারপর তিনি বললেন, তোমার মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগে আমি কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরাহ শিক্ষা দেব না? তখন তিনি আমার হাত ধরলেন। যখন আমরা মাসজিদ থেকে বের হতে ইচ্ছা করলাম তখন আমি বললাম, আপনি তো বলেছেন মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগে আমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরার কথা বলবেন। তিনি বললেন, সেটা হলঃ ’’আল হামদুলিল্লাহ রাব্বিল ’আলামীন’’। এটা পুনঃ পুনঃ পঠিত সাতটি আয়াত এবং কুরআন আজীম যা আমাকে দেয়া হয়েছে। [৪৪৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৪০)

باب : فَضْلِ فاتِحَةِ الكِتابِ.

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ حَدَّثَنِيْ خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ كُنْتُ أُصَلِّيْ فَدَعَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أُجِبْهُ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّيْ كُنْتُ أُصَلِّيْ قَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللهُ (اسْتَجِيْبُوْا لِلهِ وَلِلرَّسُوْلِ إِذَا دَعَاكُمْ) ثُمَّ قَالَ أَلَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُوْرَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَأَخَذَ بِيَدِيْ فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نَخْرُجَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّكَ قُلْتَ لَأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُوْرَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ قَالَ (الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ) هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيْمُ الَّذِيْ أُوْتِيْتُهُ


Narrated Abu Sa`id Al-Mu'alla: While I was praying, the Prophet (ﷺ) called me but I did not respond to his call. Later I said, "O Allah's Apostle! I was praying." He said, "Didn't Allah say: 'O you who believe! Give your response to Allah (by obeying Him) and to His Apostle when he calls you'?" (8.24) He then said, "Shall I not teach you the most superior Surah in the Qur'an?" He said, '(It is), 'Praise be to Allah, the Lord of the worlds. ' (i.e., Surat Al-Fatiha) which consists of seven repeatedly recited Verses and the Magnificent Qur'an which was given to me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত

৩৪১০. আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’আল্লা আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আমি একদা মসজিদে নাববীতে সালাত আদায় করছিলাম,) এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গমণ করেন। তিনি বললেন, “আল্লাহ কি বলেননি যে, “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা সাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রাসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন।” (সূরাহ আনফালঃ ২৪)?” তারপর তিনি আমাকে বললেন, “আমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই আমি কি তোমাকে কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব না?। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন তিনি বললেন, الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ অর্থ: “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক।” (সুরা ফাতিহাহ: ১) এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল তোমাদেরকেই দেয়া হয়েছে।”[1]

باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى الْأَنْصَارِيِّ قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ قَالَ أَلَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنْ الْمَسْجِدِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَهِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُمْ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৫০. সূরাহ আল-ফাতিহা সম্পর্কে

১৪৫৮। আবূ সাঈদ ইবনুল মু’আল্লা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা তিনি সালাতে রত থাকাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ডাকলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি সালাত আদায় শেষে তাঁর নিকট এলে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমার ডাকে সাড়া দিতে কিসে তোমাকে বাধা দিয়েছে? তিনি বললেন, আমি সালাতে রত ছিলাম। তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ কি বলেননিঃ ’’হে মুমিনগণ! যখন আল্লাহ ও তাঁর রসূল তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে ডাকে যা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে। (সূরাহ আল-আনফাল : ২৪) আমি মাসজিদ থেকে বের হবার পূর্বেই তোমাকে কুরআনের অত্যধিক মর্যাদা সম্পন্ন একটি সূরাহ শিক্ষা দিবো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনার কথাটি স্মরণ রাখবো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ’’আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল ’আলামীন’’, এটি হচ্ছে সাত আয়াতবিশিষ্ট সূরাহ। আমাকে এটি এবং কুরআনুল ’আযীম প্রদান করা হয়েছে।[1]

সহীহ : বুখারী।

باب فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ حَفْصَ بْنَ عَاصِمٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم مَرَّ بِهِ وَهُوَ يُصَلِّي فَدَعَاهُ قَالَ : فَصَلَّيْتُ ثُمَّ أَتَيْتُهُ قَالَ : فَقَالَ ‏"‏ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُجِيبَنِي‏"‏.‏ قَالَ : كُنْتُ أُصَلِّي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ يَقُلِ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا للهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ‏)‏ لأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ أَوْ فِي الْقُرْآنِ‏"‏.‏ شَكَّ خَالِدٌ ‏"قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ‏"‏.‏ قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ! قَوْلَكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ‏(الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ)‏ وَهِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي الَّتِي أُوتِيتُ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ ‏"‏ ‏.‏

- صحيح :خ


Abu Sa'id b. al-Mu'alla said that when he was praying the Prophet (ﷺ) passed by him and he called him. He said: I prayed ant then I came to him. He asked: What prevented you from answering me ? He replied: I was praying. He said: Has not Allah said: "O you who believe, respond to Allah and the Apostle when he calls you to that which gives you life ? (8:24) Let me teach you the greatest surah from the Qur'an or in the Qur'an (the narrator Khalid doubted) before I leave the mosque. I said: (I shall memorize) your saying. He said: It is: "Praise be to Allah, the Lord of the Universe" which is the seven oft-repeated verses, and the mighty Qur'an.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ নামাযে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব

(৬৫৬) আবু সাঈদ বিন মুআল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি মসজিদে নামায পড়ছিলাম। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন। আমি সাড়া দিলাম না। অতঃপর নামায শেষ করে তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি নামায পড়ছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, তোমরা আল্লাহ ও রসূলের আহবানে সাড়া দাও যখন তোমাদেরকে (রসূল) ডাকে...’ (সূরা আনফাল ২৪ আয়াত) অতঃপর তিনি বললেন, মসজিদ থেকে তোমার বের হয়ে যাওয়ার পূর্বেই তোমাকে কুরআনের মধ্যে মহত্তম সূরাটি শিখিয়ে দেব না কি?

অতঃপর তিনি আমার হাত ধরলেন। তারপর আমরা যখন বের হওয়ার ইচ্ছা করলাম তখন আমি বললাম, হে আল্লার রসূল! আপনি বলেছিলেন আমি তোমাকে কুরআনের মহত্তম সূরাটি শিখিয়ে দেব। তিনি বললেন, আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ-লামীন। এটাই হল সেই সপ্তপদী (সূরা) যা নামাযে পুনঃপুনঃ আবৃত্ত হয়, আর সেটাই হল মহা কুরআন; যা আমাকে দান করা হয়েছে।

عَنْ أَبيْ سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِي رَسُولُ اللهِ ﷺ فَلَمْ أُجِبْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللهُ -اسْتَجِيبُوا لِلهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ ثُمَّ قَالَ لِي لَأُعَلِّمَنَّكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ السُّوَرِ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنْ الْمَسْجِدِ- ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قُلْتُ لَهُ أَلَمْ تَقُلْ لَأُعَلِّمَنَّكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ؟ قَالَ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬: “আপনাকে সাব'আ মাসানী ও কুরআন ‘আযীম দিয়েছি”-এর ব্যাখ্যা

৯১৩. ইসমাঈল ইবনু মাসউদ (রহ.) ..... আবু সাঈদ ইবনুল মু’আল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) তার কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ডাকলেন, তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন। তিনি বলেন, আমি সালাত শেষ করে তাঁর নিকট আসলে তিনি বললেন, আমার ডাকে সাড়া দিতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তিনি বললেন, আমি সালাত আদায় করছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি, “হে মু’মিনগণ! রসূল যখন তোমাদের এমন কিছুর দিকে ডাকেন যা তোমাদের প্রাণবন্ত করে, তখন আল্লাহ ও রসূলের ডাকে সাড়া দিবে’- (সূরাহ্ আল আনফাল ৮: ২৮)।
মসজিদ হতে বের হওয়ার আগে আমি কি তোমাকে সর্বোকৃষ্ট সূরাহ্ শিক্ষা দিব না? বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সা.) মসজিদ হতে বের হবার উপক্রম হলে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার কথা কি ভুলে গেছেন? তিনি বললেন, “আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল আলামীন” অর্থাৎ সূরা ফাতিহাহ্, এ সাত আয়াত যা বারবার পাঠ করা হয়ে থাকে, যা আমাকে দান করা হয়েছে এবং মহান কুরআন।”

تأويل قول الله عز وجل ولقد آتيناك سبعا من المثاني والقرآن العظيم

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قال:‏‏‏‏ سَمِعْتُ حَفْصَ بْنَ عَاصِمٍ يُحَدِّثُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، ‏‏‏‏‏‏أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِهِ وَهُوَ يُصَلِّي فَدَعَاهُ قَالَ:‏‏‏‏ فَصَلَّيْتُ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَقَالَ:‏‏‏‏ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُجِيبَنِي قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي قَالَ:‏‏‏‏ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ سورة الأنفال آية 24 أَلَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ قَالَ:‏‏‏‏ فَذَهَبَ لِيَخْرُجَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَوْلَكَ قَالَ:‏‏‏‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي الَّذِي أُوتِيتُ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ .

تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/تفسیر الفاتحة ۱ (۴۴۷۴)، تفسیر الأنفال ۳ (۴۶۴۷)، تفسیر الحجر ۳ (۴۷۰۳)، فضائل القرآن ۹ (۵۰۰۶)، سنن ابی داود/الصلاة ۳۵۰ (۱۴۵۸)، سنن ابن ماجہ/الأدب ۵۲ (۳۷۸۵)، (تحفة الأشراف: ۱۲۰۴۷)، مسند احمد ۳/۴۵۰، ۴ (۲۱۱)، سنن الدارمی/الصلاة ۱۷۲ (۱۵۳۳)، فضائل القرآن ۱۲ (۳۴۱۴)، موطا امام مالک/ الصلاة ۸ (۳۷) من حدیث أبی بن کعب (صحیح)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 914 - صحيح

26. The Interpretation Of The Saying Of Allah, The Mighty And Sublime: And Indeed, "We Have Bestowed Upon You Seven Of Al-Mathani (Seven Repeatedly-Recited) And The Grand Qur'an"


It was narrated from Abu Sa'eed bin Al-Mu'alla that: The Prophet (ﷺ) passed by him when he was praying, and called him. He said: I finished praying, then I came to him, and he said: 'What kept you from answering me?' He said: 'I was praying.' He said: 'Does not Allah say: O you who believe! Answer Allah (by obeying Him) and (His) Messenger when he calls you to that which will give you life? Shall I not teach you the greatest surah before I leave the masjid?' Then he went to leave, and I said: 'O Messenger of Allah, what about what you said?' He said: All praise and thanks be to Allah, Lord of all that exists. These are the seven oft-recited that I have been given, and the Grand Quran.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা ফাতিহা কুর‘আনের সবচেয়ে মহানতম সূরা, এটি السَّبْعُ الْمَثَانِي (বারবার পঠিত সাত আয়াতবিশিষ্ট্য সূরা), যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রদান করা হয়েছে

৭৭৪. আবু সা‘ঈদ বিন মু‘আল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি মসজিদে সালাত আদায় করছিলাম, এমন সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে ডাকলেন কিন্তু আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম না। অতঃপর আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি সালাত আদায় করছিলাম।” তখন তিনি বললেন, “আল্লাহ কি বলেননি “তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দাও, যখন তিনি তোমাদের ডাকেন”? তারপর তিনি বলেন, “আমি কি তোমাকে এমন একটি সূরা শিক্ষা দিবো না, যা কুর‘আনে সবচেয়ে মহানতম সূরা?” আমি জবাবে বললাম, “জ্বী, হ্যাঁ।” তিনি বলেন, “(সেটি হলো) الحمد لله رب العالمين (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক।” (সূরা ফাতিহা: ২।) এটি السَّبْعُ الْمَثَانِي (বারবার পঠিত সাত আয়াতবিশিষ্ট্য সূরা), যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “এটি কুর‘আনের সবচেয়ে মহানতম সূরা”এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ‘সাওয়াবের ক্ষেত্রে’; এটা উদ্দেশ্য নয় যে, কুর‘আনের কিছু অংশ অপর অংশ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।”

আর রাবী আবূ সাঈদ বিন মু‘আল্লাহর নাম হলো রাফি‘ বিন মু‘আল্লাহ বিন লাওযান বিন হারেসাহ। তিনি ৭৪ হিজরীতে মারা গিয়েছেন।”

ذكر البيان فَاتِحَةَ الْكِتَابِ هِيَ أَعْظَمُ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ وَهِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي الَّتِي أُوتِيَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

774 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ قَالَ: حدثنا يحيى عن شعبة قال: حدثني حبيب بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ:. كُنْتُ أُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ أجِبْهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي فَقَالَ: (أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ: {اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ} [الأنفال: 24]) ثُمَّ قَالَ: (أَلَا أُعَلِّمُكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ)؟ فَقُلْتُ: بَلَى فَقَالَ: ({الحمد لله رب العالمين} [الفاتحة: 2] هي السبع المثاني والقرآن الذي أوتيته)
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (هِيَ أَعْظَمُ سُورَةٍ) أَرَادَ بِهِ فِي الْأَجْرِ لَا أَنَّ بَعْضَ الْقُرْآنِ أَفْضَلُ مِنْ بَعْضٍ.
وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ الْمُعَلَّى اسْمُهُ: رَافِعُ بْنُ الْمُعَلَّى بْنِ لَوْذَانَ بْنِ حَارِثَةَ مَاتَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسَبْعِينَ
الراوي : أَبُو سَعِيدِ بْن الْمُعَلَّى | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 774 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে